![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক পথিক, ঘুরে বেড়ানোই আমার নেশা, যেথায় পথের শেষ, সেথায় আমার টিকানা!
পক্ষ বিপক্ষ। ইমাম আবু হানিফা র. এর ফতওয়া। শবেকদর ও আরাফা।
আমার ক্ষুদ্র খোজাখোজিতে যা পেলাম।
পক্ষে যারা।
যারা পক্ষে আছেন তাদের কোন দলীল নেই। যাও দু'একটা পেশ করার চেষ্টা করেন তাও কোমর সোজা করে দাড়াবার সামর্থ রাখে না।
আবার উনাদের যুক্তি বড় চটকদার। যে কাউকে তারা পটাতে পারেন সহজেই। কিন্তু যুক্তিতে মুক্তি নেই এটা মনে হয় তারা ভুলে গেছেন।
দু'বছর আগে একজনের সাথে আলোচনা হয়েছিল অল্পস্বল্প। চমকদার যুক্তি শূনে উনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। সৌদিআরবে যে দিন চাঁদ দেখা হয় এর আগেরদিন পৃথিবীর কোন অঞ্চলের মুসলমান চাঁদ দেখে কি না? তিনি স্বীকার করলেন হ্যা দেখে। এবং বললেন এখানে এসেই আমরা আর পেরে উঠি না।
সারা বিশ্বে এক সাথে রোযা রাখা ও ঈদ পালনের প্রবনতা এখানেই নিঃশেষ হয়ে যায় যখন বলা হয় সৌদিআরবের আগেরদিন যারা চাঁদ দেখেছে এরা কি সৌদির সাথে মিল রেখে রোযা রাখার জন্য একদিন অপেক্ষা করবে? যদি করে তাহলে চাঁদ দেখার পর তাদের উপর ফরজ হওয়া রোযার কি হবে? অথবা ঈদের চাঁদ দেখার পর সৌদির সাথে মিলে ঈদ করার জন্য অপেক্ষা করে ঈদের দিনে হারাম রোযা রাখবে কি?
এক সাথে রোযা রাখা ও ঈদ পালনকারীরা এখানে লাজবাব।
পৃথিবীর আকাশে যখন প্রথম চাঁদ উদিত হয় তখন সর্বপশ্চিমের ভূখন্ড আমেরিকার আলাস্কা ও কানাডার মুসলমানরা দেখতে পায়। এর পরের দিন দেখতে পায় সৌদিআরব।
বাস্তবতা হল পৃথিবীর মানুষ আকাশে উদিত চাঁদ দেখতে পায় তিন দিনে। প্রথম দিন পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তের লোকজন, দ্বিতীয় দিন মধ্যপ্রাচ্যের লোকজন ও তৃতীয় দিন পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তের লোকজন। একদিনে সারা বিশ্বে চাঁদ দেখা যেমনি সম্ভব নয় ঠিক তেমনি একদিনে রোযা রাখা ও ঈদ পালনও সম্ভব নয়।
সৌদিআরবে যদি প্রথম দিন চাঁদ দেখা যেত আর দাবী তোলা হত ইসলামের প্রাণ কেন্দ্র মক্কার সাথে মিল রেখে আমরা রোযা রাখব ও ঈদ পালন করব তাহলে কুরআন হাদীসকে সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে অন্তত দাবীটুকু হাতে নেয়া যেত। কিন্তু এ দাবী কুরআন হাদীস বিরোধী হওয়ায় হাতে নেয়াই সম্ভব হচ্ছে না।
এ দাবী কুরআন বিরোধী,
আলকুরআন فمن شهد منكم الشهر فليصمه-
তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায় সে যেন রোযা রাখে। বাকারা ১৮৫.
চাঁদের মাধ্যমে রমজান যারা পেল তাদের জন্য রোযা ফরজ। এভাবে ঈদের চাঁদ দেখার পর রোযা হারাম।
যারা সৌদিআরবের আগের দিন চাঁদ দেখে এক সাথে রোযা রাখার জন্য অপেক্ষা করল তারা কুরআন বিরোধী কাজ করল। এভাবে ঈদেও।
এ দাবী নিম্নের হাদীস বিরোধীও,
মুহাম্মাদ "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" এর হাদীস, আবু হুরায়রা রা. বলেন, "যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখ তখন রোযা ভেঙ্গে ফেল আর যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না যায় তবে রমযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো একইভাবে শাবানেরও"
বুখারী ১৯০৯.
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ইমাম আবু হানিফা র. এর ফতওয়া।
ইমাম আবু হানিফা র. এর মতে বিশ্ববাসী এক সাথে রোযা রাখবে ও ঈদ করবে। কথা ঠিক।
উত্তর,
সে যুগের মানুষের ধারনা ছিল পৃথিবী চ্যাপ্টা। পশ্চিমাকাশে চাঁদ উদিত হলে সারা বিশ্বের মানুষ তা দেখতে পাবে। সে ধারনায় ছিল ইমাম সাহেবের ফতওয়া।
বর্তমানে সচেতন সবার জানা পৃথিবী চ্যাপ্টা নয়, গোল। গোলাকার পৃথিবীতে একদিনে চাঁদ দেখা সারা বিশ্বে সম্ভব নয়।
মজার কথা হল, আমাদের দেশে অধিকাংশ মুসলমান হানাফি। সাধারন হানাফি মুসলমানকে ধোকা দেবার জন্য ইমাম আবু হানিফা র. এর ফতওয়া টেনে আনা হয়।
সরন রাখা জরুরি যে, ইমামরা নবী ছিলেন না। ইমামদের নিজেস্ব ফতওয়া সব যুগে সচল রাখা জরুরি নয়।
সবযুগে সচল কুরআন ও হাদীস।
আরো মজার কথা হল, যারা এ দাবীর পক্ষে তারা সহীহ হাদীস মানার দাবীদার। কিন্তু সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোযা রাখা ও ঈদ করার পক্ষে কোন দলীল পেশ করতে পারেননি। তারাই বলেন যুক্তি শয়তানী কাজ আবার তারাই যুক্তি দিয়ে এ দাবী উত্তাপন করে থাকেন।
আরো একটি মজার কথা। মাজহাব মানিনা, ইমাম মানিনা, সহীহ হাদীস ছাড়া কিছুই বুঝিনা বলে যারা শ্লোগান দেন তারা দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের মাঝেই চলছে চরম বাহাছ বিতর্ক। জানা মতে এ পর্যন্ত বিপক্ষরাই বিজয়ী। অবশ্য সুযোগে ইমাম আবু হানিফা র. এর নাম ব্যবহারে কেউ কার্পন্য করেন না।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
শবেকদর ও আরাফা।
যাদের যখন রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত তখন তাদের শবেকদর। নো টেনশন। রহমত, মগফিরাত ও নাজাতের ফয়সালা হয় এমন এক জগতে যেখানে দুনিয়ার মত দিন রাত্রি নেই। দুনিয়াতে চাঁদের হিসাবে যখন যেখানে শবেকদর, রহমত বর্ষিত হয় সেখানে বেকদর।
এভাবে আরাফার দিন। চন্দ্র সূর্যের ঘুর্নায়নে যেদিন যেখানে যাদের ৯ জিলহজ্ব সেদিন সেখানে তাদের আরাফার ফজিলত।
বিপক্ষে যারা,
যারা বিশ্বব্যাপী এক সাথে রোযা ও ঈদ পালনের বিপক্ষে তাদের দলীল অকাট্য। যাদের দলীল আছে তাদের মতামত গ্রহন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাতস্তবতাটি বুঝার তৌফিক দিন। আমীন
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
মুক্তি মুন্না বলেছেন: আইচ্ছা!
২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: দেখি অন্য সবাই কী বলে।
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
মুক্তি মুন্না বলেছেন: সবাই তো যার যার মত লিখবে, আপনি আপনারটা লিখুন ভাই।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪২
কিশোর মাইনু বলেছেন: এ প্রশ্নটি আমার মনে অনেক আগেই উদয় হয়েছিল যে আমরা একদিন পর ঈদ করব কেন।
অবশেষে আপনার পোস্টে গ্রহণযোগ্য জবাব খুজে পেলাম মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই।
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
মুক্তি মুন্না বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫২
chetamal বলেছেন: আমার কথা হলো সৌদির সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য ৩ ঘন্টা, আমরা কেন ২৪ ঘন্টা পিছিয়ে ঈদ বা রোজা শুরু করি। একদিন পর ঈদ কেন?
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
মুক্তি মুন্না বলেছেন: কেন সেটা পোস্টেই আছে ভাইজান!
৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫২
সনেট কবি বলেছেন: এরপরো না বুঝলে বুঝতে হবে এদের বুদ্ধি নেই।
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
মুক্তি মুন্না বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কবি সাহেব।
৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কারণ পৃথিবী গোলাকার