নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.facebook.com/rafiuzzamansifat

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত

প্রকাশিত লেখার স্বর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত।লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অংশ হুবহু পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ।ফেইসবুক : http://www.facebook.com/rafiuzzamansifat

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সম্মানহানিতেই কি বাংলাদেশের চেতনা রক্ষা পেলো ?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০১

South East university তে মাতৃভাষা দিবসের আগে মেয়েদের একটা প্র্যাকটিস র‍্যাম্প শো'র ছবি নিয়ে দুইদিন যাবৎ অনলাইন তোলপাড় । মাতৃভাষা দিবসের আগে এমন ভিনদেশী কালচারের অনুকরনে এরুপ র‍্যাম্প শো অবশ্যই নিন্দনীয় , দৃষ্টিকটু । সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিকে এই বিষয়ে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং ভুল স্বীকার করতে হবে



এইবার ভিন্ন দৃষ্টিতে আমার একটা কথা আছে । আচ্ছা যারা যারা ওইসব ছবি শেয়ার দিয়ে বলছেন -- " জাত গেলো জাত গেলো , দেশটা নষ্ট হয়ে গেল , বাংলাদেশের সংস্কৃতি শেষ ! " - তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন আপনারা যেই ছবি শেয়ার দিচ্ছেন সেটি একটি তরুণী মেয়ের ছবি এবং আপনি সেই মেয়ের অনুমতি না নিয়ে তার ছবি শেয়ার করছেন । আমার জানা মতে সেই মেয়ে এই ছবি অনলাইনে আপ দেয়নি । আপ দিয়েছে অন্য কেউ । অর্থাৎ মেয়েটির অগোচরে তার ছবি নিয়ে তার নামে বাজে উক্তি করা হচ্ছে !

এইবার একবারও কি ভেবে দেখেছেন সেই মেয়ের ছবি এইভাবে পাবলিকলি প্রকাশ করার ফলে সেই মেয়ে এবং তার ফ্যামিলি আজ কি বাজে অবস্থার সমক্ষিন হচ্ছে ? আমাদের সমাজে নারীর একটি ক্ষুদ্র ভুল যেখানে পাহাড় সমান অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় সেখানে মেয়েটির এমন ছবির ব্যাপক প্রচার তার ফ্যামিলির জন্য সমাজে কতোটা বিব্রতকর সেটা নিশ্চয়ই আমরা অনুধাবন করতে পারছি ।



সেই মেয়ে যদি ভুল করে তবে আপনি সেই মেয়েদের ছবি তার অনুমতি ছাড়া প্রচার করে কি আরও বড় ভুল করছেন না ? একজন মেয়েকে প্রকাশ্যে সম্মানহানি করে আপনি দেশের সংস্কৃতির এমন কি উপকার করলেন , বলবেন কি ?



ইচ্ছা করলেই কিন্তু মেয়েটির মুখ ঝাপসা করে দেয়া যেত । দৈনিক পত্রিকায় এখন এমনটি নিয়ম । টিভি মিডিয়াতেও ভিক্টিমের মুখ ব্লার করে দেয়া হয় । কিন্তু অদ্ভুত বিষয় সেটি আমরা কেউ করি নি । বরং ব্যাপক হারে ছবিটি প্রচারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে যেন তুলে নিয়েছি ।

একটি পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা বলে প্রকাশ্যে একজন নারীর সম্মানহানি করা হল । অথচ হল না কোন প্রতিবাদ । কেউ কোন শব্দ উচ্চারণ করলো না । একজন নারীকে অপমান করাই কি বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষা ? কিন্তু আমাদের বাংলার সংস্কৃতি তো এমন শিক্ষা দেয় না । আমরা দেশকে মা বলতে শিখেছি । আমরা নারীকে সম্মান করতে শিখেছি সেই ছোট বেলা থেকে । তাহলে কিভাবে আমরা একজন মেয়েকে এইভাবে এক্সপজড করে বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষা করলাম ? কিভাবে ?



এই প্রতিবাদ এখন হয়তো অনেকের কাছে ভালো লাগবে না । এখন সেই ছবি অনলাইনে হট কেক । তারপরও আমি প্রতিবাদ করে গেলাম । ভেবে দেখবেন । অন্তুত একটিবার হলেও ।প্রতিবাদেরও ভাষা আছে । গঠনমূলকভাবে সুন্দর উপায়ে প্রতিবাদ করা নীতিগত আদর্শেরই একটি উদাহরণ ।



বিশ্বাস করি -- আগে নিজেকে সংশোধিত করতে হবে । তাহলেই দেখা যাবে খুব দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে আমাদের চারিপাশ ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: হ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হ । এইডাই

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: যে মেয়ে র‌্যাম্পে হাটে, সেই মেয়ে এই প্রচারণায় খুশি হয়েছে মনে হয় ;)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধারণা করা যেতে পারে । আবার তেমনটা নাও হতে পারে ।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখেন বাংলা ভাষার বা আমাদের নিজস্ব যে কালচার আছে, তা বহুদিন ধরেই কিছুটা বিপদে আছে। এখন শোক দিবস বলেন আর আনন্দ দিবস সবই কর্পোরেট ব্যান্ডিং মার্কেটিং এর একটি উপলক্ষ হয়ে যায়। ফলে আধুনিক হতে গিয়ে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য বেশ হুমকির মধ্যে পড়ছে।

এটা ভাবতে কষ্ট হয়, একটা ভার্সিটিতে এমন কেউ নেই, যারা তাদের ছাত্রছাত্রীদের একুশের চেতনা সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিবে। ব্যাপারটা দিন দিন হ্যাপি একুশে ফেব্রুয়ারী টাইপের হয়ে যাচ্ছে। আমি এর নিন্দা জানাই। ফেসবুকে মেয়েটির ছবি শেয়ার হচ্ছে, কারন ছবিটি একটি মেয়ের। সে ভিন্ন ঐতিহ্য এবং কৃষ্টির পোষাক পরে উপস্থিত। এই ধরনের ছবি একটি ছেলে তুললে আমাদের চেতনা কম খাড়া হইত। তখন সমালোচনাও কম হইত।

যাইহোক, আমি মনে করি এই যে মেয়েটির অবমাননা হচ্ছে এর সামগ্রিক দায়ভার ঐ সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিকেই বহন করতে হবে। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই , পোস্টে কিন্তু সুস্পষ্ট উল্লেখ্য রয়েছে South East university কে প্রকাশ্যে জবাবদিহিতার মুখোমুখি এবং ভুল স্বীকার করতে হবে । একুশের চেতনা রক্ষার করবার জন্যই এমন কাজ নিন্দনীয় , সেটা বারবার বলা হচ্ছে ।

পয়েন্ট মেয়েটির ছবি নিয়ে অনলাইন কাঁপালে পাবলিক হিট বেশি খাবে !! এইটাই কি কোন ভয়াবহ পরিস্থিতির ইংগিত করছে না ?

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এধরণের রাম্প শো কখনোই কাম্য নয়।
মেয়েটিকে নিয়ে যে কথা গুলো বলেছেন সেগুলোর সাথে সহমত পোষণ করছি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ , নিশাত তাসনিম

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: স্বাধীন দেশ ভাই। যে যা খুশী করবে। আপনি আমি বলার কে?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সেটাও তো কথা !! :(

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: যারা আমাদের ভাষা দিবসকে সজ্ঞানে অবমাননা করে তাদের কিছু অবমাননা প্রাপ্য, এখানে নারী পুরুষ বিচার্য নয়। একটা অনুষ্ঠানের চবি যে কেউ তুলতে এবং প্রচার করতে পারে। এতে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই। এমন তো না যে তার ছবিটা গোপনে তোলা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে মেয়েটিকে নিয়ে আপনি ওভাররিএ্যাক্ট করছেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অবমাননার যোগ্য South East university ! এবং তাদের প্রকাশ্যের ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ । সেই কথা বারবার আমরা সবাই বলছি , কারণ এমন প্রোগ্রাম এই দিনে মানায় না
যদিও তারা দাবী করছে এইটা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারির প্র্যাকটিস সেশন ।

কিন্তু তাই বলে মেয়েটিকে নিয়ে যা হচ্ছে তা ঠিক কতোটা যুক্তি সম্মত , বুঝতে পারিনি ।

হামা ভাই , আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়বার পর যদি আপনার মনে হয় আমি ওভাররিএ্যাক্ট করছি , তবে আমার বলার কিছু নেই ।

আপনার কথার সুত্র ধরে বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো ভাবছি ।

ধন্যবাদ

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:

ভাষা দিবস উপলক্ষে র‌্যাম্প কাম্য নয়, প্রচারে মেয়েটি খুশিও হতে পারে (অনেকেই তাই হয়), তবে অসম্মানের কথাটিও ভেবে দেখার মতো ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: খুশি হতে পারে , এইটা আমাদের ধারণা । কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে মেয়ে এবং তার পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ।

দ্বিতীয় কথা , ধরলাম , মেয়েটি খুশি । তাতে কি তার ছবি নিয়ে যথেচ্ছা ব্যবহার বৈধ ? এইটা কি আমাদের নান্দনিক মানসিক বিকাশের পথে খুব বড় কোন ভূমিকা রাখবে ? নাকি এর ফলে চিরাচরিত ' মেয়ে ' অবমাননার একটি ভিন্ন ধারাবাহিকতা বজায় থাকলো ?

মুখ ঝাপসা করেও প্রতিবাদ জানানো যায় । কাজটা সহজ । পত্রিকা টিভিতে আগে না থাকলেও ধীরে ধীরে এই সংস্কৃতি চালু হচ্ছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.