![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যরকম মানুষ!
আট বছর থেকেই ফুটবলের সাথে তার আনুষ্ঠিকতা। সাথে খুব ভালো টেনিসও খেলতেন।
ইয়ুথ ক্যারিয়ারের পর প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু হয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলোর মাধ্যমে। তার দুর্বার গতি, অসাধারণ এবং নির্ভুল পাস, লক্ষ্যভেদি কিক, মন মাতানো ড্রিবলিং, প্র্যাকটিক্যাল স্কিল, ডি বক্সের বাইরে থেকে গোল করার পাওয়ারফুল দক্ষতা ইত্যাদি সাও পাওলো তথা পুরো ফুটবল ব্রাজিলিয়েইরোর মন কেড়ে নেয়। তার সাথে মন কেড়ে নেয় ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানের। তারা আর দেরি করেনি। €৮.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কাকাকে নিজেদের দলে ভেড়ান এসি মিলানিস্তারা। তারপরের ইতিহাস আপনাদের জানা
আছে। পুরো ইতালিয়ান সিরি এ কে নাকের ডগায় এনে নাচিয়েছিল সেই রিকি কাকা। হয়ে যান মিলানিয়ান লিজেন্ড এবং
মিলানের রাজপুত্র। দ্যা প্রিন্স অব সান সিরো। মিলানে তার গুরুত্ব কেমন ছিল? একজন লিজেন্ডারি কোচ বা খেলোয়াড় (নামটা ঠিক মনে পড়ছেনা) বলেছিলেন যে, কাকাকে ছাড়া মিলানের সর্বকালের সেরা স্কোয়াড় গঠন সম্ভব নয়। ইতালিয়ান জায়ান্টদের হয়ে খেলেই কাকা ২০০৭ সালে মেসি- রোনালদোদের পিছনে ফেলে ব্যালন ডি অর জিতেন। চ্যাম্পিয়নস লীগে ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা স্কোরার হিসেবে ৩০ গোল করেন এবং তার সাথে ২৪টি এসিস্ট করেন। একবার চ্যাম্পিয়ন লীগের টপ স্কোরারও হন তিনি।
এতকিছুর পর বিশ্বসেরা
ক্লাবগুলোর নজর কাকার উপর পড়াই স্বাভাবিক। তেমনি দ্যা লিজেন্ডারি
ওয়ান ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ রেকর্ড পরিমাণ অর্থের
বিনিময়ে কাকাকে মাদ্রিদিস্তা করে নেয়। রিয়ালে বেশ ভালো পারম্যান্সই করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাত্ একদিন মারাত্বক ইনজুরিতে পড়লেন তিনি। ঐ ইনজুরিই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। সিজনের পর সিজন বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে তাকে। ঐসময় রিয়ালে মেসুত ওজিলের আগমন ঘটেছিল। কাকার জায়গাতে ওজিলই খেলতো। কাকা ইনজুরি থেকে উঠে আসলো। কিন্তু তত্কালীন রিয়াল কোচ কাকাকে বেঞ্চেই বসিয়ে রাখলো। তার প্রতি শুরু হলো অবহেলা। কিন্তু যখনই সুযোগ পেত তখন অতিমানবীয় হয়ে উঠতো কাকা। এভাবেই চলতে লাগলো। অনেকেই মুকুটহীন রাজা কিংবা আনসাং হিরো বলত। সবশেষে, অনেক তোলপাড়ীয় ঘটনার পর কাকা রিয়াল ছাড়ল। কাকার কথা কি বলবো? কেমন মানুষ কাকা? যার প্রতি এতো অবহেলা করা
হয়েছে, সেই কাকাই
বলে কিনা কারো প্রতি তার কোনো অভিযোগ নেই। যাইহোক, রিয়াল থেকে আবার ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরালো সেই মিলান। মিলানের হয়েও নিজেকে সর্বোচ্চটা
দিয়ে গেছেন কাকা। তার সর্বশেষ ট্রানফারটি ছিল এসি মিলান থেকে মেজর লীগের ক্লাব ওর্লান্ডো সিটি সকার ক্লাবে। কিন্তু, সিটিতে কোনো ম্যাচ না খেলেই লোনে নিজের হোম ক্লাব সাও পাওলোতে চলে যান কাকা। সেখানেও প্রত্যেকটা ম্যাচে গুড রেটিং পারফর্ম করেন তিনি। লোন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর তিনি আবার ওর্লান্ডো সিটিতে ফিরে যান। তাকে নিয়ে ওখানে সবার এক্সপেক্টেশন খুব বেশি ছিল। তাদের এক্সপেক্টেশন মিথ্যা করেননি তিনি। ওর্লান্ডো সিটির হয়ে ডেব্যু ম্যাচেই একটি গোল এবং একটি এসিস্টি করে এবং ঐ ম্যাচটি জিতে শুভ সূচনা
করেন রিকি কাকা। ওর্লান্ডো সিটির ক্যাপ্টেন্সিটাও তার দায়িত্বে। জাতীয় দলের স্ট্যাটিকসটা তো বলা হয়নি! তিনি ২০০২ সালে
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের একজন সদস্য। তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৮৯টি ম্যাচ খেলে ২৯টি গোল এবং বেশ সংখ্যক এসিস্ট করেছেন। তিনি ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ এসিস্টকারী। হি ইজ এ পিউর লিজেন্ড অব ব্রাজিল।
কিন্তু প্রতিটি দলের কাছে কাকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ, কাকা এমনই এক ঐশ্বরিক দান,
যিনি ডিফেন্সিভ পজিশন ছাড়া অন্য যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন। যার সাথে খেলা এবং যার খেলা দেখা সৌভাগ্যের ব্যাপার। যিনি গোল করলে ঐ ম্যাচ তার দলকে হারানো অসম্ভব ছিল। আমি এমন এক লিজেন্ডের আমরণ ভক্ত হতে পেরে সবচেয়ে বেশি গর্বিত। কেউ মানুক আর না মানুক, এই দুনিয়াতে আমিই রিকি কাকার সবচেয়ে বেশি কট্টর ফ্যান। ইফ সামবডি আক্স মি, হোয়াট ইজ লাভ? আই উইল সে, লাভ ইজ রিকি কাকা! হি ইজ মাই আইকন! হি ইজ ইন মাই হার্ট! এন্ড আই সাপোর্ট হিম, টিল আই ডাই!
#ফোর্সা_কাকা
©somewhere in net ltd.