বাবা দিবসের ভালবাসা

২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:০৩

বাবা দিবসে আমরা যারা বাবাকে ভালোবাসি,

আমার এক স্যার বলতেন ‘আমরা বাবারা বড্ড অকৃতজ্ঞ এবং নিমক হারাম জাতি’। সেটা মায়ের কাছে। স্যারের কথার সূত্র ধরেই বলতে হচ্ছে ‘আমরা ছেলেরা বড্ড স্বার্থপর আর বাণিজ্যিক জাতি’ । গত ২১শে জুন ছিল বাবা দিবস ! ছেলেদের জন্য এটা একটা ঘোরতর অন্যায় দিবস। বাবাদের জন্য কোনো দিবস থাকার প্রয়োজন আছে কী ?
হ্যাঁ , আমাদের ছেলেদের জন্য বাবার কাছে ফোন মানে হচ্ছে টাকা দিবস। টাকার প্রয়োজন হলেই বাবা, এছাড়া আমরা খুব কম সংখ্যক ছেলেই বোধহয় বাবার সাথে ফোনে কথা বলি। অনেকে তো তাও করি না ! মাকে দিয়ে চালিয়ে দিই, ‘’আম্মু, আব্বুকে বলো কিন্তু ……………’’
একটা সময় ছিল খুব ছোট্ট বেলায় যখন স্কুলে, মসজিদে, ঈদ্গাহে বাবা ছাড়া কোনো অপশন ছিল না। বাবা যাবে না মনে হলেই মনটা খারাপ হয়ে যেত। ধীরে ধীরে বড় হলাম, আর বড় হওয়ার সাথে সাথে বাবা-ছেলের দূরত্ব-ও বাড়তে লাগল, নিজস্ব দর্শন তৈরী হলো। একদিন দেখা গেল পিতার দর্শন আর পুত্রের দর্শনের মাঝে বিস্তর ফারাক। কথা মানেই তর্ক-বিতর্ক কিংবা কোনো কথা-ই হবে না, চুপচাপ সুনসান নীরবতা, কারণ কিংবা প্রয়োজন দুটো-ই হলো গিয়ে অর্থ !

অর্থাৎ পিতা = একখানি অর্থ-বৃক্ষ।
এই বৃক্ষ যার আছে এবং যার নেই দুজনের মাঝে কিন্তু বিশাল ফারাক, দু’জন দু’মেরুর বাসিন্দা।
এদের মাঝে খুব দুর্লভ এক প্রজাতি আছে যাদের অর্থ বৃক্ষ হতে কোনো পত্র নিক্ষিপ্ত হয় না, এই বৃক্ষের বরাবর-ই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বসবাস। তবে ভাগ্যবান হলো গিয়ে ঐ প্রজাতি যে প্রজাতির এই অর্থ-বৃক্ষের সর্বদা-ই শীতকালীন অঞ্চলে বসবাস।

তাই এখন আমার কাছে স্বপ্নবিলাস------ যেকোনো পিতার বন্দনা…………….আমি আছি ভালই আছি, আমি বলতে পারব না, ‘বাবা, এটা তোমার আমার দ্বন্দ্ব না; এই দ্বন্দ্ব চিরন্তনী। ‘তোমায় ভালবাসি’ না বলাই রবে , তোমায় ছাড়াই হবে আমার নির্লিপ্ত বসবাস।
সংগৃহীতঃ জীবন থেকে নেয়া

০ টি +০/-০