| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কপি করে লেখা পোস্ট করা আমার পছন্দ না আর কখনো করিও না। কিন্তু, এই লেখাটা শেয়ার করলাম। ফেসবুকে কোন এক গ্রুপ থেকে নেয়া।
__ Sorry! গাইনি বিশেষজ্ঞ ___
.
বিষয়টা হইলো সিজার ও নরমাল ডেলিভারি নিয়া! আপনি কখনও শুনছেন হলিউড বলিউডের কোনো নায়িকার সিজার কইরা বাচ্চা হইছে? আত্মীয় বন্ধু যারা ইউরোপ আমেরিকায় বউ নিয়া থাকে তাদের বউয়েরও সিজারে বাচ্চা হইছে শুনি নাই। ওদের বাচ্চা হইবার আগে গাইনি ডাক্তার আত্মা শুকানো ভয় দেখাইয়া বলে নাই পানি শুকায়া গেছে! নুচাল কর্ড (নার) প্যাঁচায়া গেছে! পজিশন উল্টায়া গেছে! বিশ্বের কোথাও দাঁড় করানো অজুহাতে পেট কাইট্টা বাচ্চা বের করেনা।
.
অনলি বাংলাদেশে বাচ্চা জন্ম দিতে গেলে গাইনি ডাক্তারদের হাজারও অজুহাত! আপনেরে এমুনসব ভয় দেখাইবো যে, অনাগত বাচ্চার সামনেই কাল্পনিক কাঠগড়ায় দাঁড় করায়া দিবো! কইবো এ মুহুর্তে সিজার না করলে বাচ্চা বাঁচানো যাবেনা। দায় দায়িত্ব আপনার! এছাড়াও ডেলিভারি পেইন নিয়া ক্লিনিকে যাইবেন তো দিবো একটা ইঞ্জেকশন হান্দাইয়া। ব্যাথা শেষ! এইবার এ অজুহাতেও পেট কাটো!!
.
এখন ত আবার গাইনিওয়ালারা অজুহাতও দেখায় না। ডাইরেক্ট বইলা দেয় আমি নরমাল ডেলিভারি করাই না! কী আজব দেশ রে ভাই! এত সিজার ডেলিভারি বিশ্বের আর কোনো দেশে হয় কি?? অনেক মায়েরাও কম যায় না! আগেই চুজ কইরা ফালায় সিজারে বাচ্চা নিবে। একটুও কষ্ট সহ্য করবে না! এটা আরেক ফ্যাশন, ইস্টাইল!!
.
আজব এই দেশ! জন্ম নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হার, বৃক্ষ রোপন, টিকা দান, শিশুমৃত্যু হার রোধ এসব কিছুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবুজ মার্ক পাইলেও সিজার ডেলিভারি নিয়া লাল দাগ খাইয়া বইসা আছে অনেক বছর।সরকার কিন্তু স্পিকটি নট!!! স্বঘোষিত নরমাল ডেলিভারি না করনেওয়ালা গাইনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ওয়াজিব হয়া গেছে।
.
এক বন্ধুর কাছে শুনলাম আমেরিকাতে নাকি বাইশ ঘন্টা ডেলিভারি পেইনের পরেও ডাক্তার সিজার করে নাই। সুস্থ বাচ্চা হইছিল, মাও সুস্থ ছিল।
.
আমার পরিচিত এক গাইনি ডাক্তার (MBBS, DGO) পঁচানব্বই ভাগ নরমাল ডেলিভারি করাইতো বিধায় কোনো ক্লিনিক তারে নিতে চায় না। এই ডাক্তার এ ক্লিনিক ওই ক্লিনিক এ জেলা ওই জেলা ঘুইরা ঢাকার মিরপুরের এক অখ্যাত ক্লিনিকে থিতু হইছে। আমার কন্যার ডেলিভারি কিন্তু এ ডাক্তারের হাতেই হইছিল। নরমাল। সেকেন্ডবার বউরে আরও বড় ডাক্তার দেখাইলাম (MBBS, FCPS)। অজুহাত দেখাইয়া, ভয় দেখাইয়া পেট কাইটা দিলো!! -![]()
.
এইবার আরেকটা সত্য ঘটনা (তাও ফেনীবাসি ডাক্তার বন্ধুর কাছে শোনা) বলি, ফেনীতে এক গর্ভবতী মহিলা প্রসব বেদনা নিয়া ক্লিনিকে ভর্তি হইছে। নার্সরা সাথে সাথে ওটিতে নিয়া গেছে এবং গাইনি ডাক্তাররে ফোন দিছে। ডাক্তার ফোনে কয়েকটা ইঞ্জেকশন দিতে নির্দেশনা দিয়ে জাস্ট দশ মিনিটের মধ্যে আইসা সিজার করবো বইলা ফোন রাইখা দেয়। নার্স নীচে যায় ইঞ্জেকশনের জন্য, ডাক্তারও দশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছায়া দেখে নার্স ইঞ্জেকশন পুশ করার আগেই বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হয়া গেছে! ডাক্তারের গেছে মিজাজ খারাপ হইয়া! নার্সদের সে কী বকাবকি! এই বাচ্চা হইলো কেমনে? তোমরা কী করছিলা? দশটা মিনিট স্টপ করাইতে পারছিলা না?? .......!!!!!!!!!!!!!
.
কই যাই, কই যাইবেন??
আর সেই ডাক্তাররা যদি নকল কইরা।প্রশ্ন আগেই পইড়া পাশ করে।দেশের সবাইরে বাশঁ দিবোনি কন???
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আরে মানুষের পেট কাটতে পারলেই তো হাজার হাজার টাকা। নরমাল ডেলিভারী করলে বিল হয় খুব কম।
২|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই বাচ্চা হইলো কেমনে? তোমরা কী করছিলা? দশটা মিনিট স্টপ করাইতে পারছিলা না?? .......!!!!!!!!!!!!
আর কি কইতাম!! মুনে কয় কইষ্যা..................................
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: হুম ভাই, কইষষা দুইডা থাবড়া দেয়া দরকার। আর এই ডাক্তারদের ধরে সবার পেট কেতে দিলেও খারাপ হয় না।
৩|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: যে বাচ্চা মায়ের জরায়ুর মাধ্যমে বের হচ্ছে, সে মায়ের শরীরের সমস্ত ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা এক্সপোজ হওয়াতে, সেই সব বাচ্চাদের ইমমিউন ক্ষমতা অনেক গুন বেশী থাকে সিজারের মাধ্যমে হওয়া বাচ্চার চেয়ে। তাই আমেরিকাতে সিজার প্রায় উঠেই যাচ্ছে, আনলেস কোন কম্প্লিকেশন থাকে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: এই জন্যই আজকালকার বাচ্চারা অনেক বেশী ব্রয়লার টাইপ হয়ে থাকে। আমরা, ডাক্তারদের কথা আইনের মতই মেনে থাকি। তাদের অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ থাকে না। আর তারা এই বিশ্বাসটাকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্রত ভারী করে থাকে।
৪|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ডাক্তারের গেছে মিজাজ খারাপ হইয়া!
নার্সদের সে কী বকাবকি! এই বাচ্চা হইলো
কেমনে? তোমরা কী করছিলা? দশটা মিনিট স্টপ
করাইতে পারছিলা না?? .......!!!!!!!!!!!!!
কী বিকৃত মনের সেবিকা,ডাক্তার!!!
আমাদের অবশ্যই আরো অনেক সচেতন হতে হবে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: দারুন একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন।
আসলেই ব্যাপারটা এখন মহামারীর আকার ধারন করেছে।