নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বিয়ে নিষিদ্ধ:

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১২

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,রোহিঙ্গাদের বিবাহের বিষয়ে আজই আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই অনুযায়ী এখন থেকে যদি কোনো কাজি রোহিঙ্গাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ এ দেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই নিবন্ধন হলেও সেটি অবৈধ হবে।



জন্ম ,মৃত্যু ,বিয়া এই তিনটা বিষয় সম্পূর্ণ বিধাতার হাতে। দুটি মানুষ, দুটি পরিবার এর ভাল লাগার ভালোবাসার সর্বশেষ পরিণতি বিয়ে আর তা আইন মন্ত্রনালয় এর শক্ত কঠিন আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়তো সম্ভব হবে না। গত কয়েক বছর এইসব রোহিঙ্গা পরিবারের নারীরা কক্সসবাজার এর বিভিন্ন পরিবারের বিবাহ যোগ্য পাত্রী হিসাবে বেশ মানিয়ে নিচ্ছিলো কিন্তু এমন একটা সীধান্ত হয়তো সব উলট পলোট করে দিবে। আপনাদের নিশ্চই মনে আছে ,B.S.F গুলিতে যখন ফেলানী নিহত হয় তা আমাদের জন্য কতটা বেদনা দায়ক ছিলো। আমাদের লক্ষ রাখতে হবে আমদের দ্বারা যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।



রোহিঙ্গাদের ভাষা Rohingya যেই ভাষার সাথে চিটাগাং এর ভাষার অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায় শুধু তাই নয় বার্মার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা মুসলিম ধর্মের অনুসারী।কি ভাবে তাদের ধর্ম ও ভাষার সাথে আমাদের এতো মিল ? ইতিহাস এর সোনালী পাতা উল্টালে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা খুঁজে পাবো।১৯ শতকের দিকে বৃটিশ East India Company তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম থেকে আরকান পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে যার ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার বাঙালি তখন জীবিকার তাগিদে চিটাগাং থেকে আরকান যান। তখন আরকান ও চট্টগ্রাম একই প্রশাসনের আওতায় থাকায় তা একই রাজ্য হিসাবে বিবচনা করা হতো বস্তুত আরকান ও চট্টগ্রাম আর মাঝে যতায়েত এ কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হত না। বার্মার আরকান রাজ্যে ১৮৯১ সালেও মুসলমান জনসংখা ছিলো ৫৮,২৫৫ যা ১৯১১ সালে যেয়ে দাড়ায় ১,৭৮,৬৪৪ জনে।



দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধর পৱ থেকে বার্মার মুসলমান ও বদ্ধ দের মাঝে দেখা দেয় বিভিন্ন বিভাজন ও ধর্ম কে কেন্দ্র করে সহিংসতা। পরবর্তিতে মিলিটারী জান্তার ২৫ বছরের শাষন আমলে তা আরো বৃদ্ধী পায়।মুসলমান ও বুদ্ধদের এই যুদ্ধের মাঝে পরে অনেক মুসলমান গৃহ হারা হয়ে পরেন তারা অসহায় হয়ে বাংলাদেশ এর কক্সসবাজার এর রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো তে আশ্রয় নেন এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধী পাচ্ছে ২০১২ সালের দাঙ্গার পর বার্মার সরকার মুসলমান রোহিঙ্গা দের বার্মার নাগরিক হিসাবে গণ্য না করার ঘোষণা দেয়। বহিষ্কৃতদের ১৯৮২ সালের গৃহ হারা বাংলাদেশী হিসাবে গণ্য করা এবং তাদের বার্মার নাগরিক সনদ না দেবার ঘোষণা দেয় ধারণা করা হয় প্রায় ৩০০০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্তান করে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মাত্র ৩০০০০ রোহিঙ্গার আশ্রয় শিবিরে থাকার স্বীকৃতি দেওয়া ফলে ষুধু মাত্র তারাই United Nations ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে বাকি রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন সাগরের তীরবর্তী স্থানে ,বনের পাশে কিংবা বস্তি এলাকায়।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.