![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুসলিমের দাম্পত্য জীবনের সূচনা হয় বৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমে। বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন জীবনের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ভুল হলে সংসার জীবন হয়ে উঠে বিষাদময়।
বিবাহের পূর্বে
ইয়াহুদীদের প্রধান বিবেচ্য, "অর্থ"
খৃষ্টানদের প্রধান বিবেচ্য, "সৌন্দার্য"
হিন্দুদের প্রধান বিবেচ্য, "বংশ" আর
মুসলিমদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, "তাকওয়া" বা "আল্লাহ ভীতি"।
::
বিবাহের ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা উচিত। পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের পর দ্বিতীয় যে, বিষয়টি প্রাধান্য পাবে তা হল, মহোরানা। সামর্থ্য অনুযায়ী পাত্র-পাত্রীকে মহোরানা নগদে প্রদান করবে। বাকীতে নয়। দেন মহোরানা নয়। বিশাল একটা অংক মহোরানা ধার্য হলো, অথচ নগদ প্রদান করা হলো সামান্য আর বাকী রইল বেশিটাই, এটা বৈধ নয়।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম নগদ মহোরানা প্রদান করতেন, সমর্থ অনুযায়ী। কাবিনও নয়, দেন মহোরানাও নয়।
অথচ আজকের সমাজে এটা একটা অনৈতিক ব্যাধিরূপে প্রচলিত। মহোরানা হল স্ত্রীর ইজ্জত, অধিকারের পবিত্র সনদ এবং স্ত্রীর হক। হককে না হক (বঞ্চিত) করলে তার সাথে সহবাস বৈধ নয় এবং এর পরিনতিও সুখকর নয়। সমাজে এই গুরুত্বপূর্ণ অবহেলিত বিষয় টিকে, বিবেচনায় আনতে হবে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কেননা অধিকাংশই বাকী মহোরানার দলে। নগদ আদায়ের সংখ্যা নগণ্য।
বিবাহ অনুষ্ঠানে খুতবা হবে, কিন্তু মিলাদ হবেনা। আর নব বধুকে সাজিয়ে প্রদর্শনীর জন্য বসিয়ে, ফটো বা ভিডিও বা অন্যকে দেখানোর জন্য পত্র পত্রিকায়ও প্রকাশ করা যাবেনা। এসকল কাজ মুসলিম হিসাবে জায়েয নয়।
::
বিবাহের দিন বা পরের দিন পাত্রের বাড়ীতে অলিমা খানার ব্যবস্হা করতে হবে, সামর্থ্য অনুযায়ী, যা সুন্নাত ও বারাকাতময়। কিন্তু তৃতীয় বা অন্য কোন দিবসে নয়। তাহলে সেটা বৌভাত হবে, অলিমা হবেনা। সুন্নাত ও বারাকাত হবেনা। আজকাল ঘটা করে বৌভাত করা হয় যা অন্য ধর্মের অনুকরন মাত্র। অলিমা অর্থ মুসলিমদের বৈবাহিক ভোজ, বিবাহ উত্সবে প্রদত্ত ভোজ।
->রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাইনাব বিনতে জাহাশকে যখন বিয়ে করলেন, তখনই অর্থাত্ দ্বিপ্রহরে লোকজনকে অলিমার দাওয়াত খেতে দেন এবং তা ছিল রুটি গোশত।
এমন খানা আর কোন সহধর্মিণীর বিয়েতে তিনি দেননি এবং যেদিন বিয়ে সেই দিনই অলিমা ছিল।
(মুসলিম-৩৩৬৭)
::
->সবচেয়ে মন্দ খাবার হল ঐ অলিমার খাবার, যেখানে শুধু ধনীদের দাওয়াত করা হয় এবং গরীবদের উপেক্ষা করা হয়। আর যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহন করেনা সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবাধ্যতা করে। (ইবনে মাজাহ)
*-কিন্তু আমাদের দেশে এক ভিন্ন রেওয়াজ প্রচলিত। বিয়ে হয়ে গেলে তারপর সুযোগ সুবিধামত খানাপিনার ব্যবস্হা হয়। কিন্তু এ ধরনের লোক দেখানো খানা খেতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন।
(তিরমিযী ১০৯৭)
:
বস্তুতঃ মুসলিমের কোন ইবাদত (যথা সালাত সিয়াম হাজ্জ যাকাত দান খাইরাত কিংবা জিহাদ বা অন্যান্য যা কিছুই হোক না কেন ) লোক দেখানো কিংবা প্রদর্শনী ও নাম কেনার জন্য হলে তাতে কোন সাওয়াব নেই বরং পাপ ও আযাব রয়েছে।
অথচ যদি অলিমা খানা ধনী দরিদ্র সকলকে নিয়ে মহানাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসৃত নিয়মে করা যায় তাহলে প্রভূত কল্যাণ ও সাওয়াব পাওয়া যাবে।
ইসলামী শারীয়াত মতে বিয়ের অনুষ্ঠান খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি ব্যাপারে যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে, বর অথবা বরের অভিভাবক।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করুন।
::
সূত্রঃ দীন ইসলাম এর জানা অজানা
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Bujlam
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইয়াহুদীদের প্রধান বিবেচ্য, "অর্থ", আরব মুসলমানদের বিয়ে মানে অর্থ, ও অনর্থ
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Ek mot
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ইয়াহুদীদের প্রধান বিবেচ্য, "অর্থ"
খৃষ্টানদের প্রধান বিবেচ্য, "সৌন্দার্য"
হিন্দুদের প্রধান বিবেচ্য, "বংশ" আর
মুসলিমদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, "তাকওয়া" বা "আল্লাহ ভীতি"।
দারুণ কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Wc
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
জাহিদ নীল বলেছেন: দারুণ কিছু জানা হলো।
but blog jurea bia r post valoi asce dakce
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Apnio ekta diacelan tho :p
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবে, টাকার অভাবে মানুষ বিয়ে করতে পারে না।
বাংলাদেশে, মেয়ে বিয়ে দিতে মানুষ ফকির হয়ে যায়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Jaoutuk protha amader gharea darun vabea chapea boscha, na namaita parla vugtaee hobe
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
সাবলীল মনির বলেছেন: সুন্দর ভাবনার প্রকাশ, ভাল লাগল ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Tnx
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ইয়াহুদীদের প্রধান বিবেচ্য, "অর্থ"
-তাই নাকি? ওদের সবকিছুর শুর হয় শিক্ষা থেকে, ওদের বিয়ে সঠিকভাবে হয়।