![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এনাক্ষী,
প্রিয়তমা বা প্রিয়তম কে পাওয়া বলতে ঠিক কী বুঝায় বলো তো? পাওয়া কী নিশ্চয়তা নাকি কিছুটা নিশ্চয়তা আর অনেক খানি অনিশ্চয়তা? এনাক্ষী, পাওয়া কী তোমার চোখের নির্ভরতা আর কিছুটা পাশাপাশি হেটে চলা? প্রিয়তমা, এই যে ভালোবাসা যার পিছু হন্য হয়ে ছুটে চলছি কিংবা সভ্যতার সূচনা থেকে মানুষ ছুটে চলছে, তা কী বন্ধুত্বের চেয়েও অনিশ্চিত বিষয় বলো? বন্ধুরাও এক জীবন কাটিয়ে দেয় অনায়সে সুখে দুঃখে পাশে থেকে, একের ভরসার অন্যজন অনায়সে জীবন অতিবাহিত করে। রাগ ক্ষোভ হয় তবুও থেকে যায়। বেশি রাগান্বিত হলে একটু বেশি চেষ্টা না হয় করতে হয়। এই কী চাহিদার তারতম্য নির্ধারত হয় বলো? গতানুগতিক নর নারীর ভালোবাসার সংজ্ঞায় কী চাওয়া পাওয়ার হিসেব বেশি? তাই তার তারতম্যের ভিত্তিতে সম্পর্কের গতিও নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? এনাক্ষী, বলো আমরা কী অনিশ্চয়তার মিশেলে তৈরি আমাদের সম্পর্কের আর চাওয়া পাওয়া প্রেমে পড়ি আর নিশ্চয়তা আসলে হায় হুতাশ করি? তাই দুইটির কোনটির ভারসাম্যহীনতা আমাদের অস্থির করে তুলে, দিক বেদিক ছুটে চলি আবারও। নাকি আমাদের যাত্রার যে মজা সেইটা রোমাঞ্চকর করে তুলে আর গন্তব্য শুধু অপেক্ষা হয়ে থাকে। প্রিয়তমা, আদৌ গন্তব্য বলেও কী কিছু আছে নাকি পুরোটাই একটা যাত্রা আর অস্থির ছুটে চলা। হরিণী বলো, আমরা কী কোনদিন বন্ধুত্বের পর্যায়ে পৌছাতে পারবো যেইখানে একে অপরকে হৃদয় দিয়ে বেশি দেখবো আর জাগতিক হিসেব জোড়াতালি দিয়ে, একে অন্যের বাড়তি আর কমতি দিয়ে পুশিয়ে দিবো?? এনাক্ষী, ঈশ্বরী আমার, বলো এমন ভারসাম্য রক্ষা করে কী জীবন চালানো যায়? একটু ভারসাম্যহীন ভাবে কী আমরা একে অন্যের নির্ভরতার দৃষ্টি হতে পারবো না? এনাক্ষী সিনেমেটিক রোমান্স আর জীবনবোধে আমি তো বুদ হয়ে আছি যে সবই কল্পনা মনে হয়। প্রেম তো এক কল্পিত বিষয় হয়ে ধরা দিচ্ছে আমার কাছে কিংবা প্রতিদিনের খবরের কাগজ। জানি কী আসছে খবরে। আমার সামর্থ্য নাই এর কিছু পাল্টানোর। আমার অপেক্ষা বিগত দিনকে জানার। এরই মাঝে হারিয়ে ফেলছি আমার বর্তমান। আজ আমার বর্তমান তুমি, কিন্তু কেন যেন আজও আমি চিরায়িত অবেহেলায় ভাসিয়েছি বেলা। চলছি তো চলছি জেন এক চির শান্ত সমুদ্রের বুক চিরে চলছি। আর শান্ত সমুদ্রের প্রত্যাশা আমাকে মাঝে মাঝে দিশেহারা করছে যখনই উপছে পড়ছে ঢেউ ছোট থেকে ছোটও, তখনই আমি বেতাল হচ্ছি কিংবা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ছি। যেন সামনে শুধু অন্ধকার। অথচ আমি আমার আলো, প্রিয়তমা এনাক্ষীকে সাথে নিয়ে চলছি। স্রষ্টার কাছে এই এক প্রত্যাশা আমার বর্তমানে যাতে আমি তোমাকে বুঝতে পারি, তোমাকে পাওয়ার সুভাগ্য মানে তোমার চোখে খুজে পাওয়া নির্ভরতা আর তোমার হাতে অনুভব করা সেই উষ্ণতা যা হৃদয়কে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে ধারন করতে পারি। এনাক্ষী, এই অধমে দয়া করো।
এনাক্ষী, সুস্মিতা আমার, একটু খানি হাসো। পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যের অপেক্ষা তোমার ঠোঁটে শোভা পাবে বলে, আর কোন এক প্রেমিকের অপেক্ষা শিশির হয়ে তোমাকে ছুয়ে দিবে বলে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভাল লিখেছেন তো!