নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি টিকে থাকবো তদ্দিন, যদ্দিন আমি স্বাধীন।

স্বাধীন আকন্দ

https://

স্বাধীন আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন বাড়লে বয়স ছোট্ট বেলার বন্ধু হারিয়ে যায়

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩


রঞ্জুর সাথে বন্ধুত্ব কবে থেকে, কখন থেকে জানি না। সে যে বন্ধু না খেলার সাথী তাও বুঝি না। কারণ, নামের মিল থাকলে মিতা হয়। বন্ধু পাতাতে হলে দুইজনের ডানহাত আর একবার বাম হাত কিভাবে যেন মেলাতে হয়। কবীর নামে একটি ছেলে, এইভাবে হাত মিলিয়ে আমাকে বলেছিল আজ থেকে সে আমার বন্ধু। তারপর, ওর বাড়িতে কতবার নিয়ে গিয়েছিল, গড়ায়ার বিলে সাদা বক পড়ে, ওদের বক মারার কেচিকল আছে তা দিয়ে কিভাবে বক মারে দেখিয়েছিল। কবীরের বাবা মাও আমাকে ওর বন্ধু বলে আদর যত্ন করতো।
কিন্তু, রঞ্জুর সাথে তো আমার এভাবে বন্ধুত্ব হয় নি। বলেন বয়সে সমান, স্কুল শুরু হয় নি আমাদের, আমরা একসাথে খাপড়া খেলি, ভেন্নার বিচি দিয়ে। মার্বেল খেলি। হলুদ রংয়ের কচি সুপারি দিয়ে গর্ত গর্ত খেলি। খেলতে খেলতে মারামারি করি, আবার মিল হই, কেউ যে মিল করে দেয় তা না, কী করে যেন মিল হই। আবার খেলি।
খুব ভোরে ঘুম ভেঙে বাড়ির বাইরে খুলিতে আসি। রঞ্জু কখন এসেছে। আমার জন্য বসে আছে। কালকে যেখানে ছোট সুপারি দিয়ে গর্ত গর্ত খেলেছি, সেখান থেকে শুরু করতে হবে।
আমি ওকে বলি, আগে সকালের ভাত খাই। তারপর খেলবো।
রঞ্জু রাজি হয়৷ এক শর্তে— ভাত খাওয়ার সময় ওকে নলা (লোকমা) খাওয়াতে হবে। আমি ওকে রান্নাঘরে নিয়ে আসি। মা ধানের কাজ করছে, এই ফাকে নিজে নিজে ভাত বেড়ে নিই এক প্লেটে। তারপর তরকারি দিয়ে মেখে খাওয়া শুরু করি। রঞ্জু আমার সামনে মাটিতে বসে থাকে। এক ফাকে ওকে এক লোকমা মাখানো ভাত দিই। সে হাত পেতে ভাতের লোকমা এমনভাবে খায় যেন সকালে খেয়ে আসে নি।
এভাবে গুণে গুণে ওকে ভাতের লোকমা দিই।
আমি খাওয়া শেষে বলি, "এগারো নলা কিন্তুক।"
এর মানে, ওদের বাড়িতে যখন যাবো, তখন ও খাবে, আর আমাকে আমার এগার লোকমা ফেরত দিবে। আমরা খুব সিনসিয়ার এ ব্যাপারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমারই লস হতো। রঞ্জুরা প্রায়ই কেবল লাউশাক আর আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খায়। ভাতের চাল আবার মোটা। আমার খুব খেতে কষ্ট হয়, কিন্তু খারাপ লাগে না। আর আমাদের প্রায় মাছ থাকে, মাঝে মধ্যে মাংস। ছোটবেলার এই অদ্ভুত স্মৃতি কিভাবে ভুলি?

রঞ্জু বলে, "আইজ গর্ত গর্ত খেলা থাক। মাডবেল খেলমু।"
"কোনে?" আমি জিজ্ঞেস করি।
"মালেকগোরে বাইত্তে। উবেল, মসিয়াররা আসপো। নু যাই।"
আমাকে আর কে থামায়।
সেই যে সকালে বের হয়ে পড়তাম। সারাদিন দুপুর আর খাওয়া নাই, মালেকদের বাড়ি, রঞ্জুদের বাড়ি, রুবেলদের উঠান, এভাবে করে করে কিভাবে দিন কাটতো।

একদিন রঞ্জু বললো, ওদের বাড়ির বড় আমগাছে শালিক পাখির বাসা আছে৷ সেই বাসায় দুইটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। ও নিজে উঠে দেখেছে। এখনো পালক হয় নাই। আমি চাইলে আমাকে সে একটি শালিক ছানা দিতে পারে।
আমার কতদিনের শখ, একটি পাখি পুষবো, সেটি আমার কথা মত চলবে, আমার ঘাড়ে এসে বসবে।
একদিন সত্যি সত্যি সেই গাছে আমি উঠলাম। একটি বাচ্চা নিয়ে নেমেও পড়লাম। তারপরেই শুরু হল বিপত্তি। ঐ গাছকে কেন্দ্র করে, মনে হয় শত শত শালিক পাখি এসে চিৎকার করতে লাগলো। কেবল কি শালিক? ফিঙ্গে, চড়ুই, বুলবুলি। এমনকি কয়েকটি কাকও। আমি ভয়ে রঞ্জুদের ছনের ঘরে ঢুকলাম। বের হতে গেলে কাকেরা এসে ছো মারতে চায়। ফিঙেরা এসে কামড়াতে চায়। এমন বিড়ম্বনা কোনদিন পড়িনি।
একটি শালিখ ছানার জন্য সব পাখিরা যে একজোট হতে পারে, কস্মিনকালেও ভাবি নি।
পরে রঞ্জু বলে, "বাচ্চাডো যেবা আচিলো, ঐবাই থুয়া আয় বাসায়। না হইলে বাচা নাই।"
আসলেই তাই।
সেদিন সেই শালিকের বাচ্চাটি আবার বাসায় রেখে এসেছিলাম। গাছে চড়েছিলাম রঞ্জুর ক্যাপ মাথায় দিয়ে।

রঞ্জুর সাথে মার্বেল খেলে কতবার হেরেছি। আবার জিতেছি। দিনশেষে দেখি যতগুলো মার্বেল নিয়ে বের হয়েছিলাম ততোগুলোই আছে। যেগুলো ওর কাছে পাওনা থাকতো, তা মনে মনে হিসাব করা থাকতো।
যেমন ভেন্নার বিচির হিসাব। এখন জানি, এটাকে ভেরেন্ডা বলে। ও আমার কাছে ষাট পেত, আমি খাপড়া দিয়ে খেলে শোধ দিতাম।
পূবের আকাশে রক্তিম সূর্য ওঠে। প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সাথে আমাদের খেলা শুরু হত। হয় কোন পুকুর পাড়ে, নতুবা গ্রামের মেঠোপথে। যে পথটি বড় সড়কের সাথে এসে মিলেছে।
ঠিক সেদিনই হয়তো সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে, আমরা, আমি আর রঞ্জু নাক্কি মুঠ খেলছি মাটিতে। সন্ধ্যার আলো আধারিতেও মাটিতে আকা ক্রস চিহ্ন দিয়ে আমরা সেই দিনের শেষ খেলা খেলছি। হয়তো মা এসে টেনে নিয়ে যায়। অথবা শিউলি বু এসে রাগ করে। আব্বাকে বলে দিবে।
আমি নাক্কি মুঠ খেলে মার্বেল হারিয়ে এসেছি রঞ্জুর কাছে। মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কাল যে করেই হোক ওকে হারাতে হবে, কেননা, ও আমার কাছে দশটি মার্বেল পায়।
সেই কাচের নীল রংয়ের মার্বেলগুলো। আজও বাচ্চাদের খেলতে দেখলে, রঞ্জুর কথা মনে পড়ে।
রঞ্জুর সাথে রাতের ঘুমটাই কেবল হয় না। এজন্যও হয়তো বুকটা হাহাকার করতো কিনা। কিন্তু প্রতিদিন ওর সাথে দেখা হওয়া চাই চাই। ভোরে উঠে যদি ওকে বাড়ির উঠানে ওকে অপেক্ষা করতে না দেখি, আমিই দৌড় লাগাই। চলে যাই ওদের বাড়িতে৷ আমাদের বাড়ি থেকে ওদের বাড়ির দশ মিনিট হাটা পথ, ছোট আমার পায়ের। দৌড়ে গেলে আরো আগে পৌছানো যায়।
রঞ্জুর সাথে এই যে আমার বন্ধুত্ব, অন্তরঙ্গতা। একজনকে না দেখলে আর একজন ব্যাকুল হই। তবু আমরা কোনকালে শপথ করি নি, কেউ কাউকে ছেড়ে যাবো না। অনেকেই তো করে। আমরা ধরেই নিয়েছি, এই বন্ধুত্ব চিরকালের।
এমনকি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হলাম একসাথে। আমার দাদা, ওর আপন নানা। মানে রঞ্জু আমার সম্পর্কে ফুফাতো ভাই। দাদা আমাদের দুজনকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দিলেন।
আমরা একসাথে প্রাইমারি স্কুলে যাওয়া শুরু করি। বুঝতে পারি, আমরা বড় হচ্ছি। আমাদের শৈশবের বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হয়। কিন্তু রঞ্জুটা পড়াশুনায় অমনোযোগী। আমি একটু একটু পারি। ও তাও পারে না। তাতে কি, স্কুলে যাওয়া আসা, স্কুল শেষে খেলাধুলা আমাদের আগের মতোই থেকে যায়।
কোথায় মেম্বার দাদার ভিটায় জামগাছে জাম পেকেছে, রঞ্জু খবর আনে। আমি ওর সাথে ছুটে যাই।
হিন্দুপাড়ায় সুবাস দাদাদের পুকুর সেচ দিয়ে সব পানি বের করা হয়েছে। মাছ ধরাও শেষ। রঞ্জু আর আমি সেই পুকুরের হাটু কাদায় নেমে গচি মাছ, গড়াই মাছ ধরেছি।
বর্ষাকাল যেন আমাদের প্রিয় ঋতু৷ বাডির সামনে বিলে পানিতে ভেসে যেত। আমরা কলাগাছ কেটে ভেলা বানিয়ে সিন্দাবাদের মতো সমুদ্র পাড়ি দিতাম।
শৈশবের সেই দিনগুলো সোনারখাচায় তুলে রাখা যেত যদি।

পড়াশুনায় একটু ভাল ছিলাম জন্য আব্বা আমার জন্য নতুন স্কুল ঠিক করেছেন। গ্রাম ছেড়ে কিছুটা মফস্বল এলাকায় সে স্কুল। ক্লাস ফাইভে ভর্তি হবো। থাকবোও এক স্যারের বাড়িতে। সেখানে থেকে লেখাপড়া। আমি মনের মধ্যে নতুনের প্রতি কৌতুহল, কেমন হবে সে জীবন। একদিন সেই স্যারের সাথে চলে এলাম উনার বাড়িতে। সম্পূর্ন নতুন পরিবেশ। নতুন এক জীবন। স্যারের ছেলে আমার থেকে বয়সে অনেক বড়, তার সাথে একই রুমে থাকা লাগবে শেয়ার করে। এনারা আবার বিক্রমপুরের ঢাকাইয়া। কথাবার্তা, পোশাক, আচরণ সবই আমার কাছে একেবারেই নতুন। তখন সবে ক্লাস ফাইভে উঠেছি, কতই বা বয়স। তবু সে পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। কেননা, সেই সময়টি আমার লাইফের টার্নিং পয়েন্ট। এর মধ্যে আমি কিভাবে যেন রঞ্জুর কথা ভুলেই গেলাম।
থাকছি নতুন এক পরিবারের সাথে, পড়ছি নতুন স্কুলে, যা প্রায় আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমিও নাছোড়, যতকিছুই হোক, সবাইকে দেখিয়ে দেবো, নিজের বাড়ি, শৈশবের বন্ধু ছেড়ে থাকতে পারি।
এভাবে কয়েকমাস কেটে গেল, কতকিছু শিখলাম। নতুন বন্ধু হল। আমার নিজেরও ভাষা, সংস্কৃতি, পোশাক সব পরিবর্তন হতে লাগলো।

একদিন, স্যারেএ বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেলে। সেদিন বিকেলে কোচিং ছিল না বোধহয়। স্যারের বাসার পাশেই নলডাঙা বাজার। আমি মাঝেমধ্যে আপন মনে ঘুরে বেড়াই বাসার আশেপাশে। বাজারেও ঢুকি।
সেদিন বিকেলে, বাজার বসে নি তখনও। কাঠপট্টিতে একটি সমিল, তার পিছনেই মুরগির হাট। সেখানে ক্যারাম বোর্ড খেলে বড়রা। আমি সেই ক্যারামবোর্ড খেলার পাশে একটি পরিচিত মুখ দেখে অবাক হই। সেই হাফ-প্যান্ট আর সাদা স্যান্ডোগেঞ্জি পরা রঞ্জু দাঁড়িয়ে আছে!
আমি ছুটে এলাম ওর কাছে। ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা। এটা কিভাবে হল? ওর কথা কিভাবে ভুলে গেলাম? যার মুখটি না দেখলে আমার সেই দিনটি ভাল কাটে না, সেই খেলার সাথীকে আমি ভুলে গেছি? মনে করার চেষ্টা করলাম, যেদিন স্যারের সাথে তার বাসায় আসি, সেদিন কারো থেকেই ঐভাবে বিদায় নেয়াটা হয় নি। রঞ্জুর সাথেও তাই শেষ দেখা হয় নি। আজ এতদিন পর রঞ্জুকে দেখে, আমার সেই পুরনো আমার কথা মনে পড়তে লাগলো। মাত্র কয়েক মাসে, এতো পরিবর্তন হয়ে গেছে আমার মধ্যে। দেখলাম, রঞ্জুর সব আগের মতোই আছে। বদলে গেছি কেবল আমি।
ওকে বললাম, "ভোটকা, একলাই আইচাস?"
ও বলে, "হু।"
"কী জন্যে?"
"এবিতেই।"
আমি আমার স্কুলের কথা বললাম, স্যারের বাড়ির নতুন নিয়ম কানুনের কথা বললাম। ও খুশি হল কিনা জানি না।
ও বলল, "তুই দশটো মার্বেল পাইলিনি।"
আমি মনে করার চেষ্টা করলাম। "তুই ঐ মার্বেল দিবার আইছাস?"
দেখি ওর হাফপ্যান্ট এর ভাজে কাচের মার্বেলের শব্দ।
"বাইত্তে আসপি কবে?"
আমি বললাম, "এই শুক্কুরবার। তোগের হাতে দেহা করমু।"
"এহুন কি হারাদিনই জুতা পায় দিয়া থাকোস?" রঞ্জু জিজ্ঞেস করলো।"
"হু"। রঞ্জু আমার পোশাক আশাক পর্যবেক্ষন করছে। আমার হাত পাও পরিষ্কার। এই কয়েকমাস মাটিতে খেলা হয় নি বললেই চলে। রঞ্জুর আগের মতোই আছে। মাটিতে খেলা গ্রামের বালক।
আমাকে জিজ্ঞেস করল, " একলা ভাল নাগে?"
আমি কী বলবো। স্যারের বাসায় একাই থাকি, স্কুলে গেলে নতুন বন্ধুদের সাথে খেলি।
আমি বুঝলামক্স রঞ্জু কী বুঝাচ্ছে।
রঞ্জু বলল, "থাক। জাইগা। হন্ধা হয়া আসতিছে। বাসায় যা।"
বলে রঞ্জু রওনা দিল। আমি থামালাম না। বলতে পারলাম না, মার্বেলগুলো দিয়ে যা। ও আমার কাছে কয়েক লোকমা ভাত পায়, সেটা দেয়া হয় নাই। ভেন্নার বিচিগুলো বাড়িতে কোথায় রেখে এসেছি, মা হয়তো ফেলে দিয়েছে, ওকে দিয়ে দিলেই হতো।
রঞ্জু সেই যে চলে গেল, সেইদিনটাই ছিল শৈশবের বন্ধুত্বের শেষদিন। ও সেদিন আমার সাথেই দেখা করতে এসেছিল। কতদিন হয়তো ঘুরেছে, মানুষের বাসায় ঢোকার সাহস পায় নি, বাসার সামনে অপেক্ষা করেছে।
শৈশবের এই বিচ্ছেদটা এমন, কিছু করার নাই, ভাষায় প্রকাশ করার নাই। কেবল চোখের চাহনিতে, শারীরিক ভাষায় দুজন দুজনকে পড়েছিলাম, অনুভব করছিলাম। রঞ্জু আমাকে গত কয়েক মাস কী পরিমান মিস করেছিল, তা সেদিন বুঝেছিলাম। কিন্তু আমি তো আর ফিরে যাই নি। লেখাপড়া শিখে কত স্কুল কলেজ ভার্সিটি শেষ করলাম, কত বন্ধু হল। রঞ্জু সেই শৈশবের খেলার সাথীটি থেকে গেল। সারা গায়ে ধুলি মাখা, নোংরা জামা আর প্যান্ট পরা সেই বন্ধুটি জীবন থেকে হারিয়ে গেল।
রঞ্জুর সাথে এর পরে যতবার দেখা হয়েছে, "কিবা আচাস" "ভাল" এই কথোপকথন ছাড়া আর কোন কথা হয় নি। যেন শৈশবের ভাষা আমাদের ফুরিয়ে গেছে। এই বড় হয়েও ওর সাথে কখনো কদাচিৎ দেখা হলে মনে হয়, এই মানুষটি আমার বাল্যকালের বন্ধু ছিল?.যার চেহারা না দেখলে, কথা না শুনলে দিন কাটতো না, তার সাথে কথা বলার আর কোন শব্দই নাই!
রঞ্জুকে আমি ফেলে এসেছি সেই বাল্যকালেই।
আমাদের এখনো নলা শোধবোধ হয় নাই,
যে ভেলাটা অর্ধেক বানিয়েছিলাম, তা শেষ করে চকচকার বিল দেখতে যাওয়া হয় নাই,
আমার মার্বেলগুলি কোথায় হারিয়ে গেছে,
আমার ভেন্নার বিচি, জাম গাছ থেকে পেড়ে আনা জাম, আম গাছের সেই শালিক ছানা, কিছুই তো দেওয়া নেওয়া হয় নাই।
এক জীবনের ছোট্ট শৈশবের বন্ধুটি এভাবে কেন হারিয়ে যায়?

(ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.