![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বেলা থেকেই লিখতে ভালোবাসতাম।অংক খাতায়, বাংলা খাতায় অথবা ক্যালেন্ডারের পেছনে।বছর শেষে যখন খাতা গুলো ৬/৮ টাকা দরে বিক্রি হতো তখন আমার লেখা গুলোও বিক্রি হয়ে যেত।খুব আফসোস হতো যে কেন সংরক্ষন করলাম না।কিন্তু উপায় থাকতো না। মা এসব পছন্দ করতেন না।লেখা পড়া বাদ দিয়ে এসব আজে বাজে জিনিস লিখে কি হবে?মাঝে মাঝে রাগ বেড়ে গেলে ছিরেও ফেলতেন।আমি অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম আমার তো লিখতে ভালো লাগে তবে কেন আমি পারবো না?সে কেনর উত্তর আজ ও পাই নি।
আমি ব্যাডমিন্টন,কাবাডি,আর বদন খেলতে ভালোবাসতাম।সে কারনে কম মার খাইনি।মা বলতো এসব খেলা কোন ভালো মেয়েরা খেলে না।তবে আমার কেন ভালো লাগে? আমি কি তবে মন্দ মেয়ে?
আমি মাছের মাথা খেতে খুব ভালোবাসতাম।কিন্তু সব সময় বড় মাছের মাথাটা আমার ভাইয়ের পাতেই দেওয়া হতো।আমার তখন লজ্জায় অপমানে চোখে জল আসতো।রাগ করে মাথা খাওয়া ছেড়ে দিলাম।তাই অভ্যেস না থাকায় এখন কেউ হাজার সাধলেও আর খেতে পারি না।
আবার আমার কোন কাজে একটু ভূল হলেই মা বলতো মেয়ে হয়ে জন্মেছিস কাজ কর্ম একটু ভালো করে শেখ,নইলে পরের ঘরে কথা শুনেত হবে। কিন্তু আমার ভাই হাজার অন্যায় করলেও মা বলতো ওইতো আমার মুখে মাটি দিবে করুক না একটু আধটু অন্যায়।আসলে সত্যি কথা হলো মেয়ে মানুষকেউ মেয়ে মানুষ দয়া করে না।
বৈসম্য গুলো বরাবরই আমার সয়তো না।কিন্তু উপায় কি? পরিস্থিতি যখন অনুকূলে তখন অন্যায়কে আর অন্যায্য বলে মনে হয় না ।লক্ষ্য করে দেখুন এই বৈষম্য গুলো কোন পুরুষ তৈরি করে নাই।এগুলো তৈরি করছে আমাদের মাতামহরা।পর্যায় ক্রমে যার উত্তরসরী আমরা।
আমরা ঠকতে ভালোবাসি তাই ঠোকি।আর শুধু শুধু দোষ দেই বেচারা পুরুষদের।আসুন আমরা সবাই আমাদের সন্তানের স্বার্থে বৈষম্যহীন পরিবেশ তৈরি করি যাতে করে তারা সঠিক মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পারে।
©somewhere in net ltd.