নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
হে ঠিক শুনেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ গ্রেফতার। আসুন জেনে নেই কে এই ভয়ংকর মোল্লা মাসুদ ? ২০০১ সালে সরকার তাকেসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণার পর মোল্লা মাসুদ ভারতে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে সে সেখানেই অবস্থান করছিলো ।মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল মাসুদ। মাদ্রাসায় পড়াশোনার কারণে সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর তার নামের আগে 'মোল্লা' শব্দটি বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে তখন থেকেই মাসুদ 'মোল্লা মাসুদ' হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে সে শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের শিষ্য বনে যায়। ১৯৯৭ সালের দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, তানভিরুল ইসলাম জয়, টোকাই সাগর, টিক্কা, সেলিম, চঞ্চল ও মোল্লা মাসুদ মিলে গড়ে তোলে সেভেন স্টার গ্রুপ। ওই গ্রুপে কাজ করার কারণে মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সখ্য গড়ে ওঠে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের। সেই সখ্য আজও রয়েছে ।গ্রুপের সদস্য সুব্রত বাইন বড় অপারেশনে নিজেই যেত। চঞ্চল, মোল্লা মাসুদ ও টিক্কা সামনে থেকে কাজ করলেও কমিশনের সিংহভাগ যেত সুব্রতর কাছে। সফল অভিযানের ক্রেডিট পেত সুব্রত। অন্যদিকে টিক্কার সঙ্গে জয় আলাদাভাবে অপারেশনে যেত। এসব কারণে ২০০০ সালের দিকে এসে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সুব্রত বাইন একটি রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করলে সেভেন স্টার গ্রুপ ভেঙে যায়। ওই সময় সন্ত্রাসী আগা শামীমের নেতৃত্বে তৈরি হয় ফাইভ স্টার গ্রুপ। তারা ঢাকা সিটি করপোরেশনের সব ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করত। ৯০ দশকে মোল্লা মাসুদ একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পর মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়। ওই সময় সে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে জড়ায়। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচনও করে। ওই সময় থেকেই গোলাম আযমের সঙ্গে তার ছিল গভীর সখ্য। সেই সুসম্পর্ক থেকেই গোলাম আযমের বডিগার্ড হয়েছিল সে। মোল্লা মাসুদের ঘনিষ্ঠ সুব্রত বাইন বরিশাল থেকে ঢাকায় আসে। সে তার মা-বাবার সঙ্গে মগবাজার এলাকায় বসবাস করত। মা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষিকা। মগবাজারের বিশাল সেন্টারের একটি দোকান নিয়ে অন্তর্কোন্দলের কারণে মুরাদ নামের একজনকে হত্যা করে সুব্রত। এটিই ছিল তার প্রথম খুন। সে শেষ খুন করে সন্ত্রাসী মুরগি মিলনকে। সুব্রত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে ছিল পশ্চিমবঙ্গের তেগেরা এলাকায়। এরপর চলে যায় দমদম, পরে ঠাকুরপুকুর হয়ে কলকাতায়। সুব্রত দুই বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। ছেলেটি বাকপ্রতিবন্ধী।বড় মেয়ে মগবাজার এলাকায় সুব্রতর মায়ের সঙ্গে বসবাস করে। কলকাতার স্মাগলার ও হুন্ডি ডিলারদের কারো ঢাকায় বল প্রয়োগের প্রয়োজন হলে তারা সুব্রতর সাহায্য নেয়। সুব্রত ফোন করে সহকর্মীদের করণীয় জানিয়ে দেয়। লোকজন টাকা উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেওয়ার পর মোটা অঙ্কের কমিশন পায় সে। একই পন্থায় ঢাকার বিজনেসম্যানদের বকেয়া উদ্ধার করে দেয় সে। সুব্রত ৫০ বিঘা জমি কিনেছে ভারতের নদিয়ায়। সেই জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষও করা হচ্ছে। বাহিনীর সদস্যরা প্রতি মাসে ৫০-৬০ লাখ টাকা পাঠাতো তার কাছে।ঢাকায় তার শতাধিক কর্মী রয়েছে। ঢাকায় সুব্রতর বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলো যাদের বেতন ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।মোল্লা মাসুদ এর বিরুদ্ধে ৩০ টির বেশি মামলা রয়েছে তার মধ্যে এক ডজনের বেশি হত্যা মামলা রয়েছে ।তাকে পশিমবঙ্গের CID পুলিশ গ্রেফতার কর। মোল্লা মাসুদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তার মধ্যে সাংসদ কামাল মজুমদারের ভাগনে মামুন হত্যা, পুরান ঢাকায় মুরগি মিলন হত্যা, খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ায় ট্রিপল মার্ডার উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অসংখ্য জিডি রয়েছে।
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ইমরান আশফাক .....লিংকটা
http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/03/15/198992
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি ইতিমধ্যেই যাচাই করে দেখেছি, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২১
ইমরান আশফাক বলেছেন: লিংকটা দেন যাচাই করে দেখি।