নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাইনি মেয়ে ১ম পর্ব

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

-এই যে শুনুন(মেয়ে)
-জি বলুন(আমি)
-কেমন আছেন
-বাবাহ আজ দেখছি ভালো ভাবে কথা বলছেন যে ।কোনো মতলব আছে নাকি
-ঠাসসসস
-একি মারলেন কেন
-কাল কলেজে তুই অন্য মেয়ের সাথে কথা বললি কেন
-কেন আবার কথা বললে কি এমন হবে শুনি
-কেন নিজের বউ থাকতে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলবি কেন
-বউ আবার কোথায় পেলে বিয়েইতো করলাম না
-কেন আমি তোর বউ
-খাইয়া দাইয়া কাম নাই নাম দিয়ে বাঁশ খায় তোমারে আমি কোন দুঃখে বিয়ে করতে যাবো শুনি

শার্টের কলার চেপে ধরে
-তুই বিয়া করবি না তোর বাপ বিয়া করবে
-ওকে এক মিনিট দাড়া আমি আয়তা ছি
-যা
এক মিনিট পর বাসায় গেলাম
-আব্বু তোমার জন্য একটা সুখবর আছে
-কি
-তোমাকে রিয়া বিয়া করতে চাইছে
এমন সময় আম্মু বলে উঠল
-চুপ বেয়াদব ছেলে কোথাকার। ও হচ্ছে আমাদের মেয়ের মতো ওকে তোর বাবা বিয়ে করবে
-ও জি বললো বাবাকে বিয়ে করবে
-ঠাসসসস শয়তান কোথাকার
-একি সবাই আজ এত মারে ক্যা।নিজের ছেলের থিয়া অন্য মেয়ের পক্ষ নাও কেন শুনি
-কারণ ওটা আমাদের হবু বউ মা
-আমি ওকে বিয়ে করবো না।আজি বাড়ি থেকে পালাবো
-তাহলে তোকেতো বেধে রাখতে হয়
-ওহ আম্মু অন্য কাউকে বিয়া করি এই ডাইনিকে যদি আমি বিয়া করি তাহলে পৃথিবীতে যত দিন বাচার টিকিট ছিলো তাও অর্ধেক হারিয়ে যাবে
-কিইইই আমি ডাইনি দাড়া
একি ডাইনিটা আবার চলে আসছে ও বলে ওর বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গেলো
-
-এখন একটু ডাইনীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই
ডাইনী মেয়ে মানে ওর নাম রিয়া। আমার মায়ের বান্ধবীর মেয়ে। আমাদের পাশের ফ্লাটে থাকে।তার বাবা ও বিসনেসম্যান আমার বাবাও।এখন দুপরিবার ওঠে পরে লেগেছে আমার সাথে তার বিয়ে দিবে
-অনেক দিন আগের কথা তখন আমি ক্লাস 5 এ পড়তাম সেও 5 পড়তো তবে তারা অন্য শহরে এখন আমাদের সাথেই একই শহরে থাকে
একদিন ওর বড় আপুর বিয়ের দাওয়াত খেতে ওদের গ্রামে যাই
আমি তেমন কারো সাথে কথা বলিনা। যদি কেউ আমার সাথে আগে কথা বলে তখন আমি তার সাথে কথা বলি তার আগে নয়
এমন সময় এক মেয়েলী কন্ঠে পিছনে তাকালাম
-এই যে মিস্টার কখন থেকে আপনাকে ডাকছি কথা কি কানে জায়না নাকি
-আসলে বিয়ের অনুষ্টান দেখছিতো তাই খেয়াল করি নি
-আচ্ছা তোমার নাম কি রাকিব
-হুমম কেন
-চলো ঘুরতে যাবো
-আমি অপরিচিত কারো সাথে ঘুরতে যেতে পারবো না
-তুই যাবি না কান ধরে তুলে নিয়ে যাবো
-আচ্ছা যাচ্ছি
একি মেয়েরে বাবা এমন আচারণ করলো মনে হয় আমি তার কতো আপন
-কথা বলছেন না কেন
-কি কথা বলবো
-সেটাও কি শিখিয়ে দিতে হবে নাকি
-না মানে কি বলবো
-একটা সুন্দরী মেয়ে পাশে থাকলেও কি কথা বলতে মন চায়না

আরে এত কম বয়সে প্রেমের কথা কেন । আমি কি এখানে প্রেম করতে আইছি নাকি
-আরে কি যাতা বলছেন
-যাতা মানে কি হ্যা নিজের বউয়ের সাথে কথা বলতে এত সরম কেন হ্যা শুনি
--আপনার কথা কি বুঝলাম না
-বুঝতে হবে না।আর একবার যদি আপনি করে বলো তাহলে সোজা পুকুরে ফেলে দিবো
-এই কাজ ভুলেও করবেন না আমি কিন্তু সাতার জানিনা
-আবারও আপনি করে বলো
-ওহহ সরি
-ওকে মনে থাকে যেন
-আচ্ছা
এই মেয়ের কাছে চুপ থাকায় ভালো কারণ এর সাথে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার জীবনটাও উল্টে যাবে তাই চুপ করে থাকাটায় ভালো
-চলো ওখানে গিয়ে বসি
-হুম চলো
-আচ্ছা আমাদের গ্রামটা কেমন লাগছে তোমার কাছে
-ভালো
-আচ্ছা তোমাকে একটা কথা বলবো
-বলো
-না থাক বড় হয়ে বলবো
-ওকে
-এত দিন অপেক্ষা করবে বুজছেন
-ওকে
-চলো বাড়ির দেখি যাই দেখি বিয়ের অনুষ্ঠান কতো দূর গেলো
-ওকে চলো
এই বলে আমরা চলে এলাম রাতে গায়ে হলুদের সময় রিয়া এসে আমাকে বললো
-এই চলো আমার সাথে নাচ করবে
কথাটা শুনে আমিতো সরমে একে বারে শেষ বলে কি এই মেয়ে
-কিন্তু আমিতো নাচ করতে পারিনা
-দাড়িয়ে থাকবে তাও চলো আমার সাথে
-কিন্তু
-কোনো কিন্তু নয়
এই বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। আর আমিতো সরমে শেষ।সবাই আমাদের দেখে হাসাহাসি করছে
রিয়া নাচ করছে আর আমি দাড়িয়ে আছি মাঝে মাঝে সেও আমার হাত ধরে নাচাত্তে
-পরের দিন সকালে
-এই যে মিস্টার কত বেলা হয়ছে এখনো ঘূম থেকে ওঠোনি কেন হ্যা
-আরে উঠছি এতে চিৎকার করার কি আছে
-যাও তারাতারি ফ্রেশ হয়ে আসো
আমিও ফ্রেশ হয়ে আসলাম
-চলো আমার বান্ধবীদের বাসায় যাবো
এই বলে আমরা বেরিয়ে পড়লাম
এভাবে অনেক দিন কেটে গেলো আমরাও বিয়ের দাওয়াত খেয়ে চলে আসলাম
-রিয়া আমাকে ধরার জন্য আসছে আর আমি দৌড়াচ্ছি
-এক সম দেখলাম রিয়া থেমে গেছে
_পরের দিন সকালে কলেজে গেলাম গিয়ে কিছু মেয়ে বান্ধবীদের সাথে আলাপ করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে এলাম
এই সময় এক বন্ধু বলে উঠলো
-মামা ঐ দেখ ভাবি এ দিকে আসছে তোর শেষ
-সবাই এক সাথে বলে উঠলো ঐ পালা
শুধু আমি একায় দাড়িয়ে আছি । আর মহারানীর ঝাড়ি খাওয়ার অপেক্ষায় আছি
-ঐ তোকে বলেছিলাম না মেয়েদের সাথে কথা বলবি না।চল তোর আজকে কি হাল করি
এই বলে বালিকা শার্টের কলার ধরে টেনে রিক্সাতে ওঠালো
দেখলাম রিকশাটি একটি পার্কে এসে থামালো
-তারপর বালিকা আমাকে বললো এইবার আমাকে প্রোপজ করো
-পারবোনা
-ঠাসসস
এতো মানুষের সাথে থাপ্পর মেরেছে যার কারণে আমার খুব রাগ ঔঠে গেলো
-সব কিছুর একটা ধৈর্যের সীমা আছে রিয়া.আর কখনো যেন তোমাকে আমার আশেপাশে না দেখি।তুমি আমার বিয়ে করা বঊ নাকি হ্যা যে সব কিছুতে অধিকার দেখাবে। যখন ইচ্ছা সবার সামনে মারবে।আর কখনো যেন আমার সামনে তোমাকে না দেখিএই বলে সেখান থেকে চলে আসলাম।ফাজলামির একটা সীমা আছে।তাই বলে সবার সামনে ফাজলামি করতে হবে নাকি
বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।কারণ আজ আর কেউ জালাতেও পারবেনা
বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম।কিন্তু অন্য দিন হলো এতক্ষণে রিয়ার মেসেজ এসে ভরে যেতো ইনবক্স।আজ কোনো মেসেজ এলো না। আজ কেউ আমাকে তারাতারি বাসায় যেতে বললো না
-পরের দিন সকালে কলেজ গিয়ে অনেক মেয়ের সাথে আড্ডা দিলাম কিন্তু আজ কেউ আমাকে বারুন করতে এলো না
কিছু ভালো লাগছে না। রিয়ার সব কিছুকে মিস করছি
-বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম
ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেছে
-হঠাৎ দরজার দেখি চোখ গেলো দেখলাম কেউ আমাকে উকি মেরে দেখছে
-কে ওখানে
বলার সাথে সাথে পর্দার ওখান থেকে সরে গেলো
আমিও তারাতারি উঠতে গিয়ে হোচট গেয়ে মেজেতে পড়ে গেলাম। সাথে সাথে আম্মু বলে চিৎকার দিলাম তারপর আর কিছু মনে নেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি যখন জ্ঞান ফিরলো তখন...................(চলবে)
""
-"""মি.ভূতের মামা"""

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.