নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশীর ভাগ মানুষ স্বার্থপর

তাশফিয়া নওরিন

শখের বসে লেখালিখ.....ছাত্রী আমি সদাই শিখি

তাশফিয়া নওরিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

না বলা কথা

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

বরাবরই মানুষের জীবন অমীমাংসিত আকাশের মত। যার শেষটা মৃত্যুর হাতছানিতে শেষ হয়। ঝকঝকে রোদেলা কখনো, কখনো আবার মেঘলা ঝড় হাওয়ায়, কখনো ঝরে পরে টুপটাপ বৃষ্টি, মাঝে মাঝে ভেসে আসে পূর্ণিমার চাঁদের মাধুর্যতা।
কেন এই আকাশ ??
প্রশ্নবান ছুড়ে দিয়ে নিজেই উওর খুজতাম।
ভোরের আকাশ এক বার্তা নিয়ে আসে, দুপুরে বাড়ে ব্যস্ততা। সন্ধ্যায় সারাদিনের হিসাব নিকাশ করে গভীর রাতের অপেক্ষা।
এভাবেই আলো আধারিত মানুষের জীবন কেটে যায়
এক পর্ব শেষ করে ধাবিত হয় অজানা নতুন গন্তব্যের পথে নিবিড় আলিঙ্গনে।

যে মানুষটার ভালবাসায় সিক্ত হয়ে জ্যোসনার আলোয় উদ্ভাসিত হতে সমর্পিত করেছিলাম হ্নদয়ের স্পন্দন। আজ তাকে বলতে না পারা,
না বলা কথা গুলো বলবো কল্পনা বিবর্জিত নিষ্ঠুর বাস্তবতায়।
দশ বছরের স্কুল জীবনের ইতি টেনে ভবিষত্ গড়ার স্বপ্নে আর এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজ জীবনের যাত্রা শুরু। বাবা মা সরকারী কলেজে ভর্তিতে রাজি ছিল না। কারণ প্রতি নিয়ত সেখানে শোনা যায় অস্ত্রের ঝনঝনানি আর নির্যাতিতের আত্মচিত্কার।
ভেবে ছিলাম ভালবাসাহীন শূন্য বুকে ভালবাসার পূর্ণতায় পূর্ণ করার কারিগড়ের দেখা হয়ত পাবো।
প্রত্যাশার ভাবনায় পাওয়ার মিলন ঘটে। স্কুল জীবন থেকে যাকে নিয়ে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখছি বলতে চেয়েছিলাম জীবনের শেষ মুহুর্তে অন্তিম সূর্য একসাথে দেখবো।
কিন্তু না, যেমন হঠাত্ করেই তার দর্শন পেয়েছিলাম তেমনই আবার হারিয়ে যায়। কলেজের প্রথম দিনেই ছেলেটাকে আবার দেখতে পাই।
আমরা একই ক্লাসে ভেবে অনেক ভাল লাগে, যা বলে বোঝাতে পারবো না।
এবার বিদ্রুপ আর দ্বিধাদ্বন্দের বাধা পেরিয়ে ছুটে যাই,
প্রথা বিরোধী হয়ে দাড়াই মুখোমুখি।
কিন্তু না কিছু বলা হয় না আজও জানা হয় নামটি।
সামনে দাড়িয়ে যেন সমস্ত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
পাথরের মূর্তির মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। কিছু বলার বা করার নেই। নিশ্চুপ কেটে যায় কয়েকটি মুহুর্ত। তারপর ফিরে আসি আর ছেলেটিও চলে যায় তার নিজেস্ব গন্তব্যে।

এরপর প্রতিদিন কলেজে আসতাম ছেলেটিকে একটু খানি দেখার জন্য। না সে আসেনি।
আমার জন্য তার সময় নেই। সে স্লোগান আর বক্তব্যে মঞ্চ কাঁপাতে ব্যস্ত।
অনেক দিন পর আবার পেয়েছি তাকে। যেভাবে হোক এবার বলতেই হবে
সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি কিছু মুহুর্ত। সেও তাকিয়ে আমার পানে। কারো মুখে কোন কথা নেই। মায়ার জাল বিছিয়ে ক্লান্ত স্বরে ভালবাসার মোহে এবার উদ্বেগি হয়ে অস্ফুট স্বরে কি যেন বলতে চায়। না সে ও কিছু বলতে পারেনি। তার দলের ছেলেকে কে যেন মেরেছে শুনেই ছুটেযায়। অভিমান হয়। আমার থেকে ওরা ই কি বেশি প্রিয়.? নামটা তো বলে যেতে পারতো।
একটার পর একটা ক্লাস শেষ হতে থাকে। কিন্তু না ছেলেটি আর আসে না।
হঠাত্ হুলুস্থুলের শব্দ শোনা যায়।
কলেজে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। নাকে আসে বারূদের গন্ধ শোনা যায় অস্ত্রের ঝনঝনানি।
হঠাত্ সবাই চুপ
শুধু ভেসে আসে এক জনের বেঁচে থাকার আকুতিতে আত্মচিত্কার।
মনটা ছটফট করতে শুরু করে।
ছুটে যাই....

অচমকা বৈশাখের প্রলয়ংকারী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আমার স্বপ্নগুলো,
কড়া রোদের ঝলকানীতে চাওয়া পাওয়ার রং গুলো পুড়তে শুরু করে।
আমি কিছুই কল্পনা করতে পারছিলাম না। আমার ভালবাসার মানুষটির দেহ লাল হয়ে আছে।
গলা কাটা মুরগির মত ছটফট করছে। আর সবাই কেমন নির্বাক তাকিয়ে দেখছে।

আমি ছুটে গিয়ে ওর দু হাত জড়িয় ধরি। পরম ভালবাসায় ও আমার গালে হাত দিয়ে অব্যক্ত চোখে কি যেন বলতে চায়। ওর স্পর্শে মৃদু ছন্দে মন নেচে ওঠে, দেখি নতুন স্বপ্ন,
ভুলে সাময়িক নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
কি যেন বলতে চেয়েছিল অস্ফুট স্বরে, বেরিয়েছিল, "আমি তোমায়.......
না বলতে পারিনি
আলতার বদলে রক্ত রাঙিয়ে আমার হাত এক মুঠো কান্নার সাথে বিদ্রুপের হাসি উপহার দিয়ে পারি জমায় না ফেরার দেশে।

আচ্ছা জীবন কেন এমন হয় ?
শূন্য হ্নদয় পূর্ণতার ছোয়া দিয়ে কেন নিঃশেষ করে দেয় ?
প্রত্যেকেই কি শেষ পর্যন্ত একলা থেকে যায়.?
আকাশের বুক থেকে ঝরে পরে অবাঞ্চিত জলরাশি।
বৃষ্টির পানি চোখের পানি আলাদা করা যায় না।
বোঝার উপায় নেই কোনটা কার !
কত স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম তা এক মুহুর্তেই সব ঝরে গেল।
শুধু জমা রয়েছে ভালবেসে জমিয়ে রাখা ভালবাসর মানুষকে বলতে চাওয়া না বলা কথা গুলো।
যে কথা গুলো কখনো বলা যাবে না আর। বলতে না পারার পরাজয়ের গ্লানি বহন করে করে শেষে এখন অভিমান টুকু আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকবো কি ?
কিন্তু ভবিষ্যতের তো আরো অনেক দিন পড়ে আছে ,
সে দিন গুলো কিসের আশা করবো ?
কেউ কি আমায় বলে দিবে এ দুঃখের শেষ কোথায় ?
কখন খুজে পাবো কষ্টের শেষ সীমানার নির্জন রাস্তটা...
কখন বলতে পারবো আমার স্বপ্ন দিয়ে সাজানো ভালবাসার না বলা কথা গুলো।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

ব্লগার ফাহিম বলেছেন: দারুন লিখেছেন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাশফিয়া নওরিন ,




মোটামুটি লেখা । আরো লিখতে থাকুন । সময়ই বলে দেবে কখন ব্লগ পাতাতে অনিন্দ্য করে লিখতে পারবেন আপনার স্বপ্ন দিয়ে সাজানো ভালবাসার গল্পগুলোর না বলা কথা ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ami chasta korbo

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর লিখেছেন, খুব সুন্দরভাবে একেঁছেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি । খুব সুন্দরকরে দেখিয়েছেন টুকড়ো টুকড়ো স্বপ্নগুলো কিভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: চোখের সামনে যেন ভেসে উঠলো ঘটনাগুলো। সত্যি অসাধারণ লিখা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাল লেখা।

তবে আরেকটু ভালো করা যেতো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: chasta korce vai.
ধন্যবাদ

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: chasta korce vai.
ধন্যবাদ

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

আজিজার বলেছেন: সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সরকারী কলেজের পরিবেশ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার বর্ণনা রীতি বেশ ঝরঝরে , চালিয়ে যান ।
শুভ কামনা রইল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: chasta korce doa korben

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সাবলীল লিখনিতে কিছুটি নির্মম বাস্তবতার হাতছানি।ভালো লেগেছে।লিখতে থাকুন...

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.