![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শান্ত আমি কোন কালেই ছিলাম না।হৈ হৈ রৈ রৈ করে গোটা বাড়ি মাতিয়ে রাখতাম।কি সময়, কি বয়স,কি সঠিক,কি ভূল এগুলো নিয়ে ভাবতে আমার ভালো লাগতো না।সত্যকথা বলতে নিয়ম কানুন,বাধ্যবাধকতা এগুলো আমার সয়তো না।যখন যা মন চাইত করে বসতাম।......
অথচ ছোট বেলার সেই উধ্যত আমিই আজ অন্য রকম একজন।মধ্যবিত্ত সংসারের মধ্যবিত্ত চিন্তা ভাবনা ,মধ্যবিত্ত স্বপ্ন।মাসের প্রথমে বাড়ি ভাড়ার হিসেব সঙ্গে চাল,ডাল নুনের হিসেব।
এক সময় মাকে দেখতাম,কাজের মেয়ের ৫০০ টাকা বাচাতে সংসারের সব কাজগুলো কি তৃপ্তির সাথে করতো।কোন মাসে মেহমান আসলে দু-চারদিন সংসারে ভালো মন্দ খাবার ধুম পরলেও মাসের বাকি সময়টা রেসনের ডাল আর সস্তা কিছু সবজি খেয়ে পার করতে হতো।এতো অভাবেও আমার কোন আবদার অপূর্ণ রাখতো না।হাসি মুখে বলতো ,তোর বাবা এলে এনে দিবো।শত কষ্টেও বাবাকে কখনই কিছু বলতো না মা। অথচ বাবা কিন্তু একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা।এই রকমই হলো আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েরা।
আমার কর্তা কিন্তু‘ আমার মত মধ্যবিত্ত জীবন পছন্দ করে না।ও চায় লাক্সজারিয়াস চলাফেরা,আর অনেক ক্ষমতা। যদিও আমার আর ওর অনেক ব্যাপারে মতের অমিল আছে তথাপি আমরা ভালোই আছি।মাঝে মধ্যে রাগ করে সংসার ছাড়ার কথায় আসলেও মন সেটার সায় দেয় না। কারন হলো ওই একটাই মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট,ইমোশন।
সত্য কথা হলো এই... যে সময় পরিস্থিতি মানুষকে বদলে দিলেও আমাদের মত মধ্যবিত্ত নারীদের বদলানোর কোন সুযোগ নেই । কারন আমরা নিজেরাই বদলাতে চাইনা।আমরা চাই আমাদের ভালোবাসাকে সম্বল করে আমাদের টানা পোড়নের সংসারটাকে আবার নতুন করে সাজাতে।যেমন করে আমাদের মা,বোন,মাতামেহারা এ জাবত কাল ধরে করে আসছে। তাই জগতের কেউ এই ইমোশনের দাম দিক আর না দিক আমি বলব জয় হোক মধ্যবিত্ত নারীর।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জগতের কেউ এই ইমোশনের দাম দিক আর না দিক আমি বলব জয় হোক মধ্যবিত্ত নারীর
সুন্দর বলেছেন , লিখেছেনও সুন্দর !!!
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৩
প্রলয়শিখা বলেছেন: মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্টে একটি চাপ আছে, আছে টান। মধ্যবিত্ত গ্যাড়াকলে যাদের নিত্য আবাস তারাই জানে শুধু। এর চাপে পিষ্ট হয় প্রতিনিয়ত। আবার এর টানও উপেক্ষা করা যায় না। ডুবে মরে নাকি মরে গিয়ে ডুবে তা আজও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেল!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
অমিত অমি বলেছেন: ভালো বলছেন।