![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বেলায় একবার চাঁদ রাতে আনন্দ করতে যেয়ে বাড়ীর পাশের স্কুলের মাঠে পরে গিয়েছিলাম । বয়স তখন ৫-৬ বছর এর মত ছিল । চাঁদ রাতের আবছা আলোতে আমরা ছোটরা একটা দৌড় প্রতিযোগিতায় নেমেছিলাম । দৌড় শুরু করার অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমি হোঁচট খেয়ে পরে যাই । তখন প্রথম অনুধাবন করেছিলাম হেরে যাওয়ার কষ্ট । কোন ভাবেই হারতে চাইনি । কিন্তু হোঁচট খাওয়াতে, আমি পিছনে পরে যাই, অসম্ভব হয়ে যায় অন্যদের ধরা । যেখানে পরেছিলাম, সেখান থেকেই আমাকে যখন উদ্ধার করা হয়, আমি তখন অজ্ঞান প্রায় । সেখানে উপস্থিত সবাই ছিল আমার চাচাত, জ্যাঠাতো ভাই বা বয়সে বড় ভাতিজা । ঈদের আগের রাতেই আমাদের ঈদ মাটি হওয়ার জোগাড় ছিল । হেরে যাওয়ার জন্য কষ্ট এবং অন্যদের উপর রাগ এই দুইটা বিষয় তখন একাকার । তখন থেকেই হার-জিত মনে গেথে যায় ।
এখন এত বছর পরেও ওইদিন ঠিকি মনে পরে । এরকম আরও অনেক স্মৃতিই মনে পরে। অদ্ভুত ব্যাপার হল অতীত আমাদের কাছে অনেক সময় স্বপ্নের মত হয়ে যায় । মনে হয় এর কোন অস্তিত্ব ছিল না । মনের কল্পনা মাত্র। তখন ভবিষ্যৎ আর অতীত একই রেখায় চলে আসে, দুটোরই অস্তিত্ব তখন আমাদের মনে । অতীত এবং ভবিষ্যৎ এই দুইয়ের কল্পনাই বর্তমানের রসদ।
বেচে থাকা শুধুই কি বেচে থাকার জন্য? হারজিতের এক ডাইরি? আজ হার তো কাল জিত? আজ আনন্দ তো কাল দুঃখ ! আশা আর হতাশার মেলবন্ধন । আমার জীবনের ডাইরি কে পড়বে? পৃথিবীর এই বিলিয়ন লোক গুলোর ট্রিলিয়ন গল্প আছে। আছে বিলিয়ন ডাইরি । কে তাদের খবর রাখে । রাস্তায় বসে থাকা লোকটার যেমন অনেক না বলা গল্প আছে, তার পাশ দিয়ে যাওয়া লেক্সাস গাড়ীতে বসে থাকা লোকটারও অনেক একই রকম গল্প আছে । পৃথিবীর এক কোনায় জন্ম নিয়ে সেখানেই মৃত্যু । অসম্পূর্ণ জীবনের করুণ সমাপ্তি । কেউ জানলো না । মাঝখানে কিছু দিন পশু আনন্দ, আর হার-জিত । জীবন তো এত ঠুনকো হতে পারে না । কখনই না !
৫০০ বছর আগে আমাদের নাম নিশানা কিছুই এই পৃথিবীতে ছিলনা, ৫০০ বছর পরেও আমাদের নাম নিশানা কিছুই থাকবে না । অতীত তার শূন্য বাস্তবতার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে আবার। ভবিষ্যৎ এ । আমরা এবং আপনারা শূন্য । কোন তর্ক করবেন না ! বিজ্ঞান পড়তে পারেন । শূন্য হয় অর্থবোধক , যদি তার আগে ১ থাকে । বাইনারি ডিজিট ০ আর ১ ।
এই এক হল সকল শক্তির মূল । এক সৃষ্টিকর্তা । একেশ্বর । “কুল হু আল্লাহু আহাদ” । “এক্কাম ব্রাহম বহুধা বিধান্তে” । আল্লাহু আকবার । আমাদের ঠুনকো অস্তিত্ব অর্থবহ হয়েছে তারই জন্য । শূন্য থেকে জন্ম আমাদের অস্তিত্ব । তিনি বলেন “কুন ফা ইয়া কুন” , তখনই আরম্ভ হয় শূন্য থেকে অসীমের নাচন । সৃষ্টি হয় বিগ ব্যাং ।
তারপরও আমাদের অহমিকা অটল পাহাড়ের মত, যে পাহাড়ের কোন অস্তিত্ব নেই । আমাদের অলীক কল্পনা মাত্র । তারপরও আমরা নিজেদের পৃথিবীর নিয়ন্তা মনে করি । আমরা সীমা লঙ্ঘন করি । অহরহ । কি অদ্ভুত!!! অথচ একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসের বিরুদ্ধেও আমরা কত অসহায় । এক দার্শনিক বলেছিলেন “ অনেক মানুষের এত হঠকারী এবং উদ্ধত আচরণ দেখে কখনো কাঁদতে, আবার কখনো হাসতে ইচ্ছা করে”।অট্টহাসি ।
২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪
রিমন মোড়ল বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসান মাহবুব ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার চিন্তাধারা। স্বাগতম ব্লগে।