নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের চন্দ্রাভিযান ও আদর্শিক বৈপরীত্য

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:০৮



১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সাম্রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চলের (সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশসমূহ বাদে) শাসনভার ইণ্ডিয়ান ন্যাশানাল কংগ্রেসের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের হাতে অর্পিত হলে, ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ার সে অঞ্চলটি Republic of India বা ভারত গণরাজ্য নাম ধারণ করে। এই অঞ্চলের কিছু অংশ মোগল আমলে হিন্দুস্থান নামে পরিচিত ছিলো। India নামটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবশেষ হিসাবে প্রাপ্ত নাম বিশেষ আর ভারত নামটি মহাভারত মহাকাব্যের চরিত্র ভরতের কল্যাণে প্রাপ্ত। কিন্ত ইতিহাসে ভারত নামে ক্ষুদ্র একটি রাজ্যের অস্তিত্ব থাকার আভাস পাওয়া গেলেও, ভারত নামের কোনো সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ছিলো না। এই British India বা ভারত গণরাজ্যের অর্জন বিষয়ক সর্বশেষ একটি খবর চাউর হয়েছে। সেটি হলো এই যে এই রাষ্ট্র প্রেরিত একটি চন্দ্রযান গতকাল চন্দ্রে অবতরণ করেছে। Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের এই চন্দ্র জয়ের বিষয়টি জাতীয় অর্জন হিসাবে ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে আর এই অর্জনটিকে জাতীয় প্রযুক্তির উৎকর্ষতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই Republic of India বা ভারত গণরাজ্য দেশটি তার চন্দ্র জয় শীর্ষক অর্জনের সাক্ষর হিসাবে চাঁদে অশোকস্তম্ভের চিত্র অংকনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখানেই Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের আদর্শিক বৈপরীত্য। এই বৈপ্যরীত্যের বিষয়টি হলো এই যে, এখানে Republic of India বা ভারত গণরাজ্য তার জাতীয় মহিমাকে প্রচারের জন্য যে সম্রাট অশোকের অশোকস্তম্ভের চিত্র আঁকতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেই সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্টপোষক ছিলেন। তিনি বৌদ্ধধর্মকে পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল জুড়ে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ঐ প্রচেষ্টায় পুরো এশিয়া মহাদেশে বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। কিন্তু তাঁর সাম্রাজ্য কোনোক্রমেই সারা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিলো না। তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিলো বর্তমান বিহার ও উত্তর প্রদেশ অঞ্চল জুড়ে। কিন্তু তাঁর প্রচারিত বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্মের সমস্ত নিদর্শনকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়ায় হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এখন সেই হিন্দু ধর্মের আদর্শে বলীয়ান Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের রাজনৈতিক শক্তি বৌদ্ধ ধর্মের স্মারক অশোকস্তম্ভকে Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের প্রতীক হিসাবে চন্দ্রে অংকনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই Republic of India বা ভারত গণরাজ্য যদি অশোকস্তম্ভের সাথে সাথে সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ধর্মীয় আদর্শকে ভূপৃষ্ঠে প্রচার ও প্রসারে পৃষ্টপোষকতা করতো, তাহলে আর Republic of India বা ভারত গণরাজ্যের আদর্শিক বৈপরীত্য সম্পর্কে এই প্রশ্ন উঠতো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.