![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত লেখার স্বর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত।লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অংশ হুবহু পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ।ফেইসবুক : http://www.facebook.com/rafiuzzamansifat
--বিড়ির আসল মজা কই জানস ?
--টাকায় অনেকগুলান পাওয়া যায়
--দূর বকাচুদা , বিড়ির আসল মজা এর পাছায় । বিড়ির শেষ টানে যে জসিলা সুখ এরুম সুখ তুই আর কিছুতেই পাইবি না ...
কথা শেষ হবার আগেই আজিজ মিয়া বিড়ির শেষ অংশে জোরসে টান লাগায় । এরপর তার বিড়িতে পোড়া ঠোঁট মাছের ঠোঁটের মতো গোল করে শাহীনের মুখ বরাবর এক রাশ ধোঁয়া ছাড়ে আর ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ হাসে । আজ বাংলার বোতল আজিজকে ভালো মতো ধরেছে ।
আজিজ মিয়া এমুন আচরণে শাহীন মিয়া বিরক্ত হয় । একজনের বিড়ির ধোঁয়া আরেকজনের মুখে ছুড়ে দেয়া শাহীন মিয়ার মতে একধরণের অপমান । আজিজ্জা তাকে অপমান করছে । অবশ্য এটা নতুন না । আজিজ্জা সুযোগ পেলেই তাকে অপমান করে । এই তো গতপরশু রাতে গঞ্জে বুলু ফিলিম দেখতে গেল তারা দুই বন্ধু । ‘ সুষমা লেডিস টেইলারস ‘ এর মালিক দর্জি ইকরাম মণ্ডলের ঘরে প্রতি সন্ধ্যায় বুলু ফিলিমের আসর বসে । এক কামরার টিনের ঘরে পর্দা ঝুলিয়ে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । এক পাশে চলে দেশি বুলু ফিলিম , অন্য পাশে বিদেশী । দেশি শো ঘণ্টায় পনেরো টাকা আর বিদেশী ঘণ্টায় বিশ টাকা । শাহীন মিয়ার ইচ্ছে ছিল বিদেশী বুলু ফিলিমের । সারাদিন বন্দরে মাল টানা নেয়া করে লুঙ্গির কুঁচকিতে তার জমা ছিল একশো পঁচিশ টাকা । এক বোতল বাংলা কিনতে একশো দশ টাকা বেড়িয়ে গেল । পনেরো টাকা দিয়ে বিদেশী জিনিস দেখা যাবে না । ইকরাম মণ্ডল বহুত হারামি । টাকা পয়সায় বাপরেও ছাড় দেয় না । শাহীন মিয়া উপায় না দেখে আজিজ্জারে শুধু বলেছিল
-- ওরে আজিজ্জা , পাচ টেহা ধার দে । আইজ বিদেশী দেখবার খায়েস হইছে । পাচ টেহায় টান পড়ছে । আমি পরে তোরে সুদ দিয়া দিমুনি ।
আর আজিজ্জা করল কি ! ভরা মজলিসে কইয়া দিল
-- হালার বিগার দেখছুইন , কুঁচকিতে নাই টেহা । হালার আবার বিদেশী মাল দেখাবার খায়েস হইছে , বাদাইম্মমা কুনখানকার !
এই কথা বলেই ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ করে সে কি হাসি । তার দেখাদেখি সব বুলু ফিলিমখোররাও শাহীন মিয়ার দিকে তাকিয়ে হাসি দেখায় । এক বুইরা আবার এক ইঞ্চি উপরে । সে চোখ টিফি দিয়ে কয়
--ভাতিজা , দেশি মাল টাশে বেশি , আউট হইব ভালা । আইজ দেশি জিনিস ই দেখিক্কালাউ । কথা শেষ হবার আগেই আবার সবার ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ হাসির শব্দ ।
হালার পুত আজিজ্জা রে আজিজ্জা ... একদিন আমারও চান্স আইব । ভাও মতো পাইয়া লই তোরে । ফাডাইয়ালবাম
--অগ্রহায়নের আইজ চাইর তারিখ , এহনি শীত পইড়া গেছে । কিরে তোর শীত ধরে না , ঐ শাহীন্না কতা কস না কে ? আজিজ মিয়া গলায় ভালমতো মাফলার জড়াতে জড়াতে শাহীন মিয়াকে প্রশ্ন করে ।
শাহীন মিয়ারও ভালো শীত ধরেছে । কিন্তু আজিজ্জার কাছে তার শীত ধরবার কথা স্বীকার যেতে ইচ্ছা করছে না ।
--এইডা আর এমুন কি শীত । আমার তো লুঙ্গি আলাগ কইরা নদীর বাতাস ভিত্রে ডুকাইবার মন চাইতেছে ।
শাহীন মিয়ার খোঁচা মারা উত্তর ।
আজিজ আর শাহীন বসে আছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকায় । একটি পরিত্যক্ত টিন শেডের গুদাম ঘরের পাহারাদার আজিজ মিয়া । প্রতিদিন সন্ধ্যায় শাহীন মিয়া আর আজিজ মিয়া গুদাম ঘরের সামনে বসে বোতল টানে আর বিড়ি ধরায় । হাতে টাকা পয়সা থাকলে চলে যায় সুষমা লেডিস টেইলারসে । হরতালের কারনে কয়েকদিন যাবৎ হাতে কাম কাজ কম । বন্দরে মালামাল ই আসে না । কাম থাকবো ক্যামনে । আজকের বোতলের টাকাও বাকিতে । মন মিজাজ কারও তেমন সুবিধার না ।
--ওরে শাহীন্না বিগার উঠে রে , যাবি নাকি সুষমায় । ইকরাম ওস্তাদের হাতে পায়ে ধইরা এক শো মাইরা আসি ।
আজিজ্জার কথা শাহীন মিয়ার মনে ধরে । আজিজ্জার ক্যামন বিগার উঠছে সেটা জানা নাই তবে শাহীন মিয়ার বেশম বিগার উঠছে কাল রাত থেকেই । হাত মুত কোন মতেই কিছু ফয়দা হইতাছে না । এর উপর কুঁচকিতে নাই টেহা ! বালের কপাল । শাহীন মিয়া নিজের কপাল ডান হাতের বুড়া আঙ্গুল নিয়ে ঘষতাছে এমন সময় তার নজরে আসলো শিরীন বানু । বহু দূর থেকে হেঁটে হেঁটে শিরীন বানু এই দিকেই আসচ্ছে । কোলে তার চার বৎসর বয়সী শিশু কন্যা । প্রতিদিনের মতো আজও কাজ শেষে লক্ষণখোলা এলাকায় পরিত্যক্ত টিন শেডের গুদাম ঘরের পাশের কাঁচা রাস্তা দিয়ে সে তার বাড়ি যাবে ।
প্রায় চার বছর আগে এই মেয়ের তালাক হয় । মেয়ের জামাই আছিল এক বিশ্ব বাটপার । তাদের ই দোস্ত আছিলো । শালা অল্পবয়সী শিরীন বানুকে দেখে পাগলা হইয়া তাকে বিয়া করে । শিরীন বানু’র তখন বয়স ছিল পনেরো বছর । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মেয়ের পেটে বাচ্চা আসলো । বাটপার বাপ বাচ্চার কথা শুনেই মেয়েকে দিয়া দেয় তালাক । আসলে অল্পবয়সী শিরীন বানুকে ভোগ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য । পেটে আঁতকা বাচ্চা এসে গেছে । বাচ্চা পালার মুরোদ বা ইচ্ছা কোনটাই ভণ্ড বাপের নাই । তাই দিয়া দিছে তালাক । ঝামেলা ফিনিশ । যা তোর পেটের বাইচ্চা তুই সামাল দে । পরে জুয়ার আড্ডায় এইসব গল্প করে শিরীন বানুর জামাই আর তারা অনেক হাসি তামাশা করে । বেকুব মেয়েমানুষরে নিয়ে হাসি তামাশা ছাড়া আর কি বা করবার আছে !
শিশু কন্যার বয়সও চার বছর । শিরীন বানু একাই কন্যা বড় করছে । খাসা বেকুব । বাচ্চা ফেলাই দিলেই তো হয় । ল্যাঠা চুকে যায় । বাচ্চার বাপ যদি বাচ্চার ভরন পোষণের ভয়ে আঁতকা তালাক দিতে পারে শিরীন বানু কেন বাচ্চা ফেলাই দিতে পারে না ! শাহীন মিয়ার মাথায় এইটা কোনমতেই ডুকে না ।
দিনকে দিন শিরীন বানুর শরীর যেন খুলতেছে । এমুন রুপ যৌবন অত্র এলাকায় আর কারও নাই । বন্দরের কম করে হলেও ষোল সতেরো জন তারে রাতে থাকার আমন্ত্রণ জানাইছে । নগত ক্যাশে । মেয়ে রাজি হয় না । দেমাগ ।
--ঢঙ্গীডারে দেখছস ? শাহীন মিয়া বিড়ি টানতে টানতে আজিজ মিয়াকে প্রশ্ন করে ।
--এমুন তাজা ফুল সামনে দিয়া যাইতে থাকলে গন্ধ না লইয়া উপায় আছে রে বলদ ! আজিজ মিজা আবারো তার বিখ্যাত ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ হাসি হাসে ।
সন্ধ্যা সাতটা বাজে । শীতের কারণেই হোক কিংবা কাজ কাম কম থাকার কারনেই হোক এলাকা একেবারেই নীরব । কি মনে হতে রসিকতার ছলে শাহীন মিয়া বলে বসল
--কিরে আজিজ্জা আইজ না তোর বিগার উঠছে । সামনে দিয়াই তো পাখি ফুড়ুৎ মারতাছে , ধরবি ?
আজিজ মিয়া বহুদিন যাবৎ এমুন একটা কথা কারও মুখে শুনতে চাচ্ছিল । পার্টনার ছাড়া এইসব কাম জমে না । শিরীন বানুকে রাতে দুষ্ট আমন্ত্রণ জানানো মানুষদের মধ্যে আজিজ মিয়া একজন । সে অনেকদিন যাবৎ মেয়েটাকে বাগে আনতে চেষ্টা করছে । হচ্ছে না । আজ যেন সুযোগ সামনে এসে ধরা দিল ।
লাফ দিয়ে আজিজ মিয়া উঠে দাড়ায় ।
-চল শাহীন্না , আইজ ছেমড়িরে খাইছি ।
আজিজ ও শাহীন মিয়া গায়ের চাদর ফেলে কোনাকুনি দৌড় লাগায় শিরীন বানুর পিছন বরাবর । তাদের চোখে এখন পশুর দৃষ্টি । অন্ধকারে দৌড়ে যেতে তাদের অসুবিধা হয় না । তার একেবারে নিঃশব্দে বিশ বছর বয়সী শিরীন বানুর পিছনে এসে দাড়ায় । কর্মক্লান্ত শিরীন বানু কিছু বুঝবার আগেই তার কোল থেকে এক ঝটকায় কেড়ে নেয়া হয় চার বৎসর বয়সী শিশু কন্যাকে । শিশু কন্যাটি মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিল । আচমকা অচেনা হাতের ঝটকায় সে জেগে উঠে । ঘুম ঘুম চোখে দেখতে পায় তার মা’কে একজন মানুষ টেনে হিঁচড়ে নদীর পাড়ে নিয়ে যাচ্ছে । যে মানুষটি শক্ত করে তাকে পাজকোলে করে রেখেছে সে হিসহিস শব্দে তার মা’কে বলছে
-- খবরদার চিল্লাবি না , খাড়ার উপ্রে বাইচ্চা মাইরা ফেলামু ।
অগ্রহায়নের চার তারিখ , সন্ধ্যা সাতটা । নারায়ণগঞ্জ লক্ষণখোলা এলাকার নদীর পাড়ে এক মা’কে তার চার বৎসর বয়সী শিশু কন্যাকে জিম্মি করে গণধর্ষণ করা হয় । আজিজ মিয়া , শাহীন মিয়া ছাড়াও সেই ভয়ংকর ধর্ষণযজ্ঞে শামিল হয় আরও কয়েকজন ।
মায়ের বোবা আর্তচিৎকারে অবুঝ শিশু কন্যাটি কাঁদে উঠে । কিন্তু তার কান্না শোনার মতো একটি মানুষও সেইসময় পাশে ছিল না । ছিল একদল হিংস্র পশু ।
-----------------------------------------------------------------------------
উপরের লিখাটিকে কি আমি একটি গল্প ই বলবো ? কারণ বাস্তবিক জীবনে এমন কিছু কক্ষনো হতে পারে না । এমন হিংস্র ঘটনা কেবল গল্পেই সম্ভব ।
কিন্তু না , এই গল্পের মূল শিকড় সম্পূর্ণ সত্য । সত্য আজিজ মিয়া , শাহীন মিয়া , সত্য শিরীন বানু ( ছদ্মনাম ) তার চার বৎসর বয়সী ফুটফুটে কন্যা শিশু । নিরেটের মতো সত্য অগ্রহায়নের চার তারিখ , সন্ধ্যা সাতটায় নারায়ণগঞ্জ লক্ষণখোলা এলাকার নদীর পাড়ে এক মা’কে তার চার বৎসর বয়সী শিশু কন্যাকে জিম্মি করে গণধর্ষণ করা হয় ।
নিউজ লিংক - সন্তানকে জিম্মি করে মাকে গণধর্ষণ!
এই ভয়ংকর লোমহর্ষক ঘটনা হয়তো আমাদের অনেকেরই দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে । আসলে এমন ঘটনা তো দেশে অহরহ হচ্ছে । কয়টাই বা নজরে আসবে ?
কিন্তু একটি বার কি ভেবে দেখেছেন – একটি শিশু যার দুনিয়া বলতে কেবল মাত্র মা , সেই শিশুর মনে তার মমতাময়ী মায়ের সেই বোবা আর্তচিৎকার কতোটা ভয়ংকর ক্ষতের সৃষ্টি করবে ভবিষ্যৎতে ?
যেই মা , নিজের সন্তানকে নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেছে , তার প্রতি সমাজের এরুপ অবিচার সেই মা কিভাবে মেনে নিবে ?
সেই শিশু আর মা’কে জবাব দেয়ার মতো ভাষা কি আমাদের কারও কাছে আছে ? নারীদের একটি নিরাপদ সমাজ উপহার দিতে আমরা ব্যর্থ , এই অপরাধের দায়ভার কি কেউ এড়াতে পারবো ?
চলুন না সবাই সমস্বরে আওয়াজ তুলি , আমাদের আওয়াজ ছড়িয়ে দেই সারা বাংলায় --
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমরা চাই ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজ । যেখানে নারীরা তাদের মতো স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবে । ভয় ভীতি ছাড়া
জাস্ট একজন ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হোক -- অবিশ্বাস্য ভাবে কমে যাবে ধর্ষণ ।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সিফাত গল্প পড়ে যেমন স্তব্ধ হয়ে থাকলাম ঠিক তেমনি এই ধরণের কিছু খবর যখন পত্রিকার পাতায় বা নিউজ চ্যানেলে দেখি।
মানুষের বিবেকবোধ জেগে উঠুক! সেই সাথে তোমার সাথে এক হয়ে বলতে চাই,
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি , জাস্ট একটা ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হোক । ধর্ষণ কমে যাবে ।
ধর্ষণ যেন বর্তমানে সহজলভ্য উপদানে পরিণত হয়েছে , ইচ্ছে হলেই ধর্ষক পশু হচ্ছে কারণ তারা জানে , বিচার নেই । এতে তারা সাহস পায় । আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
স্নিগ্ধ শোভন , সমর্থন দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
মজার বিষয় আধুনিক মানবতাবাদী - প্রগতিবাদী এমনকি নারীবাদীরাও ধর্ষনের শাস্তি ফাসি চায় না !
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: একজন ধর্ষকের কঠিন বিচার হয়েছে এমন নিউজ কি আমরা শুনতে পাই ? পাই না
কিন্তু ধর্ষণ কিন্তু প্রতিদিন হচ্ছে , নিউজ পেপার টিভি চ্যানেল তাই দেখাচ্ছে
বিষয়টা অদ্ভুত
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন:
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
দি সুফি বলেছেন: শশীলগো চুলকানী লাগতে পারে, ধর্ষককে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করা হোক
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কোন সুশীল চিনি না ।
দাবী একটাই
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না! ফাঁসি অবশ্যই চাই ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মামুন ভাই , নিউজটা পড়ে আমিও স্তব্ধ হইয়ে গিয়েছিলাম । লিখাটাই আপাতত প্রতিবাদের ভাষা মনে করলাম
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
অপরাজিত একজন বলেছেন: ফাঁসি হোক
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সবার সম্মিলিত কণ্ঠ অবশ্যই নীতি নির্ধারকদের কানে পৌঁছাবে
ধন্যবাদ , অপরাজিত একজন
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ফাসি না, ওদের কে এই দুনিয়াতেই শাস্তি দেয়ন দরকার! এমন ভয়ংকর শাস্তি যেটা সহ্য করতে না পেরে সে নিজেই আকুতি মিনতি করবে আমারে মাইর্যা ফালান। কিন্তু তাকে মারণ হইবে না, আনটিল নেচারাল ডেথ তার শাস্তি চলবে!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মাসুম ভাই , সেই মহিলা আর তার মেয়ের কথা মনে হচ্ছে ! হঠাৎ করেই একদল পশুর জন্য তাদের জীবনটা পাল্টে গেল
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
গোকুল নাগ বলেছেন: অবশ্যই বিচার চাই.........
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমরা বিচার আশা করছি
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জনসম্মুখে ফাসি দেয়া দরকার!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সহমত । ফাঁসি তো দিতেই হবে । জনসম্মুখে দিলে সবচেয়ে ভালো
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
এটা সচেতনতা মূলক পোষ্ট। তাই ব্লগ এডমিনকে পোষ্ট ষ্টিকি করার অনুরোধ করছি।
সাথে সাথে এই ধর্ষন নামক যুদ্ধাপরাধের সাথে যারা যুক্ত তাদের কে বিনা বিচারে হত্যার দাবী জানাচ্ছি।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ , চাঁন মিঞা সরদার
ধর্ষকের বিচার চাই , দিতেই হবে
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
আমিজমিদার বলেছেন: ভাই, স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কিছু বলার নাই।
শালার ***ধর্ষকদের মৃত্যু চাই। বিচি গালায়া মৃত্যু। শুওরের বাচ্চারা।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: নিউজটা পড়ে প্রথম প্রথম আমারও এমন মনে হয়েছিল
এমন ভয়ংকর ঘটনা আমি আগে শুনি নাই । সামনে হয়তো আরও খারাপ কিছু শুনতে হবে , দেখতে হবে । দরকার তাই সচেতনতা এবং বিচার
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি
সমর্থনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ , আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলায়
১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
অনিক্স বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা চাই ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজ । যেখানে নারীরা তাদের মতো স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবে । ভয় ভীতি ছাড়া
জাস্ট একজন ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হোক -- অবিশ্বাস্য ভাবে কমে যাবে ধর্ষণ
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমাদের অভিব্যক্তি ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র
১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
নূর আদনান বলেছেন: ভাইরে কিছু বলতে পাচ্ছি না বুকটা ভারি হয়ে আসছে.... মাঝে মাঝে মনে হয় এইসব পশুদের....
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ফাঁসি চাই , প্রতিটি ধর্ষকদের ফাঁসি র দাবী জানাই
১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
তওসীফ সাদাত বলেছেন: সত্যি বলতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি, কি বলবো বুঝতে পারছি না।
একদম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চাই প্রতিবাদ , চাই জোরালো স্লোগান - ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি
১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই সব ঘৃন্য নরপশুদের একটাই শাস্তি হওয়া দরকার। ফাঁসি, ফাঁসি ফাঁসি!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমাদের সমস্বরে আওয়াজ তুলতে হবে -- ধর্ষণের শাস্তি হোক - ফাঁসি
১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
নূভা অনন্যা বলেছেন: omg!!! is it true story ? i cant believe it .
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করতে চাই নি । কিন্তু সত্য খুব বেশি কঠিন । নিউজ লিংক দেয়া হয়েছে ।
১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২
ড. জেকিল বলেছেন: ফাঁসির ব্যাপারে কারো দ্বিমত আছে বলে তো মনে হয়না।
আজকাল আবার বেশি ফাঁসি হওয়া নাকি মানবাধিকারের লংঘন
গনতন্ত্র বলে কথা!!!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কঠিন বিচার ছাড়া ধর্ষকদের টনক নড়বে না ।
মানবধিকার বিষয়টা আমি দেখেছি । মূলত এরা ফিল করতে পারে না , ধর্ষণের ভয়াবহতা । আর যত্র তত্র মানবতা দেখানো ইদানীং লাভজনক ব্যাবসা
২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০১
সবুজ সংকেত বলেছেন: এখানে আমরা সবাই ধর্ষকের ফাঁসি চাচ্ছি ৷ আর ইসলামের বিধান ও হচ্ছে তাই ৷ ধরন ভিন্ন হওয়ার কারণে সেটাই নাস্তিকদের চোখে মানবাধিকারের চরম লংঘন হয়ে যায়!
তাছাড়া ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে অবৈধ "দর্শন "ও বন্ধ করতে হবে! তাই আজীজ মিয়া ও শাহীনের পর্দা মানার ব্যবস্থা যেমন করতে হবে তেমনি শিরিনদের পর্দায় থেকে কাজ করার নিশ্চয়তা বিধান ও আমাদের করতে হবে!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমরা চাই ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজ । গঠিত হোক নিরাপদ সমাজ । চাওয়া এইটাই
২১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: এক দফা
এক দাবি
ধর্ষকের ফাঁসি দিবি
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত
২২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাল রাতে অফ লাইনে তোমার গল্প পড়েছি। আজকে একটু বিস্তারিত মন্তব্য দিবো --
১। আমার নিজের
২। আমার ম্যাজিস্ট্রেট এক বন্ধুর --( তার হয়ে )
ঘটনার জের ধরে একটা গল্প তৈরি করা সেটা ঠিক আছে। ডায়ালগ কিছু কিছু জায়গায় 'র' হলেও পাঠক মজা পেয়েছে। তবে তোমার যৌনাবেগ সিরিজের গল্পের ক্ষেত্রে বলবো -- সবই সমাজের ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে লেখা। হয়তো পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তুমি " যৌনাবেগ" এই শব্দটা শিরোনামে যুক্তও করে দিচ্ছ, সচেতনতা তৈরিতে। কিন্তু ঐ একটা শব্দ দেখে কেউ সিফাতের পোস্টে ঢুকুক সেটা আমার দেখতে ভালো লাগে না, যেখানে এমনিতেই তোমার গল্পের সাবলীলতা শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এই শব্দের ব্যবহার বাদ দিয়ে স্বাভাবিক গল্পের নাম যেমন হওয়া দরকার সেভাবে দিলে মন এহয় ভালো হবে। আর যে মেসেজ দিতে চাচ্ছ সেটা গল্প পড়েই পাঠক পেয়ে যাবে।
=======
গন ধর্ষণের ফলে শিরীন বানুর মৃত্যুতে ধর্ষকের শাস্তি অবশ্যই কাম্য। তবে ফাঁসির আইন ব্যবস্থা করতে হবে কেন? আইনে তো ফাঁসির কথা যাবজ্জীবন এবং অর্থ দণ্ডের কথা বলাই আছে। এটা তো নতুন করে বলার কিছু নাই।
======
আমার ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধুর বক্তব্য কপি করে দিচ্ছি এবার ---
অর্থাৎ আইন আছে। এখন প্রয়োগ নিয়ে চিন্তাতো? একটা রেপের ঘটনা যখন ঘটে তখন সাথে সাথে মিডিয়া বা আমাদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আইনের আওতায় আসামীরা আসার পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় যা পদ্ধতিগতভাবে চলবে। হয়তো সম্পূর্ণ বিচার কার্যক্রমে সময় লাগে বছর, দুই-তিন-চার লাগে। ফাঁসি বা যাবজ্জীবন আদেশও হয়। আবার খালাসও হয়। টিভি ফুটেজে দেখেন। আবার চোখেও পড়ে না। ৬৪ টা জেলায় এসব ঘটনা ঘটছে। বিচারও চলছে। ফাঁসির আদেশও হচ্ছে। রায় হওয়ার পর তখন হয়তো সবার আবেগ কমে যায়। কিন্তু সাথে কাউকে ফাঁসি দেওয়া যায় না। যদিও আমাদের ঘৃণাবোধ তাই চায়। কিন্তু বিচার হবেই...
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০
( ২০০০ সনের ৮ নং আইন )
[১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০০০]
ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি ৯৷ (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
ব্যাখ্যা৷- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ১[ ষোল বত্সরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা ২[ ষোল বত্সরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷
(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষন করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-
(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷ মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ২৯৷ এই আইনের অধীনে কোন ট্রাইব্যুনাল, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র অবিলম্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৭৪ এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত মৃতুদণ্ড কার্যকর করা যাইবে না
=======
আইনের চোখে প্রথমেই কাউকে সন্দেহ করা যায় না। কিন্তু সাক্ষী, ভিক্টিম সব মিলিয়ে প্রমান হাজির করা, সেটা যাচাই করা সব মিলিয়ে প্রসেস একটু লম্বা। দ্রুত বিচার আইনেরও একটা প্রসেস থাকে যা ডিঙিয়ে চাইলেই বিচারক আদেশ দিতে পারেন না।
========
পোস্ট থেকে মন্তব্য বড় হয়ে গেলো। কিন্তু নিয়মের আওতায় করতে গেলে অনেক কিছুই সময়সাপেক্ষে বড় হয়ে যায়।
====
ভালো থাকো সিফাত।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আসি
১/ আগের কথার জের এখানে টেনে আনা হয়েছে । যৌনাবেগ একটা সিরিজ । যেমন মাসুদ রানা , তিন গোয়েন্দা বা ট্রানসফ্রমার মুভি সিরিজ একটা সিরিজ । সিরিজ তার নামেই এগিয়ে যাবে । আমার উদ্দেশ্য সিরিজের মাধ্যমে একটা মেসেজ পৌছানো সেটা আপনিও জানেন । কিছুটা হলে হয়তো নগণ্য তারপরও আমার মনে হয় মেসেজ পৌঁছে যাচ্ছে , আসলেই যৌনাবেগ সিরিজ কি বলতে চায় ।
এই গল্পের ( যদিও গল্প নাকি আমি জানি না , সেটা উপরে বলেছি ) শিরোনাম " দৈনিক কালের কণ্ঠের শিরোনাম " হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে তার সাথে যোগ হয়েছে আমার উক্তি -- সেটা গল্প নাকি সত্য ?
এইখানে শিরোনাম যদি ফ্যাক্ট হয় তাতে আমি কোন সমস্যা দেখছি না । মূল বিষয় , বেস শিরীন বানু , আজিজ , শাহীন আর চার বৎসরের শিশু । এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে
২/ ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড । খুব ভালো । আমাকে কি এমন দশটা উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ? আমার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে । তাই আমাকে কেউ একজন প্রমান দিক - এই যে দশটা উদারহন , ধর্ষক ফাঁসি র মঞ্চে !!
কিন্তু আমি প্রতিদিনের নিউজ পেপারে ১/২ টা ধর্ষণের নিজ দেখাতে পারবো । প্রায় প্রতিদিন ।
আরেকটা আইন দেখলাম -- (৪) এর ক , খ , ধর্ষণের চেষ্টা করলে অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
এর মানে একজন ধর্ষককে চান্স দেয়া হচ্ছে । অকে তুমি ধর্ষণ করো । না পারলে সাজা কম । আর পারলে সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে খালাস , হয়তো কয়েকবছর মামলা আদালতে ঝুলে থাকবে তারপর সবাই ভুলে গেলে ধর্ষক মুক্ত । সে আবার ধর্ষণ করতে পারবে ।( যেমনটা হয়ে আসচ্ছে )
অতি দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষণের শাস্তি হয় না । আমি বলছি না । বিনা বিচারে কেউ সাজা প্যাক , সাক্ষ্য প্রমান হয়েই একজন ধর্ষক সাজা পাবে । কিন্তু পাচ্ছে কই ? আইন আছে । প্রয়োগ কই ? প্রমান কই ?
যে মেয়েকে ধর্ষণ করা হল তার কষ্ট কি মামলার মতো সারাজীবন ঝুলে থাকবে আদালতে ? একসময় বেকুসুর খালাস !!
(৪) এর ৫ নাম্বার পয়েন্ট আমাকে সবচেয়ে অবাক করছে -- পুলিশি হেফাজতে ধর্ষণ হলে প্যাঁচ - দশ বছরের জেল !! মাত্র !! তাদের তো সবচেয়ে দ্রুত কাঠামোয় বিচার করে ফাসিতে ঝুলানো উচিৎ !!
ধর্ষণ হচ্ছে প্রতিদিন । শাস্তি পাচ্ছি হাজারে একটা , তাও কয়েক বছরের জেল । প্রশ্ন তুললে বলা হয় বিচার প্রক্রিয়া বড় , তাই টাইম লাগে ।
যেই মেয়ে গণ ধর্ষণের স্বীকার হয় তাকে কিন্তু চিৎকার পর্যন্ত করবার টাইম দেয়া হয় না ।
আমার শহরের মেয়ে স্বর্ণাকে তার প্রেমিক ইট দিয়ে মাথা থেতলে মেরে ফেলছে মাস তিনেক । সবাই জানে রাজু তাকে হতা করছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত রাজুকে পুলিশ ধরতে পারে নাই ।
আমার কথা খুব সাধারণ -- অন্তুত ধর্ষকদের যেন বিচার প্রক্রিয়া লম্বা অজুহাতে ধর্ষিতাকে বিচার দেয়া থেকে বঞ্চির করা না হয় ।
রেপেডলি অতি দ্রুত আইনে ধর্ষকের ফাঁসি হোক । ধর্ষণ কমে যাবে
অপর্ণা আপু --
আপনার মন্তবের জন্য ধন্যবাদ । আলোচনা করে ভালো লাগলো । লিখার এইটাই সার্থকতা যখন একটি মুক্ত সুন্দর আলোচনা করা যায় ।
আবারো ধন্যবাদ
২৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
রাজা খায় গাজা বলেছেন: বিচার এ্কটাই .. 'ফাসি' ......... আর কিছু না।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কয়েক্তা ধর্ষকের বিচার প্রক্রিয়ায় ফাঁসি কার্যকর করা হোক - বন্ধ হবে ধর্ষণ
২৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
নাঈম মিয়া বলেছেন: এই নরপশুদের এতটাই কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত যা দেখে ধর্ষণের মত ঘৃন্য কাজ করার চিন্তা মাথায় আসার আগেই যেন ভয়ে তাদের অন্তর কেপে ওঠে। এক্ষেত্রে ইরান অনুকরণীয় হতে পারে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমরা চাই ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজ । যেখানে নারীরা তাদের মতো স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবে । ভয় ভীতি ছাড়া
২৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
এম মশিউর বলেছেন: ভাই, সারাজীবন কি আওয়াজ তুলেই যাবেন?
শুধু আওয়াজ তুললেই হবে না। এই পশুগুলোরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এক টুকরা মাংসপিন্ড আর কয়েক মিনিটের সুখের জন্য কি জঘন্য কাজই না করে এরা!
এরা মানুষ না; এরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ভাই রে এই আওয়াজ তোলা নিয়েও অনেকের আবার আপত্তি আছে । ওরা নাকি মানবতাবাদী !! বুলশিট
আমাদের চাই সচেতনতা । এবং দ্রুত বিচারে ধর্ষকদের ফাঁসি
২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
অনুজ্জ্বল বহ্নিশিখা বলেছেন: ইফটিজিং এর বিচার চোখ উপরে দেওয়া,আর ধষর্কদের বিচার ফাসিঁ এই আইন গুলো হলে পশুগুলোর থেকে mukti পাওয়া যেত।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমরা চাই ধর্ষণ মুক্ত একটি সমাজ । যেখানে নারীরা তাদের মতো স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবে । ভয় ভীতি ছাড়া
আর ধর্ষণের খবর নয় । চাই ফাঁসি কার্যকর হোক । কাগজে কলমে আইন না , আইন হোক বাস্তবমুখী
আপনাকে ধন্যবাদ , অনুজ্জ্বল বহ্নিশিখা
২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
এস এম কায়েস বলেছেন: ভাইরে! আইন যেখানে ধর্ষক সেখানে ধর্ষিতা কোন বিচার পায় না!!! ফাঁসি হোক আর অন্য যে শাস্তি হোক না কেন সেটা অতিদ্রুত কার্যকর হক।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আইন যেখানে ধর্ষক সেখানে ধর্ষিতা কোন বিচার পায় না!!! ফাঁসি হোক আর অন্য যে শাস্তি হোক না কেন সেটা অতিদ্রুত কার্যকর হক।[/sb
সহমত
২৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
অনিকেত রহমান বলেছেন: এগুলো অপরাধের কোন ছাড় দেওয়া উচিৎ নই ।।
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে । দ্রুত আইনে এদের বিচার করতে হবে । বিচার একটাই -- ' ফাঁসি '
২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “ ...
এর চেয়েও ভয়াবহ কোন শাস্তি দেয়া হোক ...
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আরজু আপা ,
আমিও চাই ধর্ষকদের শাস্তি হোক সবচেয়ে ভয়াবহ । আইনের আওতায় থেকে দ্রুত বিচার কাঠামোর মাধ্যমে ( ফৌজদারি টউজদারি বুঝি না ) সবচেয়ে কম সময়ে প্রতিটি ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করলে ধর্ষণ কমবে , আমি বিশ্বাস করি
আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র
৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপর্ণা মন্ময় আপুর মন্তব্য ও আপনার প্রতিউত্তর পোস্টের মূল আকর্ষণ
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমার কাছেও আলোচনাটি ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব
৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
আিম এক যাযাবর বলেছেন: প্রতিটি ধর্ষণের বিচার চাই । ধর্ষকের সাঁজা হোক – “ ফাঁসি “ সহমত।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ আিম এক যাযাবর
আওয়াজ ছড়িয়ে যাক সর্বত্র
৩২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
ক্ষয়ে যাওয়া মনের দরজা খোলা আছে বলেছেন: ফাঁসিই তাদের একমাত্র শাস্তি
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: বিশ্ব জুড়ে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষনের এই ঘটনা প্রবাহ প্রমান করে যে, কুশিক্ষা (সুশিক্ষার অভাব), অশ্লীলতার চর্চা (পর্দাহীনতা), অনৈতিক লোভ (সুদ/ ঘুষ/চুরি) আর ধর্মনিরোপেক্ষ গণতন্ত্র (নৈতিকতাহীন মূর্খের আধিক্ষ্য) মানুষকে পশুরও অধম এক অসভ্য প্রাণী বানিয়ে দেয়। সভ্য-সুন্দর মানব সভ্যতার বিনির্মানে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, সুশিক্ষা, সৎ নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা বিষয়গুলি অপরিহার্য। সততার সাথে ইসলাম পালন ও চর্চা মানুষকে এই অসভ্য-অনাচার থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।