নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার মানুষেরা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫



দুর্ঘটনা-১



হেকমত সাহেব একজন মোটামুটি সুখী মানুষ। সুখী এই অর্থে- তার রাতে ভালো ঘুম হয়। অন্যান্য মধ্যবিত্ত মানুষের মত তারও সমস্যা আর হতাশা আছে। তবে সেসব নিয়ে তিনি খুব একটু ভাবেন না। ভাবার সুযোগ পান না বলেই হয়তো। সারাদিনের কর্মমুখর ক্লান্ত দিনের পর বাসায় ফিরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া আর বাচ্চাদুটোর ওপর হালকা হম্বিতম্বি করে টিভিতে জ্বালাময়ী টকশো দেখার পর এগারটা বাজতে না বাজতেই তার চোখে ঘুম নেমে আসে। পুরো রাত মরা কাঠের মত ঘুমান। তাই তাকে সুখী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে কারো আপত্তি থাকার কথা না। হঠাৎ একদিন রাতে এই নির্ঝঞ্জাট দিনলিপির পাতায় কালি ঢেলে দিলো যেন কেউ। তিনি রাত দুটোর সময় খাট থেকে পড়ে গিয়ে মশারির সাথে আটকে এক অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে নিজেকে আবিষ্কার করলেন। কাতর চিৎকারেও ঘুম থেকে উঠলেন না তার সহধর্মিনী। তিনি হয়তো তার চেয়েও সুখী মানুষ। হেকমত সাহেব জীবনের এই সংকটময় মুহূর্তে দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি স্বকীয় কার্যপ্রণালী প্রস্তুত করলেন মনে মনে। প্রথমত, মশারির প্যাচটা ছুটোতে হবে, তারপর বিছানায় গিয়ে শুতে হবে। এই অংশটা বেশ সহজ, তবে তারপরের পর্বটাই কঠিনতম। এমন একটি দূরাবস্থা থেকে মুক্তি পাবার পরপরেই তাকে ঘুমোতে হবে। না হলে তিনি আর সুখী মানুষ থাকতে পারবেন না। বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। একটানা ঘুম দিয়ে অভ্যস্ত তিনি। ভাঙা ঘুম জোড়া লাগানো, তাও আবার এমন একটা দুর্ঘটনার পরে, তার জন্যে বেশ দুরূহ একটা ব্যাপার হবে। বিছানায় ওঠার পর মিনিট পাঁচেক চোখ ডলে ঘুম না আসার সম্ভাবনায় মুষরে পড়ে তিনি ভেড়া গুনতে থাকলেন।



দুর্ঘটনা-২



জিমন্যাস্ট হবার ইচ্ছে অরিনের ছিলো, এমন কথা কেউ কখনও শোনেনি। তবে তার মেদহীন স্থিতিস্থাপক শরীর মাঝেমধ্যেই তারুণ্যের ঝলকে উথলে উঠে আনমনে কিছু শারীরিক কসরৎ করে ফেলে, যার জন্যে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এই যেমন, শরীরটাকে পেছনের দিকে বাঁকা করে মাটি ছোঁয়া অথবা ডান হাতের মুঠো পিঠের ওপর দিয়ে প্রক্ষেপ করে নিচে রাখা বাম হাতটা ধরা। এসব সে খেয়ালবশতই করে। ইদানিং তার নতুন বাঁই উঠেছে হাতের ওপর ভর দিয়ে হাঁটার। এটা অবশ্য সে একলা থাকলেই কেবল করে। নিজের ঘরে, পর্দা টেনে দিয়ে। পাশের বাসার সুন্দরী মেয়েটা তাকে এ অবস্থায় দেখতে পেলে নির্ঘাৎ পাগল ঠাউরাবে। জানলা বন্ধ করে, পর্দা টেনে দিয়ে এ্যারোবিক্সের মিউজিক ছেড়ে দিয়ে সে চমৎকার একটা আবহ তৈরি করে ব্যায়ামের জন্যে। সঙ্গীত ব্যায়ামের জন্যে ভালো সঙ্গী। টেকনো বিট শরীরটাকে প্রলুদ্ধ করে ইলাস্টিক হতে।

১...

২...

৩...

৪...

৫...

সাফল্যের সাথে পাঁচ মিনিট হাতের ওপর ভর দিয়ে থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে গিয়েই বিপত্তিটা ঘটে। পায়ের পাতার বদলে নখ সজোরে অবতরণ করে মেঝেতে বিছিয়ে রাখা ফোমের ওপর। ফোম বিছানো থাকায় ব্যথা খুব একটু পায় না অরিন। সে ভাবতে থাকে এসময় যদি পাশের বাড়ির মেয়েটা তার কাছে থাকতো, একটা বেশ মেলোড্রামাটিক রোমান্টিক পরিবেশ সৃষ্টি হতো। তখন সে মেকি আর্তনাদও করতো সহানুভূতির প্রত্যাশায়। এমনতর উচ্চতর প্রেমময় চিন্তা করতে গিয়ে সে নিজের অজান্তেই নিমজখম হওয়া বুড়ো আঙ্গুলটার ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে।



দুর্ঘটনা-৩



বেকার জীবন সুখের হয় পয়সাওলা পিতার গুণে

এই কথা সত্যি হয়েছিলো জুবায়েরের জীবনে

জুবায়েরের জীবনে!



জুবায়েরের সুখময় একেকটা দিনের শুরু হয় বেলা দুটোর দিকে ঘুম থেকে উঠে তিন কোর্সের নাস্তা করার পর। নাস্তা করে কিছুক্ষণ আয়েশী ভঙ্গিমায় পত্রিকা পড়ে এক কাপ চা না হলে তার চলবে না। তবে বাসার দার্জিলিং ফ্লেভারের চা না, তার চাই আনাসুর এর টং দোকানের কড়া মিষ্টি চা। সাথে স্যাঙাতদের সাথে মনের আনন্দে গুলতানি না করতে পারলে চায়ের মজাটা জমে নাকি? আজকে নাস্তায় তেমন কিছু নেই। খিচুড়ি শুধু। সাথে গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাঁটি গাওয়া ঘি আছে, গতকাল রাতে মায়ের কাছে শুনেছে। গেল কই সবাই? বাসা ফাঁকা। নিজেকেই এখন কাজ করতে হবে। বিরক্তি ভরে ভাবে সে। তার বিরক্তি উবে যায় ঘি এর জন্যে অপেক্ষা বিলম্বিত না হওয়াতে। ফ্রিজ খোলার সাথে সাথেই সে পেয়ে যায় ঘিয়ের বয়ামটি। খয়েরি রঙ এর লোভনীয় তরল, বয়ামের গা চিকচিক করছে পু্ষ্টিবিন্দুতে। প্রসন্ন মনে ঘি নিয়ে খিচুড়িতে ঢেলে মাখাতে থাকে সে। গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না তেমন, কয়েকদিন ধরে ঠান্ডায় তার নাক বন্ধ তো তাই। মাখানো শেষ হলে মুখে দেয়ার পরে এক অস্বাদপূর্ব মিষ্টি স্বাদে তার মুখটা বিকৃত হয়ে আসে। সে ভুল করে ঘি এর বদলে গুড়ের কৌটো নিয়ে এসেছিলো। ঘুমচোখের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে 'সকালের' নাস্তাটা নষ্ট করে। আজকে সারা দিনটাই খারাপ যাবে জোবায়েরের এই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার ফলে।



দুর্ঘটনা-৪



গ্রামে বেড়াতে আসা সবুজের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। বিশেষ করে সেটা যদি হয় সমবয়েসী স্বজনদের সাথে ঝটিকা সফর। সময়টা কেটে যায় ফড়িঙের ডানায়, চঞ্চল। তাদের গ্রামের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বস্তু হলো বিশাল এক পুকুর। তার চারপাশে নারিকেল আর জামগাছের স্নেহাতুর ছায়া। টলমলে স্বচ্ছ জলে গা ডুবোলেই শরীরটা জুড়িয়ে যায়। শহরের সাপ্লাইয়ের জলে বাথটাব ভর্তি করে দামী সাবান-শ্যাম্পু মেখে এই অনুভূতির ধারেকাছেও যাওয়া যায় না। গোসল না করতে চাইলে শান বাঁধানো ঘাটে গাছের ছায়ায় শুয়ে শরীর জুড়োও যতক্ষণ খুশী, কেউ মানা করবে না। দুইদিন হলো গ্রামে এসেছে তারা, কিন্তু এখনও পুকুরে স্নান করার সময়ই পায়নি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে উপশহরে বসবাসকারী আত্মীয়দের বাসায় ঘুরতে গিয়ে। আজকেই শেষদিন। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে তারা। সবুজ সোৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়লো স্বচ্ছ জলে। সে সাঁতার পারে না, তবে তাতে হুটোপুটি করতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা করলো কিছু বেয়ারা জলবিন্দু তার কানের ভেতর সেঁধিয়ে গিয়ে। বাকিটা সময় তাকে কান থেকে পানি বের করতেই বেশি মনোযোগ দিতে হলো। অস্বস্তি নিয়ে কি পুকুরস্নান উপভোগ করা যায়? শেষপর্যন্ত অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাটির কারণে তার স্নানের আনন্দ অসমাপ্তই থেকে গেলো!



দুর্ঘটনা-৫



লুবনা খুব উত্তেজিত। সে বসে আছে দেশের সবচেয়ে চাকচিক্যময় এবং মর্যাদাপূর্ন বার্ষিক তারকামেলার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের গ্যালারিতে। অপ্রত্যাশিতভাবেই এখানে আসার সুযোগটা পেয়েছে সে। তার এক বান্ধবীর বরাতে সে যেতে পারছে। সেই বান্ধবী এক্সট্রা টিকেট রেখে দিয়েছিলো তার প্রেমিকের জন্যে। বেচারা হঠাৎ জ্বরে পড়ে যাওয়ায় আসতে পারে নি। তাই লুবনার এই অভাবিত উৎসবযোগ। উপস্থাপকের প্রাঞ্জল সঞ্চালনে গতিময় হয়ে উঠেছে অনুষ্ঠান। দর্শক এবং নিমন্ত্রিত অতিথি সবাই খুব উপভোগ করছে। নানা কলায় পটিয়সী শিল্পীরা তাদের পেশাদারীত্ব এবং আবেগ, এই দুইয়ের সংমিশ্রণে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। যারা আসতে পারেনি তাদের জন্যে রয়েছে দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচারের সুব্যবস্থা। তার দিকেও হয়তোবা ক্যামেরা তাক করতে পারে ভেবে লুবনা শিহরিত হচ্ছে বারবার। দর্শকদের পর্ব শুরু হবে এবার। উপস্থাপক সরস ভঙ্গিমায় কিছু কথা বলে দর্শকদের হাসিয়ে প্রতিযোগিতার নিয়ম জানিয়ে দিলেন। প্রথমে বাছাই পর্ব। সমবেত দর্শকদের মধ্যে চারজনের আসনে বিশেষ চিহ্ন দেয়া আছে। সেই চারজনকে নিয়েই শুরু হবে দর্শকদের পর্ব।



লুবনার আসনে যে সেই বিশেষ চিহ্নটা আছে এটা তার বান্ধবী আবিষ্কার করলো। অনুষ্ঠানে জাঁকজমকপূর্ন পরিবেশনায় লুবনা এতটাই আবিষ্ট হয়ে গিয়েছিলো যে তার মাথায়ই আসেনি সেও নির্বাচিত দর্শকদের একজন হতে পারে। দর্শকসারি থেকে মঞ্চে যাবার সরু প্যাসেজটি নার্ভাস রাজকন্যার মত করে অতিক্রম করার সময় লাল-হলুদ স্পটলাইটটি যখন তার ওপর পড়লো, সে খেয়াল করলো তার জুতা আর জামার রঙ ম্যাচিং করে নি। এমন মূঢ় কর্মের জন্যে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো সে। আগে যদি জানতো সে নির্বাচিত দর্শকদের তালিকায় থাকবে তাহলে কি এমন ভুল করতে পারতো? এমন দুর্ঘটনা ঘটবে তার জানাই ছিলো। এমনই ঘটে এসেছে তার ক্ষেত্রে সবসময়, অশ্রূসিক্ত লুবনা ঠোঁটে দাঁত চেপে কান্না সামলাতে সামলাতে ভাবলো।



দুর্ঘটনা-৬



-আমি এখন যে কবিতাটি পাঠ করবো, তা লিখতে আমাকে সাতটি বিনিদ্র রাত কাটাতে হয়েছে। আমার সঙ্গী হয়েছিলো দূর আকাশের নক্ষত্রেরা। ভোরবেলা শিশির ভেজা ঘাসের আর্দ্র স্পর্শ ধুয়ে দিয়েছিলো রাত জাগার ক্লান্তি। এই কবিতায় মিশে আছে তিলোত্তমা প্রকৃতি আর নিঃসঙ্গ রাতের একাকী দিনলিপির কথকতা।

"সালেহ ভাইয়ের কাছে পাই পঞ্চাশ টাকা

সানি লিওনের সিডিটা নিছে শাওন হালায়

আমাশয় প্রকরণ বইটা কিনতে হবে নীলক্ষেত থেকে

বড্ড কষ্ট পাচ্ছি পেটের বিষে..."



ভুল করে কবিতার বদলে টু-ডু লিস্ট পাঠ করায় বিব্রত হন কবি সাজেদুল ইসলাম। এই হাস্যকর দুর্ঘটনার পরেও নিজেকে সামলে নিয়ে নতুনভাবে আবৃত্তি শুরু করেন তিনি। কবিদের এতকিছু মনে রাখলে চলে না। তাদের জীবনে বিমূর্ততাই চরম সত্য এবং বাস্তব। তারপরেও তার কবিতা পাঠ তেমন জমলো না আর সেদিন চাপা হাসি আর বিদ্রূপপূর্ণ ফিসফিসানির উপদ্রবে।





দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির কার্যালয়




টিউনিং টিউনিং... এ্যাক্সিডেন্ট লোকেটেড। লোকেশন ১০৮১ কোড নং-৩৬৭৮৯। সেন্ড ফোর্স। ব্রিং দ্যা ভিকটিমস। কুইক। ওভার এ্যান্ড আউট।



দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি বা দুনিক বিদেশের অর্থায়নে পরিচালিত একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। বিদেশ থেকে মোটা অংকের টাকা পাওয়ায় তাদের ঠাঁটবাটের অভাব নেই। টিভিতে বিশাল বাজেটের নাচগান সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করে তারা গৌরবর্ণের তরুণ তরুণীদের একত্র করে। পাশাপাশি সচেতনতামূলক এবং হৃদয়স্পর্শী বিজ্ঞাপনও প্রচার করে যা দেখে নরম হৃদয়ের বৃদ্ধেরা চশমার কাঁচে চোখ মোছেন। সম্প্রতি তাদের একটি শ্লোগান পুরো দেশকে আন্দোলিত করেছে। তা হলো, "লাল নয়, রঙধনুরঙা রক্তে বর্ণিল হও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার মানুষ"। শ্লোগানের মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে তারা এভাবে "দুর্ঘটনাগ্রস্থ মানুষ যেন নিজেকে অসহায় ভেবে ভীত না হয় তাই আমরা রক্তের রঙকে রঙধনুর সাথে তুলনা করেছি"। তুমি সম্বোধনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক বিষয়ক হৃদ্যতাপূর্ণ কথাবার্তা বললেও তা সর্বমহলে সমভাবে গ্রাহ্য হয়নি। অনেকের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে তারা কীভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্থ মানুষের উপকারে আসবে, তারা কোন স্বাস্থ্যসংস্থা কী না, অর্থ সাহায্য দিবে কী না। মূল উদ্দেশ্যটা এখনও তারা ঘোলাটেই রেখেছে। বিজ্ঞাপন এবং বিলবোর্ডের প্রসারেই তাদের নজর বেশি। তবে বিজ্ঞমহল যতটুকু ধারণা করছেন তা হলো, আক্রান্তদের মানসিক শক্তি যোগাতেই এই সংস্থাটির উদ্ভব। দুর্ঘটনাগ্রস্থ এই এলাকায় এমন একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা বয়ান করে কলাম লিখেছেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদেরা।



-আমাদের কার্যক্রম জোরেসোরে শুরু করা উচিত। খালি এ্যাড দিয়ে আর কয়দিন?

কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বললেন।

-হাহা! ইউরো আর পাউন্ডে হেল্প আসছে। ওগুলো হালাল করতে হবে না? কাজ তো করবোই। কাজ না করলে কী আর টাকা পাবো?

জবাব দিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান সদস্য।

-তো কাজ কিরকম করছেন, এর গতিবিধি আমাকে একটু জানান তো দেখি! অনেকদিন কোন আপডেট পাই না।

-আমরা কাজ করছি প্রজেক্ট রঙধনুর জন্যে তা তো জানেনই। দুর্ঘটনাগ্রস্থ সাতজন মানুষ যোগাড় করা হবে। তারপর তাদের দুর্ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ এবং প্রচার করা হবে একত্রিত করে। এরপর হোটেল সোনারগাঁওতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জানিয়ে দেয়া হবে কীভাবে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষেরা সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলতে পারে সুখের রঙধনু।

-বাহ চমৎকার আইডিয়া। কতজন যোগাড় হল এখন পর্যন্ত?

-ছয়জন।

-খুব সাবধানে সিলেক্ট করবেন। একদম বেছে বেছে। সমাজের সর্বস্তর থেকে। আর প্রোডাক্ট যেন পাবলিকে খায় সেটা খেয়াল রাখতে হবে বুঝলেন? পাবলিক যত খাবে তত টাকা।

-তা তো অবশ্যই।

-গ্ল্যামারের ব্যাপারটা জরুরী। ইয়ে মানে একদম সেইরকম উন্ডেড, রক্তাক্ত কাউকে নিয়ে আসলে কিন্তু গ্ল্যামারের গ্রামার বজায় থাকবে না। তারা হোটেল সোনারগাঁওয়ে যেয়ে নাচা গানা কীভাবে করবে?

-আরে এসব বলতে এত ইয়ে মানে'র দরকার নেই স্যার! এগুলো তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি কিছু সাবজেক্ট চুজ করেছি, যা আপাতদৃষ্টিতে দেখলে খুব খেলো মনে হবে। তবে আপনি তো জানেনই সবকিছুই ডিপেন্ড করে প্রেজেন্টেশনের ওপর। পাবলিক ইমোশন আমরা তৈরি করবো। আমরা ইমোশনের নতুন মাত্রা তৈরি করবো। তুচ্ছ ইমোশনকে কমার্শিয়ালাইজড করে বাজারজাত করার দক্ষতা আমাদের আছে বলেই তো ইউরোপ থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি ইউরো বিনিয়োগ করা হচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওপর। তাদের চাওয়া পূরণ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং অবশ্য। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড প্রব্লেমগুলোকে থার্ড ওয়ার্ল্ডের বেসিসে ক্যাটাগরাইজড করে প্রেজেন্টেবল বানানো। ইউ নো জনসংখ্যা বৃদ্ধি, লঞ্চডুবি, সিডর এসব টু মেইনস্ট্রিম হয়ে গেছে। ইউরোপের মহান দাতারা আমাদের সাহায্য করতে মুখিয়ে আছে, তাদেরকে জাস্ট মোটিভেট করতে হবে নিউ আইডিয়া দিয়ে।

-আর এজন্যে আমাদের প্রথম প্রজেক্টটা অত্যন্ত জরুরী। আপনি কেসগুলোর ডিটেইলস আমাকে বলেন ইন ব্রিফ।

-কেস-১

হেকমত আলি। মধ্যবিত্ত চাকুরে। রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় খাট থেকে পরে গিয়ে আঘাত পান। মশারি পেঁচিয়ে যাওয়ায় অবস্থাটা আরো গুরুতর হয়ে ওঠে।

-আমাদের হিডেন ডিভাইসগুলো ভালো কাজ করছে। মানুষের গোপন দুর্ঘটনাও নিখুঁতভাবে বের করে ফেলছে। দারুণ!

-খুব চমৎকার। অবশ্য কিছু সাংবাদিক এসবের নৈতিক দিক নিয়ে ট্যাঁ ফো করতে পারে। ওদেরকে কিছু গুঁজে দিলেই হবে। আমরা এত সময় আর অর্থ ব্যয় করে দুঃখু বাজারজাত করছি, তোরা কোথাকার কোন দু পয়সার কলমচাকর আমাদের কাজে বাগড়া দিতে আসিস এ্যাঁ?

-সেটাই। বলে যান।

-কেস-২। অরিন চৌধুরী। ছাত্র। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ব্যায়াম করতে ভালোবাসে। একদিন ব্যায়াম করতে গিয়ে তার পায়ের বুড়োআঙ্গুল মচকে যায়।

-আহা! দুঃখজনক। তবে এটাকে প্যাথেটিক ঘটনা হিসেবে প্রেজেন্ট করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। কীভাবে কী করবেন ভাবছেন?

-এসব ব্যাপার আমাদের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আর্ট ডিরেক্টর দেখবেন। ৫ মিনিটের একটা প্রোমো বানালেই হবে। সেখানে দেখানো হবে কী করে অরিন সারাজীবন ধরে স্বপ্ন দেখে আসছে বড় জিমন্যাস্ট হবার। সাথে নাদিয়া কোমোনোচির কিছু ক্লিপ জুড়ে দেবো। তার বাবা-মার স্বপ্ন, বোনের তদারকির ইত্যাদি এমনভাবে দেখানো হবে যে তার বুড়ো আঙ্গুল মচকানোর মত সামান্য ঘটনাতেও অডিয়েন্স শকড হবে। তেমনিভাবে কেস ওয়ানের ব্যাপারে আমাকে আর্ট ডিরেক্টর যা বলেছেন তা হলো, হেকমত সাহেব সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে আসেন, রাতে ঘুমোনোটাই তার সবচেয়ে সুখের সময়। সেই সুখের সময়টায় পতন মানে জীবনের পরাজয় সাথে মশারি একটা মেটাফরিক এলিমেন্ট হিসেবে থাকবে। এ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হবে তা অজগর হয়ে তার গলা পেচিয়ে ধরছে।

-ব্রাইট, রিয়ালি ব্রাইট আইডিয়া।

-সেটাই আপনাকে বলছিলাম। তুচ্ছাতিতুচ্ছ দুর্ঘটনাও আর্ট আর কমার্সের সংযোগে হাইলি ট্রাজিক এটমোসফিয়ার তৈরি করতে পারে। অডিয়েন্স খাবে না মানে! গিলে খাওয়ানো হবে। আর সাত দুর্ঘটনা মিলে রঙধনুর আইডিয়াটাতো তোলপাড় করে দেবে একদম। আমাদের ফাইনাল সিরিমনিতে দেখেন।



তারা দুজন সন্তুষ্টচিত্তে বাকি কেসগুলোকে নিয়ে গবেষণা করে কীভাবে গ্ল্যামারাইজড এবং ট্রাজিক করা যায় সেই উপায় বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।



গ্রুমিং সেশন



প্লিজ কিপ দ্যা লাইন। ইয়া! অরিন, তুমি একটা ব্যথার এক্সপ্রেশন দাও। দুই হাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে কিভাবে তোমার জীবনটা ডেস্ট্রয় হলো তার একটা নিট সামারি থাকবে। হ্যাঁ গ্রেইট! ইউ আর লার্নিং ফাস্ট বয়!

হেকমত সাহেব, মনে করুন যে একটা অজগর সাপ আপনাকে জড়িয়ে ধরছে। আপনার গলায় চাপ বাড়ছে। এই চাপ সংসার এবং চাকুরীজীবনে বঞ্চনার... কী বললেন, আপনি সংসার এবং চাকুরি নিয়ে হ্যাপি? ইউ ডোন্ট নো এনিথিং এবাউট হ্যাপিনেস। যা বলছি করুন...

লুবনা, কাম অন গার্লি! এটা কী ড্রেস পরিয়েছে তোমাকে? ইয়েলো কান্ট বি দ্যা কালার অফ পেইন। কস্টিউম ডিজাইনার কোথায়? আর তাছাড়া আঁটোসাঁটো হয়নি তো তেমন। ব্রা এর স্ট্র‌্যাপ দেখা যাওয়ার কথা বাহির থেকে। কী? ডোন্ট বি সাচ আ ভিক্টোরিয়ান ফুল! ওসব ছাড়ো তো কন্যা! আর ইউ নট পেইড এনাফ? ওকে...ওকে। হ্যাঁ এই তো ভালো মেয়ে। বুঝতে পেরেছো। এখন তুমি তোমার জামার কালার মিসম্যাচ হয়ে যাওয়া নিয়ে সেই ডায়ালগটা দিবা। মনে আছে তো? হ্যাঁ আমাকে শোনাও। রাইট রাইট। খুব ভালো হয়েছে। তবে "আমার মাও এমনটা ভাবতেন" এইখানে "মা" বলার সময় তোমাকে একটু গলাটা কাঁপাতে হবে। মা শব্দটা ঠিকঠাক বলতে পারলে ধাঁইধাঁই করে টিআরপি বাড়তে থাকে...



নম্বর সাত



-যন্ত্রটাতে কোন গোলমাল হয়েছে স্যার মনে হয়। টিউনার আর অটো লোকেটর কাজ করছে না ঠিকমত। হিডেন সার্কিটেও সমস্যা। সাত নং এর দেখা এখনও মিলছে না।

-আরে না মিললে কীভাবে হবে? সাতটা না হলে রঙধনু বানাবো কীভাবে? ছয়টা ঘ্যাটাঘ্যাট মিলে গেলো সাত নাম্বার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে কেন?

-কী জানি স্যার। এরকম প্রব্লেম হবার তো কথা না।

-ওসব আমি বুঝি না। আর মাত্র দুই সপ্তাহ পরে ন্যাম ভিলেজে প্রোগ্রাম। বুকিং দেয়া হয়ে গেছে। এখন পাল্টাতে গেলে আর আগামী ছয়মাসের মধ্যে শিডিউল পাওয়া যাবে না। বোঝা গেলো? সুতরাং যা করার করো, টাকা পয়সা লাগলে নাও। টেকনিক্যাল দিকগুলো একদম নিট দেখতে চাই আমি পরশুর মধ্যে।

-স্যার একটা সিগন্যাল পাওয়া গেছে মনে হয়!

বিপ বিপ একটা শব্দ হতে থাকলো যন্ত্রে।

-টিউন করো! টিউন করে ক্যাপচার করো ঠিকমতো। এইবার আর মিস করা যাবে না। মনিটর ঠিক আছে তো? চেক। এ্যান্টেনাগুলো দেখো। ট্রান্সমিটারগুলো কাজ করছে? চেক। এইতো...এইতো পাওয়া গেছে!

অস্পষ্ট একটা অবয়ব ফুটে উঠলো মনিটরে।

-টিউন করতে থাকো। ফ্রিকুয়েন্সি আসছে। হ্যাঁ কিছুক্ষনের মধ্যে স্যাচুরেশন লেভেলে চলে আসবে। আমি "স্টপ" বলার সাথে সাথে টিউনিং বন্ধ করবা। হ্যাঁ এইতো আসছে...আসছে... স্টপ! স্টপ!!

-ক্যাপচারড স্যার! এখন দেখুন।

তৃপ্তমুখে জানালো টেকনিশিয়ান।



মনিটরে ভেসে উঠলো মোটর দুর্ঘটনায় আহত একজন বালকের দেহ। দশ বারো বছর হবে বয়স। মাথার খুলি ফেটে গেছে। কাঁচ ঢুকে গেছে শরীরের সর্বত্র। রক্ত পড়ছে টপটপ করে।

-আহা। এইসব কী। রিসেট করে আবার টিউনিং করো।

-যন্ত্রটা আবার সমস্যা করছে স্যার। এটা অটোমেটিক আপডেটেড হয়ে ডাটা ট্রান্সফার করছে মেইন সার্ভারে। ফ্রান্সে।

-মানে কী!

-মানে স্যার এটাকেই স্যাম্পল হিসেবে ফাইনালাইজড করে অটোমেটিক পাঠিয়ে দিচ্ছে সবগুলো সেকশনে।

-মানে এটাই আমাদের স্যাম্পল সেভেন? এটাকে দিয়েই অনুষ্ঠান করতে হবে? রঙধনু বানাতে হবে? নো ফাকিং ওয়ে!

-কিন্তু এটা করা ছাড়া কোন উপায়ও নেই স্যার। ওখানেও অটো আপডেটেড হতে থাকবে এটা। অন্য ছয়টা স্যাম্পলের সাথে সিনক্রোনাইজড হবে। ওয়েবসাইটে অটো আপলোড হবে।

-সর্বনাশ! একবার এই ঘটনা ঘটলে তো সে অনুযায়ী কাজ করা ছাড়া উপায় নেই। কর্পোরেট শকুনেরা ওৎ পেতে আছে ভুল ধরার জন্যে। এটাকে দিয়েই তাহলে আমাদের রঙধনু প্রজেক্ট সম্পূর্ন করতে হবে?

-আর কোন উপায় দেখছি না স্যার।

বালকের শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সে অত্যন্ত "ননগ্ল্যামারাস" ভঙ্গিতে মাকে ডাকতে থাকে। তার গলা দিয়ে চি চি আওয়াজ বের হয়। উঠতে গিয়ে সে মুখ থুবরে পড়ে।

-একে কখন গ্রুমিং করাবো, কখন ডায়ালগ শেখাবো, কখন কী করবো কিছুই তো বুঝতে পারছি না! একদম আগলি আর কমার্শিয়ালি আনইম্পরট্যান্ট একটা কমোডিটি। আর্ট ডিরেক্টরকে ডাকো তো। সাথে অন্যান্য পার্টিসিপেন্টদেরও ডাকো। ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে।



রঙধনু



-ডিয়ার পার্টিসিপেন্টজ আপনাদের অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে রঙধনু বানাতে সাতজনের প্রয়োজন নেই। অধীর অপেক্ষার সময় শেষ। আমরা বানাবো সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের ছয়রঙা রঙধনু। ছয় সংখ্যাটির কিন্তু বিশেষ তাৎপর্য আছে। এটা মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। ছয়টি ইন্দ্রিয়ের যোগসাজসে গঠিত হবে সপ্তবর্না অনুভূতির রঙধনু...এই মেশিনটা বন্ধ কর। মনিটরটা আবার চালু হল কেন?

প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটরের ভাষণে ছেদ পড়লো মেশিন আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়ায়। মনিটরে "সাত নম্বর কেস" কে দেখা যাচ্ছে নেতিয়ে পড়া অবস্থায়। শরীর থেকে রক্ত ঝরছেই তার।

-স্যার, ফ্রান্স থেকে ফিডব্যাক এসেছে।

ফ্রেঞ্চ অডিওর সাথে বাংলা সাবটাইটেলে 'কেস' সম্পর্কে বলা হচ্ছে,

"১০ বছর বয়েসী বালক। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। একটি আঙুল কাটা পড়েছে। সর্বমোট ৬০০ মিলি রক্ত নির্গত হয়েছে।"

-এটা স্যার ডেমো ভার্শন। ডিটেইলস পরে পাঠাবে ওরা।

শুকনো মুখে জানায় টেকনিশিয়ান। কড়িৎকর্মা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ব্যাপারটা সামলে নিয়ে নতুন করে ভাষণের প্রস্তুতি নেন,

-ওয়েল...আমরা অবশেষে পেয়ে গেলাম তাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইগনর করাটা সাফারিং কমায়। আর বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করলে আমরা দেখি, আপনাদের ছয়জনের প্রস্তুতি এবং আপনাদের পেছনে বিনিয়োগের বিপরীতে এই বালক মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাকে আমরা পরের এপিসোডে ব্যবহার করার কথা বিশেষভাবে বিবেচনা করবো। নাউ টক বিজনেস। আমাদের গ্র‌্যান্ড ফিনালের বেশিদিন বাকি নেই আর। কেস-১, মিস্টার হেকমত, আপনার প্রতিক্রিয়া বলুন। হাউ আর ইউ ফিলিং?

-মনে হইতাছে আপনারে আমার ওই খাটের চিপায় ফালায়া মশারি দিয়া ঢাইকা মশার কয়েল জ্বালাই একশটা।

-কী বলেন এসব! কেস-২ অরিন...

-আমি আপনাকে বলবো উল্টো করে এক ঘন্টা হাঁটতে। আপনার মাথার জায়গায় পাছা থাকাটাই উত্তম।

-হোয়াট! কেস-৩ জুবায়ের। ইউ মাস্টন'ট লেট মি ডাউন লাইক আদার রিটার্ডস!

-রঙধনু বানাইবার চান, না? বাইর করতাছি।

-ওই ছোট্ট বাচ্চাটাকে ফেলে কোন রঙধনু হবে না। আমার কানে পানি যাওয়ার চেয়ে তার ব্যাপারটা অনেক বেশি গুরুতর এটা আমার ছোট্ট মনও বোঝে।

প্রতিবাদ করে ওঠে কেস-৪ সবুজ।

লুবনাও তার সাথে গলা মেলায়,

-ঠিকই বলেছে ওরা। আপনি আমাদের থেকে খুব বেশি বোঝেন তাই না? ভেবেছেন যে আমরা কিছু বুঝি না?

ঝাঁঝালো কন্ঠ তার।

-আমি সবসময় আবৃত্তি করতে গিয়ে একটা না একটা গড়বড় করেছি। কিন্তু আজ আমি যে কথাগুলো বলবে, তা নিশ্চিতভাবেই হবে আমার সুন্দরতম কবিতার চেয়েও সুন্দর। এতে কোন ভান নেই, ভনিতা নেই, রগড় নেই, টক্কর দেয়ার ইচ্ছে নেই। আছে অকৃত্রিম ভালোবাসা, হৃদকলমে লেখা।

কবির শান্ত সমাহিত কন্ঠে সবাই যেন সম্মোহিত হয়ে পড়ে। তিনি ভরাট কন্ঠে আবৃত্তি করে চলেন,

"আমরা রঙধনু দেখেছি আকাশে

দেখেছি ঝড়ের পরে জলের বর্ণালী

যাতে সিঞ্চিত হয় আমাদের ভালোবাসার সঞ্চয়।

একে অপরকে ভালোবেসে

থাকবো বেঁচে কায়ক্লেশে

তবুও বিকোতে দেবো না মুদ্রার কাছে রক্ত

ব্যবসার কাছে ঘুমবিকেলের আবছায়া

বিলবোর্ডের কাছে রঙপেন্সিল

বিজাতীয় ছিল-ছাপ্পরের কাছে সহোদরকে

আমরা সাতজনা

জীবনের তুলি দিয়ে আঁকবো রঙধনু

দুর্ঘটনাপ্রবন এলাকার ক্যানভাসে"

কেমন লাগলো কবিতাটি আপনার? কবিতা হৃদয়ঙ্গম করতে না পারলে এক কথায় বুঝিয়ে দিই, আমাদের ছোটখাটো দুর্ঘটনাকে সম্বল করে আপনাদের অতি বৃহৎ ব্যবসা পরিকল্পনা নাকচ করে দিলাম আমরা। নিকুচি করি প্রোগ্রামের, মেকি অনুভূতির, খ্যাতির। চলো সবাই মিলে আমাদের আহত ভাইটিকে খুঁজে বের করি। ওর চিকিৎসা দরকার। টেকনিশিয়ান ভায়া, ওর লোকেশনটা ঝট করে বের করে ফেলে বলো তো আমাদের।



যন্ত্রের সাথে মানুষগুলোর এভাবে বিগড়ে যাওয়া দেখে প্রজেক্টের সাথে জড়িত মানুষেরা স্থানুর মত দাঁড়িয়ে থাকে আর একে অপরকে দোষারোপ করে। উচ্চশক্তিসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে তারা নিশ্চয়ই ক্ষতির খতিয়ান বের করে ফেলবে। ততদিনে দুর্ঘটনাপ্রবন এলাকার বিলবোর্ডগুলো ঢেকে দেবে অজস্র রঙধনু।

মন্তব্য ১৩৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: ওয়াও!!!! ছবিটা অসাম! আগে ছবি দেখলাম। এখন পড়ব। :-B

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আজকে পিনিক লাগছে, দুই লাইন আগালে পেছনের লাইন ভুলে যাচ্ছি । সকালে পড়ে মন্তব্য দিব :-< |-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত। শুভঘুম।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

টুম্পা মনি বলেছেন: ওয়াও। অসাধারণ। সম্পূর্ণ অন্যরকম আমেজ। অজস্র শুভকামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা টুম্পা।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

এম ই জাভেদ বলেছেন: লেখার আয়তন দেখে পড়তে সাহস হল না। কাল সময় করে পড়ব। শুভ রাত্রি। আলসেমির জন্য দুঃখিত।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় করে পড়ে নিয়েন। সময় সহায় হোক। শুভকামনা।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

আমার মন বলেছেন: ফেবুতে কিছু পড়েছিলাম।
যন্ত্রের সাথে মানিয়ে নিয়ে দুর্ঘটনাকে আশ্রয় না দিয়ে সচেতনভাবে মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছি, কারণ বিষয় গুলো আমারও জীবনের সাথে রিলেটেড।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

নাইট রিডার বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা।

দূর্ঘটনাগুলো আলাদাভাবে পড়লে মনে হবে কোন রম্য গল্পের শুরু। কিন্তু সবগুলো এক করে শেষ গল্পে যা দিলেন তাতে আমাদের এই আধুনিক কর্পোরেট মন মানসিকতার করুণ বাস্তব চিত্রটাই উঠে আসল।

আমাদের জীবনটা গ্রাস করে ফেলছে গ্লামার আর টি আর পি ।প্রতিযোগিতার এই যুদ্ধে এগুলোই তো মোক্ষম মারনাস্ত্র। এখানে মানবিকতা, সহমর্মিতা মরচে ধরা। ব্যবহার করলেই পিছিয়ে যেতে হবে।

প্লাস এবং প্রিয়তে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটির পেছনে অনেক শ্রম গেছে। আপনি প্রিয়তে নেয়ায় আনন্দিত হলাম।

শুভকামনা।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

খাটাস বলেছেন: এত বড় পোস্ট আজ কে আর সইবে না। কমেন্ট দিয়ে মার্ক করে গেলাম। কাল পড়ব। শুভ কামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার একটা প্লট। গল্পটা পড়ে মনে হল, হয়ত আমরা নিজেরাই এমন একটা সময় পার করছি যেখানে মানুষের আবেগ, অনুভুতি, সমস্যা, কষ্ট ইত্যাদি নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। আমরা নিজেরাই জড়িয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসার অর্ন্তজালে। মানুষের জন্য, মানবতার জন্য এখানে ভাবার সময় কই। এগিয়ে যাওয়ার জন্য মানবতা হয়ত একটি বাধা। এখন প্রতিযোগিতা শুধু মাত্র মানবতা বিহীন সাফল্যের জন্য। নিজের অলক্ষেই হয়ত আমরা এই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত নেতিবাচকতার ভীড়েও শেষতক একটা আশাবাদের মেসেজ দিলাম। সেটা হয়তোবা বাস্তবের সাথে মেলে না, তবুও জাস্ট ফর আ চেঞ্জ!

শুভকামনা কাভা।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আজকে প্রায় সারাদিন মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে ! চোখ জ্বালা পোড়া করছে । এই লেখা পড়তে পারছি না আবার না পড়ে থাকতেও পারছি না ! আপাতত প্রিন্ট দিয়ে পড়া শুরু করলাম !
লেখা পড়ে কি বুঝলাম আগামী কাল দেখি বলার চেষ্টা নিবো নে !

শুভ রাত্রী !! :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০

মাক্স বলেছেন: চিঠি এবং চোখনুক্রমে কর্পোরেটের গুষ্ঠি উদ্ধার করসিলেন, আর আজকে এইটাতে করলেন এঞ্জিওর!
জাস্ট অসাম!

দাঁড়ান মোবাইল থিক্কা ঢুকে প্লাসটা দেই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুবাইল থিকা প্লাস দেয়া যায় তাইলে। ভালু তো! থেংকু।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১

মাক্স বলেছেন: অপারেশন সাকসেসফুল! প্লাস হইসে!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: B-)

১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকা।।

বড় গল্প , অনেকগুলো শাখা । অথচ কি সুন্দর যুক্ত

খুব ভালো লাগলো হামা ভাই

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিফাত। শুভরাত।

১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং লাগল !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু। শুভ জন্মদিন।

১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম কাল শান্ত হয়ে আপনার পোষ্ট পড়বো , শুরু করে শেষ ই করে ফেললাম ! অন্য রকম লাগলো , আশাবাদী গল্পে প্লাস !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অভি। গল্পটা টেনে ধরে রেখেছে জেনে ভালো লাগলো।

১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

ধন্যবাদ :#> :#) :#)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো কাটুক দিন।

১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

সানড্যান্স বলেছেন: মাস্টারপিস! দারুন!!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী! শুভকামনা সানড্যান্স।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: খুব ভালো লাগলো!! B-) B-) B-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো জেনে B-))

১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সুপার !
বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী !
দেখে যাই , দেখতে থাকি ।
এক্টার পর একটা মাস্টারপিস ছাড়তাছেন দারুণ লাগতাছে এখন ।
ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখতাসি আর কী, কলমের টানে। আপনাদের প্রশ্রয়ে। জানি না কতদূর কী হচ্ছে।

শুভেচ্ছা।

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দারুন গল্প আপনার, মনকে ধাক্কা দেয়ার মত বাস্তবতা আছে এখানে। বানিজ্যিক এই যুগে মানুষের দূর্ভোগও বানিজ্যিক পন্য।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদম ঠিক জায়গায় দৃষ্টি গেছে আপনার তনিমা। শুভকামনা।

২০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৫

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: চমৎকার গল্পে +++

বস আমি মোবাইল থেকেও + দিতে পারতেসিনা ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর করা। অদৃশ্য প্লাস দিয়েই চলুক! ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সাইজ দেখে ভয় পাইছিলাম। তবু পড়ে ফেললাম। আমার কাছে ভালই লাগলো :)

৩য় +

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু!

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন:

+ দিলে লোড হয়না ক্যান? B:-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী জানি!

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোসস !
আপনি ঘুমাননা নাকি ??!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। গল্প লেখার রাতে কম ঘুমাই। অল্প অল্প করে।

২৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: হায়রে এনজিও, মানুষের দুর্দশা বিকিয়ে উদরপূর্তি করা উন্নয়ন ব্যবসা । তবু ভাল, মেকি দুর্দশাগ্রস্তরা নিজেরাই প্রতিবাদি হয়েছে । সত্যিকারের দূর্ঘটনার শিকার ভাইটির সাহায্যে এগিয়ে যেতে মনস্ত হয়েছে । এই ঘুরে দাঁড়ানোটাই গল্পের প্রাণ । প্লাস! প্লাস!

আপনার আকাশে কাল মেঘের ঘনঘটা দেখতে পাচ্ছি । সমুদয় সুশীল সমাজ এদের আঁকা রঙধনুতে রঙ ঢালে । উন্নয়ন ব্যবসায়ী আর তাদের বৈশ্বিক প্রভুদের খুশি না করে কে কবে নুবেল-বুকার পেয়েছে শুনি !

গল্পকার সাহেব, সাবধান! ;) :P

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘুরে দাঁড়ানোর অংশ রাখবো নাকি নতজানু করে দেবো আরো তা ভাবছিলাম। শেষমেশ আশাবাদ রাখলাম!

পুরষ্কার টুরষ্কারের চেয়ে আমার প্লাস পেতেই ভালো লাগে। সো নো টেনশন! B-)

২৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

আম্মানসুরা বলেছেন: একে অপরকে ভালোবেসে
থাকবো বেঁচে কায়ক্লেশে
তবুও বিকোতে দেবো না মুদ্রার কাছে রক্ত


যদিও এই অনুভূতির জয় হয় না তবুও আশা একদিন মানুষ এভাবেই ভাববে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশাবাদের প্রতিধ্বনি করলাম।

শুভেচ্ছা।

২৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুম। বিশাল বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন আজ!

দুর্ঘটনাগুলোর ‘ভয়াবহতা’ দেখে হেসে নিলাম প্রত্যেকটিতে।

তারপর পেলাম আপনার লেখার মাজেজা। ভালো বক্তব্য দিয়েছেন।

আপনার ভাষা অনেক মাচিউরড এবং রসময়। ভালো লেগেছে। +

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। নিয়মিত আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।

২৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

গোর্কি বলেছেন:
-উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি কোনদিন কোনো দৃষ্টান্তও দেখাতে পারে নি, আশার বাণীও শোনাতে পারে নি।
-জয় হোক; রঙধনু ঝিলমিল, রঙেরও মিছিল!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: জয় হোক আমাদের ন্যুব্জ আশাবাদের। শুভেচ্ছা।

২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক ভালো লাগলো :)
টেকনিক্যাল প্রবলেমের কারণে অনেকেই লাইক বাটন চাপলেও কাজ করেনি।
কিন্তু আমি অনেক পরে এসেও ষষ্ঠ ভালো লাগা দিতে পারলাম। ;)
এই প্রথম আপনার কোনও পোস্টে আমি প্রথম দশের ভেতরে লাইক দিতে পেরেছি। (আমার অন্য একটা সিস্টেম জানি, যা দ্বারা সহজেই লাইক দিতে পারা যায়। B-) ) :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! লাইক দেয়ার সিস্টেমটা জানায়া পোস্ট দেন। আমি নিজেও দিতে পারতাছি না।

২৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাল রাতে গরম গরম ৩নং মন্তব্য করে ঘুমোতে গেছিলাম, এখন এসে দেখছি সামু খেয়ে ফেলেছে! দূরো! তাঁর মধ্যে লেখা ভেঙে ভেঙে আসছে, মাথা নষ্ট হয়ে গেল!

গল্পের থিম চমৎকার। আপনার গল্পে অনেকদিন পর এমন আশাবাদ দেখতে পেলাম। ভালো লাগল ব্যাপারটা।

শুভকামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হায় হায় মন্তব্যটা হারায় গেলো! আফসোস হচ্ছে। যাক আশাবাদের লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: অনেক সুন্দর।
ভাল লাগা রেখে গেলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অনির্বাণ। শুভেচ্ছা।

৩১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: গল্পের ছবি গুলাকি তোর এডিট করা .... থিমের কাছাকাছি ছবি জোগাড় করিস কোথ্থেকে ? গল্প ভাল লাগল... বরাবরের মত পেচালো...

আমরা সকলেই কি সম্মোহিত না ??

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের সম্মোহিত করতে সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। কর্পোরেট মাফিয়া থেকে সরকারযন্ত্র, মিডিয়া মুঘল, এর ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে থাকা কঠিন।

এডিট করা না। ছবি খোঁজার নিয়ম আছে ;)

অনেকদিন পর তোর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকিস।

৩২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সোমহেপি বলেছেন: ভালো গল্প।

দুঃখ কষ্ট আর পুঁজির ত্রিভুজ খেল।

শেষের আশাবাদ ভালোলাগেনি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবসময় তো হতাশার কথাই বলি। তাই একটু পরিবর্তন। আমরা তো সবাই জানিই যে এই আশাবাদ মিথ্যা।

৩৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

সায়েম মুন বলেছেন: বর্তমান জমানায় কত কিছুর ব্যবসা চলতেছে। আপনের এই গপ তো ব্যবসার মূলে কুঠারাঘাত করবে। সব মিলায় ইন্টারেস্টিং একটা প্লট। এনজয় করলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠারাঘাত করবে, তবে সেইটা কাঠের তৈরি কুঠার। আর তাদের মূল স্টিলের :(

শুভদুপুর।

৩৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

অনীনদিতা বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো .... :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি এলেন আমারও ভালো লাগলো। শুভদুপুর।

৩৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো গল্প, ছিমছাম। মানুষের মাঝে থেকে যে এখনো মানবতা উঠে যায় নি সে আশাবাদের গল্পই এখানে যেন দেখলাম।
শুভকামনা গল্পকার।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্না। শুভকামনা।

৩৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: খাইছে এত্ত বড়.............

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়।

৩৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

ডানাহীন বলেছেন: গল্পটা লিখতে নিশ্চয় অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হয়েছে .. এধরনের গল্প হুট করে প্রসব করা যায়না । যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য বিন্যাস বা ক্রিকেট মাঠে ধুরন্ধর ফিল্ডিং সাজানোর ধূর্ত দক্ষতার ছাপ পুরো গল্প জুড়েই ..

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কী এটার শুরু আর শেষটা ভাবা ছিলো বাকিটুকু লিখতে গিয়ে কলমের টানে উঠে এসেছে। থেমে থেমে ভেবে ভেবে লিখেছি।

শুভকামনা ডানাহীন।

৩৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: "গল্প যদি শুনতে চাও আমার কাছে এসো "র প্রভাব আমি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি । সেই কারনেই মনে হয় খুব ভালো লাগতে লাগতে হঠাৎ করে মনে হলো সেই গল্পের মতো নয় । তবে এটাও যে চমৎকার লেগেছে সে ব্যাপারেও সন্দেহ নেই । শুভেচ্ছা নিবেন । :) :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐ গল্পের সাথে তুলনা করতে গেলে বেশিরভাগ গল্পই পানসে লাগার কথা। তাই সেটা না করাই ভালো!

শুভেচ্ছা আদনান।

৩৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

শাহেদ খান বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে গল্প পড়লাম, হাসান ভাই ! একটানে পড়ে গেলাম। চমৎকার !

+++

"আমাদের ছোটখাটো দুর্ঘটনাকে সম্বল করে আপনাদের অতি বৃহৎ ব্যবসা পরিকল্পনা নাকচ করে দিলাম আমরা। নিকুচি করি প্রোগ্রামের, মেকি অনুভূতির, খ্যাতির।"

-- শেষে এসে এই কথাগুলো যেন আমি নিজেই বলে উঠছিলাম, পাঠকমাত্রেই বলে উঠবে !

ভাল থাকবেন। শুভকামনা, সবসময়ের।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহেদ। শুভকামনা।

৪০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

বোকামন বলেছেন:





দুর্ঘটনায় ঘটনা ঘটে চলছিলো ..
দুর্ঘটনা-৬ পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো

টিউনিং টিউনিং... থেকে কিছুটা গোলমেলে হয়ে গেলো।
আর রঙধনু অংশটিতে আপনাকেই পেলাম।
ট্যানেলের শেষ প্রান্তের গুটিকয়েক আলোর ইঙ্গিত। জানিনা তার রঙ সাতটি কি-না তবে আলো দেখেই খুশি ....।


সাধারণ পাঠকের ভালোলাগা ও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময় :-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: টিউনিং অংশটা বিশেষ কিছু না, তবে লিখতে মজা লাগছিলো।

শুভরাত্রি।

৪১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

ইখতামিন বলেছেন:
দিয়েছি, দেখুন :) :P

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড জব!

৪২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এফিবিতে কিছু অংশ পড়ছিলাম!

অনেক অনেক অনকমন একটা লেখা! পুরাই অনকমন! অনেক ভালা পাইছি!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও লিখে মজা পাইসি। অন্যরকম বলেই। থিংকু।

৪৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১

নাসরীন খান বলেছেন: আপনার জন্য---------------------------------------------------------
লিখেন খাসা
মন্তব্যে ঠাসা
জায়গা নাই
তবু যাই।


০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৪৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ওহ অনেক বড় পোষ্ট :) তবে দুর্ঘটনা-৩ সব চাইতে বেশি ভালো লাগছে । অনেক গুতাগুতি করেও + দিতে পারিনি ভাইজান :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। প্লাস দিতে চাইলে ইখতামিনের পোস্ট দেখেন।

শুভরাত্রি।

৪৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় ছোটভাই, কি আর বলব, আমি যদি সম্রাট হতাম তোমার লেখার হাতটা স্বর্ন দিয়া বাধায়া রাখতাম।

শেষে এসে ফিনিসিংটা অন্যরকম আশা করেছিলাম, কিছু একটা গন্ডোগোল হয়েছে মনে হয়েছিল। কিন্তু ৮ নং কমেন্টে রিপ্লায়টা,

এত নেতিবাচকতার ভীড়েও শেষতক একটা আশাবাদের মেসেজ দিলাম। সেটা হয়তোবা বাস্তবের সাথে মেলে না, তবুও জাস্ট ফর আ চেঞ্জ! -- মনে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে দিয়েছে।

শুভেচ্ছা, এমনি করে লিখতে থাক।

অফটপিকঃ তোমার লেখার সাথে তাল মিলিয়ে পড়তেই পারছিনা। এত লিখ কিভাবে? সারাদিন কি লেখার মধ্যেই থাক না কি?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বর্ন দিয়ে বাঁধায় রাখলে লিখবো কীভাবে ভাইয়া? :( হাহা!

ইদানিং কিভাবে যে এত লিখছি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। কখনও এত লিখি নাই। এত লোড দেই নাই মন আর শরীরের ওপর। তবে কী, পছন্দের কাজ করতে পারলে এইসব লোড কোন ব্যাপার না! দোয়া করবেন যেন এভাবেই লিখতে পারি।

৪৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ!!

খুব কাছাকাছি সময়ে আপনার বেশ কয়েকটি চমৎকার লেখা
পড়ার সৌভাগ্য হলো :-B

মধ্যরাতের শুভেচ্ছা, হাসান ভাই......

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুপুরের তপ্ত শুভেচ্ছা কবি!

৪৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

অদৃশ্য বলেছেন:





হাসান ভাই

আমার মনে হয় কি জানেন সাধারণ মানুষরা একসময় তাদের স্বত্বার সর্বস্ব হারিয়ে ফেলবে... মেকি আর যান্ত্রিকতায় নিয়ন্ত্রিত হতে থাকবে তারা... তারা এতোটাই লোভে পড়বে বা প্রলুব্ধ হবে যে স্বাভাবিকে ফিরে আসাটা বা নিজস্বতা বলে যে কিছু আছে তা তাদের মাথাতেই থাকবে না !!

আপনি এমন কিছু বিষয়কে লিখায় প্রাধান্য দেন যা নিয়ে অনেকেই ভাবতেও ভয় পায়... নিজস্বতার অন্ধকার দিক গুলোকে উন্মোচন করতে পারলেই না আপনি আপনাকে ঠিকঠাক চিনবেন... নিজেকে চেনার জন্য বা অন্যকে চেনার জন্য এর চেয়ে ভালো কিছুতো আর হতে পারেনা... কিন্তু সবাই কি চায় নিজেকে চিনতে?

এই লিখাটি নিয়ে আপনাকে অনেক ভাবতে হয়েছে বুঝা যায়... যেভাবে ষ্টেপ বাই ষ্টেপ ঘটনাগুলো সাজালেন আবার সেগুলোকে একত্রিত করে ঘটনাটিকে সামনের দিকে নিয়ে গেলেন... এভাবে আপনার দ্বারাই হয়... আমার কাছে টোটাল বিষয়টা দারুন লেগেছে... তাইতো প্রথমেই ওভাবে বললাম... আসলেই আমরা স্বাভাবিকতা হারাচ্ছি... অনেক কিছুতেই তার প্রমাণ পাওয়া শুরু হয়ে গ্যাছে... অর্থ, বৃত্ত্ব, লোভ, ক্ষমতার বিপরীতে আমার আমাদের সবকিছুকেই বিকিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়ে আছি...

তবে... আপনার লিখাগুলো মাঝে মাঝে কম্প্লেক্স লাগে... সুন্দর শুরুর পর হঠাৎই কোথায় গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি যেন... এমনটা সবগুলোতে না হলেও মাঝে মাঝেই হয়... গল্পের ক্ষেত্রে জটিলতা কম থাকাকেই আমার ভালো মনে হয়... গল্পে গ্যাপ যতটা সম্ভব কম রাখা যায় আমার মনে হয় সবপর্যায়ের পাঠকের জন্যই তা ততই ভালো বা বোধগম্য... প্যাঁচ থাকতেই পারে তবে তা যেন সহনীয় পর্যায়ের হয় এমন আরকি... এসব এজন্য বললাম যেন আপনার মাথায় ব্যাপারটা থাকে... আপনার লিখাতে অনেক ধার আছে, তাই সেটা দিয়ে আপনি মাংসের সুন্দর বা অনবদ্য স্লাইস করবেন, এমনটাই কাম্য...

হঠাৎই মনে হলো কিছু কথা বলি... নিজের ভাবি বলেই এমন করে বলা...

শুভকামনা...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অকপট মতামতের জন্যে ধন্যবাদ কবি। আমার লেখা মাঝেমধ্যেই বেশ জটিল হয়ে যায় স্বীকার করছি। বিশেষ কিছু নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সেটা আমি বরদাস্ত করি। কিন্তু অন্যান্য লেখার ক্ষেত্রে অনাবশ্যক জটিলতা অবশ্যই কাম্য না। আমি চেষ্টা করছি এটা কাটিয়ে উঠতে। আপনি স্পেসিফিকালি সহায়তা করবেন এসব ক্ষেত্রে নিঃসংকোচে।

শুভকামনা।

৪৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: গ্লামার, কর্পোরেট ভুংভাং, আরও ছোট, আরও উপরে ওঠো, আরও টাকা, আরও প্রমোশন, আরেকটু লিপিস্টিক, গালে শিমার, পেন্সিল হিল, ব্যান্ডের সানগ্লাস........এই লাইফ আমার জন্য না!
ফেবুতে একটু একটু করে পড়েছিলাম, এটা তোমার বেস্ট পাঁচে থাকবে..দারুন ক্রিয়েশন!

বাই দ্যা ওয়ে, রানারা কি পৌঁছে গেছে?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই লেখাটা নিয়ে আমার উচ্চ আশাবাদ ছিলো। আপনার স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে!

রানা ভাইয়ারা ভোর চারটার সময় রওনা দিয়েছে। ১৭ ঘন্টা লাগার কথা। আরো বহু পথ বাকি! মনটা উদাস।

৪৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখাটি বড় তবে সফল। ভাল লেগেছে। পোষ্টে ++++++++++++

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাফল্যের স্বীকৃতি সবসময়ই প্রেরণা যোগায়। অনেক ধন্যবাদ।

৫০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

তাসজিদ বলেছেন: এত মাস্টার পিছ কথা থেকে বের হয়??????????????

আর কত প্লাস দিব?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেন দেন প্লাস দেয়া ব্লগিংয়ের জন্যে ভালো :-B

৫১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: টুকরো ঘটনা যে এমন রূপ নেবে ভাবতে পারিনি , শেষে এসে চিরচেনা সেইসব কর্পোরেট কালচারের প্রতি এক ধরণের ঘৃণা জন্ম নেয় । চমৎকার লাগছে ।

সাম্প্রতিক লেখা গুলো ভালো লাগছে , বুঝতে পারছি খুব সহজেই সেজন্য ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া। শুভরাত্রি।

৫২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

কালোপরী বলেছেন: ও কি ও হাটে না যায়ো বাটে না যায়ো
ঘাটে না যায়ো লাজে
মায়ে বাপে নাম রাখিছে
কলঙ্কিনী রাঁধা





কেন যেন গল্পটা পড়ে এই গানটাই বারবার মনে পড়ল বুঝলাম না

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও ঠিক বুঝলাম না :|

৫৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পড়েছিলাম বেশ আগেই। ইচ্ছা ছিল গল্পটা নিয়ে একটু বিস্তারিত লেখি, কিন্তু দুর্ভাগ্য সুযোগ নেই। শুধু বলি শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে। শুরুটা দেখে এটা আঁচ করতে পারি নি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।

৫৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

শাওণ_পাগলা বলেছেন: সবকিছুর কমার্শিয়ালাইজেশনের মাঝেও যে সুপ্ত মানবতাও যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে তারই আশাবাদ। চমৎকার লাগলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানবতাবোধ না থাকলে পৃথিবীটা একটা মানববোমা। পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়াবহ। আশার কথা, এটা এখনও আছে।

শুভেচ্ছা শাওন।

৫৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: দেরীতে হলেও দুটো গল্পই পড়লাম আজ। মানুষের স্বার্থপরতা আর কর্পোরেট কালচার এর প্রকৃত চরিত্র দুটো গল্পে এসেছে। ভাল লেগেছে। তবে এটি অনেক বেশী ভাল লাগলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ দুটো গল্পের মাঝে আমারও এটাই বেশি পছন্দের। ধন্যবাদ নুসরাত!

৫৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

আরুশা বলেছেন: টুকরো ঘটনা যে এমন রূপ নেবে ভাবতে পারিনি , শেষে এসে চিরচেনা সেইসব কর্পোরেট কালচারের প্রতি এক ধরণের ঘৃণা জন্ম নেয় ।
ব্লগার অদ্বিতীয়া আমির সাথে সহমত পোষন করলাম।
++্

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আরুশা। শুভকামনা।

৫৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

অচিন্ত্য বলেছেন: সাবাস। মিডিয়ার ফাউলগুলারে এক্কেবারে যথাযথভাবে ফ্রেমবন্দী করেছেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটরের চরিত্রে। আমাদের সব অনুভূতি ‘হিডেন ডিভাইস’ দেখার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য একটাই। বাণিজ্য। বিক্রি হতে এত ইচ্ছুক আমরা সবাই, অবাক লাগে। নাইস ওয়ার্ক।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অচিন্ত্য। শুভ মেঘযাপন।

৫৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

অচিন্ত্য বলেছেন: ও হ্যাঁ, একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। ভাবছিলাম সরু প্যাসেজটা পার হতে গিয়ে লুবনা পড়ে টরে যাবে হয়ত।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! হ্যাঁ ওরকমও হতে পারতো। তবে ওটা বেশি কমিক্যাল হতো না!

৫৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মশিকুর বলেছেন:
দুর্দান্ত পোস্ট +

যা বলার তা অনেকে বলে ফেলেছে.. শুধু বলি আপনার কাছ থেকে আমার মুক্তার মালা গাঁথা শিখতে হবে..

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ। সবার মাঝেই ঝিনুক আছে। সবাই মুক্তো বানাতে পারে যে যর মত করে। শুভকামনা।

৬০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

মশিকুর বলেছেন:
পোস্ট পড়ে প্রথমে মনে হল কতগুলো মুক্তা এলোমেলো ছড়ানো, পরে মালা তৈরি হল- এটাই শিখবো।

কি পরিমান কষ্ট করে যে লিখেছেন, তা পড়লেই বুঝা যায়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব কষ্ট মিলিয়ে যায় আপনাদের সহৃদয় প্রতিক্রিয়ায়। অনেক শুভেচ্ছা।

শুভরাত্রি।

৬১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আমমম... এরকম যেন শুধু দুঃস্বপ্নেই হয় সেই হয়ত প্রার্থনা করতাম। কিন্তু, মনে হচ্ছে আর দেরি নেই!

সুখপাঠ্য!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর এজন্যেই ভুলপথের ঘুলঘুলিতে আঁটকা পড়েও আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে গল্পের শেষটার মতো।

ওয়েলকাম ব্যাক ইমরান।

৬২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

ভিয়েনাস বলেছেন: গল্প পড়ার সময় শেষটা এমন হবে ভাবিনি। হয়তো আপনি লিখেছেন বলেই ভাবনাটা ভিন্নতায় এসেছে। কর্পোরেট দুনিয়ায় এখনও বিবেক মানবিকতা গুলো মরে যায়নি। মাঝে মাঝে বিবেকের তাড়না মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।
গল্পে ভালো লাগা রইলো।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস। শুভরাত্রি।

৬৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আমি ভাবছিলাম বুঝি রম্যগল্প। প্রথমে শুরুটা তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছিল। ১,২,৪নং এসব ঘটনার অভিজ্ঞতা আমার নিজেরও ভালই আছে। ৫ নং ঘটনার ম্যাচিং সমস্যার মত মহান দুর্ঘটনা আর কিছু হতে পারেনা। :) ঘটনাগুলর বর্ণনা সংক্রান্ত সময় পর্যন্ত মজাই পাচ্ছিলাম। তবে এরপরের প্যারা থেকেই মনে হল যেন আসল গল্পে প্রবেশ করলাম।
আমাদের সুবিধাবাদী, লোভী, স্বার্থপর কর্পোরেট কালচারটা ভাল ভাবেই উঠে এসেছে। এই কালচারের কর্মীরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুভূতি, আকর্ষণের উপাদান, পছন্দ অপছন্দ ইত্যাদি বিষয় যেন রীতিমত মুখস্ত করে চলেছে- সেই আভাসই পেলাম দুর্ঘটনা মাপার যন্ত্রে। আর মিডিয়া বাণিজ্যের ব্যাপারটাও কিছুটা উঠে এসেছে মনে হল। জানিনা ঠিক বুঝেছি কিনা। যা বুঝেছি তা যদি সঠিক নাও হতে পারে, তবুও বলব যা বুঝেছি তাতেই গল্প মনে ধরেছে।
তবে এই গল্পের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছে আপনি রম্য লিখলে খারাপ করবেন না! ডার্কনেস নিয়ে লিখতে লিখতে একটা সময় যখন একঘেয়েমিতে পেয়ে বসবে তখন একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবাই বোধহয় ভাবে যে আমি অতি কঠিন জিনিসপাতি ছাড়া কিছু ভালোবাসি না। এটা পুরাই ভুল। আমি খুবই ফান লাভিং। কমেডি ফিল্ম, নাটক, ইন্টারনেট মিমি সবই আমার পছন্দের। একসময় উন্মাদে নিয়মিত লিখতাম। ঐখানে লেগে থাকলে আজ হয়তো অন্য এক হাসানকে দেখতা! রম্য খুবই পছন্দের জিনিস আমার। তবে লিখতে গেলে আর লেখা হয়ে ইঠে না। তাই এরকম স্যাটায়ার স্টাইলে লেখার ইচ্ছা আছে। লিখেছিও এরকম।

গল্পে যা বলছো তাই, এর বেশি কিছু বোঝার নাই। ভালো লাগলো নিবিষ্ট পাঠ।

শুভরাত্রি।

৬৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অসাধারণ।
পুরো রাত মরা কাঠের মত ঘুমান।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কমেন্ট পেয়ে ঘুম থেকে উঠে এলাম!

৬৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আপনার লেখার হাত বেশ বৈচিত্রময় ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বৈচিত্র ভালোবাসি।

ধন্যবাদ!

৬৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

প‌্যাপিলন বলেছেন: গল্পের লাগাম যেভবে ধরেছিলাম কিন্তু ছুটে গেল অন্য পরিণতিতে :| :| অসাধারণ লিখেছেন। নাজিমউদ্দৌলার মনে হয় আপনার রম্যের সাথে পরিচয় হয়নি। 'ফ্রেশ জলের ফুঁস' জাতীয় রম্য যিনি লিখেন তাকে ডার্ক থিমের লেখক হিসেবে দেখলে তা হবে চরম ভুল...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেসব তো অনেক আগের কথা! ভুল হতেই পারে। তবে এখন আর রম্য সেভাবে আসে না। সবই অভ্যাসের ব্যাপার।

শুভবিকেল প্যাপিলন।

৬৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: মানুষের দুঃখ বেদনা কষ্ট দুর্ঘটনা – এসবকে উপজীব্য করে যে বা যারা বেঁচে আছে এই গল্প কি তাদের গালে কষে দুটো থাপ্পড় দেবার মহৎ উদ্দেশ্যে লেখা। যদি তাই হয় তো লেখা সফল। অসাধারণ লেখা। এই লেখা যেকোনো প্রতিষ্ঠিত লেখকের মনেও ঈর্ষার উদ্রেক ঘটাতে বাধ্য।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও প্রতিষ্ঠিত হয়ে ঈর্ষান্বিত চাই!

৬৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: দারুন লেখা। মনে হচ্ছে বহুদিন পর একটা অসাধারন গল্প পড়লাম।
অনেকদিন ব্লগে আসা হয়না। তাই বেশ কটা না পড়া গল্প জমে আছে। একে একে সব পড়ে ফেলতে হবে :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! সুস্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.