নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা বলে যাই

নিঝুমবাবুই

বলি ও লিখি, কারণ বলতে বলতে লিখতে লিখতে বদল হয়, পরিবর্তন হয়।

নিঝুমবাবুই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহায্য কমে যাওয়া, সুশীলদের চীৎকার ও আমাদের মিডিয়া!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

কয়েকটি চ্যানেলে এনজিও এর সাহায্য কমে যাওয়া (মানে ভিক্ষা কমে যাওয়া) নিয়ে যে পরিমাণ আলাপ আলোচনা, প্রতিবেদন হচ্ছে তা হচ্ছে আসলে কাদের স্বার্থে ?

শতভাগ মালিকদের স্বার্থে। সাহায্যের টাকা দিয়ে বাংলাদেশের আসলে কী হয়েছে? যে পরিমাণ গাড়ী, অ্যাপার্টমেন্ট, জমির মালিক হয়েছে এনজিওর মালিক এবং কর্মকর্তারা – যেহেতু এ সেক্টরটি নিয়ে মানুষের আসলে মাথাব্যথা কম, তা অনেকটাই অপ্রকাশিত। প্লেন ভাড়া, গাড়ী ভাড়া, দামী হোটেল ভাড়া আর হাজার হাজার সেমিনারে, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং এই তো শত শত কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে।
আর এখানে যে কয়েকশত বিদেশী কর্মী আছে (যাদের যোগ্যতা কোনোমতেই বেশি নয়), তাদের বেতন আর সুবিধাদি শুনলে অনেকেই ভিমড়ী খাবেন। সাহায্যের বড় একটা অংশটা সেখানেই চলে যায়।

তো বাকি থাকে কী?

বিশাল বিশাল অফিস, এসি বাড়ি, দামী গাড়ী, কর্মকর্তাদের উচ্চ বেতন, দামী হোটেলে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং, শত শত কোটি টাকার প্রিন্টিং, উচ্চ বেতনের সুশীলদের পোষা এর পরে আসলে আর কী থাকে দেয়ার?

বড় অদ্ভুদ এই দেশটা। দুনিয়ার কোনো দেশে আমাদের এনজিওরা যেমন গত ৪৪ বছর ফ্রি স্টাইলে চলেছে এবং এখনো চলছে – আর কোনো দেশে এটি চিন্তাও করা যায় না।

এখন তো আমাদের অনেক কর্পোরেট আছে। তাদের সিএসআর থেকেই তো যে টাকা পাওয়া যাবে, তা দিয়েই চলার কথা। আর ৪৪ বছরে এনজিওগুলো নিজের পায়ে দাড়াতো পারলো না কেনো?

এনজিও বন্ধ হবে কেনো? অধিকাংশ এনজিও মালিকরা তো বিশাল সম্পদের মালিক। ৪৪ বছর সাহায্যের টাকা লুটপাট করেছে এরা নিশ্চয়, তা না হলে এনজিও হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েও তারা দাড়াতে পারলো না কেনো এই ৪৪ বছরে?
বিদেশী সাহায্য অত্যন্ত অসম্মানকর। এখানে বাঙালি কর্মকর্তা যে ৩-৪ লাখ টাকাও বেতন পায়, তারও আসলে প্রকৃতপক্ষে ৩-৪ টাকারও ক্ষমতা নেই। শুধু জ্বী হুজুর জ্বী হুজুর করেই গত ৪৪ বছর শত শত বাঙালি গাড়ী বাড়ি সব করেছেন, কিন্তু সাহায্য যাদের জন্য তারা আসলে কী পেয়েছে?

বিভিন্ন সরকার কখনোই এদের ঘাটাঘাটি করে নি। করলে থলের মধ্যে থেকে যে পরিমাণ বেড়াল বের হবে, সেই বেড়ালের আকার দেখে অনেকেই ভীমড়ি খাবে।

৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ। ৪৪ বছর ভিক্ষুকের মতো হাত পেতে অনেক সাহায্য নিয়েছি আমরা, আর দুই টাকা সাহায্য দিয়ে এই দেশের হাজার টাকার সম্পদ নিয়ে গেছে। আর যখন তখন অপমান, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ তো আছেই।

এখন আর সাহায্য চাই না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাড়াতে চায় – তার মানে প্রতিটি নাগরিককেই মাথা উঁচু করে দাড়াতে হবে।
বিদেশী সাহায্য অনেক খেয়েছি আমরা । আর কতো? নিজের পায়ে কি দাড়াবো না?

আমাদের এনজিও আমাদের টাকায় চলবে। বাহিরের এক টাকাও দরকার নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

কৃষ্ণ চুড়ার ফুল বলেছেন: দারিদ্র তা হচ্ছে এদের বড় পুঁজি , এটাকে ভাঙ্গিয়েই এরা কোটিপতি, এদের বাসার পোষা কুত্তাটার পিছনে ও খরচ আছে লাখ টাকার উপর,তাই দারিদ্রতা কমানো ছাড়া এই ব্যবসার অবসান হবে না।আর সাহায্য না নিলে ধান্দা হবে কি করে?

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

মাকড়সাঁ বলেছেন: একমত ।
দারিদ্র তা হচ্ছে এদের বড় পুঁজি ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.