নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরতের হসন্তিকা
------------------ মোঃ রুহুল আমীন ।
আক্রোশ আবেগ
নিজে কেঁদে কেঁদে,
কাঁদায়ে রোদসী,
অভিমানী শ্রাবণ-ভামিনী
ভাদ্রপদে এসে অবশেষে
কমলে-কামিনী অমানী ।
শাপলা শালুক ফুলে সজ্জিতা অপরূপা,
সর্বাঙ্গ হিরণ বরণ রবির কিরণে ।
শ্রাবণের সঘন অম্বর
শরতের হসন্তিকা আজি,
নব পরিণীতা ।
পরণে নীলাম্বরী শাড়ি তারকিনী,
সীমন্তে সৈমন্তিক শোভা
সায়াহ্নের রক্তিম আবীরে,
কপোলে বিচ্ছুরিত কোকনদ আভা,
ললাটে সন্ধ্যাতারা টিকলি সুশোভন ;
কটীতে দিগন্ত যেন সুবর্ণ রশনা,
কণ্ঠে কনক-প্রভা সপ্তর্ষির মালা
আবক্ষ বিস্তৃত ।
দ্রোনপুষ্প শোভে নাকে হয়ে নাকফুল,
দুকর্ণে কর্ণিকা হয়ে দোলে ঝুমকোলতা,
মল্লিকার মালা হাতের শঙ্খবলয়,
কাশবন দাঁড়িয়ে পাশে চামরধারিণী ।
অলখঝোরা নয়নযুগল নিরশ্রু রাজীবলোচন,
বদরবদন খানি আরও বিভাসিত ভাদ্রপদীতে ।
ক্রন্দন-ফীত ওষ্ঠদ্বয়ে প্রস্ফুটিত বঙ্কিম হাসি,
আলোকিত ছায়াপথ ধন্য তার চরণ-রেণুতে ।
সরসীর অবীচি জলে চুপিসারে সম্পন্ন ছামনি-
সহাস্য মুখচন্দ্রিকা ।
পুলকিত হৃদে
কাসারে কুমুদ নাচে রাতুল চরণে
যেন সুরালয়ে অতুল অপ্সরা দেবপ্রিয়া ।
আপানে অভ্যাগত যত বিমুগ্ধ হৃষিত,
ঝিল্লিকার শোহিনি মূর্ছনায় আর
কৌমুদীর সাশ্লেষ আপ্যায়নে ।
নক্ষত্ররাজিতে বিরচিত ফুলশয্যায়
উদযাপিত মধুচন্দ্রিমা
যেন শেষ না হতে চায় ।
নিশাজলে সিক্ত আঁচল
নীলাম্বরে উড়ায় হরষে,
শুকায় রোদ্দুরে ।
---*---
©somewhere in net ltd.