নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম করুনাময় মেহেরবান আল্লাহর নামে।

"তাদের আগেও বহু লোক (সত্যকে নীচু দেখানোর উদ্দেশ্যে) এ রকম ধোঁকাবাজি করেছে। তবে দেখে নাও, আল্লাহ তাদের সব ফন্দি একেবারে শেকড় থেকে উপড়িয়ে ফেলেছেন এবং তাদের ছাদ ওপর থেকে তাদের মাথার উপর ধ্বসে পড়েছে । আর এমন দিক থেকে তাদের উপর আযাব এসে পরেছে যেদিক থেকে তার আ

সুমাইয়া রিফাত

নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক না অথবা বিষয়টা খুব কঠি্ন ।

সুমাইয়া রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার গ্রাম। আমার প্রিয় বাড়ি । আমার শেকড় আর আমার পুতুলখেলার দিনগুল।।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

আমার গ্রাম। আমার প্রিয় বাড়ি ।প্রিয় মানুষগুলো আর আমার শেকড় । যেখানে আমার পুতুলখেলার দিনগুলো কেটেছে...ছেলেবেলার সেই স্মৃতিগুলো তারিত করে প্রতিদিন প্রতিমূহুর্ত...:'(



আমাদের গ্রাম আর ঠিক গ্রাম নেই।অনেক পাল্টে গেছে ।আসলে সবকিছুইতো পাল্টে গেছে ।



গ্রামের মধ্য দিয়ে এক কাঁচা রাস্তা ছিলো..সেই রাস্তায় সদলবলে ঘুর ঘুর করা(আমরা ১টা বিশালগ্রুপ ছিলাম)...এই বাড়ি থেকে সেই বাড়ি ঘুরা...আম জাম পেরে খাওয়া ছিলো প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক..।।



কাছেই ছিলো এক ছোটখাট বাজার...কয়েকটা দোকান...এর মধ্যে গোবিন্দ কাকুর দোকান ছিলো....মা এটাসেটা আনতে দিলে আমার প্রয়োজনটাও পুরণ করে নিতে ভুলতাম না...চকলেট চুইংগাম খাওয়া ছিলো নিত্য দিনের ব্যাপার......তবে মাস শেষে মায়ের হাতে ব্যাপক ধরা...



আমার জন্মস্থান-



আর আমাদের বাড়িটা কাঠের দোতলা...দাদার আমলের...এই বাড়িটাতেই এই পৃথিবীতে আমি অস্তিত্বে এসেছি…আমরা ছয় ভাই-বোন…সবাই এই বাড়িতেই বেড়ে উঠেছি…ঈদ চান ছাড়া এখন আর কারো সাথে কারো দেখা হয় না। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে সবাই এখন আলাদা আলাদা, যদিও বসবাস একই শহরে। আড্ডা ছিলো প্রতিদিনকার রুটিনের একটি অংশ…শীতের সকালে মা গরম গরম পিঠা বানাতো আর আমরা শুধু খেতাম আর আড্ডা দিতাম…শীতের কথায় মনে পরলো রস খাওয়ার কথা…শীতের সকালে খেজুর রসের মজাই আলাদা । ভোরে গাছ থেকে টাটকা খেজুরের রস ছোট ছোট কলশিতে করে দিয়ে যেত পরিচিত গাছি…আর সেটা নিয়েই লাগতো মারামারি…



পুতুলের বিয়ে-



পুতুলের বিয়ে নিয়ে মহা ব্যাস্ত সময় পাড় করেছি...এখানে এক পক্ষ কনের আর এক পক্ষ বরের…আমি থাকতাম কনে পক্ষে…মেয়ের বিদায় বলে কথা…কত কাজ!!!রান্না-বান্না,ঘর গোছানো(খেলাতে আমরা ছোটছোট ঘর বানাতাম)…রাতে বিয়ের পর কান্নাকাটির সে কি অভিনয়…আজকাল তো পুতুল খেলা উঠেই গেছে…বাচ্চারা বই এর এক বিশাল ব্যাগ কাঁধ থেকে ছুঁরে ফেলেই হয় কম্পিউটার নয়তো কার্টুনে বসে যায়…



বৃষ্টি-

গ্রামের বৃষ্টিও অন্যরকম ।মাটিতে অদ্ভুত সুন্দর সোঁদা গন্ধ... যেখানেই হোক না কেন এখনও মনে হয় বাড়ির সেই বৃষ্টি ভেজা দিন গুলো ...

আমার সাইনাসের সমস্যা-তাই ভেঁজায় ছিলো ব্যাপক রেস্ট্রিকশন...তবুও লুকিয়ে প্রচুর ভিজেছি..

বৃষ্টি হলে আমার জন্য সবচেয়ে খুশির বিষয় ছিলো সেদিন আর স্কুলে যাওয়া লাগতো না...

সাথে ঝর হলে তো কথাই নেই...আম কুড়ানোর প্রতিযোগীতায় নামতাম...কার আগে কে আম ধরতে পারি...





বর্ষাকালে মাছ ধরা। যদিও বড়শিতে পুঁটি ছারা কিছুই জুটতো না..তবে আমার কাছে সেটাই ছিলো বোয়াল মাছ...



পুকুরের সেই দাপাদাপি-



আমাদের বাড়ির সামনেই এক চমৎকার পুকুর... পুকুরে দাপাদাপি আর সাঁতারানো ছিলো প্রতিদিনের কাজ..পরিষ্কার টলটলে পানিকে এক নিমেষেই দুধ-সাদা করে ফেলা.প্রচুর গালিও খেতে হতো...পানি এমন ঘোলা হতো যে এর ৫ ঘন্টার ভেতর কেও আর সেই পানি নিতে পারতো না...;)







রাতের ফুলটোক্কা খেলা...বাড়ির সব বাচ্চা-কাচ্চা মিলে...মাঝে মাঝে বড়রা থাকতো বিচারক হিসেবে...







মেঝো আপার গল্পের আসর(আসলে মুল বিষয় ছিলো বাচ্চাদের খাওয়া আর ঘুম পাড়ানো).....ঠাকুরমারঝুলিও এর কাছে কিছু না....আমি ছিলাম প্রচন্ড মনযোগী শ্রোতা ..গল্পের মাঝখানে কেও টু শব্দটি করতে পারতো না....রাজপুত্র,মন্ত্রি পুত্র,উজিরপুত্র...রাজপুত্রের রাজকন্যাকে উদ্ধার অভিজান...মাঝে মাঝে অবশ্য ফাঁকিও কম দিত না...যেমন রাজপুত্র রাজকন্যাকে উদ্ধার করতে ভিনদেশে যাচ্ছে...যাচ্ছেতো যাচ্ছে...রাজপুত্র পৌছাতো না কিন্তু আমরা পৌছে যেতাম ঘুমের দেশে...-_-







কই হারিয়ে গেলো সেই মধুর স্মৃতিময় দিনগুলো...আজ কয়েক বছর হয়ে গেল বাড়ি থেকে দূরে আছি।অনেক ব্যাস্ত প্রফেশনে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছি…সামনে রোজা তারপরই ঈদ…আমি এখন থেকেই দিনগুনা শুরু করেছি…কবে আসবে সেই প্রতিক্ষিত ঈদ…কবে যাবো আমার বাড়ি…

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.