![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালের স্রোত
- যাযাবর জীবন [/sb]
সময়ের নৌকা
কি দ্রুতবেগেই না পারি দেয় জীবন সমুদ্র
চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই;
এইতো সেদিন মায়ের কোলে
তারপর হামাগুড়ি
বায়নার শিশুকালটা চোখের নিমিষে
কোথা দিয়ে দিলেম পাড়ি
লাটিম ঘুরতে না ঘুরতেই
কৈশোরের দাড়িগোঁফের ভিড়ে হারিয়ে গেল ছেলেবেলা;
জানা ছিল না প্রেম কাকে বলে
তবুও কি এক ভালোলাগার অনুভূতি তাকে দেখতেই
কৈশোরকে ল্যং মেরে তারুণ্য এগিয়ে গেলো
নারী যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো;
বারে বারে প্রেমের দুধবমিতে অস্থির যৌবনের পদার্পণ
থিতানো ভালোবাসায় থিতু হলো যৌবন।
ষাঁড়ের শিঙে রঙ মেখে সং সেজে শুরু হলো সংসার
চাকুরীর জোয়ালের ওপরে, উপরি বৌ এর জোয়াল
নুন আনতে পান্তা ফুঁড়োয় সকাল বিকেল
কাচ্চাবাচ্চা ট্যাঁ টো
কোথা দিয়ে সময় উড়ে গেলো
দেখতে না দেখতে প্রৌঢ়ত্ব
আল্লাহ্ বিল্লাহ তসবি হাতে
সংসার তখন অনেক বড়
ছেলে মেয়ের বিবাহ
কত ব্যস্ততা, কত খুশি, কত আয়োজন
প্রথম নাতি হওয়ার দিনটির কথা ভুলতে পারে কজন?
চোখের পলক ফেলার আগেই
প্রৌঢ়ত্বের দোরগোরে বার্ধক্যের কড়া নাড়া
সময়কে কি বেঁধে রাখা যায়?
দিতে হয়েছিল সাড়া।
তারপর যেন সব এলোমেলো
আষ্টেপৃষ্ঠে জীবনকে জড়িয়ে বুড়িটা বেশ তো ছিল
জীবন থেকে কেমন জানি হঠাত করেই বিদায় নিলো
কাওকে কিছু না বলেই না ফেরার দেশে চলে গেলো;
অনেক অনেক দিনের পুরনো অভ্যেস বসে
রাতে ঘুমের ঘোরে হাত ছড়িয়ে দেই পাশে
খুব ফাঁকা লাগে
যেন বুকের কোথায় কি একটা নেই হয়ে গেছে
বড্ড একলা লাগে।
সময় পিছলে নামে সময়ের ফাঁকে
ছেলেমেয়ে কেমন দূরে সরে থাকে
বুড়োটাকে আর কাহাতক সহ্য হয়?
বৌমার ইদানীং বড্ড কষ্ট হয়
নাতি নাতনীদের ঘরের বড় টান
তিনটে মাত্র ঘরে এতগুলো মানুষের অবস্থান
বুঝি, হয়না আর জায়গার সংকুলান।
তার পরের কিছু কথা না হয় থাক অজানা
আমার এখন অনেক বন্ধু, সবার চেনা ঠিকানা
বড় সংসারে অনেক বড় বাড়ি, পারি নি আমি দিতে
বড্ড ইচ্ছে করে আমার বুড়ির কাছে যেতে
এখন যেন সময় কাটে না আর অপেক্ষার দিনগুনে
বড্ড আরামে ছেলে আমায় রেখেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
©somewhere in net ltd.