নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশীর ভাগ মানুষ স্বার্থপর

তাশফিয়া নওরিন

শখের বসে লেখালিখ.....ছাত্রী আমি সদাই শিখি

তাশফিয়া নওরিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুশফিক লিটন দাসের ইস্যু একই সুত্রে গাঁথা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

দুর্গা পূজা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল না। কি বা লিখবো ?
শারদীয় শুভেচ্ছা জানানো বৈধ নয়। পূজা দেখতে মন্দিরে যাওয়া যাবে না। পূজার প্রসাদ খাওয়া হারাম।
এসব ?
প্রকৃত মুসলিমদের বলার দরকার হয়না তারা নিজেরাই বাঁচার তাগিদে ফতওয়া খুজে নেয়। আর যারা মানবেনা বলে শপথ করেছে তাদের শত বোঝালেও কাজ হবে না। কোন না কোন যুক্তি দিয়ে তারা শুভেচ্ছা জানানো, পূজায় যাওয়া, প্রসাদ খাওয়া বৈধ করে নিবে।
সর্বপোরী ঈমানটা হারাবে।
তারপরও যারা বলেছেন তারা উত্তম কাজ করেছেন, কেউ মানুক আর না মানুক আপনার দায়িত্ব ছিল দাওয়াত দেয়া আপনি সে কাজটুকু করেছেন।
আমাদের সমাজে একটা গল্প প্রচলিত আছে কিছুটা এমন...
"কোন একটা বিষয়ে এক ব্যক্তি ঘোষনা দিয়েছে তাকে যদি কেউ উক্ত বিষয় বোঝাতে সমর্থ হয় তবে তাকে তার সব সম্পত্তি লিখে দিবে। এটা শুনে তার বউ তো মহা টেনশনে। যথারীতি জামাইকে বলল তুমি যা ঘোষনা করছো তা ফিরিয়ে নাও কেননা একদিন না একমাস একজন নয় দশজন বিশজন মিলে যদি তোমাকে বোঝায় তবে তুমি তো বুঝে যাবে, তখন সব সম্পত্তি তো দিয়ে দিতে হবে। তখন আমাদের কি হবে? তার থেকে বরং তুমি ঘোষনা ফিরিয়ে নাও। ঐ লোকের উওর ছিল আমি বুঝবোনা, তো আমাকে কে আছে যে বোঝাবে.?
আমাদের বেশির ভাগ মানুষের চিন্তার পরিধি ঐখানে থেমে আছে আমি বুঝবোনা কে আছে যে বুঝাবে?
আর এজন্য হয়ত আল্লাহ স্পষ্ট ঘোষনা দেয়ার পরও অনেকেই বুঝতে চায় না আবার উল্টা বুঝেও শিরকে লিপ্ত হয়। সুরা কাফিরূনের রেফারেন্স দিয়েই আবার যুক্তি দেখায়। কিন্তু এটুকুও জানেনা কেন কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সুরা নাযিল হয়েছিল। এরা অজ্ঞতার এমনই নিম্নস্তরে বসবাস করেছে যে এরা জানেনা মুহাম্মাদ সাঃ ঘোষনা দিয়েছিলেন যেখানেই মুর্তি এবং উঁচু কবর দেখবে ভেঙে ফেলবে।
কা'বা ঘরের মূর্তি ভাঙার কাহিনীও হয় জানতে পারেনি।
আসলে আমার আজ এবিষয়ে বলার ইচ্ছা ছিলনা কথার প্রসঙ্গে আসল তাই বললাম।
এখন মুল কথায় আসি আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টিমের একজন সম্মানিত খেলোয়াড় লিটন দাস তার ফেসবুক পেজে একটি ফটো পোষ্ট করেছেন ও বলতে ভুলে গিয়েছি শারদীয় দূর্গা পুজার শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দেবী দূর্গার ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে ছিল।তো সেখানে এক মুসলিম ভাই ( কারো ভাষায় আক্রমনকারী ) লিটন সাহেবের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য করে বলে,

“দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি হলেও মনুষ্যত্ব ১৭ হাজার মানুষেরও নাই। আমি সেই সব মানুষদের বলছি যাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার উদ্দেশ্য থাকে মানুষকে বাজে মন্তব্য করা।গতকালের একটি পোস্ট ছিল যেখানে সকলকে পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, কিন্তু আপনাদের কিছু কিছু মন্তব্য সত্যি অনেক বেদনাদায়ক। আমার সব থেকে বড় পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশি, এখানে ধর্ম আমাদের বিভেদ করতে পারে না। যারা এখনও এসব বিষয়ে বাড়াবাড়ি করেন আমি তাদের বলছি, দয়া করে আমার কোন পোস্টে মন্তব্য করবেন না।” (জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস )
..
ভাইটি বিতর্ক তৈরী করার জন্য বলেছেন নাকি ক্ষোভ থেকে বলেছেন জানিনা। তবে নিয়ত শুদ্ধ থাকলে অবশ্যই প্রতিদান পাবেন। তবে দাওয়ার কাজ এভাবে না করলেও পারতেন।
হ্যা আমার কথায় স্পষ্ট আমি লিটন দাসের বদলে বরং আক্রমনকারীর পক্ষেই। একমাত্র পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ ব্যাপারটা একটু হাস্যকর আমি যেহেতু কোনটাইনা সুতরাং এক পক্ষ তো নিতেই হবে। এক্ষেত্রে লিটন দাসের অপেক্ষা মুসলিম ভাইটি অধিক হকদার। কারণ সে যেভাবেই বলুক হক্ব বলেছে। আরে লিটন দাস ছাহেবের প্রতিক্রিয়া জানবেন না তা কি হয়। তিনিও স্কিনশটহসহ লিখেছেন, ফেসবুকে
তার লেখা পড়ে হঠাত্‍ করেই মুশফিক ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল আমার। যে ভাইটি নিজ ইমেজ আর জাতীয়তাবাদ রাখতে গিয়ে ঘুরিয়ে পেচিয়ে ধর্মকে হেয় করতেও পিছ পা হয়নি। যদিও যৌক্তিক কারণ দেখাতে গিয়ে তিনি খোড়া যুক্তি প্রদর্শন করে ফেলেছেন। তার একটা লাইনে খেয়াল করুন
"ছবিটি কোন জাতিকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করতে পোষ্ট করা হয়নি। যেহেতু ভক্তদের মাঝে অনেকেই অনেক দেশ ধর্ম ও জাতির অন্তর্ভুক্ত তাই সবার কথা বিবেচনায় এনে ছবিটি সরিয়ে দেয়া হলো।"
আহরে ভক্তদের প্রতি কি টান আমার ভাইয়ের। যে টানে সে ছবি সরিয়ে ফেলেছে। এর বিন্দুমাত্র টান যদি ইসলামের প্রতি দেখিয়ে সব ছবি রিমুভ করে বলতো যে ইসলামে অযথা ছবি দেয়া বৈধ নয় এজন্য সরিয়ে নিলাম তাহলে হয়ত ভাল হতো।
তবে মুশফিক ভাই ভক্তদের কথা ভাবলেও নতুন নতুন তারকা খ্যাতি পাওয়ারা তা ভাবতে পারেন নি এজন্য ভক্ত সমালোচকদের নিয়েই তাদের খাটো করে সরাসরি পোষ্ট করেছেন। আবার কিছু পেজ তা প্রোমট করছে। মুশফিকের বেলায় যারা মুশফিকের সমালোচনা করেছিল লিটনের বেলায় তারা দাসের পক্ষে। তবে মিল হলো দু অবস্হাতেই তার ইসলামের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের মুসলমানদের ভাবনার দরজাটা একটু ফাক করুন,
আকাশটাকে দেখুন মুক্ত তথ্য নিয়ে আপনার অপেক্ষায়।
আর কতকাল না বুঝে জাল ফতওয়া দিবেন। মনে রাখবেন রাসূল সাঃ এর নামে মিথ্যা বলার পরিনাম জাহান্নাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ধর্মান্ধ নয়, ধার্মিক হওয়া উচিৎ। এবং অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে সন্মান জানাতে না পারলেও অসন্মান করার অধিকার কারোই থাকা উচিৎ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.