![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের এখানে এক ছেলে একদা নিজেকে বি এস সি ইঞ্জিনিয়ার সিভিল বানিয়ে কোনও এক সময় একটি সরকারী সংস্থায় নিয়োগ পেয়ে যায় সহ প্রকৌশলী হিসাবে । যথারীতি সে কাজে যোগদান করে এবং অফিস করতে থাকে কর্মস্থলে । তার বাবা , সে যে অফিসে কাজ করে তারই জেলা অফিসের একজন পিয়ন হিসাবে অনেক দিন ধরে । ছেলেটির পরিবার গ্রামে বাস করে এবং তার আরও ৪ টি ভাই বোন আছে তারা কেউ কেউ লেখাপড়া করে স্কুল / কলেজে আর সে সকলের বড় ভাই । আর এই চাকুরির খবর শুনে এলাকায় হৈ রৈ পড়ে গেলো যে অমুকের ছেলে ইঞ্জিনীয়ার হয়ে ভালো চাকুরিও পেয়ে গেছে । এই কথা শুনে তার পরিচিতরা কেউ কেউ বিশ্বাস করছিলো না আবার কেউ কেউ অনেকদিন তার সাথে দেখাও হয়নি বা খোজও রাখেনি তাই অনেকেই অবিশ্বাসের ঘোরপাকে পড়ে গেলো । যেমন আমরাই অনেক বন্ধুর খোঁজই ভালো করে রাখিনি বা রাখার সুযোগও হয় না কে কি করছে । অনেক সময় হটাত কোথাইও কথায় কথা উঠলে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর পাওয়া যায় হয়তো । যাকগে সে কথা তারপর অনেকেই ছেলেটির ভালো / মন্দ পেয়েও গেছে কেউ চেপে গেছে যে এলাকার ছেলে করে খচ্ছে খাক আবার যারা শত্রু বা পরো হিংসায় ব্যাস্ত তারা লেগে আছে পিছে । এদিকে ছেলেটির বিয়ের জন্য প্রতিদিন মেয়ের পক্ষ থেকে খোঁজ আসছে কেউ বড়লোক আবার কেউ আসছে দামী গাড়ী / ঘোড়া নিয়ে সে জেনো এক এলাহি কারবার পড়ে গেলো ছেলের বাড়ী । অথচ ছেলের বাড়ীতে তাদের বসতে দেওয়ারও ভালো কনো ব্যাবস্থা নেই তবুও কেন জানি মেয়ে পক্ষরা তাতে কিছু মনে করছেনা বা কনো অহংকার পরিলক্ষিত হচ্ছে না তাদের মধ্যে । এই রকম অবস্থাকে গ্রামে এক কথায় বলে থাকে কখনও কখনও যে , বাড়ী খোঁছে বসায়ে দিলো ।আগে শুনতাম ছেলে / মেয়েদের বিয়ে দিতে হলে বাড়ী / ঘর , বংশ পরিচয় , বাপ / মায়ের কুল , ছেলে / মেয়ের আচার / আচরন সহ নানা খোঁজ নিত আর এখন দেখা যায় কোনও খোঁজ খবর নেওয়া নেই শুধু ছেলে / মেয়ে ডাক্তার , ইঞ্জিনীয়ার বা ভালো চাকুরী করে কিনা কিংবা টাকাওয়ালা কিনা । তার মানে জাত / ঘাঁট কিছুই খোঁজ নেওয়া হয় না বোধ হয় । একটি কথা মনে পড়ে গেলো তা হোলও আমার এক বন্ধুর মতো সে , সে এতো স্মার্ট যে যা চিন্তাই করা যায় না আবার সে ন অনর্গল ভাংগা / চুরা ইংরেজিও বলতে পারে দেখতেও চমৎকার , চলন / বলনও খুব ভালো কিন্তু সে ক্লাস এইট পাশ । তারপর ছেলেটির একটি বড়লোকের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়ে গেলো এবং কুটৃমতালিও ভালোই চলছিলো কিছুদিন এবং তখন মেয়ে পক্ষের লোকজন বলতো তারা বড়লোক হলেও তাদের নাঝে নেই কোনও অহমিকা তাতে তারা আত্মীয়তা করে খুব খুশি ছিলও । শুধু অতীতকাল কাল থেকেই দেখা যায় প্রেনের বিয়েতে কোনও জাত / কুল মানে না । শুনেছিলাম ছেলেটি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা সিভিল পড়তো পাশের পথে বা পাশ করেছিলো হয়তো । কিছুদিন পরে মানে ৬ /৭ মাষ পরে ছেলেটির নকল সনদ ধরা পড়ায় অফিস থেকে তদন্তে চাকুরী চলে যায় । তারপর মেয়ের ঐ বড়লোক বাবার কি ব্যাবহার যা না দেখলে বলা যাবেনা । মনে হচ্ছিলো ছেলের বাবাই বোধ হয় জোর করে বিয়ে দিয়েছিলো তার মেয়ের সাথে । পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো বিয়ে দেনা / পাওনা না মিটিয়েই । তাই আমার মনে হয় বিয়ের কাজে জাত / বেজাত দেখে নেওয়াই ভালো বোধ হয় । আবার ভুল যদি হয়েও যায় কখনো তার সংশোধনের পথ বোধ হয় খোঁজার চেষ্টাও করা ভালো তাইতো সমাজ বলে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা । আবার কপাল বা ভাগ্য বলেও একটি সত্য কথা আছে জগতে ।
©somewhere in net ltd.