![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত লেখার স্বর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত।লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অংশ হুবহু পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ।ফেইসবুক : http://www.facebook.com/rafiuzzamansifat
(ক)
পাড়াত যাবি ?
-পাড়া মানে ?
--তুই পাড়া চিনস না !
মুক্তার লিপুর পেটে খোঁচা দিয়ে কুটকুট করে হাসচ্ছে । এই হাসির অর্থ – “ সোহাগ একটা আবাল “
সোহাগ আবাল না । সে ক্লাস থ্রি , ফোর , ফাইভ টানা তিনবার জামালপুর জিলা স্কুলের ফাস্ট বয় । তার বাবা ইসহাক মণ্ডলের বদলীর পর সে এখন ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে । নতুন স্কুলে এসেও সে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে । প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অল্পের জন্য প্লেস করতে পায়নি ( ড্রয়িং এ ধরা খেয়ে গেছে । ড্রয়িং এ ভালো নাম্বার তুলতে হলে যে ড্রয়িং স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে হয় সেটা তার জানা ছিল না )
তবে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় সে নিজেকে প্রমান করেছে । সেকেন্ড হয়েছে । শরীরচর্চায় হাসিব তার থেকে ২ নাম্বার বেশি পাওয়াতে সোহাগ প্রথম হতে পারেনি ( হাসিব মিজান স্যারের ছেলে । তাই ড্রিল স্যার হাসিবকে খাতির করেছে । এইটা তাকে মুক্তার বলেছে । মুক্তার বদ হলেও মিথ্যা বলে না )
এইখানেই শেষ নয় ! গতবছর জামালপুর জেলা থেকে একমাত্র যে ছেলে গনিত অলম্পিয়াডে ঢাকা ক্যাম্পে চান্স পেয়েছে সেই ছেলে হচ্ছে সোহাগ । এছাড়া সে খুব ভালো সাঁতার জানে । ছোটদের চিল সাতারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অত্র জামালপুরে কেউ ছিল না ।
জামালপুর থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার । এই ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে অবশ্যই সে আবাল হয়ে যায় নি । অথচ এখন মুক্তার আর লিপুর কুটকুট হাসি দেখে সোহাগের নিজেরই বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছে – “ পাড়া না চিনে একটু আবাল মনে হয় হয়েই গেলাম ! “
লিপু কলমের পিছন দিক ঠোঁটে লাগিয়ে সিগারেটের মতো টানতে লাগলো । এইটা তার অভ্যাস । অবসর পেলেই সে এই কাজ করে । লিপু অদৃশ্য ধোঁয়া ছেড়ে সোহাগকে জিজ্ঞাস করলো
-- ব্লু ফ্লিম দেখছস ?
-নাম শুনেছি । দেখা হয় নাই । সোহাগ নিমমুখে জবাব দিল ।
--তুই এখনো ব্লু ফিল্ম দেখস নাই ? লিপু প্রায় কেঁদে দেয় এমন অবস্থা । সে ভাবতে পারছে না ক্লাস সিক্সে পড়া একটা ছেলে কিভাবে এখনো পর্ণ না দেখে থাকতে পারে !
সোহাগের অস্বস্তি লাগছে লাগছে । নতুন বন্ধুদের কাছে বারবার নিজেকে আবাল প্রমান করা হয়ে যাচ্ছে । সে ব্লু ফিল্মের নাম শুনেছে বহুবার । জাস্ট দেখা হয় নি । ইচ্ছা করে দেখে নি , ব্যাপারটা তেমন না । তার তীব্র ইচ্ছা ছিল ব্লু ফিল্ম দেখবে । কিন্তু সুযোগ পায়নি । জামালপুরে থাকাকালীন সময়ে ক্লাস ফাইভে স্কুলে এক নতুন ছেলে স্কুলে ভর্তি হল । নাম শাফি । শাফি স্কুলে সবসময় মাথায় সারা নেটের টুপি পড়ে আসতো । টিফিন পিরিয়ডে সবাই খেলতে গেলে সে গুনগুন করে সূরা আর রাহমান পড়তো । অন্য ছেলেরা ছাল্মালাইকুম বললে সে তাদের ভুল সংশোধন করে বলত – এইটা ছাল্মালাইকুম হবে না বলতে হবে - আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । এতে নেকি বেশি পাওয়া যায় ।
সোহাগ শাফির কাছ থেকে সহি শুদ্ধ সালাম দেয়া শিখে । একদিন সেই শাফির ব্যাগে লুতফর স্যার ব্লু ফিল্মের সিডি উদ্ধার করে । হেড স্যারের রুমে অন্যান্য স্যারদের হাজার জেরার মুখেও শাফি স্বীকার করে নাই কিভাবে এই সিডি তার ব্যাগে আসলো । সে কেবল একটা কথাই বলেছিল
--“ এইটা শয়তানের কাজ “
সহি কায়দায় সালাম শেখানো শাফিকে শেষ পর্যন্ত স্কুল ছাড়তে হয়েছিল । তার শয়তান থিওরি কাজে লাগেনি । পিঠে লেগেছিল তার হাজী বাবার অসংখ্য বেতের বারি । জামালপুর ছাড়ার আগে ইমাম হোসেন মাঠে সে তার পাঞ্জাবী খুলে বেতের চিহ্ন দেখিয়ে খুব হেসেছিল । এতো গুলো বেতের বারি পিঠে নিয়ে মানুষ কিভাবে হাসতে পারে সোহাগ জানে না ।
সেই শাফির কাছ থেকেই ক্লাসের অন্যান্য ছেলেরা জানতে পেরেছিল স্কুল থেকে বের হয়ে ডানদিকে দেড়শ পা এগোলে এক গলি দেখা যায় । গলির শেষ মাথায় আছে “ মেহের আলী স্টুডিও “ । সেখানে ব্লু ফিল্মের সিডি ভাড়া পাওয়া যায় । ২০ টাকা খরচে স্টুডিওর ভিতরে ১ ঘণ্টা ঐ ফিল্ম দেখারও ব্যবস্থা ছিল । শাফির সাথে পা মিলিয়ে সোহাগের অনেক বন্ধু মেহের আলী স্টুডিওর চৌকাঠ পাড় হয়েছে । তাদের মুখে সোহাগ শুনেছে মেহের আলী স্টুডিও নাকি এক নতুন বিস্ময়ের জায়গা । সেখানে যা দেখায় সেটা প্রতিটা মুহূর্ত দেহে অন্যরকম শিহরন জন্মাবে । অদ্ভুত এক আনন্দ হবে যেটা ফুটবল বা ভিডিও গেম খেলে জীবনেও পাওয়া সম্ভব না । মেহের আলী স্টুডিও তাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতার নাম ।
সোহাগের ইচ্ছা করতো মেহের আলী স্টুডিওতে যাওয়ার । ব্লু ফিল্ম দেখে সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা আহরণের । ফুটবল , ভিডিও গেমসের বাইরে অন্যরকম আনন্দ কি সেটা জানার । সে প্রায়শই ভাবত অন্যান্য বন্ধুদের মতো একদিন সে ক্লাসে উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে গল্প করবে – জানিস কাল মেহের আলী স্টুডিওতে কি দেখছি ! মামা , সে কি সিন ... একটা ন্যাংটা মেয়ে আর একটা ন্যাংটা ... “
সোহাগের পকেটে ২০ টাকার বেশি ছিল কিন্তু কলিজায় সাহস ছিল না । তার সব বন্ধুরা তার সামনে দিয়ে মেহের আলী স্টুডিওকে আরেকটা স্কুল হিসেবে গ্রহন করতে পারলেও সোহাগের কাছে মেহের আলী স্টুডিও আজও রয়ে গিয়েছে এক অপার কৌতূহল , বিস্ময়ের টিনশেড ঘর ।
তার কেবল ভয় হতো যদি সে ধরা পরে যায় ? ন্যাংটা মেয়ে ছেলে দেখার অপরাধে যদি তাকেও স্কুল ছাড়তে হয় ! যদি শাফির মতো তার বাবাও জেনে যায় সোহাগ ন্যাংটা মেয়েছেলে দেখে , তবে ? বন্ধুরা সোহাগের কথায় হাসত । তাকে বলত – তুই বেটা ডরু এক আবাল । তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না ।
আসলেই হয়নি । মেহের আলী স্টুডিও চৌকাঠ শেষ পর্যন্ত ক্লাস ফাইভের ছেলেরা পেড়োতে পারলেও সোহাগ আর পারেনি ।
--শুন । আগামীকাল আমরা পাড়ায় যাইতেছি । লিপুর এলাকার এক বড়ভাই আছে । শিশির ভাই । তিনি কাম করবে । আমরা দেখবো ।
মুক্তার কথা বলছে আর প্যান্টের কোনা মোচড়াচ্ছে । সে শিশির ভাইয়ের সাথে অপরিচিত মেয়ের “ কাম করবার “ দৃশ্য ভেবে সে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে ।
-- শিশিরভাই করবে সেটা আমরা ক্যামনে দেখবো ? তিনিও কি ব্লু ফিল্ম করেন ?
সোহাগ কিছুটা অবাক । সে আগে ভাবত ব্লু ফিল্ম কেবল বিদেশী সাদা চামড়ার ছেলেমেয়ে করে । লিপুর এলাকার বড় ভাই যে ব্লু ফিল্ম করতে পারে এইটা তার ধারনার বাইরে ছিল ।
সোহাগের বোকা বোকা কথায় মুক্তার রেগে গেল ।
--আরে দূর শ্যালা ! আমরা থাকবো পাশের রুমে । পাশের রুম থেকে ঐ রুমের কামকাজ সব দেখা যায় । দরজা ভর্তি ছিদ্র ।এর আগেও আমরা দেখেছি । মাথা নষ্ট ফিলিংস । ১৫০ টাকা দিতে হবে শিশিরভাইকে । সব তিনিই মেনেজ করে দিবেন । আমাদের জনপ্রতি ৫০ টাকা করে পড়বে । এখন বল তুই ইন নাকি আউট ?
মুক্তার ঘাড় বাঁকা করে সোহাগের চোখে চোখ রাখলো । লিপু তার ডামি সিগারেট ঠোঁট থেকে হাতে চালান করলো ।
তারপর কলমের পিছনদিক দিয়ে সোহাগের বুকে খোঁচা দিয়ে বলল -
-- দোস্ত , তুই এখন পর্যন্ত পর্ণ দেখস নাই । কাল জীবনে প্রথম দেখবি । সেটাও আবার লাইভ !! বুঝতাছস , কি জিনিস অপেক্ষা করতাছে ? তুই তো ভাসবি ।
সোহাগ ভাসবে কিনা জানে না তবে লিপু আর মুক্তার সোহাগের ভাসার কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে ভাসার জগতে চলে গেছে । তাদের চোখে এখন অন্য দৃষ্টি । এই দৃষ্টি সোহাগ শাফির চোখেও দেখেছিল ।
দুই জোড়া চোখ এইবার সোহাগের দিকে । সোহাগ বুঝতে পারছে এইটা তার সময় । নতুন স্কুলে তার বন্ধু বলতে এই মুক্তার আর লিপু । ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিভাবে কিভাবে যেন তাদের মাঝে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে । সোহাগ চায় না তার বন্ধুরা তাকে আবারও আবাল হিসেবে চিনুক । সোহাগের এখন প্রমান করতে হবে সে ডরু আবাল নয় ।
সোহাগ চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে করতে বলল -- আই এম ইন ।
(খ)
আজ সারাদিন সোহাগের অস্থির লাগছে । শুক্রবার সকাল । বাবা বাসায় । সকালে বাবা ডাক দেয়ার আগেই সে ঘুম থেকে উঠেছে । মূলত টেনশনে রাতে তার ভালো ঘুমই হয়নি । তাড়াতাড়ি উঠে দাঁত ব্রাশ করে বই নিয়ে বসেছে । উচ্চ শব্দে ট্যাঁস ট্যাঁস করে শব্দ উচ্চারণ করে পড়ছে কিন্তু একটা শব্দও মাথায় ডুকছে না ।
আজ বিকাল ঠিক চারটায় লিচুবাগান মোড়ে সে দাড়িয়ে থাকবে । মুক্তার আর লিপু তাকে সেখান থেকে তুলে নিবে । তারপর রিক্সায় করে সোজা চলে যাবে স্বদেশী বাজারের পিছনে । যেটা পাড়া বা পতিতালয় বা নিষিদ্ধপল্লী নামে পরিচিত । পড়তে পড়তে সোহাগে ডিকশনারি খুলে পতিতালয়ের ইংলিশ ওয়ার্ড খুঁজে নিল । ব্রথেল । মুক্তার আর লিপুকে ওয়ার্ডটা জানাতে হবে । যারতার সামনে আর পাড়া পাড়া বলা যাবে না । ব্রথেল বলতে হবে । এইটা অনেকেই জানে না । যেমন আজকের আগে সোহাগ নিজেও জানতো না ।
গতকাল থেকেই সে ভাবছে আজ নেগেটিভ কি কি হতে পারে । তার জন্য সে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে ।
স্বদেশী বাজারের পিছনের তাকে কি কেউ দেখে ফেলতে পারে ?
সেই সম্ভাবনা একেবারে কম । কারন ময়মনসিংহে তাদের পরিচিত মানুষ নেই বললেই চলে ।
তারপরও তাকে কেউ দেখে ফেললো । তখন ?
সমাধান আছে । স্বদেশী বাজার হচ্ছে স্পোর্টসের মেটেরিয়ালের ডিপো । কেউ যদি তাকে দেখেও ফেলে সে বলবে আগামী মাস থেকে স্কুলে লীলাদেবি ফুটবল টুর্নামেন্ট । তাই সে প্র্যাকটিস করবার জন্য ফুটবল চয়েস করতে এসেছে । এখন বের হবার রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে ।
সোহাগ পারবে । জাস্ট তাকে সাহস করে একটু মিথ্যা বলতে হবে । ব্যাস ।
এই সুযোগ সে কোনমতেই মিস করবে না । মেহের আলী স্টুডিওর অলৌকিক জগতের আনন্দ সে অনেকবার মিস করেছে । আজকের চান্স সে কোনমতেই হারাতে রাজি নয় ।
অতিরিক্ত উত্তেজনায় দুপুরে খাওয়ার টেবিলে সোহাগ উল্টাপাল্টা আচরণ করে ফেললো । সোহাগের মোটেও খেতে ইচ্ছা করছিল না । টেবিলে কি আছে সে ঢাকনা সরিয়ে দেখেনি । সামনে ডাল ছিল । তাই দিয়ে দুটো ভাত মেখে খেয়ে উঠে যাচ্ছিল । কিন্তু বাবা খেয়াল করলেন । তিনি অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন – সোহাগ , টেবিলে তোমার পছন্দের চিংড়ী মাছ ভর্তা , মুরগীর মাংশ , টেংরা মাছের ঝোল আছে তারপরও তুমি শুধু ডাল দিয়ে অল্প একটু ভাত খেয়ে উঠে যাচ্ছ কেন ? তোমার কি শরীর খারাপ ?
সোহাগের কি বলা উচিত বুঝতে পারছে না । কিছু না বুঝেই সে আবার প্লেটে ভাত নিয়ে খেটে বসে গেল । ইসহাক মণ্ডল ছেলের কর্মকাণ্ডে হতবাক । সোহাগ খুব ধীরস্থির ছেলে । কিন্তু সে আজ সকাল থেকেই অদ্ভুত আচরণ করছে । সকালে ইসহাক মণ্ডলের ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে ফেলেছে এবং সেটা সে খেয়ালও করেনি । একসময় দেখল চা খেটে খেটে গতকালের পত্রিকা সে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে । যেখানে প্রতিদিনের তাজা খেলার সংবাদ আগে পড়বার জন্য সে রীতিমতো বাবার সাথে যুদ্ধ করে । আর এখন খাবার টেবিলে পছন্দের তরকারি থাকবার পরও ডাল দিয়ে খেয়ে উঠে যাচ্ছে । তবে কি সোহাগের ২২ তারিখের কথা মনে আছে ?
ইসহাক মণ্ডল ভাবিত হলেন । আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে ২২ সেপ্টেম্বর সোহাগের মা রেহানা আক্তার মারা যান । ইসহাক মণ্ডল এরপর আর বিয়েথা করেননি । একমাত্র ছেলেকে নিজ হাতে মানুষ করবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন । চেষ্টা করেছেন মায়ের অভাব যেন মিষ্টি চেহারার এই কিশোর বুঝতে না পারে ।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর । রেহানার মৃত্যুবার্ষিকী । ইসহাক মণ্ডলের ধারনা ছিল সোহাগের আজকের দিনের কথা মনে নেই । প্রতিবছর ইসহাক মণ্ডল স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন । খুব ছোট পরিসরে । একা ।
কারন একটাই । ইসাহাক মণ্ডল চান না ছেলে মায়ের স্মৃতি নিয়ে বড় হোক । ইসহাক মণ্ডল বিশ্বাস করেন এতে সোহাগের কেবল কষ্ট বাড়বে । মৃত মানুষকে স্মরণ করে কষ্ট ব্যাতিত আর কিছু পাওয়া যায় । ক্ষণিকের জন্য হয়তো কষ্টটা ভুলে থাকা যায় , মনে হয় কষ্টে মাটি চাপা পড়েছে । আসলে কষ্ট মাটির গভীরে তার শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে মহীরুহ হয়ে উঠে দিনের পর দিন । ইসহাক মণ্ডল এসব খুব ভালোমতো জানেন । তিনি জানেন এই মাটি চাপা মহীরুহ কষ্ট সারাটা জীবন একটা মানুষকে কিভাবে তিলে তিলে একাকী করে দেয় । বন্ধী করে ফেলে এক ১৬ বাই ১২ ফ্যামিলি ফটোতে । লাজুক চেহারার সরলভাবে হাসতে পারা রেহানাকে ইসহাক মণ্ডল আজও ভুলতে পারেননি । তিনি চান না সোহাগ বাবার মতো বন্ধী হয়ে পড়ুক । মা’কে সে যত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে সেটা তার জন্য তত মঙ্গল হবে ।
গত সাত বছরে এইদিনে ইসহাক মণ্ডল খুব ভোরে স্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে যান , বিকালে মসজিদে দোয়া পোরানো ব্যাবস্থা করান । এতে সোহাগের তেমন ইনভলবনেস থাকে না । মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী তার কাছে আর সব সাধারণ দিনের মতোই একটা দিন ।
কিন্তু আজ ডায়নিং টেবিলে সোহাগের অন্যমনস্কতা ইসহাক মণ্ডলকে ভাবিয়ে তুললো । ছেলে কি রেহানাকে মিস করছে ? ভয়ে বাবাকে বলতে পারছে না ? সে কি ভাবছে মায়ের কথা তুললে বাবা রাগ করবে ? বাপ বেটার সংসারে কি তবে গোপনীয়তা এসে যাচ্ছে ?
ইসহাক মণ্ডল ছেলের দিকে মায়ালাগা চোখে তাকিয়ে রইলেন । সোহাগ আবারও অন্যকোন তরকারি না নিয়ে কেবল ডাল দিয়ে ভাত মাখাচ্ছে । ইসহাক মণ্ডল একটা দীর্ঘশ্বাস চাপা দিলেন ।
(গ)
ঘড়িতে ২ টা বেজে পঞ্চান্ন মিনিট । আর মাত্র ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট পর পর মুক্তার আর লিপু আসবে । সোহাগকে নিয়ে যাবে পাড়ায় । নতুন দুনিয়ায় ।
সোহাগ ডিসকভারি চ্যানেল খুলে রেখেছে কিন্তু কিছুই দেখছে না । রেগুলেটরের পাঁচের কাটা ছুয়ে সবোর্চ্চ বেগে ফ্যান ঘুরছে । তবুও মনে হচ্ছে ঘর ভর্তি গুমোট গরম । সোহাগ জানালার পর্দা সরিয়ে দিল । ঘড়িতে তাকালো । দুটা বেজে সাতান্ন মিনিট । সময় কি কচ্ছপ হয়ে গেল ?
-সোহাগ
- জি বাবা
-কি করছিস ?
-ম্যান ভারসেস ওয়াইল্ড দেখছি বাবা । গতকালের পর্ব দেখিনি । আজ রিপিট দেখাচ্ছে । আজকে পর্বে বেয়ার গ্রেলস সাহারা মরুভূমিতে গেছে । ঐ দেখো উটের পেটের ভিতর ডুকে গেছে । হিহিহিহি
ইসহাক মণ্ডল টিভির পর্দায় চোখ রাখলেও আড় চোখে ছেলের দিকে তাকাচ্ছেন । অন্যসময় সোহাগকে প্রশ্ন করলে সে মেপে মেপে উত্তর দেয় । আজ একগাদা কথা বলছে । বিনা কারণে হাসছে । ইসহাক মণ্ডল সঙ্গে সঙ্গে ডিসিশন নিয়ে নিলেন । ছেলের দিকে ফিরে বললেন
-সোহাগ , জামালপুর যাবি ? চল তোর মা’র কবরটা দেখে আসি ।
সোহাগ চমকে উঠলো । হটাত বাবা তাকে মায়ের কবর দেখাতে যাবেন কেন । আজ কতো তারিখ ? আজ কি ২২ সেপ্টেম্বর ! আজ তো মা’র মৃত্যুবার্ষিকী !
এখন বাজছে ৩.০০ ঠিক চারটায় মুক্তার আর লিপু তার জন্য লিচুবাগান মোড়ে অপেক্ষা করবে । বিকাল ৪ টা অপেক্ষা করবে সোহাগের নতুন অভিজ্ঞতা ।
সোহাগ জানে এই মুহূর্তে সোহাগকে স্মার্টলি মিথ্যা বলতে হবে । বলতে হবে কাল সকালে কোচিং এ অনেক ইম্পরট্যান্ট মডেল টেস্ট । রাতে অনেক পড়াশুনা করতে হবে । আজ তো বাবা হুট করে মা’ কবরে যাওয়া যাবে না । তাকে কথাগুলো বলতে হবে মন খারাপ করে । যেন মা’র কবরে না যেতে পেরে সোহাগ দুঃখিত ।
ইসহাক মণ্ডল ঘড়ি দেখে আগ্রহ নিয়ে বলল
-- ৪.০০ এ আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা ছাড়ে । সেটা জামালপুর পৌঁছতে পৌঁছতে হাতে বিকাল সাড়ে পাঁচটা । স্টেশন থেকে সরাসরি আমরা তোর মা’র কবরে চলে যাবো । এখন বাজে তিনটা । হাতে এখনো কিছু সময় আছে । হয়তো টিকেট পাওয়া যাবে । আর টিকেট পাওয়া না গেলে নাই । দরকার হলে স্ট্যান্ডিং টিকেটে দাড়িয়ে যাবো । দেড় ঘণ্টারই তো পথ । কিরে , দেড় ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে পারবি না ?
সোহাগ ইসহাক মণ্ডলের চোখে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দিল – ----পারবো বাবা । চলো ...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: শুরুতেই আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো
সুস্থ থাকবেন সবসময় প্রোফেসর শঙ্কু
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার হৈসে ||
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন
ভালো থাকবেন , শুভেচ্ছা জানবেন
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকদিন পর চমৎকার একটা গল্প পড়লাম।
সোহাগের কাছে মেহের আলী স্টুডিও আজও রয়ে গিয়েছে এক অপার কৌতূহল , বিস্ময়ের টিনশেড ঘর ।
এরকম কয়েকটি লাইনের চমৎকার সংযোজন গল্পটিকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে।
সোহাগের চরিত্র আর পিতার চরিত্র দুটোই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লাগলো সোহাগকে আর পাপঘরে যেতে হয়নি বলে।
সোহাগের চরিত্রের সাথে নিজের অনেক মিল খুঁজে পেলাম।
ধন্যবাদ ভাই। অনেক সুন্দর একটা গল্প।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমার কাছে তো আপনার মন্তব্য আরও বেশি ভালো লাগছে
ধন্যবাদ খেয়া ঘাট
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০
রুপ।ই বলেছেন: কৈশোরের কৌতুহল দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চেষ্টা করেছি ।
আপনাকে ধন্যবাদ রুপ।ই
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার মনে হয় মানুষের সবচেয়ে সুখের দিনগুলো হল তার কৈশোরের জীবন।
দারুণ গল্প।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কিশোর জীবনটা আসলেই রঙ্গে ভরা
আপনার সাথে সহমত ।
ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব , ভালো লাগলো
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
আর.হক বলেছেন: না পড়ে পারলাম না। ধন্যবাদ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ আর.হক
পড়লেন তো । কেমন লাগলো ?
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
চমৎকার।
বিশেষ করে শেষাংশটা অনেক ভাল ছিল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার রিয়াদ
শুভেচ্ছা নিবেন
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯
মুনসী১৬১২ বলেছেন: চমতকার
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ মুনসী১৬১২
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুর্দান্ত ভাবে কৈশোরের চিত্র তুলে এনেছেন।
ভাললাগা রেখে গেলাম।
+++
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চেষ্টা করা হয়েছে কিশোর মুহূর্ত ধরে রাখতে
অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন
ভালো থাকবেন
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
আমি রেদওয়ান বলেছেন: ভালো লাগল
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন , রেদওয়ান
সুস্থ থাকবেন কিন্তু
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ!!!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ , শুভেচ্ছা নিবেন
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
বটের ফল বলেছেন: চমৎকার, এক কথায় অসাধারন!!! একই সাথে অনেক কিছুকে টাচ করেছেন অনেক সুন্দরভাবে।
ভালো থাকবেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ , বটের ফল
আপনিও ভালো থাকবেন
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালও লিখেছেন। ভালো লাগলো।।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারও ভালো লাগলো মাহতাব সমুদ্র
ধন্যবাদ
সুস্থ থাকবেন
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
শ্যামল জাহির বলেছেন: যেকোন ভাবেই রিপু'র তাড়না হতে- সোহাগকে ফেরালেন লেখক।
ভাল লাগলো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ঘটনার বিন্যাসে সোহাগ নিজেই সরে এসেছে
শুভেচ্ছা নিবেন শ্যামল জাহির
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১
আধারের রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লিখেছেন
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ আধারের রাজপুত্র
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬
তাসফিক হোসাইন রেইজা বলেছেন: ্লেখা টা এক কথায় দারুন হইছে
ছোট্ট বেলার পাগলামো আর কিছু নিজের অজানা অনেক বর ভুল
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: তাসফিক হোসাইন রেইজা আসলেই তাই ছোটবেলায় কতো কিছু পাগলামি মাথায় ভর করতো , কতো শত প্ল্যান !!
ধন্যবাদ
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ একটা সংকটময় আবহ তৈরি হয়েছে। ধাক্কা দেয়ার মতো। চমৎকার লাগলো।
এরকম একটা থিম নিয়ে আমিও লিখেছিলাম অফ স্পিন
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হামা ভাই , একটা দোটানা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল , সমাধানটাও হুট করে এসে গিয়েছে
ধন্যবাদ হামা ভাই
( আপনার অফস্পিন পড়তে গেলাম )
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
সুমন কর বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর
১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । অন্ধকারের দিকে পথ চলা এভাবেই শুরু হয় । ক্লাস ফাইভ সিক্সের ছেলেপুলে, ভাবতেই পারছিনা
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মামুন রশিদ ভাই - সত্য । এই সময়টা অনেক জটিল । নতুন কিছু জানার আগ্রহ অনেক সময় পা পিচ্ছিল করে দেয়
ধন্যবাদ আপনাকে
২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার বাস্তবধর্মী গল্পটা ভাই
ভালো থাকবেন
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে খুব খুশি হলাম , আমিই মিসিরআলি ভাই
আপনিও ভালো থাকবেন কিন্তু
২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার এই গল্পের প্যাটার্ন টা খুব ভাল লাগল ।
মানসিক পরিস্থিতি বর্ণনায় আপনি খুব মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ।
শেষটায় সোহাগকে যেতে হল না দেখে ভাল লাগল ।
ভাল থাকুন সিফাত ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭
সোহাগদের এই বয়সটা নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে
সুস্থ থাকবেন
২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা ১৯ তারিখেই পড়েছিলাম যেদিন পোস্ট দিয়েছিলে।
সোহাগের বয়সটা একটু জটিল সময়, কৌতূহল ঐ বয়সে থাকে দুর্নিবার।
ভাল লেগেছে পড়তে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা আপু
আপনার মন্তব্য পেতে ভালো লাগে
২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
মদন বলেছেন: জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা জানবেন , মদন
ভালো থাকবেন
২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
নিঃসন্দেহে ব্লগের অন্যতম সেরা গল্পটা পড়লাম। আপনার মধ্যে সহজাত লেখক ভাব আছে। যেভাবে স্টুডিও, কিশোর একটা ছেলের ভাবনা, ঘটনাগুলো একেএকে ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারন! শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুব আর এমনি করে লিখতে থাকুন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: এমন সুন্দর মতামত দেখলে লিখতে ভালো লাগে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সর্বদা সুস্থতা কামনা করছি
২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পজিটিভ +++
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: আপ্নি বেশ পজিটিভ চিন্তা করেন, বেশ ভালো। নেগেটিভ ব্যাপার গুলো থেকেও খুব স্মার্টলি পজিটিভ হয়ে যায় গল্পগুলো।
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: পাঠক হিসেবে আপনিও পজেটিভ , তাই পজেটিভ দিকগুলো আপনি সহজেই ধরতে পারেন , এইখানে আমার চেয়ে আপনার পঠনশৈলী ই এগিয়ে
আপনাকে ধন্যবাদ , এ্যাপোলো৯০
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বয়সজনিত ভ্রান্তি আর স্নেহের পাল্টাপাল্টি পদচারণ ফুটে উঠেছে দারুণভাবে।
মুগ্ধ।