নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলে যাই

নিঝুমবাবুই

বলি ও লিখি, কারণ বলতে বলতে লিখতে লিখতে বদল হয়, পরিবর্তন হয়।

নিঝুমবাবুই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারাক ওবামার আফ্রিকা সফর : আমেরিকা কি এশিয়া থেকে সরে যাচ্ছে ?

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪০


গত ৭০ বছর আমেরিকা এশিয়াতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে সমৃদ্ধশালী করতে বাজার সুবিধা থেকে শুরু করে সবই দিয়েছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান তার পকেটে। বাংলাদেশ আর মায়ানমারে রয়েছে শক্তিশালী সমর্থক গোষ্ঠী । ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরেও রয়েছে বিপুল প্রভাব। জাপান, ইন্দোনেশিয়াতেও আমেরিকার প্রভাব ছিলো চার দশকেরও বেশি। এবং এখনো আছে।

সমস্যা হচ্ছে চীন, ভারত, মালয়েশিয়া আর সাথে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া। বিশ্বব্যাংকের বিকল্প ব্যাংক ইউরোপ আর আমেরিকাকে আগামী এশিয়ার নেতৃত্বে এশিয়ার বিশাল প্রস্তুতির বার্তা দিয়ে দিয়েছে। চীন অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
চীন, ভারত , মালয়েশিয়ার উত্থান শুধু আমেরিকা নয় – ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বিপদ সৃষ্টি করেছে। ভারত বিশেষ করে বাংলাদেশ আর নেপালে তাদের বলয়ে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। চলছে খুব খোলামেলা কূটনৈতিক যুদ্ধ।


শত শত বছর যে এশিয়াকে লুটতরাজ করে ইউরোপ বেড়ে উঠেছে , সেই ভারত চীন ভিয়েতনাম শ্রীলংকাকে লুটপাট করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ এসব দেশ ভালো করেই বুঝে এখন ইউরোপিয়ানদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ এর শত বছরের একমাত্র অস্ত্র।

এছাড়া ইউরোপের অর্থনীতি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
অন্যদিকে এশিয়ার বিপুল জনগোষ্ঠীর নিজস্ব বিপুল বাজার তাদের অর্থনীতির প্রতিরক্ষা দিচ্ছে। ইউরোপ , আমেরিকা ছাড়াই এশিয়ার অর্থনীতি চলবে নিজস্ব ধারায়।

এটা খুব পরিষ্কার যে ইউরোপ বা আমেরিকাকে এশিয়ার তেমন কোন প্রয়োজন নেই। এবং সেটা খোলামেলাভাবেই ভারত, চীন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে।

ওদিকে ইউরোপের আরেক লুটপাটের স্বর্গরাজ্য আফ্রিকা মহাদেশ লুটপাট করে ইউরোপ ভালোই চলছিলো, এবং আমেরিকা ফ্রান্স, বৃটেনকে আফ্রিকা মহাদেশ অনেকটা লিজ দিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু আমেরিকার সেখানে অভিযান ইউরোপের লাভের ভাগে ভাগ বসাতে পারে। গত এক দশকে আমেরিকা আফ্রিকায় সাহায্য বাড়িয়েছে প্রচুর।

দীর্ঘ ৭০ বছরে আমেরিকা এশিয়াতে যে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলো, তা সম্ভবত ততোটা ফলদায়ক হয়নি। আগামীতেও সম্ভাবনা কম। আগামী কয়েক বছরে এটি আরো পরিষ্কার হবে – এশিয়ার কয়েকটি দেশে সাহায্য হ্রাস পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে , আমেরিকার আফ্রিকা যাত্রা চূড়ান্ত। বারাক ওবামার আমেরিকা সফর সেই যাত্রার শুরু ।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশও যদি জঙ্গিরাষ্ট্র হয়, হবে পুরো এশিয়ার জন্য তা বিপদজনক। তাই খেলাটা খুব পরিষ্কার – ভারতের খুবই সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে , বাংলাদেশ যাতে কোনমতেই পাকিস্তানের মতো জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত না হয়।

বাংলাদেশ জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হলে সেটা শুধু বাংলাদেশের সর্বনাশ নয়, ভারতের মহাসর্বনাশ করবে আর এশিয়ার উন্নয়নের গতিকে পেছনে নিয়ে যাবে। ইউরোপের কয়েকশত বছরের ইতিহাস ঘাটলে খুব পরিষ্কার , তারা এই উন্নয়নকে ছিনতাই করার চেষ্টা করবে এবং তা না পারলে এশিয়ার উন্নয়নকে থামানোর জন্য যা যা করা দরকার সবই করবে। জঙ্গিবাদ হচ্ছে এ মুহূর্তে সবচেয়ে কার্যকরি অস্ত্র – যে কোন দেশের উন্নয়নের বারোটা বাজানোর জন্য।

আপাত হিসাবে, আমেরিকার আফ্রিকামুখী হওয়াকে স্বাগত জানানো যায়। যদিও সুশীল সমাজের জন্য এটি বিরাট বিপদজনক বার্তা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

গাজী আলআমিন বলেছেন: আমেরিকা আগেও আফ্রিকারে শোষণ করছে এখনো করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.