![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনা লিপিকার
মানুষের যদি মানসিক চাপ না থাকত তবে মনে হয় হাজার বছর বাঁচত। কারণ মানসিক চাপ মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংশ করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। গত সপ্তাহে মিরাশরাইয়ে সহিদ নামে একটি ছেলে আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারের প্রতি দায়ীত্ববোধের দায়ে দিকভ্রান্ত হয়ে সঠিক দিশা হারিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। মুহুত্বেই ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এত বড় একটি দেহ। সাথে সাথে যবনিকা ঘটে তার স্বপ্নের। কিভাবে ছেলে সন্তান মানুষ করবে -থেমে যায় এমন ভাবনা। কিভাবে স্ত্রীর ভরন পোষন যোগাবে -থেমে যায় সেই চিন্তা। এভাবেই প্রচন্ড মানসিক চাপে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে জীবনকে তুচ্ছ ভেবে শেষ করে দেয়। ভুলে যায় সে তার মৃত্যুই একমাত্র সমাধান নয়। ভুলে যায় তার পিছনে তাকিয়ে আছে কতগুলো মুখ ও একটি পরিবার। ভুলে যায় তার অবর্তমানে তারা আরো অরক্ষিত হয়ে পড়বে এই সমাজে। কিন্তু মানসিক চাপের যন্ত্রনায় এমন সকল ভাবনার উদয় হয়না তার মনে। এভাবেই একটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
মানসিক চাপের ফলে মানুষের রক্তচাপ বেড়ে হার্ট এটাক ও স্ট্রোক করে অকালে মৃত্যুবরণ করে। এতে নিদ্রা কম হয়, ফলে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধে দেহে। দেহের লাবন্যতা হারাতে থাকে। এতে শারিরীক ক্ষমতা ও দির্ঘস্থায়ীত্ব কমে যায়। ফলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধ্রাবিত হচ্ছে মানুষ প্রতিনিয়ত। মানসিক চাপ এড়াতে মানুষ নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। যা দির্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতি করে দেহকে।
এক্ষেত্রে মানষিক চাপগ্রস্থ ব্যক্তি দিকে তার বন্ধু ও নিকট আত্মীয় হাত বাড়াতে হবে। তাকে বাস্তবিকভাবে বুঝাতে হবে ও স্বান্তনা প্রদান করতে হবে। তাকে আনন্দ দেয় এমন কিছু করতে হবে অথবা প্রাকৃতিক নিসর্গে ঘুরতে যেতে হবে। তাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে এবং সঠিক সময়ে খেতে হবে। বিবাহিতদের স্ত্রীর সাথে সময় কাটাতে হবে। স্ত্রীকেই যথার্থ ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংসারিক কোন রকমের চাহিদা এই মুহুত্বে আরোপ করা যাবেনা। অতিরিক্ত সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.