নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সময় আমাদের মনে হয়
সৃষ্টিকর্তা বোধহয় কিছু মানুষকে জন্মগত
ভাবেই প্রতিভা দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের
চেষ্টা করলে ও খুব একটা লাভ হবে না।
এতে করে নিজেদের ভেতর অজান্তেই এক ধরনের
নিস্ক্রিয়তা জেঁকে বসে, আত্মোন্নয়নের
গতি হয়ে যায় শ্লথ। এইতো কয়েক বছর
আগে একটি বিজ্ঞানবিষয়ক
পত্রিকা অহরহতে দেখলাম কিছু নিউরোলজিস্ট
গবেষনা করে বলেছেন, বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনের
সংরক্ষিত মগজ সাধারণ মানুষ
থেকে আলাদা,অনেকটা বড়। এটাকে সত্য
ধরে নিয়ে ও
বতলা যায়,এটি হচ্ছে একটি আশ্চার্যজনক
ব্যতিক্রম ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Miracle
(মিরাকল) বা অলৌকিক ঘটনা। তবে আমার
ধারনা কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদ
দিলে সাধারনভাবে সকল মানুষের প্রতিভাই
সমান। অত:পর সাধনার কমবেশির
কারনে প্রতিভার স্ফুরনের ক্ষেত্রে হ্রাস-
বৃদ্ধি ঘটে। আমরা অনেকেই প্রায় বলি, 'আমার
কোন যোগ্যতা নেই.......।' কিন্তু
আমি মনে করি এই কথার কোন
যৌক্তিকতা বা ভিত্তি নেই। এই বিশাল
পৃথিবীর সমস্ত দায়িত্ব যেহেতু আমাদের।
সুতরাং আমাদের সুপ্ত প্রতিভা নিশ্চই অনেক
বড়।আমাদের কারন যোগ্যতা তুলনামূলক
ভাবে অন্যদের চাইতে কম
মনে হইলে আমরা এতটুকু
বলতে পারি যে,....'আমি এখনো আমার
যোগ্যতার বিকাশ সম্পুর্নভাবে ঘটাতে পারিনি।
জন. ডি. রকফেলার প্রথম জীবনে ঘন্টায় মাত্র
চার সেন্টের (মার্কিন চার পয়সা)
বিনিময়ে আলুক্ষেতে কাঠফাটা রোদের ভিতর
লোহার কোদাল দিয়ে কাজ করেছেন। অধ্যবসায়
ও পরিশ্রমের বিনিময়ে তিনি পরিনত হয়েছিলেন
সেই সময়কার আমেরিকার সবচেয়ে সেরা ধনীতে।
তাইতো বলি, উত্তরাধিকার
সূত্রে সভ্যতা পেলে ও সংস্কৃতি যেমন অর্জন
করতে হয় তেমনি জন্মসূত্রে প্রতিভা পেলে ও
সাধনার মাধ্যমেই এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
নতুবা মোজেজার আশায় দিনগোনতে হবে।
অর্থাৎ বাকির আশায় নগদ ছাড়তে হবে। আর
বোকার মত এইরূপ কাজ কেউ করতেই
রাজি হবেন না।
তাইতো আমি মাঝেমাঝে বলে থাকি যে,,,,
♦♦♦সাধনা ছাড়া প্রতিভাকে কোন ভাবেই
সংজ্ঞায়িত করা যায় না♦♦♦
©somewhere in net ltd.