নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের ভূবন

মোঃ নাজমুজ্জামান

প্রত্যেকটি মূহুর্ত নিজেকে পরিবর্তনের প্রচেষ্টায়... ফেসবুক: www.facebook.com/m.nazmuzzaman

মোঃ নাজমুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন তৃতীয় দিনেও অবরুদ্ধ

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

অবস্থা যা-ই হোক না কেন আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে তাৎক্ষণিক তরতাজা আপডেটের মাধ্যমে....



অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখায় প্রো ভিসিদ্বয় ভিসিকে মুক্ত করতে চাইলে শিক্ষকরা তাদেরকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ সময় প্রোভিসি অধ্যাপক এমএ মতিন শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, আজ ২১ আগস্ট আপনারা এদিনেও ধর্মঘট আহ্বান করেছেন’। উত্তরে শিক্ষকরা বলেন, ‘আমাদের ২১ আগস্ট শেখান, আপনার ভিসি জাসদ। আপনি কি জানেন, হু ইজ দ্য কিলার অব বঙ্গবন্ধু।’



অন্যদিকে উপাচার্য বলছেন, পদত্যাগ কোন সমাধান হতে পারে না। হাইকোর্টের রায় অমান্য করে ৬০০ শিক্ষকের মধ্য গুটিকয়েক শিক্ষক আন্দোলন করছে বলেও তিনি জানান। তবে আজ আন্দোলনের বিষয়ে ৩৭০ শিক্ষক তাদের বিবৃতি দিয়েছে।



গত বছরের ১৭ মে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির পদ ছাড়েন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে ভিসি পদে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার, ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম, মিডিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য, জীববৈচিত্র ধ্বংস, অযোগ্য প্রর্থীকে শিক্ষক নিয়োগের প্রচেষ্টা, অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ভর্তিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট ১২টি অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক সমিতি আন্দোলনে নামলে হাইকোর্টের একটি রিট আবেদনের মাধ্যমে সে আন্দোলনের ওপর রুল জারি করা হয়। এ অবস্থায় ৩০ জুলাই থেকে শিক্ষক সমিতি প্রশাসনিক ভবন থেকে অবরোধ তুলে নিলেও আওয়ামীপন্থী ও বিএনপি শিক্ষকদের নবগঠিত প্লাটফর্ম ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’ তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যায়।



বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষকরা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভিসির দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭টি ভুল তথ্য উন্মোচন করেন। এর মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে, শতাধিক শিক্ষকের আন্দোলনকে গুটিকয়েক বলে অভিহিত করা। ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখতে প্রশাসনিক ভবনে পালাক্রমে শিক্ষকরা সকাল, বিকাল ও রাতে তিন শিফটে আন্দোলন করছেন।



অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে আচার্যের হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভিসি পন্থি বাম শিক্ষকদের প্লাটফর্ম ‘শিক্ষক মঞ্চ’। ভিসির পদত্যাগ দাবিতে চলমান সর্বাত্মক ধর্মঘট প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।



বুধবার ভিসি অধ্যাপক আনেয়ার হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক এম এ মতিন, (প্রশাসন) অধ্যাপক আফসার আহমদ, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক আবুল খায়েরসহ প্রশাসনিক কর্তকর্তারা প্রশানিক ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসিকে উদ্দেশ্য করে মুখ ফিরিয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শদন করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসিকে তালাবন্ধ করতে চাইলে প্রো-ভিসিদ্বয়ের সঙ্গে শিক্ষকরা বাগবিতন্ডা হয়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষকরা।



আচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা:



বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনে আচার্য এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভিসি অধ্যাপক আনেয়ার হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতিকে এ সংকট উত্তোরনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এর কাছে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আপনাকে শিক্ষকরা অবরুদ্ধ করে রাখবে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১/১১ সময় আমি ১২দিন রিমান্ডে ছিলাম। এ অবরুদ্ধকেও আমি রিমান্ড হিসেবে নিচ্ছি। ভিসি তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‌‌‌‌‌‌যারা হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।‌‌



প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম স্থবির:



‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’ ডাকা সর্বাত্বক ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবারের মত বৃহস্পতিবারেও বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদের অধিকাংশ বিভাগে কোন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি।



আন্দোলনরত শিক্ষকদের বক্তব্য:



ভিসিকে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’র আহ্বায়ক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখব।’

কলা ও মানবিকী অনুষদেও ডীন অধ্যাপক সৈয়দ মো: কামরুল আহছান বলেন, ‘ভিসিকে নিজ কার্যালয়ে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।’ আন্দোলনরত আরেক নেতা ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করছি, বর্তমান ভিসি একজন স্বৈরাচারী উপাচার্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’





সর্বশেষ আপডেট:


আচার্য চাইলে পদত্যাগ করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। আজ শুক্রবার আন্দোলনের তৃতীয় দিনেও নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এদিকে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সর্বাত্মক ধর্মঘট চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। তবে পূর্বঘোষিত পরীক্ষা, পরিবহন ও অন্যান্য জরুরী সেবা/কাজ ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

এছাড়া বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে উপাচার্যের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আচার্যের সিদ্ধান্ত না আসলে আগামী কাল থেকে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এর আগে উপাচার্য পন্থি বাম শিক্ষকরা ও একই ধরণের বিবৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এদিকে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে উপাচার্যের পক্ষে আন্দোলনে নামতে পারে বলে জানা গেছে। যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত বুধবার সকাল এগারটা থেকে এখন পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এটা আসলে একটা রাজনৈতিক দাবানল , শিক্ষাঙ্গনে যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে তা জাতীর জন্য অমঙ্গল ছাড়া আর কিছুই
নয় ।।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

মোঃ নাজমুজ্জামান বলেছেন: শুধু অমঙ্গল নয়, একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়াটাই বিপদজনক হয়ে পড়বে।
একদল ভিসি হলে অন্যদল মানবে না।
থিউরিটা অনেকটা আম্লীক ও বিম্পীর মত........... ধন্যবাদ.......

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: DISGUSTING

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মোঃ নাজমুজ্জামান বলেছেন: উপাচার্য আন্দোলনকে মোটেও ডিসগাস্টিং ভাবছেন না। কারণ তিনি ১/১১ এ ১২ দিন রিমান্ডে ছিলেন। এই অবরোধও তার কাছে রিমান্ডের মতই মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে মিডিয়ায় তিনি তো আলোচিত সমালোচিত হচ্ছেনি......

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কাজী হান্নান বলেছেন: দিন-রাত অবরুদ্ধ জাবি উপাচার্য

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

মোঃ নাজমুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গত ২৫ বছর যাবত জাহাঙ্গীরনগরে যা ঘটছে, এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার যে পরিবেশ তা 'ভয়াবহ' ছাড়া আর কিছু নয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলকে বলতে পারি যে, যদি বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের মতই হয়, তবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা যে এতমধ্যে ধংস হয়ে গেছে তা নিশ্চিত। হয়ত কোন মহাপুরুষ এসে এখানকার মানুষকে আবার একটি শিক্ষার পরিবেশ দিবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোঃ নাজমুজ্জামান বলেছেন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের যে সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে, তাতে আমরা নিশ্চিত ভবিষ্যত যে কোন ভিসির কপালে শনির দশা আছে।
কারণ তারও বিরোধী পক্ষ থাকবে। যথারীতি তারাও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.