![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক পথিক, ঘুরে বেড়ানোই আমার নেশা, যেথায় পথের শেষ, সেথায় আমার টিকানা!
এক ভাই বিসমিল্লাহ....র গাণিতিক মান “৭৮৬” নিয়ে কিছু বুঝতে চেয়েছিলেন, এ নিয়ে কয়েকদিন গবেষণা করে যে পর্যন্ত উপনীত হয়েছি তা পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরলাম। বিস্তারিত পড়ার অনুরোধ এবং এ ব্যাপারে আর কিছু জানা থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
- কুরআনের প্রতি হরফের জন্য একটি নির্দিষ্ট মান নির্ধারণ করা হয়েছে যাকে বলা হয় ‘আবজাদ’ মান। মাদরাসা পাঠ্য পুস্তক ‘বাকুরাতুল আদব’ এর পঞ্চম পৃষ্ঠায় এবং المعجم الوسيط নামক অভিধানে উল্লেখিত নিম্ন নমুনায় আরবি অক্ষরের গাণিতিক বা ‘আবজাদ’ মানের চিত্রটি লক্ষ্য করুন।
ابجد
ابجد هوز حطى كلمن
سعفص قرشث شخذ ضظغ
ا ب ج د ه و ز ح ط ى ك ل م ن
١ ٢ ٣ ٤ ٥ ٦ ٧ ٨ ٩ ١٠ ٢٠ ٣٠ ٤٠ ٥٠
س ع ف ص ق ر ش ت ث خ
٦٠ ٧٠ ٨٠ ٩٠ ١٠٠ ٢٠٠ ٣٠٠ ٤٠٠ ٥٠٠ ٦٠٠
ذ ض ظ غ
٧٠٠ ٨٠٠ ٩٠٠ ١٠٠٠
আরবি বাক্য লেখার পদ্ধতিতে একটি অক্ষরের সাথে অন্য একটি অক্ষর মিলিয়ে লেখা হলে ঐ শব্দটি পাঠ করার সময় শব্দটির বাম পাশে হরকতবিহীন একটি আলিফ যোগ করে এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। আর অক্ষরটি বামের অক্ষরের সাথে মিলিয়ে লিখলে হরকতবিহীন আলিফকে ছোট আকারে ‘যবর’ যোগ করে অক্ষরের উপর দিলেও এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। উক্ত ছোট আলিফকে খাড়া যবর বলে। আলিফের গাণিতিক মান হচ্ছে ১। অক্ষরের উপর দেয়া ছোট আলিফের অর্থাৎ খাড়া যবরের মানও হচ্ছে ১।
আরবী অক্ষরের গণিতের মান দিয়ে কোড নম্বর লিখার পদ্ধতিটির আবিষ্কারক হচ্ছেন গ্রিসের প্রখ্যাত গণিত-বিশারদ (জ্যামিতিক) পিথাগোরাস। তিনি ছিলেন ইয়াহুদী। মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। আরবি অক্ষরের মানের হিসাব কষে বিধর্মী কর্তৃক “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর যে সংখ্যা বা মান নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো ৭৮৬।
পিথাগোরাসের প্রবর্তিত অক্ষরের মান তথা ‘আবজাদ’ মান বসিয়ে দেখা যাক بِّسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর মান কত হয়?
ب س م ا ل ل ه ا ل ر ح
৮ ২০০ ৩০ ১ ৫ ৩০ ৩০ ১ ৪০ ৬০ ২
م ن ا ل ر ح ى م
৪০ ১০ ৮ ২০০ ৩০ ১ ৫০ ৪০
অর্থাৎ
২+৬০+৪০+১+৩০+৩০+৫+১+৩০+২০০+৮+৪০+৫০+১+৩০+২০০+৮+১০+৪০=৭৮৬
পাঠকবৃন্দ! পিথাগোরাসের আবিষ্কৃত আরবি অক্ষরের গাণিতিক মান বসিয়ে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর কোড নম্বর পাওয়া গেল ৭৮৬ । আবার আপনারা আরবিতে “হরে কৃষ্ণা” هرىكرشنا লিখে উহার আবজাদ মান প্রয়োগ করুন। দেখতে পাবেন যে, এর কোড নম্বর বা আবজাদ মান দাড়াচ্ছে ৭৮৬।
ه ر ى ك ر ش ن ا
১ ৫০ ৩০০ ২০০ ২০ ১০ ২০০ ৫ =৭৮৬
অর্থাৎ ৫+২০০+১০+২০+২০০+৩০০+৫০+১=৭৮৬
লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশের অনেক মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্যাশমেমো, ভাউচার, চাঁদার রসিদ, পোস্টার, সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল প্যাড ইত্যাদি নানাবিধ দলীল বা কাগজপত্র এমনকি তাবিজের শিরোনামে ৭৮৬ কোড নম্বর লিখা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এটা পরিহার করা জরুরী।
কারণ রাসুল (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর সংখ্যা নির্ণয়ক কোন মান লিখে যাননি। এ ছাড়া তিনি তার সাহাবীগণ (রাঃ) এদের কাউকে লিখতে অনুমোদনও দেননি। সুতরাং “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর পরিবর্তে ৭৮৬ সংখ্যাটির ব্যবহার করা নি:সন্দেহে একটি বিদ‘আত।
অতএব সাবধান থাকা অপরিহার্য মনে করি এবং যাছাই-বাছাই না করে সংখ্যা তত্ত্বের হিসাব না জেনে দ্বীনি ব্যাপারে সংখ্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়, বরং আরবি শব্দ ব্যবহার করুন নতুবা নিজ ভাষায় লিখুন।
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০২
আবু আফিয়া বলেছেন: গবেষণা করে বিষয়টি অবগত করার জন্য ধন্যবাদ
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, ক্ষমা প্রার্থী দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা অবশ্যই বিদআত। তবে শর্টকাট মুসলমানদের বোঝাতে গেলে ভুল বুঝে...
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মুক্তি মুন্না বলেছেন: জি ভাই সত্যি কথা
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
নতুন বলেছেন: আরবী অক্ষরের গণিতের মান দিয়ে কোড নম্বর লিখার পদ্ধতিটির আবিষ্কারক হচ্ছেন গ্রিসের প্রখ্যাত গণিত-বিশারদ (জ্যামিতিক) পিথাগোরাস। তিনি ছিলেন ইয়াহুদী। মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। আরবি অক্ষরের মানের হিসাব কষে বিধর্মী কর্তৃক “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর যে সংখ্যা বা মান নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো ৭৮৬।
৭৬৮ বিসমিল্লাহ বলার সটকাট ব্যবহার অবশ্যই ঠিক না।
কিন্তু পিথাগোরাসকে মুসলমানের প্রকাশ্য শত্রু বলাও বিরাট আহাম্বকি...উনি যে মুসলমানের শত্রু ছিলেন তার সম্পকে` কি আপনার কাছে তথ্য আছে?
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মুক্তি মুন্না বলেছেন: তার ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বলেছি ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে, ক্ষমা প্রার্থী দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
মোঃ আলমগীর কবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, ক্ষমা প্রার্থী দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০১
হাঙ্গামা বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই এই ৭৮৬ দেখে হাসতাম, ভাবতাম মুসলমানদের এত আদিখ্যতা কোত্থেকে আসে ?
ছোট একটা লাইন "বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" কে ৭৮৬ লিখে আরো ছোট করার কোন জরুরত পড়লো বুঝি না।
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ক্ষমা প্রার্থী দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিষয় অবতারনা করেছেন।
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
আলোর পথে বিডি বলেছেন: ইসলামে "বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" কে ৭৮৬ লিখার কোন ভিত্তি নেই । ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন । অনেকেই বিষয় টি জানেনা , এখন জানলো ।
জাজাক আল্লাহ খাইরান ।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০০
মুক্তি মুন্না বলেছেন: শুকরিয়া আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫২
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।