নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
আপনার শত্রুকে শারীরিক ভাবে নয় মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে কিংবা নিজের ধৈর্যের পরক্ষা দিতে চান তে হইলে ৯০ এর দশকের একটা গোটা বাংলা সিনামা দেখেন এক বসায়, পারবেন মনে হচ্ছে ? আসলে এতো সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।মোটা হাতির মতো নায়ক নায়িকা যখন ভুড়ি দুলিয়ে নাচে তখন তা হজম করা কিন্তু বেশ কঠিন বেপার।ছিনামার নামের যে বাহার তাতে প্রতিটি নাম শুনার পর আপনি আতকে উঠবেন।যেমন : বাবা কেনো চাকর। প্রায় প্রতিটি ছিনামার স্ক্রিপ্টই মোটা মোটি এক রকম ৪টা বা ৫টা ছিনামা দেখলেই আপনি ছিনামার শুরুতেই অনর্গল বলে দিতে পারবেন সামনে কি হবে।শুটিং লোকেশন শতকরা ৮০ ভাগ fdc আর খুব বেশি হলে কক্সবাজার -হিমছরি সড়ক।এক শুটিং লোকেশন দেখতে দেখতে এমন অবস্তা যে যারা কোনো দিন FDC যান নাই তাদের যদি চোখে কালো কাপর পরিয়ে ছেরে দেন তা হইলে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।ছাউন্ড লাইট একশন ! হুম ছাউন্ড এর কথা না বললেই নয় মারামারির সেই হাস্যকর ঢিসুম ঢিসুম শব্দ গুলো ৯০ এর বাংলা ছিনামা ছারা আমি আর কথাও শুনি নাই।ভালো কেমেরা বা ভালো ষ্টুডিও বেবহার করার তো কোনো উপায় নাই কারন ওইসব ছিনামার যে বাজেট তাতে এর চে ভালো কিছু আসলে আশা করা যায় না।৯০ এর দশক মানে ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত অবস্তা এতো খারাপ পর্যায়ে পৌছায় যে পরিবার নিয়ে সিনামা দেখার তো প্রশ্নই আসে না কোনো ভদ্র লোক একলা সিনামা দেখতে গেলেও নিজের সম্মান নিয়ে ফিরে আশা ছিলো চেলেঞ্জের বিষয় ২০০০ সালের আগেই অর্ধেকের বেশি সিনামা হল বন্ধ হয়ে যায়। অশ্লীলতা ,মানে ১টিকেটে ২ছবির অন্ধকারে সব যখন ডুবতে বসেছিলো তখন কিন্তু এই অনন্ত জলিল অনেক সাহসী ভুমিকা পালন করেন নিজের উপার্জিত বোরো অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন এবং সাহসের সাথে প্রতিটি স্থানে পরিবর্তন আনেন নতুন শুটিং লোকেশন ,নতুন স্ক্রিপ্ট ,ফাইটিং সিন বা গানের সিন গুলোতে আসে অনেক পরিবর্তন সিনামা হল গুলোতে দেখা যায় মানুষের ঢল কিন্তু একটা গ্রুপের লোক জন এর কাছে জলিল হয়ে উঠলেন হাসির পাত্র কারন তার বচন ভঙ্গি বা কথা বলার ধরন ,আচ্ছা জেকি চেন এর ইংরেজি বলা তো শুনেছেন উনারও তো এক রকম সমস্যা তো তাকে নিয়ে তো কেউ হাসে না।আমরা যারা অনন্ত জলিল কে নিয়ে হাসা হাসি করি তারা উনার চে ভালো মানের বাংলা সিনামা বানায় দেখাই না আরেক জন কে পচানোর আগে নিজের জগ্যতা কতো টুকু যাচাই করুন। বেক্তি জীবনে অনন্ত জলিল খুব সফল শিল্পপতি তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে হাজার হাজার কর্মচারী।তার মাধ্যমে দেশে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। হুম ,আমি অনন্ত জলিল এর FAN !
২| ১২ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
সোহাগ১৯৮৮ বলেছেন: যার যা কাজ তাকে তা করতে দিলেই হয়। অনন্ত জলিল সাহেব টাকা ইনভেস্ত করলেই পারতেন। তার ছবির বাজেট ভালো। এখন ভালো নায়ক দিলে ছবি আরও ভালো হত।
যদিও আমি বলব এখন উনার অভিনয় আগের থেকে অনেক ভালো হইসে।
১২ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
শিশির খান ১৪ বলেছেন: তা মন্দ বলেন নাই ,আপনি ঠিক বলেছেন সোহাগ ভাই
৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:২১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনি অনন্ত জলিল এর ফ্যান খুব ভালো কিন্তু তাকে উপরে উঠাতে গিয়ে অন্যদের ছোট করার কোন কারণ নেই। বাবা কেন চাকর মুভিটার নাম আপনার কাছে খারাপ লাগছে ভালো। তবে বাবা কেন চাকর সিনেমাটা দেখেন তারপর ঐ মুভির সঙ্গে বর্তমান কোন মুভির মান যাচাই করেন। আর আপনার তথ্যেও অনেক ভুল আছে ৯০ দশক এ সুস্থ ধারার চলচিত্র নির্মিত হত। তখন চলচিত্রে অশ্লীলতা আসে নি। বরং ২০০০ এর পর থেকে চলচিত্রে অশ্লীলতা ঢুকেছে।
আপনি অনন্ত জলিলের ঠিক কোন পরিচয়ের ফ্যান তা উল্লেখ করলে ভালো হত। কারণ উনি এক সাথে অভিনেতা, পরিচালক, লেখক, গীতিকার, প্রযোজক। আমি অনন্ত জলিলকে সম্মান করি তার প্রযোজক পরিচয়ের জন্য। চলচিত্রের উন্নতির জন্য উনার কাজ প্রশংসার দাবিদ্বার। কিন্তু অভিনেতা, পরিচালক, লেখক হিসাবে ১০ মার্ক্সের মধ্যে বড় জোর ২ পেতে পারেন।
১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আমি আপনার সাথে এক মত আপনি ঠিক কথাই বলছেন কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয় আসলে প্রযোজক নায়ক পরিচালক সব এক সাথে হওয়া যায় না তবে উনি যে এই খারাপ সময়ে ছিনামার পরিবর্তনে এগিয়ে আসছেন সেই জন্য আমি তাকে সাধুবাদ জানাই শুধু তাকেই নয় রেদওয়ান রনি ,ফারুকী ,অমিতাব রেজা ,তৌকির সবাইকেই আমি সাধুবাদ জানাই যারা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। দেখতে দেখতে কলকাতার ছিনামাও আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।যদি আমরা তাল মিলিয়ে এগিয়ে না যেতে পারি তা হলে ভারত এর ছিনামার উপর আমরা নির্ভরশীল হয়ে যাবো। যা হবে খুব লজ্জাজনক।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: বিষয় নির্বাচন খুব ভালো, লেখককে ধন্যবাদ।
২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,ফাহাদ ভাই সময় করে ধৈর্য নিয়ে পরার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
জনতার রায় বলেছেন: আমার যদি অনন্ত জলিলের মত টাকা থাকত আর সিনেমা বানানোর ইচ্ছা থাকত, তাহলে আমি কয়েকটা ব্যাপার চিন্তা করতামঃ
- পাখির মত লাফ দেবার উপযোগী বডি ফিগার আমার আছে কিনা, ব্রুস লীর যেরকম আছে
- আমার কন্ঠস্বর, উচ্চারণ, ইংলিশ ঠিক আছে কিনা, না থাকলে ডাবিঙয়ের সাহায্য নিতাম
- আমার কি হিরোর রোল করা ঠিক হবে কীনা
- পিস্তলের বুলেটের আঘাতে কন্টেইনারবাহী ট্রেলার উল্টে যাবার দৃশ্য দেখানো বাস্তবসম্মত হবে কিনা
- কথায় কথায় চাপা মারা এই যুগে কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিনিয়ত যে ব্যক্তি নানারকম চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে যাচ্ছে, তার পক্ষে কিভাবে সম্ভব এই টাইপের সিনেমা বানানো - সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা