| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ যেকোনো কিছু করতে পারে। মিজানুর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
কয়েক একর জমি দখল করে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে জমির মালিকানার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয় বাগেরহাটের পুলিশ। জমির মালিকেরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশে এসব ঘটেছে। ঢাকায় কর্মরত পুলিশের দুজন কর্মকর্তার নামে অন্যের জমিতে বাগেরহাট পুলিশ কেন সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাইনবোর্ডের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কেউ এর সুযোগ নিয়ে এসব সাইনবোর্ড লাগাতে পারে।’
বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার সীমানা নির্ধারণের কথা বলে সেখানকার পুলিশ কয়েক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকে। বুধবার রাতে পুলিশ চারদিকে ঘেরাও করে থেকে শ্রমিকদের দিয়ে প্রথমে বিভিন্ন জমির রবিশস্য কেটে ফেলে। এরপর ওই সব জমির মাটি কেটে সীমানা আইল দেয়।
ওই সব জমিতে ‘ক্রয় সূত্রে মালিক’ উল্লেখ করে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (প্রশাসন) বেনজির আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জা, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুস আমিনের নামে তিনটি সাইনবোর্ড পুঁতে দেওয়া হয়।
এসপি আবদুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাগেরহাটের এসপি (মিজানুর রহমান) আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। অনুমতি ছাড়া সে আমার নামে বেআইনিভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি লোক দিয়ে তা তুলে এনেছি এবং থানায় জিডিও করেছি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু আমার নাম নয়, আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের নামেও সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। এর উদ্দেশ্য তাঁদের অপদস্থ করা।
কয়েক শ গজ দূরে অবস্থান করছিল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তাঁদের একজন মমতা রানী বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানান, ‘জমিতে মসুর, কলাই ছিল। পুলিশ আইসে কিষান দিয়ে সেইগুলি কাটছে। এরপর জমির মাটি কাইটে রাস্তা বানানো শুরু করছে। পুলিশ আমাগে বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করে।’
ওই গ্রামের রতন পাইক (৪৪) জানান, তাঁদের জমির ফসল ও মাটি কাটতে গেলে তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে নালিশ করেন। কর্মকর্তারা বলেন এসপি মিজানুর রহমানকে জানাতে। বুধবার মিজানুর রহমান সেখানে গেলে গ্রামবাসী তাঁর কাছে ধরনা দেন। কিন্তু তিনি বলেন, রাস্তার পাশের এসব জমি তিনি কিনেছেন।
রেফাত শেখ ও প্রিয় বালা পাইক (৬০) বলেন, তাঁরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে চড়-থাপড় ও ঘাড় ধাক্কা খেয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব তত্পরতার মূল লক্ষ্য ওই এলাকার ১০০ বিঘা জমি দখল। কারণ, সেখানে মধুমতী নদীর ওপর সেতু নির্মিত হচ্ছে। ওই সেতু চালু হলে সেখান থেকে মংলা বন্দরের যোগাযোগ সহজ হয়ে উঠবে। তখন এসব জমির দামও অনেক বেড়ে যাবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, জেলার সীমানা নির্ধারণ পুলিশের কাজ নয়।
২|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৭
প্রিয়সখা বলেছেন: স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
৩|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৯
প্রিয়সখা বলেছেন: স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
৪|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩১
প্রিয়সখা বলেছেন: স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৪
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!