নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Where life burns

Hope is immortal

নিশিবাস

আমি নিশিবাস। রাতের আঁধারে খুঁজি আশার প্রদীপ। জামায়াত-শিবিরের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ইমেইলঃ [email protected]

নিশিবাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার হালচাল

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৩

আমি জানি আমার এই পোস্টটা দেখে অনেকেই চোখ কপালে তুলবেন। চিৎকার করে শরৎচন্দ্রের বিলাসী গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়োর মতো বলবেন, আমি অন্নপাপ করেছি। তবুও আমি আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার হালচাল নিয়ে বলার দুঃসাহস করেছি।



ব্লগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বনাম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিয়ে অনেক পোস্ট পড়েছি। উচ্চবিত্তবানদের অর্থায়নে পরিচালিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিয়ে সবার ধারনা যেমন আছে, তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার ইচ্ছা নেই। তবে আমাদের জনগণের ঘামে ঝরানো অর্থে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলছে, তাদের পড়ালেখার মান নিয়ে আমার কিছু কথা আছে।



আমার এ পোস্টটি পড়ে অনেকেই প্রশ্ন আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। অতীব আনন্দের(!) সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অতি নগণ্য ছাত্র যার প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ শুরু এবং শেষ হয় দুশ্চিন্তা দিয়ে। অর্থাৎ, এই শিক্ষাবর্ষের সিলেবাসে কি কি নতুন বিষয় আছে, পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার, শিক্ষাবর্ষের শেষে পরীক্ষায় কেমন রেজাল্ট হবে, খাতাটা হারাবে না তো, রেজাল্ট আটকে থাকবে না তো ইত্যাদি ইত্যাদি।



অথচ আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন, তাদের অন্ততঃ এই সকল ভাবনা করতে হয় বলে আমার জানা নেই। হ্যাঁ, তাদেরও পড়াশোনা করতে হয় ভালো রেজাল্টের জন্য তবে আমাদের মতো এইসব ঝামেলা পোহাতে হয় না। ক্লাসে পড়ানোর মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়। অর্থাৎ ঠিকঠাক মতো ক্লাসে উপস্থিত থাকলে আর ক্লাস লেকচার ফলো করলেই অন্ততঃ মুটামুটি ভালো রেজাল্টই করা যায়।



জানি, অনেকেই এখন চেচিয়ে উঠবেন, গালিও দিতে পারেন। তাই কিছু উদাহরণ এখানে দিচ্ছি। খেয়াল করবেনঃ



১. আমার এক বন্ধুর রুমমেট যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে মাস্টার্সে পড়ছে, তার রেজাল্ট জিপিএ ৪ স্কেলে ৩.৯৮! অথচ সেই মেধাবী(!) সারাদিন গাঁজা আর রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকে। ( স্যরি, গাঁজা হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্য!!!)



২. সেই একই বন্ধুর আরেক হলের বাসিন্দা ইংরেজিতে অনার্সে জিপিএ ৪ স্কেলে ২.৯০ পেয়েছে যেখানে জাবিতে প্রথম শ্রেণী ধরা হয় জিপিএ ৩ কে। সেই অনন্য মেধাবী(!?)ও একই পথের পথিক! অর্থাৎ সেও সারাদিন গাঁজা আর রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকে। অথচ একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করবেন অর্থনীতি আর ইংরেজিতে সাধারন দ্বিতীয় শ্রেণী পেতে কেমন বেহাল হতে হয়। কিন্তু আবার তথাকথিত মানের প্রশ্নে সেইসব মেধাবীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।



৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগে পড়ে আমার এক বন্ধু। বিভিন্ন কারনে সে ২০০৬ সালে এইচএসসি পাশ করে। অথচ, আজ সে ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। জিজ্ঞাসা করলে বলে, আরে আমাদের তো ৯ মাসে বছর! আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করে কিছুদিন আগে অনার্স ফাইনাল দিলো!



৪. আমার এক সিনিয়র ভাই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে মাস্টার্স করছে, তার ৩য় বর্ষ পর্যন্ত রেজাল্ট ৫৫ শতাংশ। সে বলে, ৪র্থ বর্ষে লিঙ্গুইস্টিক নিয়েছি যাতে ফার্স্ট ক্লাস পাই। অনেকদিন তার খোজ জানি না। অথচ, সারা বছর টিউশনি নিয়ে থাকতো আর রেফারেন্স বই পড়ার কথা কোনদিন তার মুখ থেকে শুনি নি।



এটা হলো খন্ড চিত্র। পুরো অবস্থা তো আরো ভয়াবহ! তাহলে আজ যে আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলে উচ্চশিক্ষার মানবাহক বলে সার্টিফিকেট দিচ্ছি, তার এ অবস্থা দেখে আমরা এখন কি বলবো?



বি.দ্র. আমার এই পোস্ট সেইসব আসল মেধাবীদের জন্য নয় যারা তাদের মেধা দিয়ে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, এইসব মেধাবীদের সংখ্যা যে অতি সামান্য।

মন্তব্য ১৩৬ টি রেটিং +২৩/-৩৯

মন্তব্য (১৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৯

বাগসবানি বলেছেন: আমি সেই অতি সামান্যদের একজন যে আপনাকে মাইনাস দিয়ে গেল ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০০

নিশিবাস বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে মাইনাস দেয়ার জন্য।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৩

কানা-বাবা বলেছেন: আপনাকে মাইনাস। গাঁজার সমালোচনা করার জন্য।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১

নিশিবাস বলেছেন: জয় হো গাঁজাবাবা!!!

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৫

পরশমনি বলেছেন: আপনি খুব অল্প দেখায় অনেক বড় উপসংহার টেনেছেন। পড়াশুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় না কথাটা আমি মানতে পারলাম না।
রেটিং + বা - কিছুই দিলাম না শুধূ আপনাকে বলি একটু ভালো করে দেখেন তারপর বলুন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৪

নিশিবাস বলেছেন: আমি কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমন চিত্র তুলে ধরেছি। এটা কিন্তু সবারই জানা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিলো, তা অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪২

পারভেজ রবিন বলেছেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে যা বলেছেন তার জন্য প্লাস। আমিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৫

নিশিবাস বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইসব মেধাবীরা(?) তা অনুভব করতে পারবে।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪

লিবিব বলেছেন: Khub Shamanno experience diye eto boro mullayon kora thik holona

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১১

নিশিবাস বলেছেন: এটা সামান্য অভিজ্ঞতা নয়। আপনি নিজেই যাচাই করেন যে আজকাল সবচে' লোভনীয় পেশা কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। কারণ, এখানে চাকরির পাশাপাশি প্রাইভেট ভার্সিটিতে সিনসিয়ারলি ক্লাস নেয়া যায় আর গোলেমালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষ করা যায়। যার বলির পাঠা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা না পারছে কিছু শিখতে। শুধু সার্টিফিকেটই পাচ্ছে।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪

সাধারণমানুষ বলেছেন: দেখি গুনী জনেরা কি বলেন???

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১২

নিশিবাস বলেছেন: আমিও প্রতীক্ষায় আছি।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: এটা খন্ড চিত্র। আপনার উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশে অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং ভিন্নতর চিত্রও রয়েছে।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে বাকী সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমনঃ
১) ক্লাসে উপস্থিত না থেকেও পার্সেন্টেজ পাওয়া
২) ক্লাসটেস্ট যথাসময়ে না দিয়ে পরবর্তীতে শিক্ষকের রুমে/বাসায় যেয়ে দেয়া
৩) ক্লাসটেস্ট ও ফাইনাল এক্সামে বেশী মার্কস পাওয়া
এছাড়াও ক্লাসে বা ক্লাসের বাইরে শিক্ষকের শর্ট সাজেশন/ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।
তারপরও এইসব ছাত্রদের মান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মানের তুলনায় অনেক অনেক এগিয়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজগুলোতে যারা পড়াশুনা করে তাদের মান খুবই শোচনীয় পর্যায়ের।
প্রকৌশল বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই অনার্স পর্যায়ে থিসিসের কোন ব্যবস্থা নেই। কলেজের ছাত্ররা তো থিসিস কি জিনিস সেটাই জানে না। অনেক শিক্ষকও জানে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত মাস্টার্স পর্যায়ে থিসিসের ব্যবস্থা আছে, যদিও তেমন কিছু শেখে না অধিকাংশ বিভাগের ছাত্ররা। আর কলেজের ছাত্ররা থিসিসের 'থ'ও বুঝে বলে মনে হয় না।
কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেকেই আপনার মতো বলে থাকে যে 'পাশ করতে অনেক পড়তে হয়', কিন্তু আপনারা যা পড়েন সবই বাংলায় পড়েন সেটা জানেন তো। ইংরেজী বই পড়ে পাশ করতে হলে আপনার কলেজের কতজন শিক্ষার্থী আদৌ পাশ করতো বলেন তো?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২০

নিশিবাস বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচার আপনি যে থিসিসের কথা বলছেন, তা-ই বা ক'জন ঠিকমতো করে। আমি ঢাবি'র হলে এমনও পোস্টার দেখেছি যে আপনার থিসিস পেপার আমরাই তৈরি করে দেবো বিনিময়ে...... টাকা।

আপনি বললেন, আপনারা যা পড়েন সবই বাংলায় পড়েন সেটা জানেন তো। ইংরেজী বই পড়ে পাশ করতে হলে আপনার কলেজের কতজন শিক্ষার্থী আদৌ পাশ করতো বলেন তো?

আজ আমি যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, আমি যদি ঠিকই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তবে ঠিকই ইংরেজিতে বই পড়তাম। মানে আপনাদের মতো পড়তে বাধ্য হতাম। নইলে সাইফুর'স ঢাবি'র ছাত্র কীভাবে সেখানে ইংরেজি শিখল, তার মন্তব্য নিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপাতো না।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫১

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: পোষ্টের উপর আলোচনা পরে আসি।

@দুরন্ত স্বপ্নচারী:

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে বাকী সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়:.............."


আপনি কিভাবে শিওর হলেন?? আর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একেবারে এ্যানজেল বানিয়ে দিলেন যে!

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫২

ইশতে আশিক বলেছেন: পাব্লিক বিশ্যবিদ্যলেয় মেধাবিরা ভর্তি হয়। রাজনীতি তাদের কুরে খায়।
বেসরকারিতে পয়সা অলারা ভর্তি হয় পয়সা তাদের কুরে খায়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২১

নিশিবাস বলেছেন: সহমত। এর জন্য দায়ী আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: @@দুরন্ত স্বপ্নচারী::

প্রকৌশল বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই অনার্স পর্যায়ে থিসিসের কোন ব্যবস্থা নেই।

আপনার এই ধারণাটাও ভূল। আপনি নিজেও আরো জানুন।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

মো: মোফাচ্ছির হোসেন বলেছেন: বস মাফ করবেন, আমার বড় ভাইও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারও ধারণা একসময় আপনার মতই ছিল। একদিন ওকে বলেছিলাম, এক কাজ কর এক সপ্তাহ তুই (বড় ভাই তুই করেই বলি, একটু বেশি ফ্রি কিনা!) আমার ক্লাসগুলো কর আর আমি তোরগুলো করি। তারপর দেখি তোর লেকচার কোথায় পালায়!

আমার নিশ্চিত বিশ্বাস বস, আপনিও যদি আমার ক্লাসগুলোতে নিয়মিত একসপ্তাহ উপস্থিত হন আপনার ধারণাটা একটু নড়বড়ে হবে বৈকি! সপ্তাহে টানা পাঁচদিন সকাল আটটা থেকে বারটা পর্যন্ত চারঘন্টা ক্লাস আর দুপুর একটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চারটা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ল্যাব করলে গাঁজা তো দুরের কথা বিকাল বেলা পাশ দিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই হেটে গেলেও তাকাতে ইচ্ছে হবে কিনা সন্দেহ আছে। সাথে বৃহ:স্পতি বারে ২-৩ পিরিয়ড ক্লাস এবং পাঁচদিনের প্র্যাকটিকেলের রিপোর্ট লেখা তো আছেই। সে তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের সিলেবাস দেখলে কেবল মনে হয় আহারে, এমন ল্যাবহীন রসায়ন শিখতে পারলে কতই না মজা হত!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৮

নিশিবাস বলেছেন: আমি কিন্তু শুধু একটি বিষয়কে নিয়ে বলিনি, সামগ্রিক চিত্রের খন্ডচিত্র তুলে ধরেছি মাত্র। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই যাচাই করুন।

ও হ্যাঁ, আপনারা সাইন্সের ছাত্ররা বিশেষ করে টেক্সটাইলের ছাত্ররা (উদাহরণস্বরূপ, মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের) এত বেশি ল্যাব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন যে ডেসটিনি'র সদস্য গোছাতেও সময়ের অভাব হয় না।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০২

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: @লেখক,
আপনি হয়তো আপনার জায়গা থেকে দেখছেন।

মনে আছে,

সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠতাম (কোন কোন দিন ৭ টায়), এরপরে নাস্তা করে, ৯ টায় ক্লাস। ক্লাস চলতো দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এরপর আবার ২টা থেকে ল্যাব থাকতো ৫/৬ টা পর্যন্ত। রাতে কয়েকঘন্টা পড়তে হতোই।

এটাই আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, মোকার্রমভবন, এবং এন-এক্স এর ছাত্রদের গড় রুটিন।

কিছু গাঁজাখোর সবজায়গাতেই থাকে। বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবি, রাবি সব খানেই গাঁজাখোর দেখেছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩০

নিশিবাস বলেছেন: উপরের মন্তব্য দেখুন।

কিছু গাঁজাখোর সবজায়গাতেই থাকে। বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবি, রাবি সব খানেই গাঁজাখোর দেখেছি।

কিন্তু আমার প্রশ্ন, তারা ক্যামনে ৩.৯৮ জিপিএ পায়???

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬

সারণী বলেছেন: ভাই, আমি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পাশ করেছি। সেমিষ্টার সিস্টেমের কারনে নিয়মিত পড়াশুনাতো করতে হতোই পাশাপাশি ক্লাস এটেন্ডেসের জন্য ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হতো নিয়মিতই।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১১

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
@ রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন:
আমার খুব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে যে নিচের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। আমি ভূড়ি ভূড়ি উদাহরণ দিতে পারব। প্রয়োজনে আপনার সামনে উপস্থিত করতে পারবো। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নানা রিপোর্ট নানা সময়ে পত্রিকায়ও এসেছে।

১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
৪) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৬) শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়
৭) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

তালিকায় নতুন প্রতিষ্ঠিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বাদ গেল, কারন আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই সেগুলো সম্পর্কে।

থিসিসঃ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র প্রযুক্তি/প্রকৌশল বিভাগগুলোতেই থিসিসের ব্যবস্থা আছে।
বাকীগুলোকে আমি থিসিস বলতে পারছি না। দুই পাতার রিপোর্টকে আমি থিসিস হিসাবে চালাতে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স সমাপনী পর্যায়ের ছাত্রদের। এমনকি মাস্টার্সেও যেনতেন প্রকারের থিসিস করানো হয়।

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১১

বাংলা'র নবাব বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে বাকী সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমনঃ
১) ক্লাসে উপস্থিত না থেকেও পার্সেন্টেজ পাওয়া
২) ক্লাসটেস্ট যথাসময়ে না দিয়ে পরবর্তীতে শিক্ষকের রুমে/বাসায় যেয়ে দেয়া
৩) ক্লাসটেস্ট ও ফাইনাল এক্সামে বেশী মার্কস পাওয়া

প্রকৌশল বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই অনার্স পর্যায়ে থিসিসের কোন ব্যবস্থা নেই।


পুরোপুরি দ্বিমত পোষন করছি। আমি সবেমাত্র অনার্সের রেজাল্ট পেয়েছি। গত চারটা বছর কি অমানবক পরিশ্রম করেছি তা আমি জানি। আর থিসিসের কথা বলছেন? আপনি নিজেই তাহলে বিস্তারিত জানেন না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা সাবজেক্টে অনার্স এই থিসিস রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানিনা। আর হ্যা, সকাল আটটা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত ক্লাস এবং তারপর সেসনাল (sessional class) করে আসলেই আর ঐশ্বরিয়ার দিকে তাকানোর ইচ্ছাও থাকতো না।

এমন গাজাখুই পোষ্টের জন্য মাইনাস।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩২

নিশিবাস বলেছেন: আমি কিন্তু শুধু একটি বিষয়কে বা বিভাগকে নিয়ে বলিনি, সামগ্রিক চিত্রের খন্ডচিত্র তুলে ধরেছি মাত্র। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই যাচাই করুন।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
@ বাংলা'র নবাব
খু.বি, শাহজালালে থিসিসের ব্যবস্থা আছে। একটা সময় পর্যন্ত লাইফ সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং দুটো টেকনিক্যাল ফ্যাকাল্টি নিয়ে খু.বি চলতো। । এখন কিছু সাধারণ বিভাগ খুললেই আমি আসলে খু.বি কে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ভাবিনি। আমারই ভুল হয়েছে।
আপনাদের পড়াশুনার মান যথেষ্ট উন্নত। আমি আসলে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসিবে খুবিকে ভাবিনি। স্যরি।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০

ত্রিমাত্রিক বলেছেন: ৭০% এর নিচে থাকলে প্রতি সাবজেক্টে ১০০০টাকা জরিমানা, ৬০% এর নিচে থাকলে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ। তারপরেও কইবেন পাবলিকের পোলাপাইন ক্লাস করে না। ল্যাব করতে করতে জান তামা তামা হইয়া যায়, এসাইনমেন্টের খবর তো আর আপনারা জানবেন না। পরীক্ষার পর আবার প্রজেক্ট তো আছেই।


আমি আর রিয়াজুল ইস্‌লাম ভাই একই জায়গার:)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৩

নিশিবাস বলেছেন: এতো প্রজেক্ট তবুও আমাদের বিদেশীদের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আফসোস!!!!!!!!!

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০

আশীষ কুমার বলেছেন: আমিও সযত্নে মাইনাস দিলাম।

জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটা কলেজে যতজন টিচার থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগেই তার চেয়ে বেশি থাকেন। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। একবার এসে দেখে যান এখানে লেখাপড়া হয় নাকি শুধু গন্জিকা সেবন হয়...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৫

নিশিবাস বলেছেন: এত শিক্ষক তবুও ক্লাসে স্যারের বিলম্ব গমন আর পরীক্ষার ফল প্রকাশে গড়িমসি???!!!!

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২১

মেহেদী হাসান নাসিম বলেছেন: Amar Bangla keyboar setup deoa nai..ejonno dukkhito!!
Kintu post te kisu likhte isse korlo.. Apnake kisu proshno kori:
1. Public University te kara pore janen?
2. Public University-r proshno moderate hoy .seta janen? Onek somoy 30% common thake tato janen?
3. Public University theke sobai pass kore ber hote parena, ta janen?Apnar kotha jodi sotto hoy tahole 100% pass kora ebong valo result kora uchit..kintu tato somvob na.
4. Apni NU te porsen ki jonno? Isse to silo PU te pora,tai na?
5. Thesis koresen konodin?
Saradin porar table ey thakle se valo result korbe emonto na..NU te short silebas dey ebong proshnopotro fas o hoy, tai na? Apnar bondhura apnar moto hobe etai shavabik..R tader diey sobaike porimap kora thik na..Apnar mathay ki ase ei post theke bojha jay..

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৩

অপ্রয়োজন বলেছেন: আপনি 'দুবাই টু ঢাকা' প্লেনে উঠে 'হায়রে বাংগালী' টাইপ উপসংহার টানছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৮

নিশিবাস বলেছেন: তাইলে আপনিই দ্যান।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৯

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।

এ কথাটি ঢাবি, রাবি এর জন্য যতটুকু সত্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও ঠিক ততটুকু সত্য। এটা কোন বিশ্ববিদ্যালের সতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নয় বরং আমাদের দেশের ব্যাক্তি চরিত্রের উপর নির্ভর করে। সে যে বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক না কেন।

আর পত্র-পত্রিকার যে কথাগুলো বললেন সেটার প্রেক্ষাপট কিন্ত ভিন্ন। রাজনৈতিক প্লাটফরম, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কনভেনশন বা অন্যান অবশ্য কারণে ঢাবি, রাবি সব সময় আলোচিত হয়ে এসেছে। তাই পত্র-পত্রিকাতে এসবের কথাগুলো বেশি এসে থাকে। কখনও অতিরন্জিত হিসাবেও।


আপনি বলেছেন

"প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র প্রযুক্তি/প্রকৌশল বিভাগগুলোতেই থিসিসের ব্যবস্থা আছে। "

দেখুন এর আগে আপনি বলেছেন শুধুমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে, আবার এখন বলছেন অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র প্রযুক্তি/প্রকৌশল বিভাগগুলোতেই থিসিসের ব্যবস্থা আছে। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আপনি পার্থক্যটাও গুলিয়ে ফেলছেন। একটি জেনারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্ত যে কোন বিষয় পড়ানো হতে পারে ইন্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, সায়েন্স, এবং অন্যান্য। কিন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইন্জিনিয়ারিং বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে।

তাহলে আপনার

প্রকৌশল বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই অনার্স পর্যায়ে থিসিসের কোন ব্যবস্থা নেই।, এই কথাটি ঠিক নয়।

এখন আসুন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কিন্ত থিসিস বা প্রজেক্ট নির্ধারণ করা হয়। কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং এর থিসিস বা প্রজেক্ট সয়েল সায়েন্স থেকে আলাদা হবে বৈকি। আবার বিষয়ভেদে আন্ডারগ্রেডে ঠিক থিসিস না থেকে বড় ধরনের এসাইনমেন্ট থাকতে পারে বৈকি।

আশা করি পরিষ্কার।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমিও লেখকের মত গ্যালারীতে বইসা মজা দেখতেছি .......

২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩০

আশীষ কুমার বলেছেন: এইখানে এখন কিছু মন্তব্য আসবে যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পারার আক্ষেপ হিসাবেই গন্য হবে। চালিয়ে যান, দেখি আক্ষেপ কতজনের।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪০

নিশিবাস বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পারার আক্ষেপ নয়। এর সামগ্রিক ব্যবস্থাতার প্রতি আক্ষেপ। কীভাবে এখানে শিক্ষার মান নেমে যাচ্ছে।

২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৩

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আপনাকে মাইনাস না দিয়ে থাকা গেল না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪১

নিশিবাস বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৩

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: আমার ২১ নং কমেন্টটি

@দুরন্ত স্বপ্নচারী কে লেখা।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৬

লড়াকু বলেছেন: শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমিও লেখকের মত গ্যালারীতে বইসা মজা দেখতেছি .......

২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১

মুরুববী বলেছেন:
আরেক জনের বেপার নিয়া বাংগালির বেশি চিন্তা করাই সকল ওশান্তির মুল। আরে বোকা যে আজকে গান্জা খাইতেছে সে তোমার থেকে কঠিন ভর্তি পরিক্খা দিয়া তারপরে এখন সুখ করতেছে। তারে নিয়া চিন্তা করা বাদ দাও।

শুন খোকা, একটা কথা বলি, আরেকজনের পড়ালেখা্র ফাক নিয়া বেশি চিন্তা না করে যে যেখানে পড়ছ ভাল করে পড়। বুদ্ধি করে স্টেপ নিতে পারলে সবখানে থেকেই উপরে উঠা যায়। ওনার্স মানেই সব না। এর পরেও লাইফে ওনেক পথ বাকি। আজকে তোমার পাশে যে এইসব নিয়া কচ কচানি না করে চুপ চাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছে একদিন দেখবা সেই খেলা দেখাচ্ছে, আর তুমি খালি হিসাবের গড়মিল নিয়াই চিন্তিত।

তাই এইসব চিন্তা বাদ দিয়া দেখ নিজের ভাল কেমনে করতে পার।

তোমার মংগলময় ভবিষ্সত কামন করছি :)

২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: @ রিয়াজুল ইস্‌লাম
আমি কিছু কথা জেনারেলাইজড করে বলেছিলাম। বলার কারন জেনারেল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫টা (ধরুন) বিভাগের মধ্যে ৮/১০ বিভাগে থিসিসের ব্যবস্থা আছে। সেগুলোতে ছাত্রদের অনেক পরিশ্রম করতে হয় এটাও সত্যি। কিন্তু ঐ ৮/১০ট বিভাগ দিয়ে তো গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচার করা যায় না।

ঢা.বি এর কিছু উদাহরণঃ
১) আমার এক বন্ধু ৩.৫ (৪এর মধ্যে) পেয়েছে। মার্কেটিংয়ে বিবিএ, এমবিএ। তাকে ফাইনাল পরীক।ষার আগেও দিনরাতে আধাঘন্টার বেশী পড়তে দেখিনি। সে শামছুন্নাহারের সামনে দুপুর থেকে রাত অবধি গ্যাজাতো। ঐখানে না গ্যাজেলে তার ঘুম হতো না।
২) সমাজ বিজ্ঞানের এক বন্ধু প্রফেসর সাদেকা হালিমকে তেল দিয়ে দিয়ে অনার্স, মাষ্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস।
৩) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক বন্ধু ঐতিহাসিক ৫২ ফার্স্ট ক্লাসের একজন। প্রশ্নপত্র ফাঁস।
৪) আপনার শহিদুল্লাহ হলের এক বড় ভাই। গনিতের ছাত্র। শহিদুল্লাহ হল ছাত্রদলের নেতা ছিল। অনার্সে তৃতীয় বিভাগ পায়। দল ক্ষমতায় আসার পরে তাকে বিশেষ বিবেচনায় ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। ফলাফল সেকেন্ড ক্লাস।

দুয়েকটা ব্যতিক্রম চিন্তা না করে আশপাশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর দিকে তাকালেই আসল চিত্র পরিস্কার হয়ে যাবে আশা করি।

২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৩

অপ্রয়োজন বলেছেন: মুরুববী এর কমেন্ট পড়ে হা হা প গে ... কিন্তু পুরা সত্য কথা বলেছেন।

৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৫

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: @দুরন্ত স্বপ্নচারী:

ক্যাচাল করতে ভালো লাগে না। আপনি একটা জিনিষ ভুল বলে, সেটা ডাইলিউট করার চেষ্টা করছেন।

যখন কোন কম্পেয়ার করা হয়, ফেয়ার কমপেরিজন বলে একটা কথা থাকে।

আপনি যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস/প্রজেক্টের কথা তুললেন, তাহলে স্বভাবতই অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিষয়ের কথাই আসবে।



২/১ টা উদাহরণ দিয়ে তেমন কিছু যায় আসে না, জনৈক ব্যক্তি নামে প্রচুর উদাহরন সেট কার যায়। ভাই আপনি যদি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালে লেখাপড়া করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয় জানেন, আপনার বিভাগের বেশিরভাগ ছাত্রদের দূর্বলতাগুলো কোথায়। অন্যের কাছে সব সময় আমরা স্বজাতির কথা গোপন করে যাবো এটাই স্বাভাবিক। আরেকটা কথা যার সংসার বড় তার ঝামেলাও বড় বৈকি।

ভালো থাকুন। রাত এখন ৪টা...............ঘুমাতে যাবো।

৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৭

১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ভুগেছেন এবং ভুগছেন বুঝলাম

কিন্তু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কিভাবে ভাল রেজাল্ট করে তা নিয়ে ক্ষোভের ব্যাপারটা বোঝা গেল না

আপনার এইটা কিছুই হইল না ভাই

একদম লাউজাবড়ি কইরা ফালাইছেন ব্যাপারটারে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৫

নিশিবাস বলেছেন: এখানে রেজাল্ট শুধু রেজাল্ট নয়। এর সাথে সামগ্রিক দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থার চিত্রও আছে।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮

বো কা মা ন ব বলেছেন: পোষ্ট আর পোষ্টের মন্তব্য বেশ উপভোগ করছি,

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক, তবে ছাত্রদের চরিত্র বিবেচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষকদের স্বেচ্ছ্বাচারিতা, বছরের পর বছর পুরোনো সিলেবাস পড়ানো ( অর্থাৎ সময় ও প্রযুক্তির সাথে সিলেবাস হালনাগাদ না করা ), অপর্যাপ্ত সরকারী বরাদ্দ, নিম্ন থেকে উচ্চ সব পর্যায়ে দূর্নিতী ইত্যাদি ইত্যাদি..

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭

নিশিবাস বলেছেন: আপনার সাথে একমত। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ক্রেডিট দিন। তারা সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে এগিয়ে চলছে।

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৫

tukunxill বলেছেন: মুরুব্বীর কথাটাই মনে ধরলো.. অন্তত স্বান্তনা। ভাল ছাত্র image টা সবসময় থাকা সত্ত্বেও যেই looser সেই looser ই রয়ে গেলাম একটা প্রাইভেট ইউনির স্টুডেন্ট হয়ে। খুব খোড়া উদাহরণ দিয়ে খুব বড় বিচার হয়ে গেছে যা মনে হচ্ছে...

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৮

আমি এবং আঁধার বলেছেন: লড়াকু বলেছেন: শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমিও লেখকের মত গ্যালারীতে বইসা মজা দেখতেছি .......

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩

নিশিবাস বলেছেন: দেখেন মজা দেখেন আর ভাবেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান কোথায় যাচ্ছে?

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩০

নাজিম উদদীন বলেছেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়? B:-)

বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সাথে গাঁজার কি সম্পর্ক বুঝলাম না। অর্থনীতির ছাত্র রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকবে না তো কি করবে, তারে কি বসে বসে ফিজিক্স পড়তে বলেন, খামাখা।

সাহিত্যের ছাত্র গাঁজা খায়, আপনার সমস্যা কোন জায়গায়, গাঁজায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান।

ভাল করে এসব নিয়ে ভাবেন তারপরে লিখেন, আর গাঁজা সম্বন্ধে না জেনে লিখায় মাইনাস।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৭

নিশিবাস বলেছেন: যাক, অবশেষে স্বীকার করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আর গাঁজা সহাবস্থান করবে।

৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭

আশীষ কুমার বলেছেন: ব্লগে হিট হবার এবং হিট পাবার নিদারুণ কৌশল।

ভাই কিছু মনে করবেন না। আপনার ছেলে মেয়ে ভাই বোন কাউকে পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তি করান। তখন বুঝবেন। এর আগে এই অধমের কথা আপনার মনে ধরবে না।

আফসোস!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৯

নিশিবাস বলেছেন: আমি কিন্তু প্রশ্ন তুলেছি, কীভাবে সম্ভব একজন গাঁজাসেবীর পক্ষে ৩.৯৮ পয়েন্ট পাওয়া? সারা বছর পড়াশোনা শিকেয় তুলে?

৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫১

নিশিবাস বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সাথে গাঁজার এই সম্পর্ক যে একজন গাঁজাসেবী সারাবছর গাঁজা টেনে কীভাবে ৩.৯৮ পায়? এতে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান প্রকাশ পায় না?

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৩

ত্রিমাত্রিক বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এতো প্রজেক্ট তবুও আমাদের বিদেশীদের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আফসোস!!!!!!!!!

ওহে বালক প্রোজেক্ট, প্রেজেন্টেশন নিয়ে তোমার মাথা না ঘামালেও চলবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলো না থাকারই কথা।
মুরুববী যাহা বলিয়াছে তাহা পালন কর উহাই তোমার কাজে আসিবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৫

নিশিবাস বলেছেন: তথাস্তু!!!!!!!!!!

৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০০

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ভাই, আপনার কপালে খারাবি আছে। পাবলিক ভার্সিটির বিরুদ্ধে লিখছেন, প্রচুর মাইনাস খাবেন। গ্যালারীতে বইসা বইসা দেখি কি হয়?

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: @ রিয়াজুল ইস্‌লাম
আমি কিছু কথা জেনারেলাইজড করে বলেছিলাম। বলার কারন জেনারেল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫টা (ধরুন) বিভাগের মধ্যে ৮/১০ বিভাগে থিসিসের ব্যবস্থা আছে। সেগুলোতে ছাত্রদের অনেক পরিশ্রম করতে হয় এটাও সত্যি। কিন্তু ঐ ৮/১০ট বিভাগ দিয়ে তো গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচার করা যায় না।

ভাই, আমি আপনার একটা লেখা পড়ে যতদূর জানছিলাম, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ আছে ৩/৪টা!!! ৪৫টা বিভাগের ভার্সিটির পোলাপাইন আপনারটাকে কি ভার্সিটি হিসেবে দেখতেছে নাকি সেটা চিন্তা করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলাতেতো এর চেয়ে বেশী বিভাগ থাকে। সো, আপনি যে রকম কড়া ভাষায় অন্য পাবলিক ভার্সিটি আর কলেজগুলা নিয়ে কথা বলতেছেন সেটা কি ঠিক? ৪০টা বিভাগ থাকলে সব বিভাগ সমান হওয়া সম্ভব না, ৪টা বিভাগ থাকলে সেটা সম্ভব।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৯

নিশিবাস বলেছেন: !:#P

৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৭

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: Click Here রবি- বৃহস্পতি

কাল ৮ টা থেকে দুপুর ১:১০ পর্যন্ত ক্লাস।
দুপুর ২:৩০ থেকে বিকাল ৫:০০ পর্যন্ত সেসনাল/ল্যাব।
এর সাথে Viva, সেসনাল Report লেখা, ক্লাস টেস্ট, Assignment,
Sir দের ঝারি, সারারাত সেসনাল লেখার পর স্যারদের চোখ বন্ধ করে রিপোর্ট কেটে ফেলা, Central Viva 500 Assignment দেয়া, পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখলেন জুনিয়র স্যার যা পড়াইছেন সিনিয়র স্যার / Moderation Board এমুন Moderate করছেন সেখান থেকে আসছে মাত্র ২০ (৭৫ এর মধ্যে), আরেকপার্ট দিয়া কুনোমতে পাস করছেন এগুলা ফ্রি।
আর থিসিস এর কথা বলছেন.. আমার পাবলিকেশনটাই দেইখ্যা আসেন..
Click Here

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১১

নিশিবাস বলেছেন: মুরুব্বী আর রাগিব এর মন্তব্য দেখুন।

৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩১

চাঁদ আমার পকেটে বলেছেন: আসলে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট আলাদা করে দেখতে চাই না, আর ভাল রেজাল্ট বা খারাপ রেজাল্টও আলাদা করে দেখি না। জীবনে উন্থান পতন থাকেই। আজ যে খারাপ কাল সে ভাল করবে না এর গ্যারান্টি কয়জনই বা দিতে পারে???

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ভাল রেজাল্টের উপর ভবিষ্যত জীবন হয়তো অনেকখানি নির্ভর করে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হবার চেষ্টায় ভাল রেজাল্টের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। আমিও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যদিও ফলাফলের দিক থেকে ধরতে গেলে পেছনের সারির। তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেখা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

প্রথম যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি প্রথমেই যে সমস্যাই পড়ি তাহল হলে সিট এর সমস্যা, আমার মত দূর জেলা থেকে আগত ছাত্র যে কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ সমস্যার জন্য তা আমিই বুঝেছি। এই রুম থেকে ঐ রুম ফ্লোরিং করে কাটাতে হয়েছে প্রথম সেমিস্টারের প্রায় চারমাস। কিন্তু আমার যে বন্ধুরা রাজনীতি করেছে বা আঞ্চলিক প্রভাব খাটিয়ে উঠে গেছে সিটে। শুধু কোন আঞ্চলিক প্রভাব না থাকায় বা রাজনৈতিক পরিচয় না থাকায় অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছি চার মাস। তারপর সেমিস্টার ফাইনালের ফলাফল যা হবার কথা তাই। হয়তো আমার দোষেই, আর আগাইতে পারি নাই। প্রথমেই হোচট খেয়ে বাদ।
প্রথম সেমিস্টারে স্যারদের প্রথম ক্লাসে পরিচয় গ্রহনের সময় দেখেছি নিজ অঞ্চল প্রীতি। আমার বাসা অমুক জেলায়, কে আছ সেখানের তারা দাঁড়াও ইত্যাদি ইত্যাদি। শুধু এই পর্যন্ত থাকলেও হইত। ব্যাবহারিক ভাইভার সময় যখন শুনতে হয় স্যার আমার বন্ধুটির জন্য পরিদর্শকের কাছে সুপারিশ করছেন, আর তার চেয়ে ভাল প্রশ্নের উত্তর দিয়েও তার চেয়ে কম নাম্বার পেতে হচ্ছে তখন আর কি করার থাকে/??
এই প্রসঙ্গও বাদ। আমার বন্ধুদের মাঝে মাঝেই বলতে শুনি, এই বিষয়ের পরীক্ষা খারাপ গেল, স্যারের সাথে দেখা করতে হবে- তাহলে কি বলব? আমাদের মত ছেলেদের কি সবসময় স্যাক্রিফাইস করেই চলতে হবে?
এবার সবচেয়ে লোভনীয় পদটার দিকে নজর দিই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা। এই পদের জন্য যে কত কিছু হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এত ভেলকিবাজি দেখতে দেখতে শিক্ষক নামের মানুষগুলোর উপর শ্রদ্ধাই উঠে গেছে। হোক সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সবারই উদ্দেশ্য আজ ব্যাবসা, নিজের স্বার্থ সিদ্ধি। ঠিকসময়মত ক্লাস নেবার নাম নেই, ঠিক ভাবে ছাত্রদের শিক্ষা দানের নাম নেই আছে শুধু আত্মসম্মান। সবসময়ই নিজেরে নিয়া ব্যাস্ত। এই যদি হয় শিক্ষকের অবস্থা তাহলে অনায়াসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকরা তো প্রাইভেট টিউশনের নামে যে হারে ব্যাবসা করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

@লেখকঃ আপনি বলেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। হয়তো কথাটি ঠিক। তবে পাবলিকের একজন ছেলেকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এটা আমি ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি। আপনারা তাও প্রাইভেট পড়ে হয়তোবা পার পান, কিন্তু পরীক্ষার ১ মাস আগে যদি সিলেবাস পড়ানো শুরু করে পরীক্ষার আগের দিন যদি সিলেবাস শেষ করা হয়, তাহলে পরিশ্রম কেমন হবে আশা করি ভালই বুঝছেন। আর মাদকের যেই প্রসঙ্গ টেনেছেন তা জাতীয় সমস্যা। এর সাথে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক টানা বোকামী।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০২

নিশিবাস বলেছেন: চাঁদ আমার পকেটে বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ভাল রেজাল্টের উপর ভবিষ্যত জীবন হয়তো অনেকখানি নির্ভর করে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হবার চেষ্টায় ভাল রেজাল্টের জন্য উঠে পড়ে লাগেন।

তাহলে বুঝতে পারছেন ভাল রেজাল্টের কত মূল্য। অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল রেজাল্ট করা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়া প্রায় অসম্ভব।

@চাঁদ আমার পকেটে, আপনি বলেছেন, আপনারা তাও প্রাইভেট পড়ে হয়তোবা পার পান।

জনাব, আপনার বোধ হয় এটাও জানা আছে যে আমাদের সিলেবাসে নতুন সাবজেক্টের প্রশ্নের প‌্যাটার্ন আমাদের শিক্ষকেরাও জানে না।

৪২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯

রাগিব বলেছেন: চার নম্বর উদাহরণটা একটু বিভ্রান্তিকর -- টিউশনির সাথে ভালো/খারাপ ফলাফলের সম্পর্ক কী? প্রচুর মানুষকে চিনি যারা সারা বছর টিউশনি করিয়েও পড়ালেখা ঠিক রেখেছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৮

নিশিবাস বলেছেন: আমি টিউশনির সাথে ভালো/খারাপ ফলাফলের সম্পর্ক করি নি। অনেকেই গর্ব করে বলেন, আমি অমুক পাবলিক ভার্সিটির পোলা, আমাগো প্রচুর রেফারেন্স বই পড়তে হয়। তোরা ন্যাশনালের পোলা, রেফারেন্স বই কি কোন দিন পড়োস?

অথচ, সেই বড় ভাই কখনো রেফারেন্স বই পড়ে নি। পরীক্ষার আগে গাইড বই নিয়ে পড়েই ৫৫% মার্কস পেয়েছে।

৪৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫০

মুরুববী বলেছেন:

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন:....কাল ৮ টা থেকে দুপুর ১:১০ পর্যন্ত ক্লাস.....................আর থিসিস এর কথা বলছেন.. আমার পাবলিকেশনটাই দেইখ্যা আসেন..


শোন খোকা @সিস্টেম ইন্জিনিয়ার, জানিনা তুমি নিজে বেপারটা ধরতে পেরেছ কিনা, তোমার কমেন্টে এক ধরনের অহংকার প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে তোমার পাবলিকেশন সাইটের লিংক দেয়াটা। এই ব্লগের সবাই ত আর টেকনিকাল বেকগ্রাউন্ডের না, তোমার থিসিসের মাজমা ওনেকেই বুঝবেনা। তারপোরেও তুমি লিংক দিয়েছ তোমার ক্রিতিত্ব আগবাড়িয়ে দেখানোর জন্য।

শোন, তোমার বয়স কম তাই হয়ত আমার কথায় খেপে যাবা, কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখার চেস্টা করে শোন, তোমার পাবলিকেশন খুব ভালো হয়েছে সন্দেহ নাই, কিন্তু বাংলাদেশে এরকম আরো হাজার খানেকের বেশি ছাত্র আছে যারা তোমার থেকেও ওনেক ভালো ভালো কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। একটু সংযত হবার চেষ্টা কর। যদিও কামনা করিনা, তবুও জানোত, অহংকার পতনের মুল।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৯

নিশিবাস বলেছেন: সহমত।

৪৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৩

রাগিব বলেছেন: পাব্লিকেশনের জন্য আইসিসিআইটির লিংক দেখে মজা পেলাম। কয়েকবছর আগে আইসিসিআইটি কনফারেন্সে একটা "পেপার" ছাপা হলো, যেটা আর কিছুই না, কেউ একজন সাপ লুডু গেইম বানিয়েছে, সেটার প্রজেক্ট রিপোর্ট। এই জিনিষ কীভাবে কনফারেন্সে ছাপা হয় খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম, অনেক পেপার হাতে গোণা কয়েকটা জায়গা থেকে আসে বলে সে বছর নাকি "কোটা" সিস্টেম চালু করা হয়েছিলো। তাই কোটা পূরণ করার জন্যই সাপ লুডুর "পেপার" কে স্থান দেয়া হয়েছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৩

নিশিবাস বলেছেন: আশা করি আপনার কথা সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বুঝতে পারবে।

৪৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৪

আশীষ কুমার বলেছেন: গাজা খোরের পক্ষে সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব। আমাদের ক্লাসে এক ছেলে...সারাদিন পলিটিকস নিয়া পরে থাকতো। কদাচিত ক্লাসে আসতো। যেদিন আসতো সেদিন আমরা অবাক হতাম। এত ব্রিলিয়ান্ট ছেলেটা গাজা খায় কেন?? কিন্তু দেখতাম কিছু না বুঝলে আমরাই গিয়ে তার কাছে লাইন দিতাম। সে আগে পড়তো...তারপর আমাদের বুঝাত। সবচেয়ে কঠিন কোর্সগুলো সে অবলীলায় এত ভাল করতো...। সে আওয়ামীলীগ করতো...অথচ জামাতপন্থী কোন স্যার ও পারেন নি তাকে কম নাম্বার দিতে। পরীক্ষার আগে ছাড়া তাকে কেউ কখনো পড়তে দেখেনি।

৪৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৭

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: ভাই, আমাদের ব্যাচের সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ছেলেটা পরীক্ষার আগে ছাড়া কোনদিন পড়ালেখা করে নাই। শুধু পরীক্ষার আগের দিন পড়ে সে ৩.৯০/৪.০০ সিজিপিএ নিয়ে পাস করে বের হয়েছে। তার মেধা আছে বলেই পাইছে।

এইটাকে যদি আমি এইভাবে দেখি যে, ওইপোলা তো জীবনে পড়ালেখা করে নাই, সারা দিন মুভিদেখছে আর গেম খেলছে, এই পোলা পাইছে ৩.৯০? তারমানে কি পড়ালেখা হয় ওইখানে বুঝছি।

যেই ছেলে পড়ালেখা কম করে পরীক্ষায় ভাল করে সে কি পরীক্ষায় ভাল করার জন্য স্যারকে ঘুষ দেয়? নাকি স্যারও ওই পোলার লগে গাঞ্জা খাইয়া খাতা দেখে বইলা সেই পোলা ভাল করে?

আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। জীবনে অনেক ভাল করতে পারবেন আরো।
আর এইধরনের ফাউল পোস্টে কইষা মাইনাস।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৮

নিশিবাস বলেছেন: আপনাদের ব্যাচের ব্রিলিয়ান্ট ছেলেটা যে পরীক্ষার আগে পড়ালেখা করে ৩.৯০/৪.০০ সিজিপিএ নিয়ে পাস করে বের হয়েছে, আমি সেই পড়ালেখার সিস্টেম আর শিক্ষকদের খাতা মূল্যায়নের বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছি।

আপনি কি সত্যিই মনে করেন, পরীক্ষার আগে পড়ালেখা করে এমন রেজাল্ট সত্যিকারের মেধা প্রকাশ করে না আমাদের পড়ালেখার সিস্টেমের গলদ প্রকাশ করে?

৪৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১২

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু প্রশ্ন তুলেছি, কীভাবে সম্ভব একজন গাঁজাসেবীর পক্ষে ৩.৯৮ পয়েন্ট পাওয়া? সারা বছর পড়াশোনা শিকেয় তুলে?
************

অবশ্যই সম্ভব, আপনি তাহলে এখনো বাংলাদেশে অমানুষ রকমের ব্রিলিয়ান্ট পোলাগুলার কারো সাথে মোলাকাত করার চান্স পান নাই।
দুঃখ একটাই, পোলাগুলা নিয়মিত পড়ালেখা করলে বাংলাদেশ ফাটায়া দিতে পারত। ৩.৯৮ এদের কাছে ডালভাত।

আমার কয়েকটা এইরকম পোলার সাথে পরিচয় আছে। আপনেরে দেখামুনে। শাল

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৮

নিশিবাস বলেছেন: আমারো খুব ইচ্ছা সেইসব অমানুষ রকমের ব্রিলিয়ান্ট পোলাগুলার কারো সাথে মোলাকাত করার।

৪৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু প্রশ্ন তুলেছি, কীভাবে সম্ভব একজন গাঁজাসেবীর পক্ষে ৩.৯৮ পয়েন্ট পাওয়া? সারা বছর পড়াশোনা শিকেয় তুলে?
************

অবশ্যই সম্ভব, আপনি তাহলে এখনো বাংলাদেশে অমানুষ রকমের ব্রিলিয়ান্ট পোলাগুলার কারো সাথে মোলাকাত করার চান্স পান নাই।
দুঃখ একটাই, পোলাগুলা নিয়মিত পড়ালেখা করলে বাংলাদেশ ফাটায়া দিতে পারত। ৩.৯৮ এদের কাছে ডালভাত।

আমার কয়েকটা এইরকম পোলার সাথে পরিচয় আছে। আপনেরে দেখামুনে।

৪৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৩৮

আমি এবং আঁধার বলেছেন: আর খেলোয়াড় থাকা গেলোনা। ভাইজানের ভার্সিটি লেভেলের পড়াশুনা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি আছে দ্যাখাই যাচ্ছে। এইডা ঠিক স্কুল কিংবা কলেজ না ভাইজান। স্কুল এবং কলেজের ৯৯% ফার্স্ট দের দ্যাখা যায় সারা বছর ৫/৬ টা প্রাইভেট,কোচিং,গাইড,শর্টকার্ট পইড়া গরুর লাহান সারা বছর জাবর কাইটা কাইটা তারপর পরীক্ষার হলে ওগরাইয়া ৯৫/১০০ পায়। ভার্সিটি একটু অন্য জিনিস। দলাদলি কইরা ভালা কয়া যায় সত্য, তয় যারা আসলে জিনিয়াস তারা গাঞ্জা খাইয়া মাঞ্জা মাইরা সারা বছর ঘুরলেও ঠিকই পরীক্ষায় ভালা করে। এরা মুখস্ত বিদ্যায় স্কুল/কলেজ পার দ্যায় নাই ভাইজান। কাজেই এদের খুব বেশি টাইম লাগেনা পড়তে। তয় আপনার মতন না হইলেও আমিও এইরকম অতিমানবদের ভালা পাইনা[ ক্যান এতো ব্রেন এগোরে!! X(( X(( ] তয় যোগ্য লোকের মর্যাদা দেওয়া ভালা ভাইজান। গাঞ্জা খাওয়া খারাপ, তয় গাঞ্জা খাইয়া পরীক্ষায় ফার্স্ট হইলে পরের অংশডা খুব একটা খারাপনা ভাইজান। ভালা থাইকেন। আর মনে রাইখেন পড়া হোক যথা-তথা, কর্ম হোক ভালো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪২

নিশিবাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি এবং আঁধার বলেছেন: পড়া হোক যথা-তথা, কর্ম হোক ভালো।

তয় আমি কিন্তু প্রশ্ন করছি, ভার্সিটি লেভেলের পড়াশুনা নিয়ে।

আমাগো ভার্সিটির লেখাপড়ার মান যদি সত্যিই উন্নত হতো, তবে বিশ্ব রাঙ্কিং এ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান অন্ততঃ ১০০ মধ্যে থাকতো। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ৫০০ এর মধ্যেও নেই।


বিস্তারিতঃ Click This Link

৫০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:০৯

কানা-বাবা বলেছেন: রাগিব বলেছেন: পাব্লিকেশনের জন্য আইসিসিআইটির লিংক দেখে মজা পেলাম। কয়েকবছর আগে আইসিসিআইটি কনফারেন্সে একটা "পেপার" ছাপা হলো, যেটা আর কিছুই না, কেউ একজন সাপ লুডু গেইম বানিয়েছে, সেটার প্রজেক্ট রিপোর্ট। এই জিনিষ কীভাবে কনফারেন্সে ছাপা হয় খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম, অনেক পেপার হাতে গোণা কয়েকটা জায়গা থেকে আসে বলে সে বছর নাকি "কোটা" সিস্টেম চালু করা হয়েছিলো। তাই কোটা পূরণ করার জন্যই সাপ লুডুর "পেপার" কে স্থান দেয়া হয়েছে।


@রাগিব

ICCIT এর মান নিয়ন্ত্রনহীন অনেক কনফারেন্স কিন্তু ভাই আমেরিকাতেও আছে যেগুলোতে সাবমিশন ও এক্সেপ্টেন্স রেশিও ১। SDR ( Software Defined Radio ) Conference নামক একটা কনফারেন্সে (Washington D.C. ) আমার একটা পেপার পাবলিশ হয়েছিল যেটার মান এতই বাজে ছিল ঐ পেপারের প্রিন্ট আউট কে টয়লেট পেপার হিসাবেও ব্যবহার করতে যে কোন সচেতন ছাত্রের লজ্জা লাগবে ( আমারই লাগে )।

ICCIT এর মান যাই হোক না কেন, এটি কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য একটি ভাল দিক - ব্যাচেলর পড়ার সময় এই রকম একটা দুইটা পাবলিকেশন তাদের উৎসাহ অনেক বাড়িয়ে দেবে। তাছাড়া পাবলিকেশন এবং লেখার পুরো প্রক্রিয়াটা ছেলেমেদের স্নাতোকত্তর গবেষনার জন্য ভাল ভাবে গড়ে তুলবে।

৫১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৪২

রাগিব বলেছেন: মান খারাপ এরকম কনফারেন্স সব জায়গাতেই আছে। তা নিয়ে পুরোই একমত। আমেরিকার এক কনফারেন্সে এমআইটির ছেলেপেলে ্সফটওয়ার দিয়ে হিজিবিজি লেখা ভর্তি একটা "পেপার" দিয়েছিলো মজা করার জন্য, তারা সেটাও অ্যাক্সেপ্ট করেছিলো।

আপনি সম্ভবত আমার কথার মূল পয়েন্টটা ধরতে পারেননি। আইসিসিআইটি অবশ্যই দেশের ছাত্রদের জন্য চমৎকার একটা সুযোগ। আমারও পেপার লেখার হাতমকশো এখানেই হয়েছি্লো এক সময়। কিন্তু মূল সমস্যাটা অন্য -- "কোটা পদ্ধতি" দিয়ে যদি সাপলুডুর পেপারও সেখানে নেয়া হয়, তবে একই কনফারেন্সের অন্য সব পেপারের মান রসাতলে চলে যায়। ঘটনাটি ২০০১/২ সালের দিকের, অন্য সব কনফারেন্সে একই হয়েছে বলবো না, কিন্তু সেবার এরকমই হয়েছিলো। সমস্যাটা কনফারেন্স ম্যানেজমেন্টের।

আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অবশ্যই অনেক ভালো রিসার্চ করছে। এসিএমের আন্তর্জাতিক কয়েকটা কনফারেন্সে ইদানিং কয়েকজনের পেপার দেখলাম, যা তারা আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে থাকা অবস্থাতেই প্রকাশ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নিজেদের মান বাড়িয়ে ঐরকম পর্যায়ে যাওয়া -- দেশের সবেধন নীলমণি কনফারেন্সটির মান নামানো নয়। কারণ আইসিসিআইটির সুনাম বাড়লে উপকারটা দেশের ছাত্রছাত্রীদেরই হবে।

৫২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৪৯

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইলাম। গাজা খেয়ে ৩.৯৮!! ছাত্র জীবনে ক্যান গাজা খাইলাম না???

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

নিশিবাস বলেছেন: হ, ঠিকই কইছেন। আমিও একই ভুল করেছি। :-0 :-B

৫৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:০৭

কানা-বাবা বলেছেন: @ রাগিব


আপনার কথা বুঝলাম, যথার্থই বলেছেন।


আসলে ২০০১/২০০২ এর দিকে কনফারেন্সটা ইনফ্যান্ট স্টেজে ছিল তাই হয়তো ম্যানেজমেন্ট একটু নমনীয়তা দেখিয়েছে। আস্তে আস্তে মান যে বাড়ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যে ছেলেটা এখানে তার পাবলিকেশনের লিন্ক দিয়েছে তার পেপরটা দেখলাম। কাজ ভালই হয়েছে বলে মনে হলো।

৫৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

বাগসবানি বলেছেন: জ্বী এন.ইউ এর ছাত্রছাত্রীগণ সবসময় প্রতিকুল পরিবেশে বড় হইছে, বাকীরা অনুকূল সাগরের বানে ভাইসে আইতেছে .... বিদেশ থিকা ডিগ্রী নিয়ে আসেন যান, তইলে এইসব গাঁজাখুরি পোস্ট দেওনের দরকার পড়বে না । নিজের অবস্থান নিজেই তৈরি করতে পারবেন ।
এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আর পারিবারিক পরিবেশটাই এমন যে লেখাপড়া শেষ করে বেকার আর চাকুরীরত আমজনতার সবাই ইনফিরিওর কম্পেক্সজিটিতে ভোগে । যারা বেকার তারা হতাশ হয় চাকরির বাজার মন্দা দেখে আর যারা চাকরীরত তাদের অবস্থা আরও সঙ্গিন । ' অমুক আমার চাইতে বেশী বেতন পাইতেছে । আর আমি ওর চাইতেও বেটার হইয়া ... ছ্যা ছ্যা .... ' .... 'এই আটটা-পাঁচটা চাকরী করতেছি .... আমার ক্রিয়েটিভিটি একদম তলানীতে গেল ...'

আর আমি এমন মানুষ কম দেখেছি যে যারা ক্রিয়েটিভ কাজ অথবা হার্ডওয়ার্ক করে তাদের প্রশংসা করতে পারে ।

যাই হোক এইসব সার্টিফিকেটের কানাকড়িও দাম নাই যদি না আপনি আপনার কর্মস্থলের কাজ ঠিক মত পালন না করতে পারেন । আপনার কর্মই আপনাকে আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করিবে । শুভ কামনা ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

নিশিবাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাগসবানি বলেছেন: জ্বী এন.ইউ এর ছাত্রছাত্রীগণ সবসময় প্রতিকুল পরিবেশে বড় হইছে, বাকীরা অনুকূল সাগরের বানে ভাইসে আইতেছে .... বিদেশ থিকা ডিগ্রী নিয়ে আসেন যান, তইলে এইসব গাঁজাখুরি পোস্ট দেওনের দরকার পড়বে না । নিজের অবস্থান নিজেই তৈরি করতে পারবেন ।

@ বাগসবানি, কিন্তু পথই তো রুদ্ধ। ভালো রেজাল্ট করার সুযোগ কম আর সামাজিক অবমূল্যায়ন করা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

৫৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: @ মুরুববী BOSS পুষ্টটা দেইখ্যা মিজাজটা এত খারাপ হইছে যে অতি উৎসাহী হয়ে লিংটও দিয়েছি।ঔদত্ত প্রকাশ হয়ে থাকলে ক্ষ্যামা চাই। কমেন্ট publish করার পর আমার নিজের কাছেও ODD লাগছিল। আমি এডিট করা যায় কিনা এই নিয়া ব্যাপক চেষ্টা চালাইছি। এই সংক্রান্ত কুনো লেখা পাইনি। আমিও আপনার মত শুধু প[ঠক/মন্তব্যকারী। ব্লগে আছি ১ বৎসরের অধিক। ১ বৎসরের Experience থেকে : আমি এই রকম অনেক অনেক লেখা পাইছি যেখানে মূল লেখার চেয়ে Comment থেকে অনেক বেশি তথ্য/মজা পাইছি। তাই মূল লেখার চেয়ে কমেন্ট এর গুরুত্ত কুনো অংশেই কম নয়।তাই মূল লেখার পাশাপাশি কমেন্ট ও এডিট করতে দেয়া উচিৎ যেমনটা করা যায় networking সাইট TAGGED এ। তবে অবশ্যই মন্তব্যটি পরিবর্তিত হয়েছে এটা উল্লেখ থাকতে হবে। এতে মনে হয় ব্লগীয় পরিবেশ আরেকটু developed হবে। আশাকরি মডারেটররা ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন।
@ নিশিবাস আমার কমেন্টার শেষ লাইনসহ লিংকটা ডিলিট মাইরেন।

৫৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০১

বাগসবানি বলেছেন: সামাজিক অবমূল্যায়ন কারা করে ?
যেসব মানুষ একটু অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্নতর চিন্তা করে, সময়ের একটু আগে চিন্তা করে তারাই এসবের শিকার হয় । একটা সময় ছিল যখন এইচ,এস,সিতে থার্ড ডিভিশন পাওয়া ব্যক্তিগণ মেডিক্যাল এ ভর্তি হইত । কালের বিবর্তনে এইসব নীতিও চেন্জ হবে । ব্যাপার না । এটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা আর এর পেছনে সময় ব্যয় না করে আত্মউন্নয়ন কিভাবে সম্ভব সেটা ভেবে দেখুন ।

৫৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: আপনি আবার দেখি এই ব্লগে পোষ্টে আসতে বললেন।

এর আগে দুরন্ত স্বপ্নচারী এর সাথে কমেন্টে অংশ নিতে গিয়ে আপনার কমেন্টের ফলোআপ হয়ে ওঠেনি।

প্রসংগ গাঁজা:
কেউ যদি ৩.৯৮/৪.০০ জিপিএ পেয়ে থাকে, ভাই সে গাঁজা টানুক আর সারাদিন টানবাজারে পড়ে থাকুক, আমি তাকে সম্মান দিব তার মেধার কারণে। বুঝলেন!! একজন গাঁজা টানলে সে ছাত্র হিসাবে ভালো হবে না, এমন কোন কথা নেই।


প্রসংগ টিউশনি:
প্রত্যেকটি ছাত্রকে বাধ্যতামুলক টিউশনি করতে দেওয়া উচিৎ। এতে ঐ ছাত্র অনেক কিছু শিখতে পারে। তাই টিউশনি করলে ভালো ফলাফল করা যায় না এটা একেবারে ভূয়া কথা। আমি নিজে ভাই অনেক অনেক টিউশনি করেছি, ব্যাচে পড়িয়েছি, ফলাফলটা কিন্ত সবার উপরেই ছিল।

প্রসংগ ৯ মাসে বছর:
এটাতে খারাপ কোথায় দেখলেন? বিদেশে ৭ মাসে বছর (এক সেমিষ্টার ৩.৫ মাসের)। বরং ৯ মাসে যদি তারা একটি একাডেমিক ইয়ার শেষ করতে পারে তাহলে তাদেরকে ক্রেডিট দেওয়া উচিৎ। ওদের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। আমাদের ভাগ্য ওতো ভালো ছিল না। ৪ বছরের বিএস ৬ বছরে পাশ করেছি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়ের ছেলেরা আমাদের সিনিয়র হয়ে গেছে!!


তবে যে যেখান থেকেই পড়লো সেটা কোন ব্যাপার নয়, কে কতটুকু শিখলো সেটাই মুখ্য।


৫৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: কোন রেটিং দিলাম না ~ কমেন্ট পড়ারও টাইম নাই এখন.... পড়ে পড়ুম সময় পেলে।

তবে লেখা দেখে মনে হল এইটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বনাম অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচিত্র - টাইটেলটা চেঞ্জ করে দিলে মনে হয়না এতগুলো মাইনাস পেতেন!

আর একটা বিষয় - আপনি অনেকগুলো টুকরো টুকরো উদাহরণ টেনেছেন, যেখানে পাত্র হল আপনার পরিচিত বড়ভাই/অন্যান্যরা...... এটা লেখাটাকে দুর্বল করে দিয়েছে - কারণ কাউন্টার এক্জাম্পলও কিন্তু দাড় করানো যায় চাইলে...

৫৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৯

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কিছু গাঁজাখোর সবজায়গাতেই থাকে। বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবি, রাবি সব খানেই গাঁজাখোর দেখেছি।

কিন্তু আমার প্রশ্ন, তারা ক্যামনে ৩.৯৮ জিপিএ পায়???

-------------------

এবার হাহাপগে। বুয়েট সহ অন্যান্য ভার্সিটিতে এমন পুলাপান বহুত দেখছি বড়জোড় টেস্টের আগে ঘন্টাখানেক পইড়াও সিরাম রেজাল্ট, আর সারাদিন বই নিয়া বসে থাকা গণ্ডমূর্খদের পাশ নিয়ে টানাটানি।

বিল্ট-ইন বস এগুলা! এদের পড়া লাগেনা মাথাই ইনাফ (যদি ইক্জামিনেশন সিস্টেমে মাথা খাটানোর ব্যবস্থা থাকে।)। আবার এটাও বইলেন না যে এদের সংখ্যা নগন্য।

কাজেই রেজাল্টের সাথে টিউশনি/গাজা/পড়ালেখায় অবহেলা এসবের সম্পর্ক খোজা ছাগলামী।

৬০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

রাগিব বলেছেন: রেফারেন্স বই বলতে কী বোঝাচ্ছেন? ঠিক বুঝলাম না ...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০

নিশিবাস বলেছেন: আমিও বুঝি না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তো। খালি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপানগো মুখ থেকে শুনি।

৬১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যে খারাপ সেটা সারা বিশ্বে বুয়েটের র‌্যাঙ্ক দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে এই যে, নিজেকেই ভাল হতে হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দোষ দিয়ে লাভ নেই।

৬২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

সরকার সেলিম বলেছেন: @ রাগিব :

রাগিব বলেছেন: পাব্লিকেশনের জন্য আইসিসিআইটির লিংক দেখে মজা পেলাম। কয়েকবছর আগে আইসিসিআইটি কনফারেন্সে একটা "পেপার" ছাপা হলো, যেটা আর কিছুই না, কেউ একজন সাপ লুডু গেইম বানিয়েছে, সেটার প্রজেক্ট রিপোর্ট। এই জিনিষ কীভাবে কনফারেন্সে ছাপা হয় খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম, অনেক পেপার হাতে গোণা কয়েকটা জায়গা থেকে আসে বলে সে বছর নাকি "কোটা" সিস্টেম চালু করা হয়েছিলো। তাই কোটা পূরণ করার জন্যই সাপ লুডুর "পেপার" কে স্থান দেয়া হয়েছে।


আইসিসিআইটি কনফারেন্সে সম্পর্কে একটা মজার ঘটনা বলি। এম এস সি করার সময় আমার রিসার্সের ১ম বর্ষে করা ছোট একটা কাজ (যে টা কোন কাজই না) আইসিসিআইটি কনফারেন্সে পাঠিয়াছিলাম সেটা তারা পাবলিশ করলো। ২ বছর পর আমার মাস্টার্সের থিসিসটা শেষ হলে কাজটা সামারি করে আরেকটা পেপার পাঠালাম আইসিসিআইটি কনফারেন্সে এবারা তারা সেটা রিজেক্ট করলো। কারন হিসাবে বললো, আমার কাজের ভিতর নতুন কিছু নাই। সেই একই কাজটি আমি ৪ ভাগ করে আই এস আই থমসন রিকোগনাইজড জার্নাল springer ও IngentaConnect Publication পাবলিকেশনের image science journal সহ আরো ২টি জার্নালে পাঠালাম সবগুলোই পাবলিশ হলো। সাথে সাথে স্টুডেন্ট রিভিউয়ার হিসাবে springer থেকে আমাকে অফার দিল। যে কাজ আমার দেশে পাবলিশ হলো না সেই কাজ অন্য খানে পাঠিয়ে আমি এখন আমার ফিল্ডের উপর রিতিমত প্রি-রিভিউয়ার। খুব ইচ্ছা ছিল প্রতি বছের দেশে আইসিসিআইটি কনফারেন্সে একটা করে পেপার পাঠানোর!!



৬৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫

রাগিব বলেছেন: @হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা --

সারা বিশ্বে বুয়েটের কোনো একাডেমিক র‌্যাংকিং এর তথ্য কিন্তু নাই। যা আছে তা বুয়েটের ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং। এই দুইটা জিনিষ অধিকাংশ মানুষই গুলিয়ে ফেলে ... মেথডোলজি দেখলেই বুঝতে পারবেন, ওটা ওয়েবসাইটের ডিজাইন র‌্যাংক।

৬৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: @হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা:

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং কিভাবে হয় বোঝেন?? প্যারামিটারগুলোর উপর আগে চোখ বুলিয়ে নিন তারপর লিখেন।

এ পর্যন্ত যে কয়েকটা ইন্টারনেশনাল জার্নাল পেপার পাবলিশ করাতে পারলাম তার তার একটিরও এফিলিয়েশন দেশের নিজের বিশ্ববিদ্যালয় পেল না, পেল বাইরে এসে যেখানে লেখাপড়া করছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়!! আফসোস।

৬৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯

সাপিয়েন্স বলেছেন: বহু ভুল উপাত্ত, অবৈধ সাধারণীকরণ ও পক্ষপাত দুষ্ট অগ্রহণযোগ্য পোস্ট পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে লেখক সম্বন্ধেই বেশী আলোকপাত করে।

৬৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

ফারহান দাউদ বলেছেন: গুরুরা আগেই সব বইলা গেছেন, নতুন কিছু বলার নাই। তয় আপনের যখন এতই আফসোস যে এত্ত এত্ত মেধা নিয়াও স্রেফ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার লাইগা আপনে কিছু করবার পারলেন না, তো ভাইজান দ্যাশে এতগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ঐগুলাতে তো ফেয়ার ভর্তি পরীক্ষা দিয়াই ছাত্র ভর্তি করায় শুনছি, তখন যাইবার পারলেন না? নাকি তখন আপনে গান্ঞ্জা খায়া পইড়া থাকতেন? এত মেধাবীর তো দ্যাশের ৩১টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১টায় টিকা উচিত ছিল।

হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা, শিক্ষাব্যবস্থা আর ছাত্রের কোয়ালিটি কিন্তু এক না, র্যাংকিংয়ে না থাকলেও বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন ভার্সিটিতে বুয়েটের যেসব ছেলেমেয়ে পড়তে যায় তাদের পারফরম্যান্স দেখলেই সেটা বুঝবেন। আর র্যাংকিং নিয়ে রাগিব ভাই যা বলার বলে দিয়েছেন, বাড়তি কথা খরচ করলাম না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৩

নিশিবাস বলেছেন: জনাব,ফারহান দাউদ,আপনি হয়তো জানেন না আমি জাবি, রাবি, ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলাম। তবে মনের মতো সাবজেক্টে পাই নি বলে ভর্তি হই নি। তবে আপনার মতো হলে ঠিকই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ধ গায়ে মাখার জন্য হয়তো ভর্তি হতাম। আমার কাছে সাবজেক্ট মূল ছিল। যে সাবজেক্টে আমার আগ্রহ নেই, সে সাবজেক্টে তাই ভর্তি হই নি যদিও সেগুলো অনেকের কাছে উচু কদরের। তাতে কি? আমি আমার বর্তমান বিষয় নিয়ে পরিতৃপ্ত। আপনাদের মতো মেধাবী যারা পবিত্র শিক্ষাঙ্গনে গাজা সেবন করে, তাদের মতো আমি আমার পবিত্র শিক্ষাঙ্গনে সেই পাপ করার মতো দুঃস্বপ্নও দেখি না।

৬৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩

সরকার সেলিম বলেছেন: @ রিয়াজুল ইস্‌লাম: সত্যই খুব খারাপ লাগে বুকটা দুমড়ে মুছড়ে উঠে, যখন নিজের করা কাজ গুলো অন্যদেশকে দিতে আসতে হয়। আসার সময় আবার ডিক্লারেশন দিয়ে আসতে হয় যে কাজ গুলোর সব মালিকানা তাদের.........

৬৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪

কালীদাস বলেছেন: আমি পরিসংখানের স্টুডেন্ট, ঢাবি (থিসিস করছি এখন)। ভাইরে এত ছোট স্যাম্পল(!) থেকে এতবড় ইন্টারপ্রিটেশন আমার জীবনে আজ অনেকদিন পর দেখলাম।

গত ৬ টা বছর আমি এবং আমার প্রায় সব ক্লাশমেট দম ফেলার সময় পাইনি। গাজাখোর এবং পলিটিশিয়ান আমরাও দেখেছি, শুধু একজনকে পেয়েছি ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট করতে....কারণ, হলের সবাই দেখেছে, ও আসলেই ব্রিলিয়ান্ট ছিল, পরীক্ষার আগের দুইদিন শুধূ পড়ত, টিচাররা পর্যন্ত বলেছেন, ও আরো পড়লে মেরিট লিস্ট পর্যন্ট চেন্জ হয়ে যেত। এই ঘটনাগুলোকে ব্যতিক্রম ধরাটাই কি ভাল না? মেধা অনুযায়ি সবাই যার যার ক্লাশ পেয়েছে, দূর্ণীতি ২/১ টা আছে, কিন্তু সেটাকে এত ফোকাস না করলেও মনে হত, অন্তত মানবিচারের জন্য।

এগুলো দিয়ে পাবলিকের মান বিচার করা মোটেই কাম্য নয়। সাপোজ আপনি জাতীয় ভার্সিটির আন্ডারে, আমি জানি জাতীয় ভার্সিটির ফেসিলিটি সম্পর্কে কিছুটা। যথেস্ট মেরিটোরিয়াসদের নেয়া হয় টিচার হিসেবে, শুধু কিছু অনিয়মের জন্য আজ সবাই দল বেধে প্রাইভেটে যাচ্ছে, যারা আগে কলেজগুলোতে পড়ত। তার মানে কি কলেজগুলো খারাপ হয়ে গেছে? না আমি সেটা বলতে পারিনা, অনিয়মের জন্য সম্পদের প্রকৃত ব্যবহারটুকু শুধু বন্ধ হয়ে আছে।

৬৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫

ইসটুপিড বলেছেন: আহ, কি আনন্দ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দলমত নির্বিশেষে বিতর্ক চলছে, কোন গালিগালাগ নাই.....বড় ভাল লাগলো।

বাট- মাইনাস, না জেনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অপপ্রচার চালানোর জন্য। :) আসা করি উপরের এক্সাম্পলগুলো থেকে এখন ক্লিয়ার হয়েছে। :)

৭০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭

মাসুদ যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন: NU er polapan taile khub kosto kore onek porasuna kore. tader ai pora jai koi? public er polapan porsuna na koirai job tob kore kemne.

৭১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৯

নিশিবাস বলেছেন: জনাবেরা, আপনারা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ও মেধাবী ছাত্র, তারা যে এতোটাই চালাক যে আপনাদের শুভংকরের ফাঁকিবাজিটা দল-মত নির্বিশেষে এতটাই ঢাকবার চেষ্টা করছেন যে দেখে আমার হাসি পেল।

আমার বন্ধু যে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং ঢাবিতে অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে, সে আফসোস করে বলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে যে স্বপ্ন আর প্রত্যাশা ছিল, তা ভেঙ্গে গেছে। এখানে দলবাজি হয়, স্যারেরা দায়সারা ভাবে ক্লাস নেন, প্রাইভেট ভার্সিটিতে বেশি মনোযোগ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না।

সে কিন্তু সারাবছর তেমন পড়াশোনা করে না,ক্লাসে খুব নিয়মিত না, ল্যাবটাতে প্রায় নিয়মিত অথচ রেজাল্টে ১০ এর মধ্যে। সে কিন্তু নিজেই অবাক। তাহলে? এটাই কি প্রকৃত পড়াশোনার দৃষ্টান্ত? এর পক্ষেই সাফাই গাইছেন?

৭২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: ভাই আপনের গর্বিত সাবজেক্টের নামডা কইবেন? শুইনা একটু কান জুড়াইতাম আর কি।

৭৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: @রাগিবঃ

হা হা হা হা হা হা।


@ফারহান দাউদঃ

বাড়তি কথা না খরচ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ!

৭৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫২

বাগসবানি বলেছেন: একেবারে দেশের সমস্যার শিকড়ে কুঠারাঘাত করেছেন। দেশ জাতি এতোদিন এই পোষ্টের জন্য বসে ছিলো।
জনসংখ্যা বাড়ানোর এর চাইতে বড় উপায় আর ছিল না ।



আহারে দেশ জাতি এমন পোষ্ট পেয়ে ধন্য ধন্য করতেছে।
এক কথায় অনবদ্য অসাধারণ।


রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এমন লেখা আমি আর পড়িনি। চোখে পানি এসে গেল।

ওরে আমারে একটা বালতি দেরে..............
ওরে আমারে কেউ ধর ।


এই লেখাটি সারাজীবনের জন্য স্টিকি করা ব্লগারদের প্রাণের দাবী।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১১

নিশিবাস বলেছেন: :> B:-) |-)

৭৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৭

ত্রিমাত্রিক বলেছেন: হ হ পুস্টটা স্টিকি করা হউক।
গলায় যেমনে তাবিজ ঝুলাইয়া রাখে এই পুস্টটারে তেমনি এই ব্লগে ঝুলাইয়া রাখা হউক।
মডুগো কাছে জোড়ালো আবেদন জানাইতাছি।
পিলিজ, পিলিজ, পিলিজ .......................... ∞

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৫

নিশিবাস বলেছেন: হাহাপগে B-) :D ;) :P

৭৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৮

বাগসবানি বলেছেন: কি কন ? গান্জা চাইখেও দেখেন নাই :-B :-B :-B :-B
আপনের তো ভাই লাইফটাই বৃথা মনে হইতেছে ।
সব মেধাবীগুলান তো গান্জাখোর !!!!
আপসুস আপসুস
ব্যাফক আপসুস !:#P !:#P !:#P
মেধাবী হওনের শর্তই হইতেছে
গান্জা দিয়া শুরু করা
বুদ্ধি দিয়া কাইত করা
বই পড়ে হবে কি
টিউশন করে বাড়াই ফী
দিনভর চলে শুধু আড্ডাবাজি
পড়ালেখায় শুধুই ফাকিবাজি
এমন করেই হইছি ফার্স্ট
আর হবে না কোনো সর্টকাট ||

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২১

নিশিবাস বলেছেন: আপুনি না ভাইজান, তাইলে আপনিও এই পথের পথিক! ইস, সত্তিই ভুল হইছে। গাঁজাতা চাইখা দেখন লাগতো।

আপ্নের ফোন নাম্বার দেন না! একসাথে বইসা গাঁজা খামু। পিলিজ, পিলিজ!!!! :(( !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P

৭৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪১

অলস ছেলে বলেছেন: একানে কি হচ্চে? কেনু হচ্চে?
যখন একটাও কমেন্ট পড়েনাই, তখন আপনার লেখাটা পড়েছিলাম। এশ খুশবু। এখন এসে কৃতার্থ হয়ে গেলাম বাহে।

৭৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৪

গিটার হিরো বলেছেন: নিজের সার্টিফিকেট আগে শো কর হে তৃণভোজী

৭৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৫

দামাল ছেলে বলেছেন: গাঁজা আর লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।

তবে এসবের দোহাই দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যোগ্যতাকে খাটো করে দেখবার সুযোগ নেই। এসব ছাত্র প্রকৃত অর্থেই মেধাবী। রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের বিপথে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

৮০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: @ রাগিব ভাই, আমি মনে করি আইসিসিআইটি বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট এর জন্য এক সুবর্ন সুযোগ। আমার এক কলিগ মালয়শিয়াতে এক কনফারেন্সে পেপার পাঠিয়েছিল, সেখানে তার রেজিষ্টেশন ফি লাগছিল ৫০০ ইউ এস ডলার/ person. বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৫০০০ টাকা। তার উপর প্রেজেন্টেশন দিতে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া ও অন্যান্য খরচতো আছেই। একজন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট জন্য ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ করা তো প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট জন্য USA, অষ্টেলিয়া ও বিশ্বের নামিদামী ভার্সিটির প্রফেসরদের সাথে ৩ দিন কাটানো এবং তাদের সাথে experiance শেয়ার করা বিরল এক ব্যাপার এবং অনেক ক্ষেত্রে এখান থেকেই স্কলারসিপ/RA ম্যানজ হয়ে যায়। এইটা আপনি বুঝবেন না কারন এইটা আপনার কাছে এখন ডালভাত।এন্ড ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন আমাদের সময় আইসিসিআইটিতে Acceptation/Rejection রেশিও ছিলো ১:২৭ এবং সেখানথেকে অনেক পেপারই ৩০% Extend করে একাডেমিক জার্নালে পাবলিশ্‌ট হয়েছিল । একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এর একদম শুরুর দিকে কি হয়েছিল সেটা দিয়ে আপনি তার মান যাচাই করতে পারেননা।পরবর্তীতে এর গ্রোথও বিবেচনা করতে হবে এবং আপনার end থেকে কিছু করার থাকলে সেটাও করতে হবে কারন অনেকে আইসিসিআইটি দিয়েই বাংলাদেশকে চিনে।
@ কানাবাবা আপনার মতামতের জন্য ধনাবাদ।
@ সরকার সেলিম একটা কনফারেন্সে accept হয় নাই অন্য কনফারেন্সে accept হয়েছে এইরকম অনেক উদাহরন আপনাকে দেখাতে পারি। কারন এটা অনেক বিষয় যেমন রিভিওয়ার, ক্যাটাগরি এইগুলার উপর নির্ভর করে।
ধন্যবাদ, সবাই ভালু থাকবেন, ভুল হলে ক্ষ্যামা দিয়েন।

৮১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আবাক খবর, জাবির ভাল ছাত্ররা বেশির ভাগই গাজাখোর আর রাজনীতি করে। ভাই আমি নিজে পইড়া আসলাম, দু এক জন ছাড়া গাজা খোড় ভাল ছাত্র তো দেখি নাই। আর রাজনীতি করলে রেজাল্ট ভাল করা যাবে না এমন কি কোন নিয়ম আছে?

একসেপশন কখনো উদাহরণ হতে পারে ন। এবং কোন বিষয় সরলিকরণ করে পাবলিকলি লেখার আগে ভাল ভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯

নিশিবাস বলেছেন: আপনি আমার ব্লগটি ভালভাবে বুঝে পড়লে এই কথাগুলো বলতেন বলে মনে হয় না। আমি কিন্তু শুধু গাঁজাখোরদের হাইলাইট করার জন্য এই পোস্ট লিখি নাই। আমি আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান তুলে ধরেছি। আপনি কি মনে করেন, শুধু ভালো রেজাল্ট করানো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য? ভাল রেজাল্টই যদি মূল হতো, তবে মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তো।

আমি চেয়েছি আমার পোস্টের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান দৈনদশাকে তুলে ধরতে, এর লক্ষ্যচ্যুতিকে তুলে ধরতে, একে অবমূল্যায়িত করার অভিপ্রায় নিয়ে নয়। কারণ, আমি মনে-প্রাণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে শ্রদ্ধা করি।

৮২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১০

বাগসবানি বলেছেন: কোথা থেকে যে এইসব বেক্কলদের আমদানী হয় ...... /:) /:) /:) /:) X(( X(

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৪

নিশিবাস বলেছেন: ভাইয়া, আপনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। কারন, জানেনই তো, ..... কি না বলে আর .....কি না খায়। ওদের মতো আপনার কাজ আর কমেন্টের দিকে দৃষ্টি দিলে কি আর চলে? :-< :-< :-< :-< :-< |-) |-) |-) |-)

৮৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৬

স্পর্শক বলেছেন: অমুক ভার্সিটির তমুকরে দেখসিলাম বা কার কাছ থেকে যেন শুনসিলাম মার্কা কথাবার্তা বললে তো হবে না ভাই , স্ট্রং রেফারেন্স দেন ...

আর বুয়েটও তো পাবলিক ভার্সিটি , আপনার বিপুল জ্ঞান থেকে বুয়েটের সিলেবাস নিয়ে কিছু কমেন্ট করেন তো , দেখি কত জানেন !!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

নিশিবাস বলেছেন: যাক,এতদিন পর একজনকে পেলাম। তা ভাই, স্ট্রং রেফারেন্স কাকে বলে যদি বুঝিয়ে দিতেন! :-< :-< :-< :-<

কেন, আপনি কি হাড়জোড় বিশেষ(অ)জ্ঞ যে আমার রেফারেন্স দেখে বুঝে ফেললেন এগুলো উইক?

৮৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩১

স্পর্শক বলেছেন: "ভাল রেজাল্টই যদি মূল হতো, তবে মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তো।" .. মানে কি ভাই ..... মানষে পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাইয়া তারপরে গিয়া প্রাইভেটে পড়ে , ভালো পড়াশোনার জন্য ?? =p~ =p~ =p~ =p~

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৩

নিশিবাস বলেছেন: স্পর্শক বলেছেন: "ভাল রেজাল্টই যদি মূল হতো, তবে মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তো।" .. মানে কি ভাই ..... মানষে পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাইয়া তারপরে গিয়া প্রাইভেটে পড়ে , ভালো পড়াশোনার জন্য ??

আপনার মন্তব্য দেখে রবীন্দ্রনাথের সবুজের অভিযান কবিতার "ওরে অবুঝ, ওরে কাচা, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাচা", আপনি সত্যিই আধমরা। আমার কথা বুঝার সামর্থ্য আপনার হলো না। আমি বললাম ভাল রেজাল্টের কথা আর আপনি বুঝলেন ভাল পড়াশোনার কথা। সত্যিই ব্লগে এমন হাস্যকর ব্যক্তিদেরও আবির্ভাব ঘটে! =p~ :D :-< |-)

৮৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

যীশূ বলেছেন: তার রেজাল্ট জিপিএ ৪ স্কেলে ৩.৯৮! অথচ সেই মেধাবী(!) সারাদিন গাঁজা আর রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকে।
---------------------------------------------------------------------------------
গাঁজা খাইলে আর রাজনীতি করলে ভালো রেজাল্ট করা যায় না আপনারে কে কইছে? সবাইরে মেধাহীন মনে করেন কেন?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৫

নিশিবাস বলেছেন: অবুঝদের বোঝানো যায় না। আমার ব্লগটি ভালোভাবে পড়ুন। তারপর মন্তব্য করুন। মুখস্তবিদ্যার মতো শুধু নোটে লেখা সমালোচনা না করে মাথাটা খাটান। মরিচা ধরে গেছে বোধ হয়! :-B B-) :D B-))

৮৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫১

নির্বাসন বলেছেন: আইসিসি আইটি সম্পর্কে আমার কিছু বলার আছে...
শেষ বর্ষের থিসিসের সময়ের কথা...
আমাদের সুপার ভাইজার ভালো একটা বিষয় দিলেন টপিক হিসেবে "ইমেজ রিট্রাইভাল"...স্যারের নিজের কোন পূর্বাভিজ্ঞতা নেই তাই আমাদের ই খড়ে সুঁই খোঁজা শুরু করতে হলো...এবং তা করতে যেয়ে প্রচন্ড পিপাসা পেতে লাগলো...প্রায় দিশেহারা অবস্থা।এর মধ্যে আমাদের প্রানপ্রিয়;) সুপার ভাইজার বিদেশ চলে গেলেন...হে হে হে...
যা হোক এর মধ্যে আই সি সি আই টির কনফারেন্সে পেপার পাঠানোর সময় আসলো...স্যার যাবার সময় বার বার করে পেপার পাঠানোর কথা বলে গেলেন এবং তাতে ওনার নাম যেন না দিতে ভুলে যাই তাও মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন। আমরা অনেক খুঁজে যে পেপার টা একটু আধটু বুঝলাম তার সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে আরো কিছু যোগ করে সাবমিট করে দিলাম...এবং কী অদ্ভুত তা এক্সেপ্টেড ও হলো;)
কিন্তু কাহিনী আরো বাকী ছিলো...আমরা শেষ পর্যন্ত ওটা ইম্পলিমেন্ট করতে পারিনি...এবং ফল যা হবার তাই হয়েছে...

অবশ্য পরের বার বেশ ভালো করেছিলাম;)

৮৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২২

নিশিবাস বলেছেন: জনাবেরা, এইখানে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগান গাইলেন, তারা আমার কথার ক বুঝলেন না। আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পড়াশোনার অবস্থা, পরিবেশ এগুলোকে হাইলাইট করার জন্য এই পোস্ট লিখেছি। তারপর বিশ্বাস না হলে এইখানে ক্লিক করুন।

৮৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৮

কুঁড়ের বাদশা বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ( সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানিনা ) প্রশ্ন করে ৫০% যে ক্লাশ নেয় সেই শিক্ষক বাকি ৫০% এক্সটারনাল ( উভয়েই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ) কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন কে করবে ছাত্র-ছাত্রী কেউ জানে না। এদিক দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন প্রথম যে সমস্যার মুখোমুখি হই সেটা হচ্ছে আসন সমস্যা।
তারপরই যে সমস্যায় পড়ি সেটা হচ্ছে ভার্সিটির লেখাপড়া স্কুল-কলেজের গতানুগতিক তুলনায় একেবারেই ভিন্ন। একেতো সবই তো ইংরেজীতে আবার একেকটা সাবজেক্টের ৪-৫ টা রেফারেন্স বই। সারাদিন ক্লাশ আর ল্যাব শেষে কাধ থেকে ব্যাগ টা নামিয়ে যেতাম টিউশনির জন্য। রাতের বেলায় আসতে আসতে ৯:৩০-১০:০০ টা বেজে যেত। রাতের খাবার খেয়ে ফ্রেশ হতে হতে ১১:০০ টা বেজে যেত। তখন লেখাপড়া করার মত শক্তি বা ইচ্ছা কোনটাই থাকে না। এটা হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের (অল্প জ্ঞান নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় সম্মন্ধে বললাম না )সার্বজনীন অবস্থা।


লেখক ভাই গাজা খেলে যে একজন ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না এটা আপনাকে কে বলল। খোজ নিয়ে দেখেন ও যখন পড়তে বসে ১দিনের পড়া ১ ঘন্টায় শেষ করে।

আপনি বুয়েটের যে কোনো একটা হলে গিয়ে বেশি না ২ দিন থাকেন। গিয়ে দেখেন কয়টা ছেলে লেখাপড়া করে। আর ঠিক উল্টো চিত্র পাবেন পরীক্ষার ২ দিন আগে। এদের সব লেখাপড়া এই ২ দিনেই এবং এই ২ দিন পড়েই এরা ৩.৯৮ না ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ ই পায়।

আমার রুমমেটের কথা বলি ও কলেজে থাকতেই ছাত্রফ্রন্ট করত ভার্সিটিটেও সরাসরি ছাত্রফ্রন্টের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল এবং এখনো আছে। আজ এই এইখানে মিটিং কাল সেখানে । পরীক্ষার ২ দিন আগে থেকে পড়া শুরু করে। ওর আট সেমিষ্টারের রেজাল্ট হচ্ছে:
৩.৭১ ৩.৯৫ ৪.০০ ৪.০০ ৪.০০ ৪.০০ ৪.০০ ৪.০০
( বিশ্বাস না হলে বুয়েট cse ডিপার্টমেন্টে গিয়ে খোজ নিতে পারেন )
এরা হচ্ছে বিল্ট ইন টেলেন্ট। এরা সারা বছর গান্জা খেলেও এরকম রেজাল্ট করত।

৮৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

পৃথিবীর আমি বলেছেন: রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: দলীয়/আঞ্চলিক/ আত্মীয়তার সুবাদে একাডেমিক বিষয়ে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।

এ কথাটি ঢাবি, রাবি এর জন্য যতটুকু সত্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও ঠিক ততটুকু সত্য। এটা কোন বিশ্ববিদ্যালের সতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নয় বরং আমাদের দেশের ব্যাক্তি চরিত্রের উপর নির্ভর করে। সে যে বিশ্ববিদ্যালয়েই হোক না কেন।

আর পত্র-পত্রিকার যে কথাগুলো বললেন সেটার প্রেক্ষাপট কিন্ত ভিন্ন। রাজনৈতিক প্লাটফরম, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কনভেনশন বা অন্যান অবশ্য কারণে ঢাবি, রাবি সব সময় আলোচিত হয়ে এসেছে। তাই পত্র-পত্রিকাতে এসবের কথাগুলো বেশি এসে থাকে। কখনও অতিরন্জিত হিসাবেও।


আপনি বলেছেন

"প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র প্রযুক্তি/প্রকৌশল বিভাগগুলোতেই থিসিসের ব্যবস্থা আছে। "

দেখুন এর আগে আপনি বলেছেন শুধুমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে, আবার এখন বলছেন অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবলমাত্র প্রযুক্তি/প্রকৌশল বিভাগগুলোতেই থিসিসের ব্যবস্থা আছে। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আপনি পার্থক্যটাও গুলিয়ে ফেলছেন। একটি জেনারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্ত যে কোন বিষয় পড়ানো হতে পারে ইন্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, সায়েন্স, এবং অন্যান্য। কিন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইন্জিনিয়ারিং বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে।

তাহলে আপনার

প্রকৌশল বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই অনার্স পর্যায়ে থিসিসের কোন ব্যবস্থা নেই।, এই কথাটি ঠিক নয়।

এখন আসুন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কিন্ত থিসিস বা প্রজেক্ট নির্ধারণ করা হয়। কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং এর থিসিস বা প্রজেক্ট সয়েল সায়েন্স থেকে আলাদা হবে বৈকি। আবার বিষয়ভেদে আন্ডারগ্রেডে ঠিক থিসিস না থেকে বড় ধরনের এসাইনমেন্ট থাকতে পারে বৈকি।

আশা করি পরিষ্কার।

রিয়াজুল ইস্‌লামের সাথে পুরোপুরি একমত।

আর @দুরন্ত স্বপ্নচারী: প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যদি এতই ভালো হত তবে বিশ্ব Ranking এ ঢা.বি কেন ছাড়িয়ে যেতে পারলনা আপনার RUET,CUET & KUET , এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে BUET ও ???

৯০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমন চিত্র তুলে ধরেছি। এটা কিন্তু সবারই জানা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিলো, তা অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে

তার মানে পাবলিকে গেলে পুলাপান সস্তায় গাজা কিনতে পারবে, সোজা কথায় পাবলিক গুলান গাজার আখড়া যেকাহনে মেধাবী মানেই গাজাখোর!

লেখক বলেছেন: এটা সামান্য অভিজ্ঞতা নয়। আপনি নিজেই যাচাই করেন যে আজকাল সবচে' লোভনীয় পেশা কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। কারণ, এখানে চাকরির পাশাপাশি প্রাইভেট ভার্সিটিতে সিনসিয়ারলি ক্লাস নেয়া যায় আর গোলেমালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষ করা যায়। যার বলির পাঠা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা না পারছে কিছু শিখতে। শুধু সার্টিফিকেটই পাচ্ছে।



তার মানে পানলিকে শিক্ষক হওয়া মানেই দুটা চাকরি। প্রাইভেটের পুলাপানের শিক্ষক হওনের কুনো যোগ্যতা নাই এমনকি তাগো নিজেগো ভার্সিটিতে!


যাই হোক বিশেষ কিছউ বলার কুনো দরকার নাই মনে হয় কারন পুলাপান মোটামোটি বইলা ফাটায়া ফেলাইছে আর মাইনাসের যেমনে বন্যা বইছে সেহেতু এইসব হতভাগাদের জন্য আফসোস হয়। কে কি কইলো এইটা নিয়া ভাবার কুনো কারন দেখি না, জন গনই সেই উত্তর দেবে!

৯১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০১

আকাশ আমার সীমানা বলেছেন: সুম্মা আমিন। যে গেন্জাম লাগছে দেহি??? :-B

৯২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২১

বাগসবানি বলেছেন: দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্যে মেধাবী লাগে না সদিচ্ছাটাই অনেক দরকার .... আর দরকার ধৈর্য যেটা আপনার আমার কারও মাঝেই নাই ...

৯৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৭

জিপসি মেহেদি বলেছেন: ভাই, অনেক্ষন ধরে আলোচনা সমালোচনা পড়লাম । কথা হইল নিজের মেয়ে কক্ষনই কালো হয় না
সবার কথা বাদ দিলাম । প্রাচ্যের অক্সফর্র্ডের আজ কেন এই দশা ?
মাইনাসের বন্যা না বইয়ে কি করনিয় তা ভাবুন, আপ্নারাই ত পারেন এই বদনাম ঘুচাতে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.