![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(ছবি নেট হতে)
বিসমিল্লাহি্'ররাহ্'মানিররাহিম।
আসসালামুআলাইকুম।
বেকুব তুমি বেকুব কেন?
আজ আরেকখানি বেকুবি বিষয় নিয়ে হাজির হলাম। ব্লগে ১০ মাস ১০ বছর পার করেছি। যদিও এর সিংহভাগ সময়ই অনুপস্থিতির মাঝেই পার করেছি তবুও যতোটা উপস্থিত থেকেছি তার আলোকে বুঝেছি আমাদের সমাজ-সংসারের মতো করে ব্লগও দুই মেরুতে বিভক্ত। সমাজে এখন যেমন প্রতিক্ষেত্রেই ভরা কলস নড়ে কমের মতো করে আসলে যারা উপযোগী তারা কথা বলা, সমাজ পরিচালনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ সকল বিষয়ে পিছিয়ে থাকেন, তেমনি ব্লগেও এক শ্রেণী সব জেনেও পিছিয়ে থাকেন শুধু নিজের সম্মানের কথা ভেবে। সুকথা বলে কুকথা শোনার চাইতে চুপ থাকাটাই এই উপযোগী শ্রেণীর একাংশের কাছে সম্মানের। আর উপযোগী শ্রেণীর এই ভাগটাই সিংহভাগ।
ফলে প্রতিক্ষেত্রে অনুপযোগী শ্রেণীর আস্ফালন সহজ আর নিয়ম হয়ে গেছে। এখন ঝামেলায় আছে উপযোগী শ্রেণীর বাকি ভাগটা যারা সকল ক্ষেত্রে চুপ থাকতে পারে না। সেই শ্রেণীটা প্রতিবাদ মুখর আর অনুপযোগী শ্রেণীর জন্যে বিষফোঁড়া। শত চেষ্টায়ও অনুপযোগী শ্রেণী এই বিষফোঁড়া হতে বেঁচে বা দমিয়ে মনের মতো করে রাজত্ব কায়েম করতে পারছে না। প্রতি পদে এই অনুপযোগীরা উপযোগীদের সেই বিশেষ অংশের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। এজন্যে চুপ থাকার কারণে উপযোগী শ্রেণীর সিংহভাগকেই অনুপযোগীরা পছন্দ আর লোক দেখানো সম্মান করলেও সেই বিশেষ ভাগটা ক্ষুদ্র হয়েও অনুপযোগীদের জন্যে নাভিঃশ্বাস।
বিশেষ ভাগটা আবার যাঁতাকলে পিষ্ট। অনুপযোগী শ্রেণী চায় সিংহভাগের মতো করে এই বিশেষ ক্ষুদ্রভাগটাও চুপ থাকুক। বিপরীতে উপযোগী সিংহভাগটাও চায় বিশেষভাগটা চুপ থেকে তাদের মতো করে সম্মান বাঁচাক। আর এখানে সিংহভাগ উপযোগী আর অনুপযোগী শ্রেণীটার বিশেষ মিল। আর এটাই উপযোগী শ্রেণীর নিজেদের মাঝে মূল দ্বন্দ। আর এই দ্বন্দের সুযোগটাই অনুপযোগীদের বিরাট সুযোগ।
বিশেষভাগটা চায় সিংহভাগটাও তাদের সঙ্গে প্রতিবাদ মুখর হয়ে এক ধাক্কায় অনুপযোগীদের বিনাশ করে দিবে, এই ভাবনাটা অবশ্যই অমূলক। কারণ, তাড়াহুড়োর কাজ কখনও ভালো ফল আনেনা। তেমনি অমূলক ভাবনা হচ্ছে সিংহভাগের চুপ থাকা। আল্লাহ্ জ্ঞাণ বিতরণের জন্য দিয়েছেন। সব জেনে বুঝে পাছে লোকে কিছু বলে এই চিন্তায় যদি চুপ থাকতে হয় তবে কি আল্লাহ্'র ভয়ের চাইতে মানুষের ভয় বেশি? আল্লাহ্ কি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বলেননি? দুর্বল ঈমানদারদের মনেমনে প্রতিবাদের নির্দেশ করেছেন। তবে কি সিংহভাগই দুর্বল ঈমানদার?
সিংহভাগ চুপ থেকে ভাবছে সম্মান বাঁচাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবিক তারা নিজেকে অক্ষম প্রমাণ করছে। অপরদিকে বেশিভাগ জ্ঞাণী এই সিংহভাগে থাকায় প্রতিবাদ করা বিশেষভাগটা প্রতিবাদ করতে সঠিক দিকনির্দেশনা না পেয়ে অনুপযোগীদের ভাষাকেই প্রতিবাদের ভাষা ভেবে সেই ভাষায় প্রতিবাদ করে নিজেকে বিপদে ফেলছে।
কথাগুলো অনেক শক্ত হয়ে গেছে। একটা উদাহরণ দিয়ে এবার পুরো বিষয়টা পরিষ্কার করার চেষ্টা করি। ব্লগের অনুপযোগীভাগটার মূল হাতিয়ার হচ্ছে অশালীণ আচরণ। ফলে তা তাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। তাই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অশালীণ আচরণ তাদের করাটা স্বাভাবিক। তাদের এই আচরণে উপযোগী সিংহভাগ চুপ থেকে দূরে থেকে মান বাঁচাচ্ছে, নয়তো ব্লগ ছেড়ে চলে যাচ্ছে যা আমি দুঃখ নিয়ে বলি পালাচ্ছে। ফলে মূল মাঠে থেকে মার খাচ্ছে আর দিচ্ছে সেই বিশেষভাগটা। তারা লড়াইয়ের জন্যে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ বা নির্দেশনা প্রাপ্ত নয়, কারণ সিংহভাগই তাদের সাথে নেই। ফলে তারা এককভাবে নিজের মতো করে আবার অনেকক্ষেত্রে অনুপযোগী শ্রেণীর মতো করেই প্রতিবাদে লিপ্ত হয়ে না বুঝেই অশালীন আচরণ করে বসছে। আর সেই সুযোগে অনুপযোগী শ্রেণী সিংহভাগসহ পুরো উপযোগী শ্রেণীর উপযোগীতা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারছে। ফলে অনুপযোগী শ্রেণী একদিকে সিংহভাগকে চুপ রেখে আবার পুরো দায় সেই সিংহভাগসহ সবার উপরেই চাপিয়ে দিচ্ছে। এরপরও চুপ থাকাটা কি সম্মানের না আহাম্মকি?
যদি সিংহভাগটা চুপ না থেকে বিশেষভাগের সঙ্গে জ্ঞাণ শেয়ার করে বুঝাতে সক্ষম হতো তাদের সঙ্গে তর্ক বা তাদের মতো করে আচরণ আমাদের কর্ম নয়। তারা আর আমরা এক নই। তারা তাদের মত থাকুক আর আমরা আমাদের মত থাকি। আর প্রতিবাদ যদি করতেই হয় সেজন্য আমাদের নিজস্ব ভাষা আছে। আমরা তাদের প্রতিবাদ তাদের ভাষায় করা মানায় না। বরং এটা আমাদের জন্যে লজ্জাজনক। তবে নিশ্চিত অনুপযোগী ভাগটা কোনঠাসা হয়ে যেতো। কিন্তু সিংহভাগের দায়সারা আচরণে আজ বিশেষভাগটা প্রায়ই লক্ষ্য করি অনুপযোগীদের অশালীণ আচরণের জবাব অশালীন আচরণেই দিয়ে যাচ্ছে।
নিজেদের না বুঝে চলা দ্বন্দের কারণে এভাবে নিজেরা পরিবেশদূষণের অংশ হওয়াটা কষ্টজনক। অবিশ্বাসীদের যেমনি হাজারো প্রমাণ দিয়েও আল্লাহ্'র অস্তিত্ব বুঝানো সম্ভব নয়, তেমনি আপনি হাজার চেষ্টায় নিজের মা-বাবার বা সন্তানের ভালবাসা অন্যকে বুঝাতে পারবেন না। কিন্তু এসব বুঝানো কি আদৌ খুব প্রয়োজন? নাকি এসব অবুঝদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে তাদের মতো উত্তর করা প্রয়োজন? নাকি তাদের এড়িয়ে চলা উত্তম? সাপের মাথার মনির মতো করে এদের জ্ঞাণ কি ভয়ংকর নয়? তাই এদের জ্ঞাণী মানা কি নিজের জ্ঞাণকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়? তারচেয়ে এদের ক্ষুদ্র জ্ঞাণ নিয়ে নিজেরা কামড়া-কামড়ি করে কুপে বসবাস করতে দেওয়া উত্তম নয়? যদিও কষ্টজনক সত্য যে তাদের মাঝে ঐক্য আছে তাই কুপেও তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তবে বিবেক এমন এক জিনিস যা সুযোগ পেলে জাগবেই। তখন এরাই নিজেদের বিভাজন সৃষ্টি করবে। কিন্তু সেজন্যে তাদের সুযোগ দিতে হবে। আর সেই সুযোগ হচ্ছে তাদের এড়িয়ে চলা। তখন তারাই আলোর সন্ধান করবে। কিন্তু সেচ্ছায় যতোই তাদের কাছে আলো নিয়ে ঘুরঘুর করা হোক, তার মূল্য তারা বুঝবে না। বরং এই ঘুরাকে অন্যকোনো উদ্দেশ্য বলে চিহ্নিত করবে ক্ষুদ্র জ্ঞাণের কারণে।
তাই সিংহভাগের উচিৎ চুপ থেকে নিজের জ্ঞাণে জং না ফেলে শুধু সত্যিকারের জ্ঞাণী আর জ্ঞাণপিপাসুদের সঙ্গে তা শেয়ার করে জ্ঞাণকে বিস্তৃত আর শানিত করা। তখন বিশেষভাগটাও আলোচনার ক্ষেত্র পেয়ে অযথা সমালোচনার নামে মূর্খদের সাথে করা মূর্খ আচরণ হতে সরে আসবে। আর তখন একা হয়ে থাকা অনুপযোগীভাগও নিজের উন্নতির প্রয়োজন উপলব্ধি করবে যা এমনিতে সারাক্ষণ বললেও কাজ হবে না। টক্কর চলে সেয়ানে-সেয়ানে। উত্তম-অধমে হয় কুতর্ক। আর এই কুতর্ক অধমকে করে কুখ্যাত কিন্তু ক্ষুদ্রজ্ঞাণী অনুপযোগীরা তাকে বিখ্যাত আখ্যা দেয়।
সবাই লোক বুঝে কথা বলি। তর্ক করার আগে স্ট্যাটাস চিন্তা করি। ভাষা প্রয়োগের আগে নিজের জ্ঞাণের আর আভিজাত্যের সীমা বিবেচনা করি। আর পা ফেলার আগে বুঝার চেষ্টা করি সেই স্থান আমার যোগ্য কিনা। কাউকে নিয়ে আলোচনার আগে বুঝে নেই সে কি সুখ্যাত হয়ে না কুখ্যাত হয়ে বিখ্যাত। আর অজ্ঞাণীদের সঙ্গে তর্কের অভ্যাস ছেড়ে এড়িয়ে যেতে অভ্যাস করি। আর যদি তারা সীমা অতিক্রম করে তবে প্রতিবাদ তাদের নয়, নিজেদের ভাষায় করি। কাউকে গালি দেওয়ার চেয়ে বেশি কষ্ট দেওয়া যায় সেই ধরণের কথা বলে যার অর্থ বুঝার জ্ঞাণ তার নাই। তখন সে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে নিজেই নানান মানুষের কাছে বলবে অমুকে আমাকে এটা বলেছে এরমানে কি? হাহাহাহাহাহা……. তখন তাকে বলা কথা সেই প্রচার করবে আর যদি কোনো জ্ঞাণীর কাছে যায় তখন জ্ঞাণী অবশ্যই দুজনের স্ট্যাটাস বুঝে মুচকি হাসবেন। আর এটাই উত্তম প্রতিবাদের ভাষা। আর এই ভাষা সেই উপযোগী সিংহভাগকেই আয়ত্ত ও বিতরণের দায়িত্ব নিতে হবে।
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক জ্ঞাণের সন্ধান দিন।
আল্লাহ্ হাফিজ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। আপানাকে ব্লগে দেখলে ভালো লাগে। লিখাটা জটিল হয়ে গেছে তা লিখার সময়ই উপলব্ধি করি। এমন টপিকে সহজ করে লিখা আমার জন্য কঠিন। তাছাড়া বেশি ব্যাখ্যা দিয়ে লিখতে গেলে রড় হয়ে পাঠকের বিরক্তির কারণ হবে বলে লিখার মাঝে তাড়াহুড়ো ভাবটাও আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আবার পর্ব লিখা আমাকে দিয়ে হয় না। তাই চাইলেও ছোট আর সহজবোধ্য করে লিখতে পারলাম না। আবার ইদানিং অপ্রত্যাশিত অনেকেই ভুল পথে হাঁটছেন দেখে চুপও থাকতে পারছি না। একবার ভেবেছিলাম প্রতিটা শ্রেণীর সংঙ্গা দিয়ে A, B, C সমীকরণ বানিয়ে লিখি। আবার এছাড়া ভালো কোনো প্রতিশব্দও পাচ্ছিলাম না। আর সিরিয়াস লিখবো বলে রূপকেরও সাহায্য নিচ্ছিলাম না। সবটা কষ্ট করে পড়েছেন বলে আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। এখন যদি সমস্যা বিবেচনায় আপনার কোনো উপদেশ থাকে তবে সেইমাফিক লিখায় পরিবর্তন আনতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। পরবর্তী মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম......
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবটা কষ্ট করে পড়েছেন বলে আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। সবটা পড়ি নাই। খানিকটা পড়েছি। দেখি, সময় করে পুরোটা পড়তে হবে।
স্কুলে ইউনিটারী মেথড (ঐকিক নিয়ম) এর অংক সহজে মাথায় ঢুকতো না। তো, আব্বা যেদিন জানলেন, আমাকে বললেন ছোট করে চিন্তা করতে। যেমন, ২টার দাম ১০ টাকা হলে একটার দাম কতো? আর ৪টার দাম কতো? এটা আমি মুখে মুখেই বলে দিলাম (সবাই পারবে)। তখন আব্বা বললেন, মুখে মুখে না, লিখে করতে। আরও বললেন, বড় বড় অংকগুলো সমাধানের পদ্ধতিটা একই রকমের।
আমার এই উদাহরন থেকে কি বুঝলেন?
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
জটিল ভাই বলেছেন:
বুঝলাম যে ক্ষুদ্র পরিসর নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেটা করার জন্যেই শুধু ব্লগ দিয়ে পুরো সমাজের চিত্র আঁকতে চাচ্ছিলাম প্রিয় ভাই। কিন্তু পরে বুঝলাম এটাও বড় পরিসরই হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট করে প্রতিভাগ হতে একজন করে নিয়ে লিখা দরকার। কিন্তু ব্যক্তিআক্রমণ হবার ভয়ে সে পথে গেলাম না। আবার নির্দিষ্ট কাউকে আমি যেভাবে দেখছি অন্যেরাতো সেভাবে নাও দেখতে পারে। লিখার পরে বুঝেছি টপিক সিলেকসনে তাড়াহুড়ো বেশি ছিলো পারিপার্শ্বিক কারণে। তাই কষ্ট করে লিখেই যখন ফেলেছি তাই আর ড্রাফটে না রেখে পোস্ট করে দিলাম
জাজাকাল্লাহ্।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
সোবুজ বলেছেন: শুধু ব্লগে না সারা বিশ্বই এখন দুটি ধারায় বিভক্ত।একটি ধারা হলো যুক্তি প্রমান সহ বিশ্বাস অন্যটি হলো ধর্মীয় বিশ্বাস।সেখানে যুক্তি প্রধান না ধর্মে যা বলা আছে তাই সত্য।প্রথমটি ক্ষীণ দ্বিতীয়টি বৃহৎ।এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৩
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনি জানেন আমি জ্ঞাণীদের থেকে শিখতে আগ্রহী।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চুপ থাকাও এক ধরনের শক্তিশালী প্রতিবাদ। জাস্ট ইগনোর। ল্যাংটা পাগল দর্শক পেলে লাফায় বেশি চিল্লায় ও বেশি। একা ছেড়ে দিলে দেখবেন নড়েচড়ে না। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই, শুভকামনা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২২
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। চুপ থাকা অবশ্যই শক্ত প্রতিবাদ। তবে চুপ থেকে সব আলোচনায়ই মৌন সম্মতি দেওয়া কি ভাল মানুষের কর্ম প্রিয় ভাই? একা ছেড়ে দিলে যে মা-বোনেরা ঘর হতে বের হতে পারবে না সেই খেয়ালওতো রাখতে হবে নাকি?
জানি অনেক কষ্ট করে মন্তব্যটি করেছেন। সেজন্য আন্তরিক জটিলবাদ।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৭
জিকোব্লগ বলেছেন:
সিংহভাগ, উপযোগী শ্রেণী, অনুপযোগী শ্রেণী ও বিশেষ ভাগ শ্রেণীর উদহারণ
দিলে ভালো করতেন। উদহারনের অভাবে এই কথাগুলো অনেকের মাথার উপর
দিয়ে গেছে।
ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ কে ভিত্তি ধরলে আমার মতে,
সিংহভাগ হচ্ছে দুই পক্ষেই থাকতে চায়, ক্যাচালে যেতে চায় না, অনেকটা আত্নকেন্দ্রিক।
যেমনঃ সুশীল ব্লগাররা, যারা ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগারদের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকেন।
অনুপযোগী শ্রেণী গদাম পেলেই লাইনে থাকে, আবার গদাম না পেলেই বেলাইনে চলে যায়।
যেমনঃ ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগাররা।
উপযোগী শ্রেণী প্রতিবাদ করেই যাচ্ছেন। যেমনঃ ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগারদের আক্রমণকারী ব্লগাররা।
আর বিশেষ ভাগ মনে হয় অনুপযোগী শ্রেণীকে গদাম দিতে পারেন না।
যেমনঃ ব্যক্তি আক্রমণ সহ্য করেন এমন ব্লগাররা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৩
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। ব্যক্তি আক্রমণের ট্যাগ হমে বাঁচতে উদাহরণ টানিনি প্রিয় ভাই। হুম। সেটা লিখার সময় আমিও উপলব্ধি করছিলাম যে লিখা বড্ড জটিল হয়ে যাচ্ছে। তারপরও এভাবে লিখার বিস্তারিত কারণ ভূয়া মফিজ ভাইয়ের উত্তরে দেওয়া আছে। এমনটার জন্যে দুঃখিত।
সুন্দর বলেছেন। সিংহ ভাগের দুমুখী আচরণের বিষয়টা উল্লেখ করার দরকার ছিলো।
তবে উপযোগী শ্রেণীর সবাই প্রতিবাদ করে না। উপযোগী শ্রেণীর সিংহভাগই সেই দ্বিমুখী আচরণ করে। আর বাকি যা থাকে সেটা বিশেষভাগ। এই বিশেষভাগটাই প্রতিবাদ করে কিন্তু সঠিক পথে করেনা। তাই গাদাম বলতে যা বুঝাতে চাচ্ছেন তা উপযোগী শ্রেণীর বিশেষভাগটাই দিচ্ছে কিন্তু অধিকাংশইই ভুল ভাবে দিচ্ছে। অনুপযোগীদের সঙ্গে যদি তাদের মতই আচরণ করা হয় তবে আর তাদের সঙ্গে ফারাক থাকে কি? এই ফারাকটা তৈরী করার দায়িত্ব সিংহভাগের ছিলো। কিন্তু সম্মান বাচাতে তারা সেটা না করে দ্বিমুখী আচরণ করে যাচ্ছেন যা কষ্টজনক।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: সিংহভাগ, বাঘভাগ, শেয়াল ভাগ, কুকুর ভাগ, বেড়াল ভাগ গরু ভাগ, গাধা ভাগ উফ বারো রকম মানুষের মতন বারো রকম ভাগ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫০
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহাহা....... আপনাদের মত সিংহভাগের ভুল সিদ্ধান্তেই এমন ভাগ আর ভাগ, গুণের খবর নেই কবে যে আপনারা না ভেগে কান্ডারি হয়ে হাল ধরবেন!!!
বহুদিন পর আমার ব্লগে পদধূলি দেওয়াতে ধন্য হলাম। সেইজন্যে জটিলবাদ গ্রহণ করুন।
আপনার মন্তব্যের মতো করে সামুতে এখন চোখ বুলালেই কুকুর, বিড়াল, গাধা ইত্যাদি শব্দাদির অভয়ারণ্য মনে হয় সামুকে। কিছুদিন পরিচিত ছিল জনৈক ব্লগারের জন্যে যা এখনও দীপ্তমান। সামু বুঝি আর নিজের পরিচয়ে বাঁচতে পারলো না
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কথায় একটু ঘোরপ্যাঁচ থাকলেও, একটি জটিল সমস্যা নিয়ে সহজ আলোচনার চেষ্টা করেছেন, যা ঠিক 'মাথার উপর দিয়ে' চলে যাবার মত নয়। শ্রেণীবিভাগগুলো বোধগম্য হয়েছে। তবে সমাধানটা কিভাবে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৭
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। আপনার মতামত আমায় ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে যার ফলে আমি রিসেন্ট পোস্টটা লিখতে পেরেছি। আর সেই পোস্টে যথাসম্ভব পরিষ্কার করতে চেয়েছি সমাধানের পথটা কেমন চাইছি। যদিও আমি নিশ্চিত নই যে আমার পথ ও মতই সঠিক। সেইক্ষেত্রে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। পাশাপাশি দেরিতে উত্তর করার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখক বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। চুপ থাকা অবশ্যই শক্ত প্রতিবাদ। তবে চুপ থেকে সব আলোচনায়ই মৌন সম্মতি দেওয়া কি ভাল মানুষের কর্ম প্রিয় ভাই? একা ছেড়ে দিলে যে মা-বোনেরা ঘর হতে বের হতে পারবে না সেই খেয়ালওতো রাখতে হবে নাকি?
জানি অনেক কষ্ট করে মন্তব্যটি করেছেন। সেজন্য আন্তরিক জটিলবাদ।
প্রথমতঃ চুপ থেকে প্রতিবাদ আর মৌন সম্মতি কি এক জিনিস প্রিয় ভাই?
দ্বিতীয়তঃ আমার ল্যাংটা পাগলের ইঙ্গিত টা মূলত সুনির্দিষ্টভাবে ব্লগীয় একটা শ্রেণীর উদ্দেশেই। সুতরাং, আমার মা-বোনের ঘর থেকে বের হতে কোনো সমস্যা হবে না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৩
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। প্রিয় ভাই আমি আপনার কথা ঠিকই বুঝতে পেরেছি। আমি তাদের ভাষাটা আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম। আপনি নিরব থেকে প্রতিবাদ করবেন, আর তারা সেটাকে মৌন সম্মতি বলে ক্যানভাস করবে। আর পাগলের বিষয়টাও সেভাবেই যে, মা-বোনেরা ব্লগে আসতে পারবে না। জটিলবাদ প্রিয় ভাই।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৩
রবিন.হুড বলেছেন: চুপ না থেকে সত্য কথা বলতে হবে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৭
জটিল ভাই বলেছেন:
জাজাকাল্লাহ্। এই বিষয়টাই সবার কর্মে প্রকাশ ঘটুই এটাই প্রত্যাশা প্রিয় ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখায় খানিকটা চোখ বুলাইলাম। আপনের এই সিংহভাগ, বিশেষ ভাগ; উপযোগী শ্রেণী, অনুপযোগী শ্রেণী; জ্ঞানী শ্রেণী, বিজ্ঞানী শ্রেণী ইত্যাদি ইত্যাদি ঠিকমতো মাথায় ঢুকলো না।

ব্লগার মোহামমদ কামরুজ্জামানের লেটেস্ট পোষ্টে একটা মন্তব্য করে এসেছি। মন্তব্যটা আপনার এই পোষ্টের জন্যও মনে হয় উপযোগী।
দেখা যাক, সময় কি বলে!!