![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক পথিক, ঘুরে বেড়ানোই আমার নেশা, যেথায় পথের শেষ, সেথায় আমার টিকানা!
'সাহাবিরা মিয়ারে হক' বিষয়ে উসুলী বা মৌলিক কয়েকটা কথা মাথায় রাখতে পারেন। এই পয়েন্টগুলো পুরো বিষয়টাকে অল্প কথায় আপনাকে একটা স্বচ্ছ ধারণা দিবে। সেগুলো হলো-
- যারা সাহাবিদেরকে মিয়ারে হক মনে করে, তারা সাহাবিদের সামগ্রিক জামাতকে (মাজমুঈ হাইসিয়ত) উদ্দেশ্য নেয়। একক ব্যক্তি (ফরদান ফরদান/ইনডিভিজুয়ালি) তাদের উদ্দেশ্য থাকে না। কিন্তু যারা একে অস্বীকার করে, তাদের দলিলগুলো একক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
- খেয়াল করলে দেখবেন, 'সাহাবায়ে কেরাম মিয়ারে হক' কথাটা এভাবে বলা হচ্ছে। সাহাবা ও কেরাম দুইটাই বহুবচনের শব্দ। এটাও প্রমাণ করে যে, একক কোন ব্যক্তি সাহাবীকে মিয়ারে হক ধরা হয় না; বরং তাদের সামগ্রিক জামাতকে ধরা হয়। কুরআনেও সেভাবেই বহুবচনে বলা হয়েছে- বি মিসলি মা আমানতুম/কামা আ⁻আমানাননাসু... যেটা নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়; বরং তাদের জামাতকে ইঙ্গিত করে।
- একক ব্যক্তি সাহাবির কোন ক্রুটিকে দেখিয়ে সাহাবিদের মিয়ারে হক হবার দাবীকে নাকচ করা মূলত 'মিয়ারে হক' বলতে কী বুঝানো হচ্ছে, সেটা না বুঝেই কথা বলা। কেননা যারা সাহাবীদের মিয়ারে হক বলেন, তারাই আবার সাহাবিদের নিষ্পাপ বা মাসুম মনে করে না।
- 'সাহাবিরা মিয়ারে হক' এর মানে এই নয় যে, তারা কোন পাপ করলে আমাদেরকেও সেই পাপ করে তাদের অনুসরণ করতে হবে। বরং পাপ হয়ে যাবার পর তারা যেভাবে অনুতপ্ত হয়েছেন, যেভাবে তওবা করেছেন আমরাও কোন পাপ হয়ে গেলে সেভাবে অনুতপ্ত হবো, তওবা করব এটা হলো আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
- সহজ কথায় 'সাহাবিরা মিয়ারে হক' এর মানে হলো, তারা যেভাবে দ্বীন বুঝেছে, দ্বীন মেনেছে, ঈমান এনেছে, আমল করেছে সেভাবেই দ্বীন পালন করা। তাদেরকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু না বানানো। তাদেরকে ভালোবাসা ও তাদের প্রতি বিদ্বেষ না রাখা।
- মুনকিরীনে হাদীস বা হাদীস অস্বীকারকারী বলে আমরা যাদের ডাকি, তারা যেমন সকল হাদীসকে অস্বীকার করে না, তেমনি সাহাবী বিদ্বেষী হতে হলে সকল সাহাবীর প্রতি বিদ্বেষী হওয়া জরুরি নয়। একজন সাহাবির প্রতিও যদি কেউ বিদ্বেষ রাখে, তাহলেই সে মুবগিযে সাহাবী বা সাহাবী বিদ্বেষী হবার জন্য যথেষ্ট।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
মুক্তি মুন্না বলেছেন: সাহাবায়ে কেরাম মিয়ারে হক (সত্যের মাফকাঠি)
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতে (বাতিল ছাড়া)
সকল সাহাবী- ই ইমান, আমল,আদর্শ সকল ক্ষেত্রেই সত্যের মাপকাঠি ও মিয়ারে হকের দণ্ডে উত্তীর্ণ ।
ইমানের ক্ষেত্রে তারা সত্যের মাপকাঠি।
তার দলিল হল। কুরআনের আয়াত
واذا قيل لهم آمنواكما آمن الناس (الأية)
অর্থাৎ যখন তাদেরকে বলা হয় এই লোকেরা যেমন ইমান এনেছে, তোমরা ও তদ্রূপ ইমান আন।( সুরা বাকারাহ'র আয়াত ১৩)
মুফতি আযম মুফতি মুহাম্মদ শফি ( রহঃ) তদীয় বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ মা'আরেফুল কোরআনে লিখেছেন যে, সকল মুফাণসসির এ বিষয়ে একমত যে,বক্ষমান আয়াতটিতে الناس বলে সাহাবায়ে কেরামকেই বোঝানো হয়েছে।কারণ কুরআন অবতরণ কালে কেবল তারাই ছিলেন ইমানদার ।আর এ আয়াত ঘোষিত হয়েছে, আল্লাহর দরবারে ইমান সেটাই গ্রহণ যোগ্য যেটা সাহাবায়ে কেরামের ইমানের অনুরুপ ।
প্রমাণিত হলো, সাহাবায়ে কেরামের ইমান ইমানের মাপকাঠি।
উম্মতের অন্য সকলের ইমান কে মাপা হবে সাহাবায়ে কেরাম এর ইমানের নিক্তিতে। যার ইমান সাহাবায়ে কেরামের ইমানের মাপে উত্তীর্ণ হবে, সেই হবে যথার্থ ইমানদার।
আর যার ইমান এই মাপে উত্তীর্ণ হবে না, তার ইমান ও যথার্থ বলে বিবেচিত হবে না।
কুরআনের আয়াত j
فإن آمنوا بمثل ماآمنتم به فقداهتدوا- وإن تولوافإنما هم في شقاق
অর্থাৎ তারা ইমান আনে যেমন তোমারা ইমান এনেছ,তাহলে তারা হেদায়েত পেল,আর যদি বিমুখ হয়ে যায়, তাহলে তারা সুদূর বিরোধে রয়েছে ( সুরা বাকারাহ'র ঃ১৩৭)
সুতরাং যখন প্রমানি হলো যে সাহাবায়ে কেরাম ( রাঃ) ইমান, আমলও আদর্শের মাপকাঠি তখন
এ টা ও প্রতিভাত হলো যে সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি।
কেননা সত্য ইমান ও আমল এর বাহিরে অন্য কিছু নয়।
(এই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আকিদা)
এর বাহিরে যারা ভিন্ন আকিদা পোষণ করবে,তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা পোষণ করে নাই, বরং তারা বাতেল আকিদা পোষণকারী,
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: সাহাবীর সংজ্ঞা কি?
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টের সাথে সহমত
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:২৯
মুক্তি মুন্না বলেছেন: 'সাহাবী' শব্দটি আরবী ভাষার 'সুহবত' শব্দের একটি রূপ। একবচনে 'সাহাবী' (صحابي) এবং বহুবচনে 'সাহাবাতুন' (صحابة) ও 'আসহাব' (اصحاب) ব্যবহৃত হয়। আভিধানিক অর্থ সঙ্গী, সাথী, বন্ধু, অনুসারী, সহচর, এক সাথে জীবন যাপনকারী অথবা সাহচর্যে অবস্থানকারী। ইসলামি পরিভাষায় 'সাহাবা' শব্দটি দ্বারা মুহাম্মদের (সাঃ) সঙ্গী-সাথীদের বুঝায়।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৩০
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
মুক্তি মুন্না বলেছেন: সাহাবায়ে কেরাম মিয়ারে হক (সত্যের মাফকাঠি)
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতে (বাতিল ছাড়া)
সকল সাহাবী- ই ইমান, আমল,আদর্শ সকল ক্ষেত্রেই সত্যের মাপকাঠি ও মিয়ারে হকের দণ্ডে উত্তীর্ণ ।
ইমানের ক্ষেত্রে তারা সত্যের মাপকাঠি।
তার দলিল হল। কুরআনের আয়াত
واذا قيل لهم آمنواكما آمن الناس (الأية)
অর্থাৎ যখন তাদেরকে বলা হয় এই লোকেরা যেমন ইমান এনেছে, তোমরা ও তদ্রূপ ইমান আন।( সুরা বাকারাহ'র আয়াত ১৩)
মুফতি আযম মুফতি মুহাম্মদ শফি ( রহঃ) তদীয় বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ মা'আরেফুল কোরআনে লিখেছেন যে, সকল মুফাণসসির এ বিষয়ে একমত যে,বক্ষমান আয়াতটিতে الناس বলে সাহাবায়ে কেরামকেই বোঝানো হয়েছে।কারণ কুরআন অবতরণ কালে কেবল তারাই ছিলেন ইমানদার ।আর এ আয়াত ঘোষিত হয়েছে, আল্লাহর দরবারে ইমান সেটাই গ্রহণ যোগ্য যেটা সাহাবায়ে কেরামের ইমানের অনুরুপ ।
প্রমাণিত হলো, সাহাবায়ে কেরামের ইমান ইমানের মাপকাঠি।
উম্মতের অন্য সকলের ইমান কে মাপা হবে সাহাবায়ে কেরাম এর ইমানের নিক্তিতে। যার ইমান সাহাবায়ে কেরামের ইমানের মাপে উত্তীর্ণ হবে, সেই হবে যথার্থ ইমানদার।
আর যার ইমান এই মাপে উত্তীর্ণ হবে না, তার ইমান ও যথার্থ বলে বিবেচিত হবে না।
কুরআনের আয়াত j
فإن آمنوا بمثل ماآمنتم به فقداهتدوا- وإن تولوافإنما هم في شقاق
অর্থাৎ তারা ইমান আনে যেমন তোমারা ইমান এনেছ,তাহলে তারা হেদায়েত পেল,আর যদি বিমুখ হয়ে যায়, তাহলে তারা সুদূর বিরোধে রয়েছে ( সুরা বাকারাহ'র ঃ১৩৭)
সুতরাং যখন প্রমানি হলো যে সাহাবায়ে কেরাম ( রাঃ) ইমান, আমলও আদর্শের মাপকাঠি তখন
এ টা ও প্রতিভাত হলো যে সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি।
কেননা সত্য ইমান ও আমল এর বাহিরে অন্য কিছু নয়।
(এই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আকিদা)
এর বাহিরে যারা ভিন্ন আকিদা পোষণ করবে,তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা পোষণ করে নাই, বরং তারা বাতেল আকিদা পোষণকারী,