নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নিজের সম্পর্কে লিখার মত কিছুই নেই। আমি খুবই একজন সাধারণ মানুষ।

অদ্ভুত মুগ্ধতা

খারাপ মানুষেরা আমায় খারাপ বলে, আর ভালো মানুষেরা আমায় ভালো বলে।

অদ্ভুত মুগ্ধতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীর প্রতীক তারামন বিবির গল্প।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

তারামন বিবির জন্ম
কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার রাজীবপুরের কাঁচারিপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি।তাঁর স্বামীর নাম আবদুল মজিদ। তাঁদের এক ছেলে এক মেয়ে।
তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম
কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার
আবু তাহের। তিনি ‘বীর উত্তম’ প্রতীক প্রাপ্ত।
মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরবর্তিতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাঁকে অস্ত্র চালনা শেখান।
একদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তারামন ও তার সহযোদ্ধারা জানতে পারলেন পাকবাহিনীর একটি গানবোট তাদের দিকে আসছে। তারামন তার সহযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে অংশ নেন এবং তারা শত্রুদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন। এরপর তারামন অনেক যুদ্ধে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অংশ নেন। অনেক বার তাদের ক্যাম্প পাকবাহিনী আক্রমণ করেছে,তবে ভাগ্যের জোরে তিনি প্রতিবার বেঁচে যান।
যুদ্ধে শেষে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের একজন গবেষক প্রথম তাঁকে খুঁজে বের করেন এবং নারী সংগঠন গুলো তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের
১৯শে ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেন।
বর্তমানে তারামন বিবি কুড়িগ্রাম এর রাজিবপুর তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে আছেন। স্বাধীনতার ২৪ বছর পর্যন্ত তারামন সরকারি কোন সাহায্য পাননি।
নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে তাঁকে অবহেলা করার হয়েছে –এমনটি আক্ষেপ তার রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.