নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন

রশীদ আবরার িরয়াদ

পাখি আমি আমার কেন মানুষ মানুষ মন?

রশীদ আবরার িরয়াদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিথির মন খারাপ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

(০১)

তিথি রিকশায় যাচ্ছে।না সে আজকে একানয়।তার পাশে আরো একজনআছে।খুব বিশেষ কেউ।তাই তারনাম বলা যাবে না।বিশেষবিশেষ মানুষদের নাম বলা যায়না।শুধু নাম না।কিছুই বলাযায় না।তাদের সব কিছু রাখতেহয় গোপনে গোপনে।তাদেরকে ডাকতেহয় অন্য কোন নামে।যেনাম কেউ শোনে নি।কেউবোঝে নি।তিথির 'উনি' কে তিথিডাকে-গাধা বলে।চরিত্রের সাথেমিলে যায় তাই গাধা।চাশমিশগাধা।চশমা ছাড়া কিছুই দেখেনা।চশমা সহ ও যেখুব দেখে তাও না।তিথিরকখনই মনে হয় নিগাধা টা কয়েক সেকেন্ডেরবেশি তার মুখের দিকেতাকিয়ে ছিল।আচ্ছা গাধাটাকে যদি বলা হয়সে কোন রঙের শাড়িপড়ে আছে সে বলতেপারবে?অবশ্যই পারবে না।অথচতারা আধ ঘন্টার উপরেএকসাথে ঘুরছে।ত্রিচক্রযান ভ্রমন।

তিথির খুব ইচ্ছা করছেযে গাধাটা তার হাতটাধরুক।কখনো ধরে না।ধরবে বলেওমনে হয় না।আচ্ছা নিজেথেকে যদি গাধাটাকে হাতধরতে বলে তাইলে কিধরবে?অন্তত এক সেকেন্ডকিংবা দুই সেকেন্ডের জন্য?

- আমার হাতটা একটু ধরবে?-কি? -হাত ধরবা একটু?-খামোখা হাত ধরবো কেনো?-তুমি হাত ধরলে রিকসাথেকে পরে যাওয়ার ভয়থাকবে না -রিকশা ভালকরে ধর তাইলে আরপরবে না।এই যে রিকসাওয়ালাভাই! রিকশাওয়ালা উত্তর দেয়-জ্বে-রিকশা সাবধানে চালান।খাদে চাকা ফেলে দিয়েননা। - আইচ্ছা

তিথি মুখ ঘুরিয়ে নেয়।তারপ্রচন্ড কান্না পাচ্ছে।অনেক চেষ্টাকরেও চোখের পানি আটকেরাখার।পারে না।গাল বেয়ে পানিগরিয়ে পরে।

- এই যে রিকশাওয়ালা ভাই!-জ্বে ভাইজান - আপনার কাছে টিশ্যুইপেপার হবে? - জ্বে না-ও আচ্ছা।তাহলে আপনার গলার গামছাটাদিন রিকশাওয়ালা বিরস মুখে গামছাটা এগিয়ে দেয়।গামছা রিকশাওয়ালাদেরঅনেক পছন্দের বস্তু।এটা হাতছাড়া হলে তাদের খারাপলাগে।

গাধাটা করে কি!সেকি এই গামছা দিয়েতার চোখের পানি মুছবে?রিকশাওয়ালার ঘাম মোছা গামছাদিয়ে?তিথি ঠিক করলোএই রকম কিছু হলেসে দুই দিন নাখেয়ে থাকবে।আবার তিথির একটু ভাললাগাও শুরু হয়।যাক অন্তততার কান্না নিয়ে গাধাটাচিন্তা করছে।পানি মুছে দেয়ার জন্যব্যাস্ত হচ্ছে।তিথির চোখে আবার পানিচলে আসে।তবে এই পানির রহস্যভিন্ন।এই পানি সবার জন্যআসে না।সব সময় আসেনা।বিশেষ কারো জন্য বিশেষমূহুর্তে আসে।

তিথির সেই 'বিশেষ মানুষ'টি গামছা দিয়েতার হাতের কোনায় লেগেথাকা কাকের পায়্খানা পরিষ্কারকরলো।সে হয়্ত জানেই নারিকশাওয়ালা এই গামছা দিয়েতার মুখ মোছে।সে হয়্তএটাও জানে না তারপাশে একজন ক্রন্দনরত মেয়েবসে আছে যে চাচ্ছেতার চোখের পানি মুছেদেয়া হোক।





(০২)



বিশেষদিনে তিথির ইচ্ছে করে অরন্যকে নিয়ে একটু ঘুরে বেড়াতে।খুব ই সাধারন এবং নির্দোষ ইচ্ছা।আজতিথি অরন্যকে নিয়ে ঘুরবে।রিকশায় অনেকক্ষন ধরে ঘুরবে।তারা রিকশা ছাড়া ঘোরে না।রিকশারমধ্যে অন্যরকম একটা ব্যাপার থাকে।অন্য কোন যানবাহনে এটা থাকে



অরন্যেরসাথে ঘুরতে যাওয়ার সময় তিথি সবসময় শাড়ি পরে।আজ তিথি হলুদ একটাশাড়ি পরবে।হলুদ শাড়ি সবুজ পাড়।চুলগুলো আজ সে বাঁধবে না।থাক খোলা।বাতাস পেয়ে উড়ুক।

মাথার চুল বাতাসে উড়বে,কপালের কাছে জড় হবে।পাশে বসে থাকা প্রেমিকঅপলক দৃষ্টিতে দেখবে।আলতো করে চুল সরিয়ে দিবে।চুল সরিয়ে দেয়ার পর মনে হবে কি দরকারছিল চুল সরিয়ে দেয়ার।আগেই তো ভাল ছিল।

আচ্ছাকপালের সামনে চুল আসলে অরন্য কি হাত দিয়ে চুল সরিয়ে দিবে?দিবে না নিশ্চয়ই।গাধা তো।



তারপরেওচুল খোলা থাক।যদি ভুল করে সরিয়ে দেয়?দিতেও তো পারে।



তিথিএকটা টিপ পরলো।সবুজ টিপ।ইচ্ছে করে টিপটা কিছুটা সরিয়ে পরলো যাতে অরন্য দেখে বকা দেয়-'একটাটিপ ও জায়গামত পরতে পার না।সারাদিন করো টা কি?’



তিথিরবকা শুনতে মোটেও ভাল লাগে না।কিন্তু অরন্য যদি বকা দেয় তবে তিথির খুব ভাল লাগবে।খুব।



তিথিজানে অরন্য তার টিপের দিকে খেয়াল ই করবে না।গাধা তো।তারপরেও টিপ ভুল জায়গায় পরলো।খেয়ালকরতেও তো পারে।





অরন্যেরমেজাজ খুব খারাপ।তার বাবা বলেছে তার মাথায় নাকি গরুর গবর ও নেই।আছে মানুষের গু।কাঁচাগু।গু এর আবার কাঁচা পাকা কী?গু ইজ গু।

অরন্যমোবাইল বন্ধ করে এখন ঘুমাবে।ঘুম ছাড়া মেজাজ ভাল হবে না।



অরন্যেরমোবাইল বন্ধ।অনেকবার চেষ্টা করলো তিথি।তারপর শাড়ি বদলে ফেললো।চুল বেঁধে ফেললো।টিপতুলে ফেললো।সবুজ টিপটি তোলার সময় তিথিরখুব আভিমান হল।তিথির হয়তো জানা নেই যে কালো মেয়েদের অভিমান করতে নেই।কালো মেয়েদের অভিমানকরা নিষেধ।





(০৩)



মহল্লারমোড়ে কিংবা প্রাচিরে কিছু ছেলে বসে খাকে।এদের কাজ হল রাস্তার মানুষ দেখা,যানবাহন দেখা।কিঅলস দুপুর,কি বিকেল,কি সন্ধ্যা।এরা বসেই থাকে,বসেই থাকে

কেউকখনো এদের জিজ্ঞাসা করে না-'আপনারা এখানে কেনো বসে থাকেন?কিসের অপেক্ষায় বসে থাকেন?'এরাবসে থাকে ভালবাসার অপেক্ষায়।কখন কোন শাড়ি পরিহিতা এসে কলার চেপে নিয়ে যাবে,কখন কোনপ্রেমিকা রাগ করে দুপুরের ভাত খাবে না,কখন কোন প্রেমিকা ঈদে নতুন জামা কিনে দিয়ে বলবে-'দেখোতো পছন্দ হয় কি না?'

এদেরঅপেক্ষার শেষ নেই।সমাজ এদের বখাটে বলে চিনে।মেয়েরা বখাটে ছেলের সাথে প্রেম করে না।মেয়েরাপ্রেম করে বিশুদ্ধ পানির মত ছেলেদের সাথে।অরন্য হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির মত;স্বাদহীন।



তিথিজানে ছেলেটা ভাল।অনেক ভাল।অরন্যের পায়ে যদি সে স্যান্ডেল পাড়া দেয় ছেলেটা কিছুই বলবেনা।বলবে না-'তিথি!পা সরাও।আমার কষ্ট হচ্ছে'।নিরবে সব কষ্ট সহ্য করবে।



-এই!তুমিকোথায়?

-বাসায়।

-একটুবের হতে পারবা?

-হুম

-আচ্ছাআ্যমেরিকান বার্গারে আসো।আমি আসছি

-আচ্ছা।













******************



গাধাটাকেযদি বলা হয় এসো একটা ড্রিংক্স দু জনে শেয়ার করে খাই তবে কি সে তা খাবে?নিশ্চয়ই খাবেনা।কারন গাধারা গাধাই হয়;রোমান্টিক হয় না।



-একটাড্রিংসে দুজন স্ট্র ঢুকিয়ে খাব কেন?এটা খুব ই বাজে চিন্তা।সভ্য সমাজে এভাবে খাওয়ারনিওম নেই।



তিথিরইচ্ছে করছে ড্রিংক্স পুরোটা গাধটার মাথায় ঢেলে দিতে।আচ্ছা এটা করলে কি আরন্য খুব রাগকরবে?গাধা তো।করবে না নিশ্চয়ই।তিথির মাঝে মাঝে বকা খেতে ইচ্ছে করে।তবে সবার কাছে থেকেনা।ওই গাধাটার কাছে থেকে যে শব্দ করে ড্রিংক্স খাচ্ছে।






(০৪)



আমার হাতটা একটু ধরতো। -কেনো?-ধরতে বলছি তাই ধরবা।এতপ্রশ্ন কেনো?

অরণ্য তিথির হাত ধরে।ঠান্ডাহাত।মেয়েদের হাতে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাএকটা ভাব থাকে।কষ্টদায়ক ঠাণ্ডানা।আরামদায়ক ঠাণ্ডা।

-হুম।ধরলাম।এখন? -এখন আবার কি?তোমার কি ধারনাআমি কোন কারনে হাতধরতে বলছি? -হুম।আমার ধারনাতুমি কোন কারনেই হাতধরতে বলছো। -তুমি তোকখনো আমার হাত ধরনা।তাই ধরতে বললাম। -ওআচ্ছা -বিরক্ত লাগলে ছেড়েদিতে পারো।সমস্যা নেই।

তিথির কণ্ঠে অভিমান স্পষ্ট।গলাধরে এসেছে।

-না ছাড়বো না।আজকে সারাদিনহাত ধরে থাকবো।তোমাকে বাড়িযেতে দিব না।হাত ধরেথাকবো।

-ঢং করবা না।তোমাকে ঢংকরলে গাধা গাধা লাগে।-আমি তো গাধাই। চিহিহিহিচিহিহিহি -আজব।এ রকম করোকেনো? -ঘোড়ার ডাক দালাম।গাধারডাক তো জানি না।-মহা মুশকিল তো।এই হাতছাড়ো।হাত ছাড়ো বললাম।আমি চাইনা কোন গাধা আমারহাত ধরে থাকুক। -ছাড়বোনা।চিহিহিহি চিহিহিহি...

তিথি মুখে এইসব বললেওসে মনে মনে খুবচাইছে অরণ্য যেন তারহাত না ছাড়ে।অরণ্য যদিহাত ছেড়ে দেয় তেতিথি খুব কষ্ট পাবে।তিথিরমন চাচ্ছে অরণ্য এমনকরেই শক্ত করে হাতটাধরে থাক।ক্ষতি কি?আচ্ছা,মনেরকথা সবসময় মুখে আসেনা কেনো?আমরা মনেরকথা বলতে পারি নাকেনো?

-অরণ্য। -হুম -একটা প্রশ্নকরলে সত্যি উত্তর দিবা?-আমি তো তোমাকে কোনদিনকোন মিথ্যা বলিনি তিথি।-তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?-চোখ বন্ধ করো। -কেনো?চোখ বন্ধ করতেহবে কেনো? -সবকিছু চোখখোলা রেখে দেখতে পাওয়াযায় না।জগতের সুন্দর জিনিসগুলো সৃষ্টিকর্তামানুষের চোখের দৃষ্টির আড়ালেরেখে দিয়েছেন।এইসব দেখতে হয় চোখবন্ধ করে।

তিথি চোখ বন্ধ করলো।অরণ্যতিথির হাত ছেড়ে দিয়েহাঁটতে শুরু করলো।তিথির হাতধরে রাখার আর প্রয়োজননেই।তিথি অনেক দামি কিছুরসন্ধান এখন জেনে গেছে।সামান্যহাতের স্পর্শ এখন তারআর লাগবে না।

অরণ্য তিথির হাত ছেড়েদিয়েছে।সে বলেছিল এই হাতসারাদিন ধরে থাকবে।তবে কেনোছেড়ে দিল?অরণ্য,এইকি কথা ছিল?

মানুষ খুব অদ্ভূত একপ্রাণি।মনের কথা ঠিক মতবলতেই পারে না।তিথি যদিঅরণ্যকে তার মনের কথাবলতো যে অরণ্য তুমিহাতটা ছেড়ো না প্লিজ।শক্তকরে ধরে থাকো।তুমি হাতছেড়ে দিলে আমি খুবকষ্ট পাবো।তাহলে হয়তো অরণ্য কখনোইহাত ছাড়তো না।কখনো না।

তিথির আজ মন খারাপ।তিথিরআজকে মন ভালো নেই।একদমনেই।



(০৫)



আজকে একটা বিশেষ দিন।আজকেতিথির জন্মদিন।বিশেষমানুষরা সাধারনত রাত ১২টা ১মিনিটে উইশ করে।এখন দুপুর তিনটা।অরণ্যএখনো উইশ করে নি।হয়তোদেখা হলে করবে।বিশেষ মানুষদের অনেকপ্লান থাকে।দেখাযাবে এই উইশ নাকরাটাই একটা প্লান ছিল।তিথিঠিক করলো অরণ্য যখনউইশ করবে তখন তাকেভালো মতন বকে দিবে-"এত দেরিতে উইশকেনো?মন কই থাকে?নাকি আমি ছাড়াআরও গার্লফ্রেন্ড জুটাইছো?এখন আমাকে ভালোলাগে না তাইতো তো?"তিথি বকলেও তিথি খুশিহবে।শেষপর্যন্ত উইশ তো করছে।এটাওতো কম না।তিথির হয়তো চোখভেঁজা ভেঁজা হবে।ভেঁজা ভেঁজা চোখেসে তাকিয়ে দেখবে অরণ্যচুপ করে তার সববকা শুনছে।একটাকথাও বলছে না।গার্লফ্রেন্ডের বকা চুপ করেশুনতে হয় না।গার্লফ্রেন্ডুর সাথে ঝগড়া করতেহয়।গাধাকিচ্ছু বোঝে না।

অরণ্য ফাস্টফুডের দোকানে বসে আছে।বিকাল৪টা ১০ বাঁজে।তিথির আসারকথা ৪টার সময়।এখনো খোঁজনাই।বলেছিল কি নাকি দরকারআছে।মেয়েরা রহস্য করতে পছন্দকরে।পুরোটা কখনো বলে না।বললেকি হত যে কিদরকার?অরণ্য আর ৫মিনিট অপেক্ষা করবে।৫মিনিটের মধ্যে যদি তিথিনা আসে সে চলেযাবে।ফাজলামি নাকি?

১০ মিনিটের কথা বললেও অরণ্যআরও আধাঘণ্টা বসে থাকলো।কিছু মানুষকিছু মানুষের সাথে অভিমান করেথাকতে পারে না।'আরকোনদিন কথা বলবো না'বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দুইএকদিনের বেশি টিকে না।ঠিকই কথা বলে।আবার ঠিকই অভিমান হয়।আবার ঠিকই তারা বলে-'আরকোনদিন কথা বলবো না'।

তিথি এসেছে।তিথি অরণ্যের টেবিলের দিকে হেঁটে আসছে।তাকেআজকে খুব ই সুন্দরলাগছে।তিথিকে দেখার সাথে সাথেঅরণ্যের মনে পরলো আজকেতিথির জন্মদিন।

অরণ্য তিথির সামনে হাঁটুগেড়ে বসে বললো-"শুভজন্মদিন প্রিয়তমা।এ জিবন ধন্য করো।"

তিথি মুখ ঘুরিয়ে নিল।আজব!তার এত কান্নাপাচ্ছে কেনো?





(০৬)



অনেক অনেক অনেক দিনপরের কথা।দেয়ালেপরিবর্তন হয়েছে একের পরএক ক্যালেন্ডার।একাকীছাদ রোদে রোদে নষ্টহয়ে গেছে।রাস্তারওই মোড়ে এখন রিকসারজন্য দাঁড়িয়ে থাকলে আর বৃষ্টিতেভিঁজতে হয় না।কদম গাছটি বড়হয়ে গেছে।বরষায়হলুদ হলুদ কদম ফুলহয়।টোকাইছেলেরা ঢিল দিয়ে কদমপাড়ে।কদমফুল রাস্তায় পড়ে থেতলে যায়।কখনোবা বেরসিক পথিক পিষেদেয় বা দরিদ্র রিকশাচালকেরদরিদ্র চাকার তলে পরেমরে যায় একের পরএক কদম ফুল।আহারে!

অনেক কিছু আর আগেরমত নেই।এখন আর আগের মতবৃষ্টি হয় না।কিংবা কেজানে।হয়তো হয়।তিথি জানে না।বৃষ্ঠির ঠিকানাজানার প্রয়োজন তিথির শেষ।এখন আরকোন ছেলের জন্য তারমন খারাপ করে থাকতেহয় না।তিথির বিয়ে হয়ে গেছে।অরণ্যনয়,অন্য কারো সাথে।

তিথি বের হয়েছে তারস্বামির সাথে ফুসকা খেতে।তিথিরএই খাবার খেতে খুবভয় লাগে।পাছে অরণ্যের স্মৃতি তাকে জাপটেধরে।পাছে প্লেটের তেঁতুলের পানিতে পুরাতন কারোছবি ভেসে ওঠে।

তিথির ঠিক সামনের টেবিলেমানুষটা এক মেয়েকে ফুসকাতুলে খাওয়াচ্ছে।মা ছাড়া এত আবেগনিয়ে কেউ কারো মুখেখাবার তুলে দিতে পারে?আচ্ছা মেয়েটা কে?অরণ্যের স্ত্রী না প্রেমিকা?অমন করে মুখেখাবার তুলে দিচ্ছে কেনো?সে একা খেতেপারে না?কই আমাকেতো কখনো অমন করেখাইয়ে দাওনি।

তিথির কান্না পায়।তিথি কান্নাআটকে রাখে।কাঁদলে অনেক যত্নে আঁকাকাজল মুছে যাবে।অরণ্য বলতোকালো মেয়েদের চোখে কাঁজল খুবমানায়।কিন্তু অরণ্য এটা কেনোবলো নি যে কালোমেয়েদের চোখে কাজল বেশিক্ষনথাকে না।চোখের জলে মুছে যায়।

তিথি রিকসায় করে ঘরেফেরে।ঘরে ফিরে দরজা লাগিয়েদেয়।তিথি এখন খুব কাঁদবে।

তিথির মন খারাপ।তিথির মনআর কখনো ভাল হবেনা।কখনো না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ লিখছেন| কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের প্রভাব এত বেশি যে মনে হল তারই কোন গল্প পড়ছি| আরো ভাল লাগত যদি হুআ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারতেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.