নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দাও

রফিকুল ১৯৯০

মুক্তমনা, বিজ্ঞান কর্মী; দেখছি, ভাবছি, শিখছি; ক্যাম্পবেল বায়োলজির অনুবাদক, মহাকাশ ভ্রমণে সুযোগ পাওয়া প্রথম বাংলাদেশী, ভালো লাগে পড়তে, ঘুরতে; প্রকৃতির তরে খুঁজি আমি জ্ঞানের বিন্দু ফোঁটা

রফিকুল ১৯৯০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা নাটকে এগ্রিকালচার শব্দকে গালি/তাচ্ছিল্য প্রকাশে ব্যবহার কেনো?

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৬

আচ্ছা “এগ্রিকালচার” শব্দটি কি ঠুনকো? হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের কৃষি, যার ইংরেজী শব্দ “এগ্রিকালচার”। পৃথিবীতে মানুষের টিকে থাকার পিছনে খাদ্য যোগানের যে ব্যবস্থাপনা তা এগ্রিকালচার বা কৃষি নির্ভর। পৃথিবীর সকল দেশে কৃষি তথা এগ্রিকালচার নিয়ে গবেষণা, সম্প্রসারণ ও তা প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন যা দিয়ে আমরা বেঁচে আছি। বাংলাদেশ তার ভিন্ন নয়। এমনকি অন্য দেশ থেকে এগ্রিকালচার নিয়ে আমাদের কার্যক্রম বেশি। কারণ কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা প্ররোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। মনে রাখতে হবে আমার দেশের অগ্রযাত্রার অগ্রনায়ক কৃষক-কৃষাণী ঘামের বিনিময়ে আমাদের খাদ্য যোগান দেন। এই কৃষি নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা, সম্প্রসারণ। উল্লেখ্য বিশ্বের অগ্রসর গবেষণার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয় উদ্ভিদ নিয়ে যার রহস্যের শেষ নেই, যার সিংহভাগ গবেষণা কৃষি নির্ভর।
এই কৃষিকে আপনি অবজ্ঞা করতে পারবেন? কৃষি বা এগ্রিকালচার শব্দটি আপনার কাছে ঠুনকো? এগ্রিকালচার কি গালি বা তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা প্রকাশের শব্দ হতে পারে? আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, অনেক শিক্ষিত, বিজ্ঞ, পন্ডিত আছেন যারা কৃষি বা কৃষককে অবজ্ঞা করেন, তাচ্ছিল্য করেন, ছোট করতে ক্ষ্যাত বা চাষার বাচ্চা বলে গালি দেন। কিন্তু তিনি ভুলে যান এই কৃষিই বাংলাদেশ, এই কৃষক মানেই বাংলাদেশ।
এবার এগ্রিকালচারকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্য বা গালি হিসেবে ব্যবহার দেখলাম একটি বাংলা নাটকে।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ২৫ জুলাই ২০২১ তারিখে এনটিভিতে একটি ঈদের নাটক প্রচারিত হয় নাম 'দ্য টিচার' যার স্ক্রিপ্ট, স্ক্রিনপ্লে, ডায়লগ ও ডিরেকশন এ ছিলেন পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ, প্রযোজক ছিলেন ফখরুল রেয়া এবং অভিনয় শিল্পী ইফতেখার রাফসান, যার মুখ দিয়ে নাটকের ১৬ মিনিট ২৩-২৪ সেকেন্ডে এগ্রিকালচার শব্দটিকে গালি/তাচ্ছিল্য প্রকাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
দেশ বিদেশে বাংলাদেশের নাটকের বেশ প্রশংসা আছে। অসংখ্য নাটক আমাদের সমাজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ধারণ করে, আমাদেরকে শেখায়। কিন্তু এমন কিছু নাটক আমাদেরকে হতাশ করে, আমাদেরকে হতবাক করে, আমরা কষ্ট পায়। যেখানে বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি ”এগ্রিকালচার”, সেই এগ্রিকালচারকে এভাবে উপস্থাপন করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শুধুমাত্র নাটকের শুরতে ডিসক্লেইমার দিয়ে যেকোনো দায় থেকে মুক্ত হওয়া যায় না।
কিছুদিন পূর্বেও একটি নাটক নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা আছে।
যেখানে কৃষিবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন, কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে বলে ঘোষণা দিচ্ছেন সেখানে এগ্রিকালচার তথা কৃষিকে এহেনভাবে উপস্থাপন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের একটি নাটকে এগ্রিকালচারকে গালি হিসেবে উথাপন করা চরম “মূর্খতা” ছাড়া আর কিছু নয়।
একজন কৃষিবিদ হিসেবে, একজন কৃষকের সন্তান হিসেবে, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ এগ্রিকালচারের ধারক বাংলার প্রিয় কৃষক-কৃষাণীদের প্রতিনিধি হিসেবে এমন নাটকে বিকৃতভাবে “এগ্রিকালচার” ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানায়।
আমরা আমাদের নাটকে আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি নির্ভর প্রচার চাই। সুস্থ, সুন্দর নাটক চাই। বিকৃত প্রচার বা এহেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য নির্ভরতা চাই না। অন্তত নাটক দেখে আমরা শিখতে পারি । সুস্থ ও সুন্দর আগামী চাই।

হোক প্রতিবাদ, ‍কৃষি আমার সত্ত্বা, আমি গর্বিত আমি কৃষক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

হাবিব বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় সামনে এনেছেন। কৃষি কাজ আমারও ভালো লাগে। কিছু কিছু নাটকে অবশ্য কৃষি কাজকে অনেক প্রাইওরিটি দেয়া হয়

১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮

রফিকুল ১৯৯০ বলেছেন: নিজস্ব সত্ত্বাকে এরা ধারণ করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.