নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম করুনাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে।

"তাদের আগেও বহু লোক (সত্যকে নীচু দেখানোর উদ্দেশ্যে) এ রকম ধোঁকাবাজি করেছে। তবে দেখে নাও, আল্লাহ তাদের সব ফন্দি একেবারে শেকড় থেকে উপড়িয়ে ফেলেছেন এবং তাদের ছাদ ওপর থেকে তাদের মাথার উপর ধ্বসে পড়েছে । আর এমন দিক থেকে তাদের উপর আযাব এসে পরেছে যেদিক থেকে তার আ

সুমাইয়া রিফাত

নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক না অথবা বিষয়টা খুব কঠি্ন ।

সুমাইয়া রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষার গ্যারান্টি : ইসলামের বিধান।পর্ব-১

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২

পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম একক পরিবারের প্রধান কারিগর হচ্ছে নারী। নারী শুধু পৃথিবী টিকে থাকার অনিবার্য শক্তি নয়, এই পৃথিবীর স্থিতিশীলতা আর কল্যাণকর রূপায়নের মূল চালিকা শক্তি। তাই পৃথিবীর জন্য নারী জাতিকে বাদ দিয়ে যে পরিকল্পনাই রচিত হবে তা অনিবার্যরূপে অসম্পূর্ণ ও ত্র“টিপূর্ণ হবে। অথচ ইসলাম পূর্ব যুগে দুনিয়া নারীকে ও অকল্যাণকর এবং সভ্যতা সংহতির পরিপন্থী মনে করে জীবনের কর্মক্ষেত্র থেকে একবারে বাইরে, ফেলে দিয়েছিল। এমনকি ইসলামপূর্ব দুনিয়ায় নারী বেঁচে থাকার অধিকার থেকেও বঞ্চিত ছিল। আর আধুনিক বিশ্ব নারীর মর্যাাদার পরিবর্তে নারী স্বাধীনতার কথা বলে তাদেরকে যেন পুরুষদের জন্য এক মনোহরী পন্যে পরিণত করেছে। ইসলাম এই অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছে। উপেক্ষিত এবং নির্যাতিত নারী সমাজে মা, স্ত্রী, কন্যা এবং সমাজ বিনির্মানে অন্যতম অংশীদারের মর্যাদাভুষিত করেছে। পশ্চিমারা আমাদের নারী সমাজের অধিকারের ধুয়া তুলে মূল পরিবার প্রথা কে ভেঙ্গে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।



নারী কে সমাজ বিনির্মানের অংশীদার উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন-

“মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী পরস্পর বন্ধু সাথী। তারা যাবতীয় ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, নামাজ কায়েম করে যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে। এরা এমন লোক যাদের উপর আল্লাহর রহমাত অবশ্যই নাযিল হবে।” (সূরা আত তাওবা : আয়াত ৭১)

অন্যত্র পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমাজের মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন:

“ আমি তোমাদের মধ্যে কাজকে বিনষ্ট করব না, পুরুষ হোক কি স্ত্রী - তোমরা সবাই সমাজের লোক। কাজেই যারা একমাত্র আমারই জন্য হিজরত করেছে আমারই পথে নিজেদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে তাদের সব অপরাধটিই আমি ক্ষমা করে দেবো এবং তাদেরকে এমন বাগবাগিচায় স্থান দেব যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত।” (সূরা আল ইমরান : ১৯৫)

ইসলামে নারীর মর্যাদা সমূহ যদি দেখ-

১. মায়ের মর্যাদা :

ইসলাম ঘোষানা করে যে, মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশ্ত। এক ব্যাক্তি রাসূল (স:) কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার নিকট থেকে সদ্ব্যবহার পাবার সবচেয়ে বেশী অধিকার কার? রাসূল (সা:) বললেন ‘তোমার মাতা’ তারপর কার? তিনি বললেন ‘তোমার মাতা’ তৃতীয় বারও বললেন তোমার মাতার’। চতুর্থবার বললেন ‘তোমার পিতা’। (বুখারী)



সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি মা হিসেবে নারীকে এক মহান সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে।



২. স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা :



একজন ভাল স্ত্রী যেমন তার স্বামীকৈ গঠনমূলক কাজে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে তেমনি পারে তাকে ধ্বংসাত্মক পথেও নিয়ে যেতে। এ জন্যেই রাসূল (স:) ঘোষনা করেছেন

“দুনিয়ার নেয়ামত সমূহের সর্বোৎকৃষ্ট নেয়ামত হলো ভাল স্ত্রী”

“পৃথিবীর বস্তুসমূহের মধে নারী ও সুগন্ধি আমার নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় এবং নামায আমার চক্ষু শীতলকারী” রাসূল (স:) স্ত্রীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেই ঘোষণা করেছেন :

“তোমাদের মধ্যে তারাই উৎকৃষ্ট ব্যক্তি যারা তাদের স্ত্রীদের নিকট উৎকৃষ্ট এবং পরিবার পরিজনের প্রতি সহনশীল।”



৩. কন্যার মর্যাদা :



রাসূল (স:) ঘোষনা করেছেন

- “যদি কোন ব্যক্তি তার তিনটি কন্যাকে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে এবং উত্তম শিক্ষাদান করে তাহলে সে এবং আমি কেয়ামতে এমনভাবে আগমন করব যেমন আমার দুটি আংগুল একত্র আছে।”

- “যদি কারো কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং সে তাদের প্রতিপালন করে তাহলে তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।”

ইসলাম কন্যা সন্তানকে উত্তম শিক্ষাদানের জন্য এতবেশী গুরুত্ব প্রদান করেছে তার কারণ হচ্ছে -এরাই আগামীদিনে স্ত্রী এবং মাতৃত্বের মত সুমহান ও মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। যে দায়িত্বের মাধ্যমে মূলত তারা সংস্কৃতি রক্ষা, সন্তানের শিক্ষক এবং সমাজ বিনির্মানে পুরুষের উত্তম পরামর্শ দাতার ভূমিকা পালন করবে।



. নারীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য :

জীব বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, নারীর আবৃতি অবয়ব এবং বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে অণু-পরমাণু পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাপারে পুরুষ হতে আলাদা। মাতৃগর্ভে যখন সন্তানের মধ্যে ঝবী ঋড়ৎসধঃরড়হ হয়, সেই সময় হতে নারী পুরুষের শারীরিক গঠন ভিন্ন ভিন্ন রূপে বিকাশ লাভ করতে থাকে। নারীর শারীরিক গঠন এমনভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন করেছেন, যেন সে সন্তান জন্মদান ও প্রতিপালনের যোগ্য হতে পারে। একই স্থান-কাল-পরিবেশ, একই পিতার সন্তান, একই ঘরে লালিত পালিত হওয়া সত্ত্বেও নারী ও পুরুষ স্বভাব, প্রবৃত্তি ও মনস্তাত্বিক দিক দিয়ে সম্পূর্ন পৃথক। শিশুকাল থেকেই নারীর মধ্যে মাতৃত্বের দায়িত্ব পালনের পবিত্র ও কোমল অনুভূতি প্রতিয়মান হয়।

এখানে আল্লাহর রাব্বুল তাঁর বিশ্বব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে নারীকে অত্যধিক আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন।পুরুষ সমাজ নারীর সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ঠ হয়ে পরিবার গঠনে উদ্যোগী হয়।





৫. নারীর সম্ভ্রম ও ইজ্জত রক্ষার্থে পোষাক :



সঠিক পোশাক নির্বাচন যেমন নারীর বৈশিষ্ট্য সংরক্ষনে জরুরী তেমনি জরুরী তার সম্ভ্রম ও ইজ্জত রক্ষার্থে। একজন নারীকে দেখেই যদি চেনা যায় একজন ভদ্র এবং শালীন মেয়ে হিসেবে তাহলে তার চারপাশের মানুষ তাকে মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে। ফলে তার ইজ্জত অবশ্যই হেফাজতে থাকবে। একারণে আরর জাহেলিয়াতে সম্ভ্রম ও ইজ্জত হারানো নারীদের হেফাজতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করলেন :



“হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিন নারীদের বলে দিন তারা যেন তাদের উপর জিলবাব ঝুলিয়ে দেয় যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় (অর্থাৎ তারা সম্ভান্ত) এবং উত্যক্ত করা না হয়।”আল কুরআন



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.