![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
এখন পর্যন্ত যে কত ধরনের আজব প্রাণি বা জীব জন্তু আছে তার হিসাব করাও কঠিন। একেক প্রজাতির প্রাণির ধরন বা আচরণ একেক ধরনের। এক ধরনের প্রাণি আছে যারা শরীরের রং বদলাতে পারে মুহূর্তেই। এ ধরনের প্রাণিটির নাম দেয়া হয়েছে চুপাকাবরা। অনেকে মনে করেন, চুপাকাবরা আধা মানুষ, আধা ভ্যাম্পায়ার (রক্তচোষা বাদুড়)। বিশ্বে অনেকে মনে করেন, চুপাকাবরা দেখতে অনেকটাই চিতা বাঘের মতো। এর চোখ লাল। আর জিহবা সাপের মতো বিশাল। অনেকের কাছে এটি রহস্যময় প্রাণি। এটি গুপ্ত প্রাণি বলেও অধিক পরিচিত।
এ ধরনের প্রাণি চোখে পড়ে মেক্সিকো, পোর্টেরিকো, চিলি, ব্রাজিলসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি জায়গায়। এটিকে ছাগলের রক্তচোষা বলে মনে করে স্পানিশ ও পর্তুগিজরা। প্রাণিটি প্রথম চোখে পড়ে প্রায় ১৯৯০ সালে। তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হয় এর আরো আগে ১৯৮৭ সালে। তাতে বলা হয়, এ ধরনের প্রাণি যেমন অদ্ভুত তেমনি হিংস্র। এর শিকার হচ্ছে ঘোড়া, ছাগল, পাখি ইত্যাদি।
বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, চিলি, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, পেরু, পানামা, ব্রাজিল, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতেও বেড়ে যায় পশু হত্যাকান্ডের ঘটনা। যা ঘটে পোর্টেরিকার ঘটনার পরপর। শেষ পর্যন্ত চুপাকাবরা নাগরিক লোক কাহিনীতে পরিণত হয় পোর্টেরিকা এবং মেক্সিকোতে। অনেক স্থানে শোভা পায় প্রাণিটির ছবি। তা দেখে সংশ্লিষ্টরা ধরে নেন এর বেশ জনপ্রিয়তাও ছিলো। এর ছবি দেখতে পাওয়া যায় বেসবল ক্যাম্প, পোশাক, ক্যান্ডি ইত্যাদিতে।
টেক্সাসের সান আনটোনিওতে এক খামার কর্মকর্তা লোমহীন কুকুরের ন্যায় একটি প্রাণি বধ করেন গত ২০০৪ সালের প্রায় মাঝমাঝি সময়ে। জানা যায়, এটি হঠাৎ আক্রমণ করেছিলো তার ছাগল-ভেড়া পালে। আরো অবাক বিষয় হলো, এর কয়েক মাস না যেতেই এ ধরনের আরো দু'টি প্রাণি মানুষের নজরে আসে। এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিলো সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাদের একটি মারা যায়। তাতে স্বস্তি ফিরে আসে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবুও ভয় ছিলো, যদি এ ধরনের আরো প্রাণি দেখা যায় এবং যাকে তাকে আক্রমণ করে বসে। বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন চুপাকাবরার দৈহিক গঠন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এদের দ্বারা এমন সব ঘটনা ঘটেছে, তাতে বুঝা যায় সত্যিই এগুলো মারাত্মক হিংস্র প্রাণি। আর এর অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো এই প্রাণিটি অত্যন্ত দ্রুতগামী!! একবার দুজন মেক্সিকান ভদ্রলোক গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন এমন সময় অদ্ভূত একটি প্রানি তাদের চোখে পরে, যার বর্ণনা চুপাকাবরার সাথে মিলে যায়, তারা গাড়ি নিয়ে যথেষ্ট দ্রুত প্রানিটিকে ধাওয়া করেন কিন্তু তারা কিছুতেই প্রাণিটির নাগাল পান না, তারা এটা ভেবে বিস্মিত হন যে কোন প্রানি এতো দ্রুতগামী হয় কি করে?
এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ধারণা পেয়েছেন গুপ্ত প্রাণিবিদরা। তাদের অনেকেই বলেন, এদের দৈর্ঘ্য কম হলেও পাঁচ ফুট। দেখতে অনেকটা এলিয়েনের ন্যায়। অবশ্য তা মনে হয় এর মাথা ও চোখের কারণে।চুপাকাবরার দু'টি ছোট বাহু দেখতে পাওয়া যায়। বাহুতে তিনটি করে আঙুলও চোখে পড়ার মতো। পা দু'টি বেশ শক্তিশালী। এর বিশেষ ধরনের ঝিল্লি আছে, যা দিয়ে সহজেই উড়তে পারে ওরা চোখের পলকে গাছের উঁচু ডালে চলে যেতে পারে বলে অনেকেই এ প্রাণিকে বলেন গেছো চুপাকাবরা। অন্ধকারে আলো বিচ্ছুরিত হয় চোখ থেকে। অনেকের ধারণা, কোন গোপন জিন গবেষণার ফসল হতে পারে চুপাকাবরারা। যা হঠাৎ করে সাধন করে ধ্বংসলীলা। অনেকে এমনো বলেছেন যে, ওরা ক্রমেই মানুষের রূপ নিচ্ছে। বিস্ময়কর এ প্রাণি নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত আছেন গুপ্ত প্রাণিবিদরা।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১২
নৈশ শিকারী বলেছেন:
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
নৈশ শিকারী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
নৈশ শিকারী বলেছেন: