নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

!

জীবন নিংড়ানো রস ! তিক্ততায় ভরা !!!

রিক্ত রায়হান

আমি জানি না কিচ্ছু জানিনা। অনেক বার চেষ্টা করেছি জানতে, বার বার জিজ্ঞেস করেছি, অনেক ধর্য্য ধরেছি। তবুও জানতে পারিনি! রহস্য ময়তার বেড়া জালে আমি বন্দি প্রতিনিয়ত............ ।

রিক্ত রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরো জানতে চাই (সেন্টমার্টিনের সেই মৃত্যুকূপ সম্পর্কে)!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ফেসবুকের ''মাফ চাই-দোয়াও চাই'' (https://www.facebook.com/MaphaCaiDoyaoCai) এই পেজে দেয়া একটা পোস্টে দেখলাম যেখানে , যেই জায়গায়টাতে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্র সহ এর আগে অনেক হারিয়ে গিয়েছিলেন। ঐ পোস্টে চারটি মুবাইলের গুগল ম্যাপের স্ক্রিন সট আর ফটো তুলে দেয়া আছে। কেউ যদি ঐ স্থানের ব্যাপারে আরো ক্লিয়ার ধারনা (ফটো সহ )দিতে পারেন তবে সকলের উপকার হয়। তবে বেচে যেতে পারে আরো অনেক প্রাণ। বেচে যেতে পারে সেন্টমার্টিন নিজেও। না হয় এই মৃত্যু ভয়ে সেন্টমার্টিন হারাবে দেশি বিদেশি পর্যটক। এবং জনসচেতনা আর সংশ্লিষ্টের দৃষ্টি আকর্ষনের মাধ্যেম আমরাই পারি এই অকাল মৃত্যুকে রোধ করতে।



নিচে ঐ পেজের পোস্ট টা কপি করে দেয়া হল। সাথে ফটোগুলো



দেখে নিন সেন্টমার্টিন এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( সচেতন হোন ) !!



বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিনে পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।

এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেখানে যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।

স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।

ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।

এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!

যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।

যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।



এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।

পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।

দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।

স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই

একিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!

প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।।



ব্লগার : mehedi (4 photos)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

হেডস্যার বলেছেন:
ধুর মিয়া !! এইসব মৃত্যু কুপফুপ কিছু না....
পানিতে নাইমা অসতর্ক হইলে বিচের যে কোন যায়গা দিয়াই আপনে ভাইসা যাইতে পারেন।

কক্সবাজারে যেমন গুপ্তখালে যেমন বিপদ আছে...এইখানে ও তেমন।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

রিক্ত রায়হান বলেছেন: যদি একই জায়গায় অনেক মানুষ মরে তখন আপনি কি করবেন। আর আপনি তাকে কি বলবেন ?! এতো যখন বছেন কুপফুপ কিছু নাই তাইলে নাইমেন ঐ খানে গিয়া। দেখা যাবে কত হেডম B:-/ B:-/

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

হেডস্যার বলেছেন:
হেডম আছে বলেই তো সাবধানে নামি....
যাদের নাই তারা ডুববে এবং মরবে। :-P

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩০

রিক্ত রায়হান বলেছেন: দোয়া করি আল্লাহ আপনেরে গাতায় নিয়া ফালাউক :P :P :P

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১১

হেডস্যার বলেছেন:
শকুনের দোয়ায় গরু মরে না :-P :-P :-P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.