নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর
হত্যা করা হয়েছিলো এই দেশের বুদ্ধিজীবিদের।
কে হত্যা করেছিল ?
কার স্বার্থে হত্যা করা হয়েছিলো ?
এখনও কে হত্যা অব্যাহত রেখেছে ?
আসুন জানি সঠিক ইতিহাস ।
#১৯৭১এর ২৬ মার্চ
থেকে শুরু হয়েছিলো এই দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ
। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লক্ষ লক্ষ
লোক প্রান দিয়েছিলো দেশের স্বাধীনতার জন্য ।
১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর এইদেশের
মুক্তিযোদ্ধারা বিদেশী হানাদারদের
হটিয়ে দেশের ৩৮ টি জেলাকে স্বাধীন
ঘোষণা করেছিলো । অর্থাৎ বিজয়ের
ধারপ্রান্তে এসেছিলো আমাদের
সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধারা । মাত্র ১৬ দিন পরেই
পুরো দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা ।
যখন আমাদের স্বাধীনতা প্রায় নিশ্চিত
হয়ে গিয়েছিলো , যখন মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার
দিকে তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ২
ডিসেম্বর ভারতীয় সৈন্যরা সহযোগিতার নাম
করে আমাদের বাংলাদেশে আসে । ৬৪ টি জেলার
মধ্যে ৩৮ টির বেশী স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পর ...
কেন এসেছিলো ভারতীয় সৈনিকরা ?
কি কারনে এসেছিলো তারা ?
কোন মিশন নিয়ে এসেছিলো তারা ?
যেখানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস
লড়ে যেতে পারলো সেখানে মাত্র ১৪ দিন
আগে কেন এসেছিলো ভারতীয় সৈন্য ?
তারা চেয়েছিলো বাংলাদেশ যেন তাদের
আন্ডারে থাকে , তাদের নেতৃত্ব স্বীকার
করতে বাধ্য থাকে , সুজলা সুফলা এই বাংলা যেন
কোনভাবেই উন্নত দেশে পরিণত না হয় ,
বাংলাদেশ যেন তাদের গোলামী করতে থাকে ।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যাতে কোন
বাংলাদেশী নির্ধারণ করতে না পারে ।
বাংলাদেশের তকদীর যেন ভারতের হাতেই থাকে ।
আর এই সব কারনেই তারা সেইদিন পরিকল্পিত
ভাবে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে ।
আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর দেখুন ভারত এখন
বাংলাদেশের রাজনীতি , অর্থনীতি , কূটনীতি ,
প্রশাসনিক নীতি , সমরনীতি ,
এমনকি সামাজিক ব্যাবস্থাও নির্ধারণ
করে দিতে চাইছে ।
এরপরও আমরা অনেকেই ভারতকে বন্ধু ভাবছি ,
আমি বলবো যারা এই রকম ভাবছে তারা বধির ,
মূর্খ ,বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ।
এই কথাগুলো একজন মুক্তিযোদ্ধার
আত্মকথা । একটাও মিথ্যা বলছি না ,
ইচ্ছে করলে ভিনদেশী দালাল ,
মুক্তিযোদ্ধা ব্যাবসায়ী ছাড়া অন্য কোন ভাল
মুক্তিযোদ্ধা থেকে জেনে নিতে পারেন ।
এই কথাগুলো আরও একবার ১৯৭১ এর
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের
সহযোগিতা নেওয়ার আগে বলেছিলেন এই দেশের
একজন সন্মানিত ব্যাক্তি কিন্তু সেইদিন তার
কথা কেউ শুনেনি । বরং ভারতীয়
দালালরা তাকেই আক্রমন করে তার
বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাকে দেশ
বিরোধী আখ্যা দিয়েছিলো ।
অথচ আজ তার সেই কথাগুলোই সত্যায়িত
হতে যাচ্ছে ।তবে তরুনরা কি বসে থাকবেন? আসুন, মায়ের মতো মাতৃভুমিরজন্যে কিছু রক্ত দেই।
আর মনে রাখবেন সব সময়, "বিদ্রোহ ব্যতীত কোন সত্যের প্রতিষ্ঠা করা সবম্ভ নয়। "
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
পলাশ তালুকদার বলেছেন: কোন প্রকার মন্তব্য থাকলে দয়া করে জানাবেন