![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭৮৬ কোটি টাকা দিয়ে শুরু (৭২/৭৩) বাংলাদেশের বাজেট আজ ৩,৪০,৬০৫ কোটি টাকার। ঠিক ২০০৬-৭ এ ছিলো ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা, এই ১১ সালেও ছিলো ১,৩২, ১৭০ টাকা!
আগের যেই ছোটো ছোটো বাজেটগুলো ছিলো, সবচেয়ে কষ্ট আর বেদনার বিষয়টা কী ছিলো জানেন? বাজেটের আগে আমাদের সরকারগুলোকে ‘প্যারিস কনসোর্টিয়াম’ নামে দাতাদের কাছে টাকার জন্য ভিক্ষুকের মতো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো।
তারপরেও কী বিস্ময়কর ভাবে আমরা এগিয়েছি। যে কথাটি আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেন না (যারা কঠিন আর অসম্ভব ছাড়া কোনো শব্দ জানেন না!), বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় অর্জন কী?
সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, একটা স্বাধীন দেশকে কিছু টাকা ঋণ দিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রগুলো আমাদের যে পরিমাণ ধমকাতো, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতো আর তেল, গ্যাসের খনিসহ দেশের বাজার বিদেশীদের জন্য আমরা উন্মুক্ত করে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম, সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।সে এক ভীষণ লজ্জা আর অপমানের সময় গেছে আমাদের। যে জাতি বীরের জাতি, সে জাতি কয়টা টাকার জন্য বিদেশীদের পায়ে লুটিয়ে পড়তো।
ডঃ দেবপ্রিয়রা বছর বছর পদ্মাসেতুসহ নানা টার্গেটকে ‘অসম্ভব’, ‘অবাস্তব’ আর ‘কঠিন’ বলেই যাবে, কিন্তু বাংলাদেশও এগিয়ে যাবেই। সাহসীরাই অসম্ভবকে সম্ভব করে এবং বাংলাদেশ তা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ একটাই আছে – তাহলো, দুর্নীতি কমানো। সেটা হলে উন্নয়নের ট্রেন চলবে অভাবনীয় গতিতে।
এখন আসলে মনোযোগ দেয়া দরকার অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনাটাকে আমদের তরুণরা কতটা কাজে লাগাতে পারে। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ বিপুল পাল্টে যাবে। আজ যারা মিউ মিউ করে শুধু খারাপটাই বলে যাচ্ছে, তারাও কিন্তু বসে নেই! এই মুহূর্তে সমালোচনার ফাঁদে পরে অনেক মানুষ উন্নয়নের ট্রেনের যাত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ থেকে যার যার সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ। বিদেশীদের ‘পেইড এজেন্ট’ যারা শুধু বাংলাদেশের হতাশার গল্প ছড়াতে থাকে, তাদের কথায় কান দেয়ার সময় একদমই নেই।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে দারুণভাবে। এখনো অনেক সিট খালি আছে – উঠে পড়ুন, নতুবা ২০২৫ সালে (তখন আমাদের বাজেট হয়তো ১৫ লক্ষ কোটি দাঁড়াবে) গিয়ে হায় হায় করবেন! বলবেন, ‘দেশটা কেমন করে বদলে গেলো! আমি কিছুই করতে পারলাম না! আহারে তখন যদি নিন্দুকদের কথার ফাঁদে না পড়ে কাজে নেমে পড়তাম! ’
২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
নিঝুমবাবুই বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এর পরে অবশ্যই চেষ্টা করবো
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৫
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: স্বাধীন দেশ অবার কারণে আমাদের অগ্রগতি অনেক বেড়েছে, কিছু প্রত্যাশা আরও অনেক অনেক বেশি। বাজেটের আকার দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। টাইম ভ্যালু অফ মানি বলেও একটা টার্ম আছে। তখনকার টাকার দাম আর এখনকার টাকার দাম কি এক? ৭২ এ সম্ভবত চাল কিনতে চার আনাও লাগতো না, প্রথমশ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তার মিলি। বেতন ছিল ১০০-১৫০ টাকার মত। দেশের জনসংখ্যাও ছিল এখনকার চেয়ে অর্ধেকেরও কম। আর এখন প্রথমশ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তার প্রারম্ভিক মুল বেতন ২২৫০০ টাকা। তখনও একজন সৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর যে টানাটানি ছিল, এখনও তাই আছে,
দেশকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এখন তো আমাদের মাথার উপর অন্য কেউ নেই, নিজেরাই তো নিজেদের ভাগ্য গড়ছি। লক্ষ্য হওয়া উচিত আরও অনেক উচ্চ। আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আমরা যেন বিশ্বের মধ্যে সেরা অবস্থানে যেতে পারি চোখটা সেদিকেই থাকা উচিত।
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৬
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এক কেজি চাল কিনতে চার আনাও লাগতো না। মুল বেতন ছিল ১০০-১৫০ টাকার মতন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন,সম্ভাবনাময় খাতগুলো নিয়ে আরেকটু আলোচনা করতে পারতেন।