![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় এই বস্তু অঙ্কন করেছিলাম।এটা যেমন তেমন আর্ট নয়।এটা ছিল আমার উপন্যাসের প্রচ্ছদ।
ছোটবেলায় মানুষের হরেক রকম ফ্যান্টাসি থাকে।এই যেমন কমন কিছু ফ্যান্টাসি হচ্ছে-পাইলট হব।পাইলট হয়ে আকাশে উড়বো।তারপর মেঘ ধরে দেখবো মেঘ ধরতে কেমন লাগে।খুব কম মানুষ ই পাওয়া যাবে যারা ছোট বেলায় মেঘ ধরতে চায় নি।আসলে অধরা কে পাওয়ার ইচ্ছা মানুষের জন্মগত।
তারপর আরও ফ্যান্টাসি থাকে যেমন আইসক্রিম ওয়ালা হব আর সারাদিন আইসক্রিম খাব।আইসক্রিম ওয়ালা ছোটদের চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ।
আবার এমন ও ফ্যান্টাসি হয় যে আমিই সেরা খেলোয়াড় হব একই সাথে সেরা ছাত্র,সেরা নায়ক,সেরা কমেডিয়ান,সেরা শিক্ষক।
তেমনি আমার ও একটা মাথা খারাপের মত ফ্যান্টাসি ছিল।লেখক হবার।পাগল ছিলাম বলা যায়।টিফিনের টাকা বাঁচায় জমা করতাম।ইচ্ছা ছিল টাকা দিয়ে বই ছাপাবো।উপন্যাসের বই,কবিতার বই।স্কুলের এমন কোন খাতা নেই যেখানে হাবিজাবি লিখি নাই।
উপন্যাস বই আকারে বের করে স্কুলের সবাইকে ফ্রিতে দেয়ার ইচ্ছা ছিল।সবাই আমার প্রতিভায় মুগ্ধ হবে,আমার অটোগ্রাফ নিবে।আমি বিরক্ত হয়ে বলবো-"উফ্।তোকে অটোগ্রাফ দেবো না।তুই আমাকে খাঁমচি দিয়েছিস।"
তারপর আরও ভাবতাম একদিন নোবেল পাব।যখন জানতে চাওয়া হবে আমার সাফল্যের পিছনে কার হাত আছে আমি বলবো-"কারো না"
সাত বছর কেটে গেছে।উপন্যাস আমার এখন ও শেষ হয় নি।কারন এখন আর ফ্যান্টাসি নেই।এখন পুরোটাজুড়ে শুধু বাস্তবতা আর বাস্তবতা।শৈশবে লেখক হতে চাওয়া ছেলেটি আজ সিরিয়াস চেহারার একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।এই চাওয়াটাও হয়তো মুখ থুবড়ে পড়বে।কারন শৈশবে যে মুখ থুবড়ে পড়ে সে সারাজিবন ই মুখ থুবড়ে পড়ে।
(পুরাতন কাগজ ঘাটতে গিয়ে কাগজটা পেলাম।দেখে অনেক ভাল লাগলো।অনেক)
©somewhere in net ltd.