![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত লেখার স্বর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত।লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অংশ হুবহু পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ।ফেইসবুক : http://www.facebook.com/rafiuzzamansifat
ইদানীং আব্দুল গণি'র অধিকাংশ সময় কাটে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে চায়ের দোকানে বসে । গণি সাহেব মধ্যবয়স্ক তবে এই বয়সেই তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়ে সংসার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তিনি তার ফার্মেসির দায়িত্ব বড় ছেলে লিয়াকতকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। লিয়াকত আগে ছোটখাটো অপদার্থ ছিল , ফার্মেসি পেয়ে বড়সর অপদার্থ বনে গেছে। কয়েকমাসেই সে ব্যবসা লাটে তুলে দিয়েছে। গণি সাহেব জিজ্ঞাস করেছিল - তোর সমস্যা কি ?
লিয়াকত হজমি ট্যাবলেট চুষতে চুষতে উত্তর দিয়েছিল - আব্বা , ডাক্তারগর লিহা বুঝি না ... হিজিবিজি।
ছেলে ডাক্তারদের লিখা না বুঝলেও গণি সাহেব বুঝে গেছে - লিয়াকতের আর হবে না। ছোট ছেলে আকবর। স্কুলে পড়ে , তবে স্কুলে যায় না। তার স্কুল ভালো লাগে না, তার ভালো লাগে মার্বেল খেলা। গণি সাহেব আকবরকে কিছু বলেন না। উনিও তার সময়ে মার্বেল খেলে পর পর দুইবার ম্যাট্রিক ফেল করেছিলেন। তৃতীয়বার আর পরীক্ষা দেননি। বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। তিনি জানেন তার ছোট ছেলে আকবরও পালাবে। রক্তের আঁচ , কাটানো কঠিন।
স্ত্রী রোকসানা প্রতি সকালে পুই শাকের ডাটা ছুলতে ছুলতে নিজের কপালকে দোষ দেন। গণি সাহেবের ঘরে এসে তিনি সব হারিয়েছেন। তার আব্বাজান তৎকালীন সময়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিল জামালপুর জেলা শহরের উকিলের সাথে। লোকটার বয়স বেশী ছিল তবে টাকাও বেশী ছিল। টাকা বয়স তরল করে দেয়। রোকসানা উকিল রেখে ফার্মেসিওয়ালার সাথে ভেগে গিয়ে যে ভুল করেছিল সুযোগ পেলে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেন।
আব্দুল গণি শুনেন , শুনতে শুনতেই ডালে রুটি চুবিয় মুখে পুড়ে নেন। দুটো রুটি গিলে তিনি বেরিয়ে পড়েন আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্দেশ্যে।
কলেজে পড়তে আসা মেয়েগুলো বুকের কাছে খাতা কিংবা বই জাতীয় কিছু জড়িয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। প্রায় একই বয়সের বিভিন্ন রকমের মেয়ে। কেউ শ্যামলা , কেউ কালো , কেউ শ্যামলার পরের ধাপ। কেউ হাসে , কেউ গম্ভীর থাকে , কেউ ক্যামন থাকে বোঝা যায় না। তাদের কেউ কেউ লম্বা ওড়না কেউ বা বোরকা আবার কেউ কেউ বা অথবা ডান পাশে ওড়না দিয়ে কলেজে আসে। গণি সাহেব মেয়ে দেখেন।তাদের দেহ চলন বেশ সব তিনি গভীর মনোযোগে দেখেন।
মাংস লোভী দৃষ্টি অবিরত মাংস দেখে চলে।
----------------------
ফেসবুকেও প্রকাশিত। লিংক - Click This Link
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মেদ ধরতে পারবার জন্য ধন্যবাদ
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আর একটা কথা ছিল কিন্তু বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম। নামকরণটা মনে হয় ঠিক হল না। কারণ নামকরণে গল্পের রহস্য সহজেই ধরে ফেলবে পাঠক। রুপকাশ্রিত কোন নাম দিলেই রবং ভালো হবে। জাস্ট একটু আড়াল করার চেষ্টা করবেন। যাতে পাঠক ভাবার অবকাশ পায়।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কিছু কিছুক্ষেত্রে পাঠককে যদি একটু হিন্টস দিয়েই লিখা শুরু করা হয় তাতে ক্ষতি কি ? সকল গল্প ই শেষে চমক থাকবে বিষয়টা একঘেয়েমি হয়ে যায় না
মতামতের জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙ্গালী
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সাইকো
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সাথে অনেক কিছুই
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
শায়মা বলেছেন: হা হা মৃদুল শ্রাবন ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে হাসছি।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাড়াতে পারতেন আরেকটু।
ভাল আছেন?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কেন যেন আর ইচ্ছে হয়নি।
আমি ভালো আছি , আপনি ক্যামন আছেন প্রোফেসর ? অনেকদিন পর ব্লগে আসা হল । সেদিন আপনার লেখা খুঁজতে গিয়েছিলাম। পেলাম না
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
সুমন কর বলেছেন: তেমন ভাল লাগেনি। অারো একটু বড় করা যেত।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বড় করবার ইচ্ছে ছিল না
আপনাকে ধন্যবাদ
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আছি বেশ
মাথা শূন্য হয়ে আছে, কিছুই লিখে উঠতে পারছি না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বুঝতে পারছি , এমন অবস্থায় মাঝে মধ্যেই পড়তে হয়। ভয়াবহ অসহায় লাগে। তবে ঠিক হয়ে যায়
অপেক্ষায় রইলাম প্রোফেসর
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫১
বর্ণহীণ বলেছেন: এমন লোভী অনেকেই আছে। মেয়েগুলো নিশ্চয় চোখ দেখে বুঝতে পারে এই মাংসলোভীগুলোকে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হুম , হয়তো পারে
মতামতের জন্য ধন্যবাদ
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগে নাই। গল্পের কনটেন্ট খুবই দূর্বল।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সহমত
ধন্যবাদ হামা ভাই
১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা দূর্বল মনে হল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যেহেতু এটা অণুগল্প তাই আপনার পোস্টের নিচের অংশটুকুকে মেদ মনে হল হল। বরং নিচের অংশটুকু না থাকলেই এটা একটা যথার্থ অণুগল্প হতে পারতো। কারণ নিচের অংশটুকু বাদেও গণি মিয়াঁর চরিত্রটা ধরতে পারবে বিজ্ঞ পাঠক।
তিনি তার ফার্মেসির দায়িত্ব বড় ছেলে লিয়াকতকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। লিয়াকত আগে ছোটখাটো অপদার্থ ছিল , ফার্মেসি পেয়ে বড়সর অপদার্থ বনে গেছে। কয়েকমাসেই সে ব্যবসা লাটে তুলে দিয়েছে। গণি সাহেব জিজ্ঞাস করেছিল - তোর সমস্যা কি ?
লিয়াকত হজমি ট্যাবলেট চুষতে চুষতে উত্তর দিয়েছিল - আব্বা , ডাক্তারগর লিহা বুঝি না ... হিজিবিজি।
ছেলে ডাক্তারদের লিখা না বুঝলেও গণি সাহেব বুঝে গেছে - লিয়াকতের আর হবে না। ছোট ছেলে আকবর। স্কুলে পড়ে , তবে স্কুলে যায় না। তার স্কুল ভালো লাগে না, তার ভালো লাগে মার্বেল খেলা। গণি সাহেব আকবরকে কিছু বলেন না। উনিও তার সময়ে মার্বেল খেলে পর পর দুইবার ম্যাট্রিক ফেল করেছিলেন। তৃতীয়বার আর পরীক্ষা দেননি। বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। তিনি জানেন তার ছোট ছেলে আকবরও পালাবে। রক্তের আঁচ , কাটানো কঠিন।
স্ত্রী রোকসানা প্রতি সকালে পুই শাকের ডাটা ছুলতে ছুলতে নিজের কপালকে দোষ দেন। গণি সাহেবের ঘরে এসে তিনি সব হারিয়েছেন। তার আব্বাজান তৎকালীন সময়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিল জামালপুর জেলা শহরের উকিলের সাথে। লোকটার বয়স বেশী ছিল তবে টাকাও বেশী ছিল। টাকা বয়স তরল করে দেয়। রোকসানা উকিল রেখে ফার্মেসিওয়ালার সাথে ভেগে গিয়ে যে ভুল করেছিল সুযোগ পেলে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেন।
আব্দুল গণি শুনেন , শুনতে শুনতেই ডালে রুটি চুবিয় মুখে পুড়ে নেন। দুটো রুটি গিলে তিনি বেরিয়ে পড়েন আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্দেশ্যে।