নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ

লিখতেই থাকবো...

অর্থহীন ইতিকথা

অর্থহীন ইতিকথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

|| স্পর্শ ||

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৫৪

১.

প্রায় ২০ মিনিট ধরে অমীয় চক্রবর্তী ইত্রার পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন।
মেয়েটা দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে,হয়তো বয়সের কারণে এমন হয়। তবুও একমাত্র আদরের নাতনীর এমন মন খারাপ করা অবস্থা দেখতে তার ভাল লাগে না।
মেয়েটা অকারণে মন কেন খারাপ করবে? অমীয় চক্রবর্তী অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর খুব ভাল করেই জানেন। ১৪ বছরের এই ছোট্ট মেয়েটার তেমন কোন বন্ধু নেই তাকে ছাড়া। বাবা মা দুজনই চাকরী করেন,তাই তাদের সঙ্গও কালেভদ্রে কপালে জুটে।
তাই গভীর রাতে অন্যরকম নিঃসঙ্গতা মেয়েটাকে আঁকড়ে ধরে।
মানুষের কত গোপন দুঃখ আছে !

অমীয় চক্রবর্তী নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরম মমতায় ইত্রার কাঁধে হাত রাখেন!

২.

ইত্রা চমকে পিছনে তাকালো !
বারান্দার এই কিনারা বেশ নিরিবিলি। ঘন্টার পর ঘন্টা এখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেও ইত্রার ক্লান্তি লাগে না। একসময় তন্দ্রার মত হয়ে যায়, তন্দ্রা ভেঙ্গে গেলে শরীর ভেঙ্গে কান্না আসে। চিৎকার করতে ইচ্ছে হয়।
তার অনেক গোপন দুঃখ। আগে দাদুকে বলতো।
কিন্তু এখন গোপন দুঃখগুলো বলার মত কেউ নেই।

ইত্রার প্রচন্ড অভিমান হয় তার দাদুর উপর,ভগবানের উপর। যাকে সে বাবা মা এর থেকেও বেশি ভালবেসেছিল,কেন সে তাকে এভাবে একা রেখে চলে যাবে!
ইত্রা পিছনে তাঁকায়,তার মন খারাপ দেখলে দাদু কাঁধে হাত রাখতো। দাদু মারা গেছে প্রায় এক বছর হয়ে গেল,ইত্রার এখনো মনে হয় দাদু খুব পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আগের মত কাঁধে হাত রেখেছেন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.