নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল সবুজে জন্ম আমার, থাকি লাল সাদা আর নীলে!

আমি পরাজিত যোদ্ধা

লাল আর সবুজের নিচে জন্ম আমার, থাকি লাল সাদা আর নীলে

আমি পরাজিত যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য ভুতের গল্প।

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:২৫

জীবনে প্রথম বার এর মতো গল্প লিখছি্‌ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

আমার দাদা এর বাবার বাসাটাই আমার দাদা বাসা বলে আমরা চিনি, এই বাসাতে আমি প্রায় ১০ বছরের মতো ছিলাম, জন্মের পর এই বাসায় আসি আমি, এই এলাকায় প্রাইমারি স্কুলে আমি পড়ি, এর পর হাই স্কুলে ঊঠার পর এখানে থেকে চলে যাই দূরে কোথাও। যাই হোক।

দাদা বাসা


এবার আমরা পরিচিত হবো এই সত্য গল্পের প্রধান চরিত্র এর সাথে।

সালেহা খাতুন ১৯৮৪


আমার দাদি, ঊনি ছিলেন আমাদের এলাকার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, প্রায় ২২ বছর এর শিক্ষিকতা জীবনে উনি আমাকে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, আমি উনার স্কুলেই লেখা পড়ার হাতে খরি হয়, আমি ক্লাস থ্রি পর্যন্ত জানতাম এটা আমার দাদির স্কুল, কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলতাম আমি আমার দাদির স্কুলে পরি, যাই হোক।

মুল ঘটানা তে আসি, দাদি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরেন ছোটবেলা থেকে, সাথে তাহাজ্জুদ ও পরেন দাদা মারা যাবার পর থেকে ( আমার জানা মতে ) তহ ঘটনাটা ২০১২ এর দিকের, দাদি একা এক রুমে থাকেন, উনার রুম থেকে ওজু করার স্থান ২০ থেকে ২২ কদম এর বেশি হবে না, উনার বিছানা থেকে, দাদির রুমের সাথে এটাচড বাথরুম থাকলেও দাদি সব সময় কুয়া এর পানি ব্যাবহার করতেন। উনি সব সময় কুয়া এর পানি খেতেন, গোসল, ওজুতে কুয়া এর পানি ছাড়া উনার চলতো না। যাই হোক।

ঘটানা এর রাতে উনি কুয়া এর পানি দিয়ে ওজু করার জন্য বের হন উনার রুম থেকে, বের হয়ে কুয়া থেকে যখনই পানি এর বালতি টা হাতে নিয়েছেন তখনই উনার পিছন থেকে আমার ছোট ভাই, যার বয়স তখন ৬ বছর সে দাদিকে বলে ঊঠলো দাদি আমি তোমার পানি তুলে দেই?

দাদি তহ অবাক, রাত ১ টা এর দিকে আমার ছোট ভাই এর সেখানে থাকবার কথা না, কিন্তু দাদি বুদ্ধিমতি ব্যাপারটা কিছু টা আচ করতে পেরেছিলেন। দাদি বললেন, কি রে তুই ঘুমাস নাই এখনো? যা ঘুমা কাল স্কুল আছে।

তখন আমার ভাই দাদিকে বললো, আমরা তহ একসাথে যাবো কাল, আর এখন আমার ঘুম আসছে না তাই ভাবলাম তোমাকে একটু হেল্প করি।

দাদি বললেন দেখ তুই অনেক ছোট তুই তহ পানি তুলতে পারবি না এই বালতি দিয়ে, আমি তুলে নিবো তুই যা ঘুমা।

আমার ভাই তখন এক হাত দিয়ে বালতি এর হ্যান্ডেল টা ধরে টান দেয়, কিন্তু দাদি শক্ত করে ধরে থাকায় সে সেটা নিতে পারে না। দাদি চিৎকার করে বলে তুই ঘরে যা, এবং আয়তাল কুরসি পরতে থাকেন।

তখন আমার ভাই উলটা হয়ে দারিয়ে থাকে, মানে আমার ভাই এর চেহারা অন্য দিকে করে থাকে, এর পর আমার দাদি ঘুরে কুয়া থেকে পানি তুলেন এবং যখন উনি পিছনে ফেরেন দেখেন ( ওনার ভাষ্য মতে, কোন ধর্ম কে ছোট বা হেয় করে নয় ) হিন্দু ধর্মের "মা কালি" সয়ং দারিয়ে আছেন।

দাদি এর হাত থেকে পানি ভরা বালতিটা উনি ("মা কালি") চান, দাদি দিতে না চাইলে দাদি এর বাম হাতে উনি ("মা কালি") একটা লাথি মারেন। দাদি ছিটকে পরে যান বেশ কিছু দূরে। এর পর উনার চিৎকার শুনে আমার বাবা, মা ঊঠে আসেন এবং উনাকে রুমে নিয়ে যান, এবং ঘটনাটা এখানেই শেষ হয়ে যায়।

আমার দাদি এখনো বেচে আছেন এবং দাদির বাম হাত ২ বার অপারেশন করা হয় কিন্তু এখনো ভালো হয় নাই।

সালেহা খাতুন ২০১৫


এই সেই কুয়া।


এটা একটা সত্য ঘটনা, কেমন লাগলো জানাবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ২:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: ঘুমানোর আগে সত্য ভুতের গল্প ভাল লাগলো ।
আমাদের জীবনে এই রকম ব্যাখ্যাতীত ঘটনা অনেক ঘটে । কেউ বিশ্বাস করে আবার কেউ করে না !

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য। আমি আপনার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.