নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মহান, আপনাকে স্বাগতম

রিফাত াহসান

পথভ্রষ্ট হয়েছি অনেক আগেই, এখন অনুভুতি শূণ্যতা অর্জন করেছি।

রিফাত াহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনিক খান এর ছড়া;)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৮



বাংলাদেশে বর্তমানে যে কজন ছড়াকার ছড়ার মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে অনিক খান অন্যতম। জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, ঢাকায়। পাসপোর্ট অনুযায়ী অবশ্য সাল ১৯৮৪।;) লেখালেখির শুরু স্কুল ম্যাগাজিন থেকেই। ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র হবার সুবাধে বিভিন্ন ইংরেজি দৈনিকের ছোটদের পাতায় ইংরেজী ভাষায় আনাগোনা।পত্রিকায় পেশাগত কাজ শুরু করেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে, উন্মাদ পত্রিকার মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে শুরু করার পর প্রথমে পরিকল্পনা বিভাগ, তারপর লেখালেখি বিভাগের সদস্য। ধীরে ধীরে সহকারী ও পরে সহযোগী সম্পাদকে উন্নীত হন। এখনও উন্মাদ পত্রিকাতেই আছেন, সম্পাদক আহসান হাবীবের সাথে নির্বাহী সম্পাদক হিসাবেলেখালেখি জীবনের শুরুটা হয়েছিল ছড়া দিয়ে। ছড়া লিখেছেন দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিক ও সাময়ীকিতে। এখনও নিয়মিত লিখছেন। শিশুতোষ ও রাজনৈতিক/সামাজিক ছড়া তার প্রিয় বিষয় হলেও পত্রিকাওয়ালাদের কারণে প্রেমের ছড়াই লিখতে হয় বেশি। যুগের কালিমা মুখে মেখে ২০০৩ সালে তিনি ৪ (চার) বা ৬ (ছয়) লাইনের পদ্যগুলোর নাম দিয়েছিলেন ‘এসএমএস কাব্য’, যেগুলো তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। আর তাই এখনও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন ‘এসএমএস কাব্য’। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০টি। তার লেখা ও আমার ভালো লাগা কিছু ছড়া আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম;)



১||

জ্বি হুজুরের মার্কা গায়ে

কেমন করে সাঁটি?

রক্ত দিয়ে কেনা আমার

বাংলাদেশের মাটি!

সেই মাটিরই আমরা ফসল

নোংরা শেকড় বাকর না,

মুখের উপর বলতে শিখুন-

“আমরা কারো চাকর না!”



বাংলাদেশের তরুন-

দুঃসাহসের বারূদ দিয়ে

মস্তিষ্ক ভরুন!



আর কতকাল? আর কত দিন?

থাকবে মাথা নিচু?

আর কতদূর হাটতে হবে

আপোষগুলোর পিছু?

নতুন মগজ, নতুন পেশী,

নতুন দিনের ঢেউ

তুলতে পারে এমন তুফান

নেই কি কোথাও কেউ?



বাংলাদেশের তরুন-

লাল-সবুজের পতাকাটা

শক্ত করে ধরুন!



২||

ঠিক যখনই একলা হতে চাই,

মাঝ পথে কেন তোমার দেখা পাই?

একটু দেখার মানে-

চতুরদিকে তোমার ছায়া

আমি মধ্যে খানে....



০৩||

সারাটাদিন দেখিস কি তুই?

এদিক সেদিক তাকাস

টিভির ভেতর এন্ড জেরী?

জানালাতে আকাশ?

রাস্তাজুড়ে বিজ্ঞাপন আর

রিকশা গাড়ি ভ্যান

দোকান মানে স্নো পাউডার

কোক পেপসির ক্যান।

দেখবি কি তুই? দেখতে কি চাস?

কিসের এত খোঁজ?

দেখতে হলে খুলিস না চোখ

চোখ দুটোকে বোজ!



৪||

বাঁশবাগানে মাথার ওপর

চাঁদ ওঠেনা আর

আকাশ জুড়ে টুইংকেলের

লিটিল লিটিল স্টার।



তাই আধুনিক আন্টি, পাপা

আর আধুনিক মামটি

সোনামনির বুকে বসায়

হামটি এবং ডামটি।



কাজল চোখেও হারায় না কেউ

রাগ কোরোনা দেবী,

হঠাৎ যদি ডাকি তোমায়

ডল, হানি বা বেবী।



রোমান হরফ দিয়ে আমি

বাংলা মেসেজ লিখে

জানিয়ে দিব দেখা হবে

রাত দশটার দিকে।



লাউঞ্জ কোনো বা কফি শপে

যুগের দুষ্টুমিতে

ডিনার হবে ইউরোপীয়

পিৎজা, স্পাগেটিতে।



গ্লোবাল হয়ে ওঠাই নাকি

দাবী মহাকালের

বিলবোর্ড তাই ঝুলিয়ে দিলাম

হিন্দি সিরিয়ালের।



সারাটা দিন মগ্ন থাকি

জি-টিভি, স্টার প্লাসে

তারপরেও নির্লজ্জ

'মহান একুশ' আসে।



বাহান্নতে যা পেয়েছি

হজম করে সাবার...

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই-এর

স্লোগান উঠুক আবার!



৫||

তোরা নাকি সবাই রাজা?

হায়রে ভোলা মন...

'কাছে থাকা'ও শেখায় তোকে

টিভি'র বিজ্ঞাপন!

সবই গেল ধনীর দেশে

তুই তো পেলি কম,

'দিন বদল'-এর শপথ করায়

ফরেন টেলিকম



৬||

দূর-বালিকা, আমার কথা

খেয়াল করে শুনিও

তোমার আমার দশ পা ফারাক

ইচ্ছা হলে গুনিও।



গোনার ছলে পা পা করে

আমার দিকে আসিও

পাঁচ পা শেষে লাজুক বাঁকা

অল্প খানিক হাসিও।



ছয় পা শেষে ওই হাসিমুখ

অন্যদিকে ঘুরিও

সাত পা শেষে এই কলিজা

অবহেলায় পুড়িও।



পোড়ে যদি তোমার বুকও

পুড়ছি যখন আমিও,

আট পা শেষে থামিও না

নয় পা শেষে থামিও।



নয় পা শেষে থুতনি তুলে

আমার দিকে তাকিয়ো

এক পা, কসম!

আমিই যাবএকটু শুধু ডাকিও! )





৭||তোরাই আমার স্বজন সূজন

ভাই কাকা র মামু,

হয়ত কয়ে ''র্রাষ্ট্রদ্রোহের''

খেতাব আমি পামু....

তারপরে ও রামু,

দেশরে ভালবাসি বলেই

তোগো দলে ই যামু!



৮||টিপ দিলেই

বলিস তুই,

টিপ হয়েছে বাঁকা,

ঠিক করার

অজুহাতে

আমায় ছুঁয়ে থাকা।

জ্বর এসেছে

শুনলে জানি

কপাল ছুঁয়ে দিবি

ভালোবাসি

বলতে গাধা

আর কত

সময় নিবি?



৯||

আমরা এখানে স্যার,

ওখানে কি সুখ?

... এভাবে কি যেতে হয়

মুনীর মিশুক?



স্বপ্নরা এত, লাগে

জনম আরেক?

... এভাবে কি যেতে হয়

মাসুদ তারেক?



কত ঢেউ হতে লাগে

চোখ ছলছল?

... এভাবে কি যেতে হয়

আবিদ, বলো?



এত ভালোবাসা ছিল

বাহু'র ডোরে?

... এভাবে কি যেতে হয়

মিলন, ওরে?



কই তোরা? বাকি আছে

মিছিল, লড়াই!

... এভাবে কি যেতে হয়

'মিরসরাই'?



রক্ত কি মুছে দেবে

মাটির সুঘ্রাণ?

... এভাবে কি যেতে হয়



একটুখানি সুখ আমাদের

অনেকখানি শোক

'অনেকটুকু' আমিই নিলাম

'একটু' তোমার হোক।



১০||কিচ্ছু বলা ঠিক হবে না, বললে খাবো ধমক

এটাই ‘নয়া ডেমোক্রেসি’র, আনকোরা এক চমক!

তাই সমাধান - পিঠ বাঁচিয়ে, পেলাম গণিত কষে

রাত্রে আমার ঘুম আসে না, বালিশটারই দোষে!

সকাল বিকাল বালিশগুলোর, তুলো ধুনেছি

আর ক’টা দিন সবুর করো, রসুন বুনেছি!

প্লিজ! আর ক’টা দিন সবুর করো, রসুন বুনেছি!





১১||

ভুলে গেছি চম্পাকে

ভুলে গেছি ববিতা

ভুলে গেছি তোমাকে

নিয়ে লেখা কবিতা।



ভুলে গেছি কবরী

ভুলে গেছি দিতিকে

ভুলে গেছি তোমার ওই

ডানে কাটা সিঁথিকে।



ভুলে গেছি রোজীকে

ভুলে গেছি রোজিনা

ভুলে গেছি গায়ে জ্বর

নিতে কত খোঁজই না!



ভুলে গেছি অঞ্জুকে

ভুলে গেছি শাবানা

ভুলে গেছি ‘আহা, যাই?’

‘না! না! তুমি যাবা না!’



ভুলে গেছি অঞ্জনা

ভুলে গেছি সুজাতা

ভুলে গেছি ‘ধুর বোকা!’

হতাশাতে বোঝা তা!



ভুলে গেছি সুচরিতা

ভুলে গেছি সুমিতা

ভুলে গেছি...ভুলি নাই!

বুঝেছ কি তুমি তা?



তুমি নাই! ভুলে গেছি—কাশবন, গুনগুন

তুমিহীন স্মৃতি মানে—ডিপজল, মুনমুন।



১২|| আমার বুকের পাঁজর সোজা

তাক্ করা তোর বন্দুকের

বুলেটগুলোই বন্ধু আমার

সই পাতানো শোক-সুখের!



১৩|| সেই তোমাকে

একটু হঠাৎ... আহ্!

‘একটু’ যদি ‘অনেক’ হতো?

না, না, তা হয় না!



১৪|| ফোনে ডাকে “সোনামনি”

কেউ দেখি কন “জান”

বুঝিনা তো কে যে প্রিয়া

কোনটা যে সন্তান!



১৬||পোস্ট অফিসের চল ওঠেনি

তাও আসে না পত্র নীল

শুভ্র সাদা খাম আসে যায়

খামের ভেতর কারেন্ট বিল



১৭||গাঙের পাড়ে কলসি ভাঙে, সূর্য ডুবু ডুবু

ঘরে ফিরা যাইতে হবে, বকবে বড় বুবু।

বকুক বুবু, চুল টানা দিক! রটুক কথা পাড়ায়!

তোমার সোহাগ মাইখা আছে, ওই কলসের চাড়ায়!



১৮||

মা বাবা আর ভাইয়া আপু

জ্যামকে করে ঘৃণা

ওরা বলে জ্যামটা পঁচা

আমি বলি জ্বি না।



ট্র্যাফিক জ্যামে প্রায়ই আমার

ইশকুলে হয় দেরি,

তাই তো আমি লাইক করি

জ্যামকে ভেরি ভেরি!



১৯||সকালে উঠিয়া আমি জোড়েসোরে বলি-

সারাদিন বারুদের, মত যেন জ্বলি।

আদেশ করেন যাহা, টিভি অ্যডগুলি...

কানে যেন তুলো দেই, চোখে দেই ঠুলি।



২০||কোনো দিনও মুখ ফুটে, বলিনি তো তাহারে

খুব শখ তাকে নিয়ে, যাবো দূর পাহাড়ে।

আজ তিনি বিয়ে করে, বিদুৎ সাহারে

হানিমুনে নেপালেতে... পাহাড়েই, আহা রে!



২১||“আপনি-তুমি-তোরা” ছাড়া, ভালোই আছি আমার মত

কি আছে নেই হিসাব বিহীন, পকেট ছাড়া জামার মত।



লোকাল বাসের রুট পারমিট, যখন তখন থামার মত

অনিশ্চিতে শেয়ার বাজার, ওঠার এবং নামার মত।

মর্জি মাফিক হ্যা না বলি, বীর পালোয়ান গামার মত

রুক্ষ থাকি, জলে ভিজি, গায়ে ঘষা ঝামার মত।

কাঁধে-টাধে নেই না বোঝা, টেনশনে খুব ঘামার মত

বাঘের মত জেদ ধরি ফের, গান ধরি ঠিক শামার মত।

কনকনে হই, গনগনে গই, শীতকাল আর summer মত

দুষ্টু করে মিষ্টি হাসি, ধমক লাগাই চামার মত।



কারও কুশল প্রশ্ন বিহীন, ভালোই আছি আমার মত

ছোট্ট বেলার গল্পে পড়া - reckless সব মামার মত।



২২||দেখছি সবই, শুনছি সবই

মুখে কিছু বলছি না-

তার মানে নয় আমরা বুকে

বারুদ পুষে চলছি না!

রাখছি চিনে শত্রু কারা

... বন্ধু পরিচয়ে,

এই বারুদই জ্বলবে দেখিস

সঠিক ‘অসময়ে’!



২৩||ঘুম নাই যার চোখে

তাকেই কেন "ঘুমিয়ে পড়ো"

বলছে বোকা লোকে?



ঘুম আসে না যার

তাহার কেন প্রহর আসে

এমন অপেক্ষার?



২৪||চোখের ওপর শশার ফালি

থুতনি, গালে দুধের সর...

হায়! বালিকার খাদ্য থেকে

কসমেটিকই পুষ্টিকর!



২৫|| সে রাত্তিরে তোমার সাথে

পাশাপাশি হাটিতে-

বুঝিয়াছি জোছনা থাকে

আসমানে ও মাটিতে!



২৬||ভালোবেসে রুমাল দিলি

সঙ্গে যেন থুই।

সর্দি হলেই হয় অনুভব

এই তো আছিস তুই!



২৭|| কেমন আছো..? জানতে চেয়ে

হয়না নেওয়া খোঁজ..

হারিয়ে যাওয়া প্রিয়ার কথা

ভুলছে কবি রোজ..

২৮|| আমার কিছু দুঃখ আছে,

আমার কিছু শোক,

ওরাই নানা রংয়ে আমার

রাঙায় ইহলোক।

আমার কিছু গুনাহ্ আছে

আমার কিছু পাপ,

ওরাই আমার মাঘ জনমে

চৈতালী উত্তাপ।



২৯||এই ছড়াতে সবকিছু হয়, কানুন কালা মানে না

দেখছি না যা চোখে এবং শুনছি যেটা কানে না।



এই ছড়াতে-

বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়ে

গ্রীষ্মকালে রোদ

চিকিৎসা হয় বিষফোড়াদের

সুস্হ সবল গোঁদ।

বাজেট এলে দাম কমে যায়

গোস্ত পেয়াজ ডালের

মিনিস্টারের সাবাস কুড়ায়

বদলে গালাগালের।

পার্টি শুধু বার্থডেতে হয়

মলম মেখে হয় না

সিএনজিতে আন্টি চড়ে

গলায় সোনার গয়না।

রাতের বেলা ভয় করে না

চোর ডাকাতি খুনের

পুলিশ নিশি কাব্য পড়ে

নির্মেলন্দু গুনের।

ঘুষের কথায় আমলাগুলো

বলেন- না না ছিঃ ছিঃ

সেবা দিব বলেই রে ভাই

চাকরিখানা নিছি।



৩০||

আজকে আমি চাঁদ ছোঁব না

চাঁদের সাথে আড়ি

আজকে আকাশ-আকাশ শুধুই

বন্ধ বাড়াবাড়ি।



হাওয়ায় আমি ভাসবো না আজ

ভাসবে ধূলিকনা

আজ হবে না হাওয়ার সাথে

আমার বনিবনা।



আজকে আমি চা খাব না, ঠান্ডা হবে চায়ের কাপ

আজকে আমি চা খাব না, আজকে আমার মন খারাপ।



সাগর তুমি সাগর শুধুই

আজকে তুমি বন্ধু নও

আজকে না হয় ভাটার টানে

অনেক অনেক দূরের হও।



তোর বুকে আজ হাঁটবো না পথ

বসবো না তোর পাশে

আজকে আমি একলা হব

মগ্ন সর্বনাশে।



আজকে আমি চা খাব না, ঠান্ডা হবে চায়ের কাপ

আজকে আমি চা খাব না, আজকে আমার মন খারাপ।



আজকে আমি চা খাব না, ঠান্ডা হবে চায়ের কাপ

আজকে আমি চা খাব না, আজকে আমার মন খারাপ।



৩১||

পাঞ্জাবী আর কামিজগুলো

আর কত শর্ট করবি বল?

অরন্যতেই ফেরার গাড়ি

আয়রে সবাই চড়বি চল।



৩২||

ছোট ছোট কাজে লাগে

বড় বড় মামা

বড় বড় আপু পরে

ছোট ছোট জামা

প্রগতির দুর্গতি...

থামা কেউ থামা



৩৩||

পিঁপড়া জীবন আমার তবু

দুঃখ দশাসই

বুক জমিনে খরা, আমার

চোখ দুটো থই-থই।



৩৪||

আমার এমন দুঃসময়ে

হাত বাড়ালো কে কে

চলেই যাব চলেই যাবো

একটু খানি ডেকে



৩৫||

ভালোবেসে রুমাল দিলি,

সঙ্গে যেন থুই-

সর্দি হলেই হয় অনুভব,

এইতো আছিস তুই!



৩৬||



এই কথাটা

ভাবতে লাগে ভালো

তোমার দুচোখ

কাকের চেয়ে কালো।

এই কথাটা

ভাবতে ভালো লাগেনা

তোমার দুচোখ

আমার জন্য জাগে না



৩৭||



বন্ধু মানে দুঃখ শোকে

এক হয়ে যায় দুই

সমান ভাগে ভাগ করে নিস

বন্ধু মানে তুই!



৩৮||

ধূলোয় মলিন সে দিন সে রাত

মানুষ স্মৃতিখেকো

একলা চলার এই জমানায়

বন্ধু, ভালো থেকো।



৩৯||

আমি কি আর লিখতে পারি?

তুমিই আমায় লেখাও!

আমি দেখি দুচোখ শুধু

তুমিই সাগর দেখাও।



৪০||

প্রিয়তমা পরী ছিল

ডানাকাটা ছিল না

তাই উড়ে চলে গেল

পাত্তই দিল না।



৪১||



আমাকে তুই চিনিস নাকি?

আমাকে তুই চিনিস?

এক ঘুষিতে করতে পারি

সবকটাকে ফিনিশ....

-আমি এমন জিনিস!



করতে পারি, পড়তে পারি

ছাতার হাতল ধরতে পারি

নড়তে পারি, চড়ত পারি

দম দিয়ে বুক ভরতে পারি

-আমি এমন জিনিস!



বাড়তে পারি, ছাড়তে পারি

রুমালে নাক ঝাড়তে পারি

মারতে পারি, হারতে পারি

পারার সবই পারতে পারি

-আমি এমন জিনিস!



আমাকে তুই চিনিস নাকি?

আমাকে তুই চিনিস?

আমর ছবি পোস্টারও হয়

পারলে দুটো কানিস...

-আমি এমন জিনিস!



৪২||

এই কথাটা রাখছি বলে --

গোপনে

কেমন আছি নিচ্ছে খবর--

ও ফোনে ।



৪৩||

জানবে না কেউ আগুন পুষে

আসব ফিরে ফের

সঙ্গে নিয়ে ব্যাকুল কিছু

কাব্য বিরহের ।



৪৪||



এই ছড়াতে সবকিছু হয়, কানুন কালা মানে না

দেখছি না যা চোখে এবং শুনছি যেটা কানে না।



এই ছড়াতে-

বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়ে

গ্রীষ্মকালে রোদ

চিকিৎসা হয় বিষফোড়াদের

সুস্হ সবল গোঁদ।

বাজেট এলে দাম কমে যায়

গোস্ত পেয়াজ ডালের

মিনিস্টারের সাবাস কুড়ায়

বদলে গালাগালের।

পার্টি শুধু বার্থডেতে হয়

মলম মেখে হয় না

সিএনজিতে আন্টি চড়ে

গলায় সোনার গয়না।

রাতের বেলা ভয় করে না

চোর ডাকাতি খুনের

পুলিশ নিশি কাব্য পড়ে

নির্মেলন্দু গুনের।

ঘুষের কথায় আমলাগুলো

বলেন- না না ছিঃ ছিঃ

সেবা দিব বলেই রে ভাই

চাকরিখানা নিছি।



৪৫||

আমার কিছু দুঃখ আছে,

আমার কিছু শোক,

ওরাই নানা রংয়ে আমার

রাঙায় ইহলোক।

আমার কিছু গুনাহ্ আছে

আমার কিছু পাপ,

ওরাই আমার মাঘ জনমে

চৈতালী উত্তাপ।



৪৬||

লুকিয়ে চোখের নদী

আমায় ডেকে যদি

হাত বাড়িয়ে বলো-

“আমার সাথে চলো?”

বলব আমি- “না! না!

আমার যাওয়া মানা

থাকতে হবে, আছি!

হাতের কাছাকাছি!”



৪৭||

কেমন আছো..? জানতে চেয়ে

হয়না নেওয়া খোঁজ..

হারিয়ে যাওয়া প্রিয়ার কথা

ভুলছে কবি রোজ...!



৪৮||

সে রাত্তিরে তোমার সাথে

পাশাপাশি হাটিতে-

বুঝিয়াছি জোছনা থাকে

আসমানে ও মাটিতে!



৪৯||

তোমায় কবে শেষ দেখেছি

ঠিক মনে নেই।

তোমায় কবে শেষ ভুলেছি

ঠিক মনে নেই।



৫০||

আপনি আমার নিদ্রা বিহিন

ভুল প্রহরের ঝি ঝি

একেই বলে ভালোবাসা

ঠিক ধরেছেন জী জী।



৫১||

ভাবের কথা আসে না তাও

মিথ্যা হবে যদি

না বললে তুমি আমার

আকাশ বাতাশ নদী।



৫২||

তোমার সাথে প্রেম টিকাটে

মিথ্যা বলার শুরু

সত্যি বলি তুমি আমার

মিথ্যা বলার গুরু।



৫৩||

তোমায় কবে ঠিক ভুলেছি

ঠিক মনে নেই ঠিক মনে নেই

তোমায় কবে শেষ ভুলেছি

ঠিক মনে নেই ঠিক মনে নেই



৫৪||

বলিনি তো ভালোবাসি

উচ্চারিত কথায়

কান পেতে রও শুনতে পাবে

আমার নিরবতা।



৫৫||

চইনি তো খুব বেশি আমি

চাইনি বুকের রক্ত

এক কোটি বার ভালোবাসি

বলা কি খুব শক্ত?



৫৬||

কত দিন কত দিন

সুখ থকে বলো

কত দিন কত দিন

আঁখি টলোমল ।



৫৭||

আপনি চিকেন টিক্কা খান

রফিক ভাইয়া ভিক্ষা চান

হায় পরিচয় ভাইটার

লিবারেশন ফাইটার।



৫৮||

তোমার মাঝে আমার শুরু

তোমার মাঝে সারা

এভাবে হয়ো নাকো

কভু দিসে হারা ।



৫৯||

সবাই দেখে রঙিন জামা

ঠোঁট গোলাপি ফর্সা গাল

কেউ দেখে না এই মেয়ের

দু চোখ জুড়ে বর্ষাকাল



৬০||

ভালো নেই অনুভুতি

ভালো নেই বোধ

বালো নেই দুপুরের

এক ফোঁটা রোদ।



৬১||



প্রেমিকারা জানে না—

প্রেমিকের হাত মানে,

চোখ বাধা মানে না।



৬২||

একটুখানি সুখ আমাদের

অনেকখানি শোক

'অনেকটুকু' আমিই নিলাম

'একটু' তোমার হোক।



৬৩||

যখন বিদায় না বলে যায়

রাগে আমার গা জ্বলে যায়।

যখন বিদায় বলে...

চোখ ভিজে যায় জলে।



৬৪||

এক জীবনের মানে

লুকিয়ে আছে

তোমার চুলের ঘ্রাণে।



৬৫||

প্রখর রোদের ঝলকানিটাও

বড্ড লাগে ফিকে,

মুগ্ধ চোখে তাকাই আমি

যখন তোমার দিকে।



৬৬||

যেমনে তেমনে যখন তখন

তোমার চোখের তারায়,

কারনে বা অকারনে

আমার হৃদয় হারায়



৬৭||

তোমার হাসির ঝলকে চাঁদ

মুখ লুকাবে যদি,

আমার অশ্রুর প্লাবন দেখে

লজ্জা পাবে নদী!



৬৮||

দিনের বেলা হাটি যখন

রাস্তা বা ফুটপাতে,

কেউ না জানুক আমি জানি

তুমি আছো সাথে |



৬৯||

অবশেষে খুঁজে পেয়ে

তোমায় মনের খাতায়,

ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে পড়ি

তোমার আঁচল পাতায়।



৭০||

আছো তুমি মিলে মিশে

আমার সকল পাওয়ায়,

কিন্তু আমি নেই তো কোথাও

তোমার কোনো চাওয়ায়।



৭১||

আছো তুমি আবোল তাবোল,

হযবরলতে।

আছো তুমি এই হ্দদয়ের

সবচেয়ে বড় ক্ষেতে!



৭২||

হারাবেই যদি, কেন

এসেছিলে তবে?

নেই তুমি তাও স্মৃতি তোমার

আকঁড়ে কেন র'বে?



৭৩||

সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম

তোমায় ভালোবাসি...

প্রথম যেদিন কাদাঁয় আমায়

তোমার মুখের হাসি



৭৪||

অন্তরা হায়!

তোমার সাথে

দেখা হল কালও,

বলা তবু হল না তো

কত বাসি ভালো!



৭৫||

হঠাৎ করে চলতি পথে

যদি কিছু থামায়,

দেখবে তুমি অনেক দূরেও

পিছন ফিরে আমায়।



৭৬||

চিরতরে ক্ষমা আমি

করব তোমায় ঠিকই

আমার মুখেও ফুটবে হাসি

কিন্তু ওটা মেকী!



মন্তব্য ১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
ভালো লাগলো অখা'র কালেকশন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.