নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশে ফেব্রুয়ারী ও হিন্দী ডরিমন কার্টুন

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০

একুশে ফেব্রুয়ারী এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কিন্তু আমরা এর মূল নীতি থেকে ধীরে ধীরে অনেক সরে যাচ্ছি।কেনো জানি মনে হয় ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই আমরা রেসলিং খেলার মতো বাংলা VS ইংলিশ ভাষা কিংবা বাংলা VS হিন্দি ভাষা খেলায় মেতে উঠি। খেলার স্তায়ীত্ব ফেব্রুয়ারী মাস তারপর আমরা আবার সব ভুলে যাই। আসলে মাতৃভাষা কে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করাই ছিলো ভাষা আন্দোলনের মুল লক্ষ্য চাপিয়ে দেওয়া কোনো ভিন দেশের ভাষা নয়।



বাংলা ভাষা শিখার জন্য যে অন্য কোনো ভাষা শিখা যাবে না কিংবা অন্য কোনো ভাষা শিখার জন্য বাংলা শিখা যাবে না এরকম কোনো কথা আছে বলে আমার তা মনে হয় না। আপনার নিশ্চই জানেন ইংরেজ দের শাসন আমলে ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের চে এগিয়ে গিয়েছিল কারণ তারা ইংরেজি ভাষা শিখে নিয়েছিল ইংরেজ দের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিজ্ঞান ও গণিত সহো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে ছিল কিন্তু আমরা বাঙালিরা তখন মনে করতাম ইংরেজ দের ভাষা শিখলে আমাদের সংস্কৃতি বা কৃষ্টি অপসংস্কৃতিতে পরিণত হবে যার ফলাফল পরবর্তীতে ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের চে ধনী এমনকী তারা ইংরেজ দের শাসন ব্যবস্তায় ভালো ভালো পদে আবির্ভূত হলো। আজ এত বছর পর যখন আমাদের দেশের বাচ্চারা টেলিভিশনে ডারিমন কার্টুন দেইখা বাসায় বা বন্ধু দের সাথে হিন্দী কথা বলে আমি অবাক হই না কেনই বা অবাক হবো খেল করে দেখুন ডরিমন বাদেও আমাদের বাসায় যথেষ্ট পরিমানে হিন্দী সিরিয়াল ও হিন্দী সিনামার চর্চা হয়। যদি বাংলার পাশা পাশি কোনো ভাষা শিখতে হয় তবে তা ইংরেজি ভাষা, হিন্দী ভাষা আমদের কখনই কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না।



ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যা শিখি তা হচ্ছে প্রতিটি ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা , জোর করে কারো উপর কোনো ভাষা চাপিয়ে দেওয়া কিন্তু একেবারেই উচিত নয়।একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে যদি দেখি যেমন ধরুন আমাদের পার্বত্য এলাকা গুলোর কথা সেখানে প্রচুর উপজাতির বসবাস যেমন চাকমা ,মারমা ,খাসিয়া ,মনিপুরি ,সাঁওতাল ,ত্রিপুরা , জায়ন্তিয়া। এই সব উপজাতির বসবাস বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে থেকে। তাদের ভাষা ,ধর্ম,সমাজ ব্যবস্তা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোনো মিল নেই। কিছু দিন আগে আমার কথা হচ্ছিল সেখান কার এক জন স্কুল শিক্ষক এর সাথে তিনি আমাকে জানালেন যে সেখানে বাংলা ভাষায় পাঠ দান করা খুব কঠিন, ছাত্র ছাত্রীরা মাতৃভাষা না হওয়াতে খুব সমস্যায় পড়ে।



সালাম ,বরকত, রফিক ,জব্বার রক্তের বিনিময়েআমাদের মাতৃভাষা কে প্রতিষ্ঠা করে যান এখন এর অবস্তান দৃঢ় করার দায়িত্ব আমাদের।প্রতিটি সম্প্রচার মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারীর আগে ভাষা নিয়ে নানা রকম প্রতিবেদন হয়। এর মধ্যে অবশ্যই একবার না একবার বলা হয়, সর্বস্তরে মাতৃভাষা চালুর প্রয়োজনীয়তা ও সেটি না হবার কথা.। এবার মাননীয় উচ্চ আদালত বলেছেন দোকানের ও ব্যবসার নামফলকে বাংলা থাকতেই হবে।সাংবাদিকের হাতে ধরা শব্দগ্রাহকে যে লোগোটি থাকে , তার মধ্যে লেখা থাকে ইংরেজী এবং অধিকাংশ চ্যানেলের নামচিত্রটিওতো ইংরেজী।নামফলকে বাংলা লেখা যেমন জরুরী তেমনি শহরগুলিতে বহুভাষিক দিকনির্দেশ থাকাও জরুরী। মনে করেন একজন বিদেশী মিরপুর থেকে মতিঝিল যাবে। শহরে কোন কার্যকর দিকনির্দেশমূলক ফলক নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.