![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে অমানবিক অসংখ্য পেশার ভিতর রিক্সা চালানো অন্যতম। একজন মানুষকে তার পায়ের শক্তি বিনিয়োগ করে একজন অথবা একাধিক ব্যক্তিকে বহন করে নিয়ে যায় এক স্হান হতে অন্য স্হানে। শারীরিক শক্তি ব্যয় করে একজন তার পরিবারের মুখে আহার তুলে দিচ্ছে হয়ত পড়াশুনার ব্যয় নির্বাহ করছে ছেলে মেয়ের। এটা ভাবতেই শ্রদ্ধায় মাথা নতো হয়ে আসে। এজন্য একরকম সহানুভূতিও কাজ করে। তবে রাস্তা ঘাটে অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীর সাথে চালকের বাদ বিবাদ। কখনো ভাড়া নিয়ে কখনো বা অন্য কোন আচরনে। আমার সামনে বেশ কয়েকটা এমন ঘটনা পড়েছে। সঠিক ঘটনা না দেখতে পারলেও কেন জানি রিক্সা চালকের পক্ষ নিতে মন চায়। বেচারা গরীব মানুষের সাথে দু চার টাকা নিয়ে বিবাদ না করলেই কি নয়। তবে ক্রমাগত কিছু ঘটনা আসলে প্রকাশ করে যে তারাও কম দোষী নয়। এদের আসলেই উপযুক্ত শাস্তি দেয়া উচিত।
:
ঘটনা এক
"""""""""
এক রিক্সায় অনেক জিনিস পত্র নিয়ে যাচ্ছে । ভাঙা রাস্তায় রিক্সায় রাখা মালামালের বর্ধিত অংশের খোচায় এক পথচারীর গেন্জী সামান্য ছিঁড়ে যায়। তবে পথচারীর প্রতিক্রিয়া সামান্য ছিল না । রিক্সাওয়ালাকে মারধর করার পাশাপাশি পকেটের পুরো টাকাটা রেখে দিয়েছিল। অসহায়ের মতো বলেছিল স্যার টাকাটা নিয়ে নিলে আমি খুব বিপদে পড়বো দয়া করে আমায় মাফ করে দিবেন। অশ্রু সজল চোখ জোড়া দেখে মায়া হয়েছিল কিন্তু পথচারী যে নির্দয়...
:
ঘটনা দুই
""""""""
বিকেল বেলা না যেন সন্ধ্যা। শপিং করে ভাইয়ের সাথে বাড়ি ফিরছি। একটা কাঁচা বাজারের পাশ দিয়ে আসার সময় রিক্সাওয়ালাকে বললাম বাজারের ভিতর আস্তে চালান। সে বে পরোয়া ফলাফল এক পথচারীর গায়ের জামা রিক্সার সাথে বেধে পুরো ছিড়ে গিয়েছে খানিকটা অংশ রিক্সা বহন করেও এনেছে। জনতা রিক্সাওয়ালাকে ধরে মার ধর করে টাকা আদায় করতে গেলে ভিক্টিম পথচারী বলে ছেড়ে দাও গরীব মানুষ। অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ার মতো উদারোতা সবার থাকে না।
:
ঘটনা তিন
"""""""""
দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রিক্সা আর মোটর সাইকেলে হালকা ভাবে সংঘর্ষ হয়। ক্ষমতা থাকায় মোটর সাইকেল ওয়ালা ক্ষতিপূরন আদায় করল তার কাছ থেকে। এখানেও রিক্সা ওয়ালার করুন চাহনি
:
ঘটনা চার
"""""""""
ভদ্র পোষাক পরিহিতা এক মেয়ে একা একা ফিরছে তার গন্তব্যে। হঠাত্ দ্রুত গতিতে এক রিক্সাওয়াল মেয়েটির গা ঘেসে গেল এবং বিকৃত মানসিকতায় স্পর্শ করল শরীর। বাবার বয়সি একজনের কাছ থেকে এমন আচরনে তীব্র ঘৃনা আর অসহায়ত্বে মেয়েটি নির্বাক। কিন্তু হঠাত্ই যেন অগ্নি মূর্তি ধারন করল। রিক্সাচালকে আবার ফিরে আসতে দেখে পার্শ্ববর্তী একজনের কাছ থেকে ছাতা ছিনিয়ে নিয়ে আঘাত করল। যদিও ন্যায বিচার হয়নি তবে প্রতিবাদটা ভাল লেগেছে। যদিও ছাতা ভেঙেযাওয়ায় মুসলেকাও দিতে হয়েছে। তবে মেয়েটি চাইলে হয়ত সবাইকে বলে আরো মারতে পারতো তবে এতে মেয়েটির সম্মান বাড়তোনা বরং কমতো ।
:
সব রিক্সাওয়ালা এক নয় তবে অমানুষ গুলোকে অবশ্য শিক্ষা দেয়া উচিত।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক ঠিক!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: বাস্তব ঘটনার জন্য ধন্যবাদ